এই পেজে আস্তিকতা-নাস্তিকতা সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে এখানে প্রশ্নটি করে ফেলুন…
৩৭ responses to “প্রশ্নোত্তর”
-
আত্মা কি? সুনির্দিষ্ট ভাবে হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ট গুলোকে প্রসারিত ও সংকুচিত করার অব্যাখায়িত শক্তি নাকি? আমাদের সামগ্রিক চেতনা?
-
আত্মা কী, তা আমরা জানি না। শুধুমাত্র এটি জানি, আত্মা হচ্ছে আল্লাহর হুকুম। প্রায়োগিক দিক থেকে এটি হচ্ছে আমাদের জীবনী শক্তি বা ভাইটাল ফোর্স। ‘একটা কিছু’ যা থাকার কারণে আমাদের দেহ সামগ্রিকভাবে সজীব ও সচেতন থাকে।
-
আত্মা আসলে একটি কুসংস্কার মাত্র।
-
আপনি কি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন?
-
-
আত্মার সাথে সামগ্রিক সত্তার সম্পর্ক। হৃদপিন্ডের সম্পর্ক ঠিক আমার মনে হচ্ছে না। এই দৃষ্টিতে আপনার দ্বিতীয় ধারণাটা সঠিক।
-
-
কিভাবে মানুষ দার্শনিক হতে পারে ??
-
মানুষ যদি জীবন ও জগতের মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা ভাবনা করে, অন্ধ বিশ্বাস এর পরিবর্তে যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তিনি অলরেডি একজন দার্শনিক। দার্শনিক হিসেবে তিনি সমাজে প্রতিষ্ঠিত পরিচিত হন বা না হন, তাতে কিছু আসে যায় না।
-
তার আগে অন্ধবিশ্বাস এবং যুক্তি কি জিনিস তার ফয়সালা হওয়া দরকার।
-
-
সব মানুষই জন্মগতভাবে দার্শনিক। দর্শন চর্চাকে তিনি যদি পেশা হিসেবে নেন অথবা বিশেষ কোনো দার্শনিক তত্ত্ব বা মতবাদের প্রস্তাবনা করেন অথবা প্রতিষ্ঠিত কোনো দার্শনিক মতবাদের দর্শনসম্মত সমালোচনা করেন, তাহলে তাকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দার্শনিক হিসেবে স্বীকৃতি দেই। তাছাড়া, যুক্তির মাধ্যমে বিদ্যমান বিকল্পগুলো হতে কোনো একটাকে বেছে নেয়াটা মূলত দার্শনিক প্রক্রিয়া। যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে আমরা যা-ই করি, তা-ই মূলত দর্শন চর্চা। হয়তো আমরা সেভাবে সচেতন থাকি না। এই আর কি।
-
-
Would you kindly let me know what is goal or target? I am a divine thinker. I am in love with my invisible fiance. I am a follower Rumi.
-
সুফিবাদ নিয়ে আমার তেমন ধারনা নাই। এই বিষয়টা আপনি আমার চেয়ে ভালো বুঝতে ও বলতে পারবেন। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
-
-
অসীম কথাটা এমন যে সেটা কখনো একাধিক হতে পারে না। সেজন্য অসীম সত্তা একজনই হবেন। একজন অসীম সত্তার থাকা সত্ত্বেও আরেকজন যদি তার বাইরে স্বাধীন কেউ থাকে, তাহলে প্রথমজন অসীম শব্দটার অর্থগত সংজ্ঞা অনুসারে আর অসীম হিসেবে বিবেচিত হবেন না। বরং তিনি হবেন সীমিত। সেটা যত বড়ই হোক না কেন।
বৃহত্তম সংখ্যার বাইরে যেমন করে কোনো সংখ্যা থাকতে পারে না, বৃহত্তম বৃত্তের বাইরে যেমন করে কোনো বিন্দু থাকতে পারে না, তেমনি করে অসীম সত্তার বাইরে অন্য কোনো অসীম সত্তা থাকতে পারে না। ভাষা ও গণিত সম্পর্কে আমাদের যুক্তি ও জ্ঞান আমাদেরকে এটাই তো বলে।
-
একটা অসীম সত্তা আরশে বসে কীভাবে?
-
-
আমার জন্ম হয়েছে একটি মুসলিম পরিবারে। সেই ধারাবাহিকতায় আমি ইসলাম ধর্মের যাবতীয় ধর্মিয় বিষয়াবলি আমল করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার এই ইসলাম মেনে চলা শুধুমাত্র এজন্যই যে আমার বাবা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন তাই আমিও ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করি।
কিন্তু আজকাল আমার কাছে মনে হচ্ছে এই একি উপায়ে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্মের অনুসরন করে থাকে এবং শুধু মাত্র বিশ্বাসের জায়গা থেকে নিজের ধর্মকে সত্য বলে দাবি করে। তাই আমার আর তাদের বিশ্বাসের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। এবং আমার কাছে কোন যৌক্তিক কারনও নেই নিজের বিশ্বাসকে সত্য বলে দাবি করার।
তাই আমি আজকাল নিরপেক্ষ জায়গা থেকে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করছি, যেহেতু আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি ( যিনি এই সৃষ্টিজগতের পেছনের কারন,সে যদি আল্লাহ হয় তাহলে আল্লাহই ) তাই আমি ইসলাম ধর্ম সত্যিকার অর্থেই সৃষ্টিকর্তার বা আল্লাহর মনোনিত কিনা তা নিয়ে পড়াশোনা করছি।
এই মুহুর্তে সত্য খুঁজতে খুঁজতে যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে আমার মৃত্যুটা ইসলামিক সংজ্ঞায় কেমন অবস্থায় হবে? মুসলিম নাকি অমুসলিম?
যদি অমুসলিম হিসেবে হয়ে থাকে তাহলে এই মুহুর্তে আমার কি করা উচিত? নিরপেক্ষ জায়গা থেকে ইসলামকে যাচাই করে যাওয়া নাকি অন্ধ ভাবেই নিজের বিবেককে দমিয়ে রেখে ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে ( মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ) যাওয়া।আমার বর্তমান অবস্থার কথা মাথায় রেখে আমার জন্য উপকারে আসতে পারে এমন ধরনের কিছু বই সাজেস্ট করলে খুশি হবো।
এছাড়াও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি চাইব আপনি আমাকে উদ্দেশ্য করে আমার অবস্থা বিচার করে কিছু উপকারি উপদেশ দিবেন যা আমার জন্য কল্যানকর এবং সহযোগী হবে। ধন্যবাদ স্যার। ভালোবাসা।-
অন্ধবিশ্বাসের কোনো মূল্য তো ইসলামে নাই। নবী-রাসূলগণও একটা জার্নির মধ্য দিয়ে সত্যের সন্ধান পেয়েছেন। কোরআনের সুরা দোহা-তে বলা হয়েছে, ‘তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা হিসেবে, এরপর তিনি আপনাকে হেদায়েত দান করেছেন।’ নবী ইব্রাহীম (আ.) কীভাবে নক্ষত্র, চাঁদ ও সূর্যকে রব মনে করে প্রথমে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন সেই বর্ণনা কোরআনে আছে। রাসূল হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরেও তিনি আল্লাহর সাথে সাওয়াল করেছিলেন তাঁর সৃষ্টির কুদরত নিয়ে। সুরা বাকারায় এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা আছে। অতএব, অনুসন্ধিৎসা থাকাটাই বরং স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময়ে চাইতে হবে যেন আমি সঠিক পথের সন্ধান পেয়ে যাই। আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা করেছেন, আন্তরিকভাবে যে কিনা সত্যের সন্ধান পেতে চাইবে, তাকে তিনি অবশ্যই হেদায়েতের পথে পরিচালিত করবেন। আপনি ইউটিউব হতে আমার ‘কীভাবে বুঝবো কোন ধর্ম সঠিক?’ https://www.youtube.com/watch?v=-_GFFdNx8RU এই আলোচনাটা শুনতে পারেন। এরসাথে ‘যুক্তি বুদ্ধির পক্ষে আল্লাহ তায়ালা’ https://mozammelhq.com/post/1537 এই লেখাটাও পড়তে পারেন।
-
অতো অতো পড়াশোনা করে ধর্ম বুঝবেন না। আসল হচ্ছে চিন্তা। ওটা ঠিকঠাক থাকলে বেশি কিছু না পড়লে চলে।
-
-
আসসালামু আলাইকুম ভাই।আমার একটা প্রশ্ন ছিলো যা আমাকে এক অমুসলিম বোন জিজ্ঞেসা করেছে।
“মুসলিম পুরুষ দেন মোহর দিতে বাধ্য স্ত্রীকে।দেন মোহর না দিলে স্ত্রী পুরুষের জন্য হালাল হবে না।এই দেন মোহরের মাধ্যমে স্ত্রী জায়েজ হয়।একই ভাবে পতিতাকে পারিশ্রমিক না দিলে পতিতাকে টাচ করা যায় না। পতিতাকে টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হয়।তাই মুসলিম স্ত্রীরা পতিতার মত। পারলে যুক্তি খন্ডন করেন।” আমি বোনের প্রশ্ন হুবহু তুলে ধরলাম।আমি তাকে বললাম একটা হালাল আর আরেকতা হারাম। সে বলে এখন হালাল-হারামের যুগ নাই। (নাউযুবিল্লাহ)
-
একজন মুসলিমের মৌলিক দায়িত্ব হল সে নিজের ইচ্ছাকে স্রষ্টার ইচ্ছার নিকট সমর্পণ করবে। স্রষ্টা যেভাবে বলেছেন সেভাবেই করবে। উপরিউক্ত প্রশ্নের মধ্যে পতিতাবৃত্তিই যেখানে হারাম সেখানে তার ব্যবহার বিধি উল্লেখ করা হয়েছে যে, “পতিতাকে পারিশ্রমিক না দিলে পতিতাকে টাচ করা যায় না” এটি মানুষের বানানো একটি সীমালঙ্ঘনমূলক কাজ। আর নিষিদ্ধ বা হারাম বিষয়ের সাথে আদেশকৃত বিষয়কে গুলিয়ে ফেলা কোন সুস্থ মানুষের ধারণাতে কিভাবে স্থান পেল তাই আমার বুঝে আসছেনা। আরও সহজ ভাষায় বলা যায় উনি ইসলাম আর মানুষের বানানো নিয়মকে গুলিয়ে আপনাকে ধোঁকায় ফেলার চেষ্টা করছে তার প্রশ্নের মাধ্যমে উদ্দেশ্য পরিস্কার। আশা করি আপনার উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
-
একজন মুসলিমের মৌলিক দায়িত্ব হল সে নিজের ইচ্ছাকে স্রষ্টার ইচ্ছার নিকট সমর্পণ করবে। স্রষ্টা যেভাবে বলেছেন সেভাবেই করবে। উপরিউক্ত প্রশ্নের মধ্যে পতিতাবৃত্তিই যেখানে হারাম সেখানে তার ব্যবহার বিধি উল্লেখ করা হয়েছে যে, “পতিতাকে পারিশ্রমিক না দিলে পতিতাকে টাচ করা যায় না” এটি মানুষের বানানো একটি সীমালঙ্ঘনমূলক কাজ। আর নিষিদ্ধ বা হারাম বিষয়ের সাথে আদেশকৃত বিষয়কে গুলিয়ে ফেলা কোন সুস্থ মানুষের ধারণাতে কিভাবে স্থান পেল তাই আমার বুঝে আসছেনা। আরও সহজ ভাষায় বলা যায় উনি ইসলাম আর মানুষের বানানো নিয়মকে গুলিয়ে আপনাকে ধোঁকায় ফেলার চেষ্টা করছে তার প্রশ্নের মাধ্যমে উদ্দেশ্য পরিস্কার। আশা করি আপনার উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
-
-
এইটা পড়েন। দেখেন, এই প্রশ্নের পান কিনা।
“দেনমোহর প্রসংগে বিয়ে বনাম লিভ-টুগেদার”
https://mozammelhq.com/post/896 -
বিয়ে মানেই বিড়বিড় করে আওড়ানো কয়েকটা মন্ত্র। অনেক সমাজ এটা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
-
-
ঈশ্বর কি মিথ্যা বলতে পারে? যদি না পারে তাহলে কি ওমনিপটেন্স থাকে? যদি পারে, তাহলে মানুষ কি নিশ্চিতভাবে ও অবজেক্টিভলি জানতে পারে তিনি মিথ্যা বলেছেন কিনা? আমার মতে, না। তখন তাহলে ঈশ্বরের ওহির কি মূল্য থাকল এবং ঈশ্বরে বিশ্বাস ছাড়া অব্জেক্টিভ মোরালিটি হয় না এই ধরণের বক্তব্যের কি মানে থাকে।
-
প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। এইগুলো পড়েন।
‘ঈশ্বর সর্বশক্তিমান’ কথাটার তাৎপর্য
https://freethoughts.dorshon.com/post/89‘তাওহীদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা’
https://freethoughts.dorshon.com/post/165‘অন্যায় কাজও কি আল্লাহর হুকুমে হয়?’
https://freethoughts.dorshon.com/post/270 -
আপনি দেখছি আরেক এপিকিউরিয়ান প্যারাডক্স তৈরি করে ফেলেছেন।
-
-
ধরেন আমার সামনে একটা আপেল আছে। আমি যেভাবেই হোক সেটা জানি। মেটাফিজিক্স, এপিস্টেমোলজির পেচালো আলাপে না গিয়েই যাস্ট আমি জানি আমার সামনে একটা আপেল আছে। এখন ধরেন আমাকে জানানো হল, কোন একটা সত্ত্বা আছে যে আমারে আমার সামনে আপেল আছে এমন মনে করাইতে পারে। এই তথ্য জানার পর কি আমার মনে করা উচিত যে আমার সামনে আসলেই আপেল আছে?
আমার অবস্থান হচ্ছে, This is reasonable to think there is a God but it is not reasonable to beleive there is a God. Because beleive in an entity like that can create this kind of contradiction.
গড আছে বলে যদি বিশ্বাস করি তাইলে আর কোন কিছুতেই কোন ভ্যালু দেখি না। গড যতই ওহি পাঠাক, তাকে স্বীকার করা মানে সে যে আমারে ট্রিক করতে পারে সেটাও স্বীকার করা।
এই বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?-
হ্যাঁ, যুক্তির দিক থেকে গড থাকাটা জাস্ট plausible অথবা highly possible। কিন্তু তারমানে এই নয় যে, গড আছেই। কারো কাছে যদি এই mere logical plausibility নিছক সম্ভাবনার চেয়ে বেশি বলে মনে হয়, তার কাছে যদি মনে হয়, নিশ্চয়ই আছে, তাহলে তিনি গডে বিশ্বাস করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, গডে বিশ্বাসের কোনো প্রমাণ নাই। আছে পক্ষে যুক্তি বা নিদর্শন। কোরআনে যাকে আয়াত হিসেবে বলা হয়েছে। প্রমাণ যেখানে থাকে সেখানে বিশ্বাস লাগে না। বিশ্বাস করা হয় যা প্রমাণের বিপরীত কিংবা প্রমাণের আওতা বহির্ভূত। প্রথম ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্বাসটি হবে ডগমেটিক। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে অর্থাৎ যুক্তির ভিত্তি আছে বটে, তবে যুক্তিটি কনক্লুসিভ না, আবার দুর্বলও না, এমন ক্ষেত্রে বিশ্বাস করাটা হলো যুক্তিগ্রাহ্য। যুক্তি যখন কনক্লুসিভ হয়ে পড়ে, তখন তা যুক্তি থাকে না। বরং, প্রমাণ হয়ে উঠে।
মেটাফিজিকেল কোনো বিষয়, তা যে বিষয়ই হোক না কেন, কখনো এক্সপেরিমেন্টাল সায়েন্সের মতো করে প্রমাণভিত্তিক হয় না। এর বিপরীতে, ফিলসফির সব বিষয়ই, তা যে বিষয়ই হোক না কেন, হবে যুক্তি ভিক্তিক।
এ বিষয়ে আপনি এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন: ‘পরমসত্তা, ঈশ্বর, জ্ঞান ও বিশ্বাস’ https://freethoughts.dorshon.com/post/112
-
-
আপনার ইউথেফ্রো ডিলেমা বিষয়েক রেসপন্স ভাল লাগল না। ঈশ্বরকে পরমসত্ত্বা ধরে নিলেও তিনি চরম গুড নাকি চরম ইভিল এই বিষয়ে কোন সমাধান তো পাওয়া যায় না। আমি Stephen Law এর Evil God Challenge নামে যেই পেপার টা রেফার করছিলাম সেটারে তো এড্রেস করলেন না। ঠিক যেসব যুক্তিতে ঈশ্বর কে গুড বলা হবে ঠিক সেইসব যুক্তি উল্টাভাবে দিলে একটা ইভিল গডের ধারণা দাড় করানো যাবে। এই পেপারে দেখানো হইসে, যদি একটা অল পাওয়ারফুল ইভিল গডে বিশ্বাস করাকে ইর্যাশনাল মনে করি, একটা অল পাওয়ারফুল গুড গডে বিশ্বাস করাও ইর্যাশনাল হবে। আপনি যদি ক্রিশ্চিয়ানিটির গুড গডের ধারণা অস্বীকার ও করেন, তাতেও এই আর্গুমেন্ট খটানো যাবে। আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম বলেন আর যাই বলেন, প্রত্যেক গুণের বিপরীত সত্ত্বাও বিদ্যমান। আবার যদি বলেন ইভিল আলাদা কিছু না, গুড এর এবসেন্স, তাহলে এভাবেও তো বলা যায় গুড বলে কিছু নাই সব ই ইভিল এর এবসেন্স। – Evil god challenge এর রেসপন্স গুলা বলতেছিলাম। যতগুলা রেসপন্স ই পাইছি কোনটাই ফুলপ্রুফ মনে হয় নাই, পাবলিশড রেসপন্স ও আছে সবগুলার দেখলাম। আপনি ইউথেফ্রো ডিলেমারে যেইভাবে উড়ায় দিলেন, লিটারেচারে তো সেরকম পাই না। উত্তর দিলে প্রশ্নকর্তার কনসার্নগুলাকে সম্মান করেই দেয়া উচিত, যেটা আপনার উত্তরে পাই নাই।
-
ম্যারিড ব্যাচেলর এবং ভার্জিন বার্থ- কোনটা ঈশ্বরের পক্ষে সম্ভব বা সম্ভব না এবং কেন। একটা সম্ভব হলে কি উভয়ই সম্ভব?
-
শয়তানের কি স্বাধীন ইচ্ছা আছে? যদি থাকে তাহলে কি আল্লাহ শয়তানের কাজের উপর নির্ভরশীল না? আর যদি না থাকে তাহলে কি আল্লাহ কে শয়তানের গডফাদার বলা যায় না?
-
জাহান্নাম কি ইনফিনিটি টাইমের জন্য হবে? যদি হয়, তাহলে কাউকে সারাজীবনের জন্য আগুনে পুড়ানো কি কোনো ভাবে মানবিক?
-
জাহান্নাম ইনফিনিট টাইমের জন্য হবে সেটাই মেইনস্ট্রীম মত। তবে কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী স্কলার জাহান্নামের শাস্তি ফাইনাইট টাইমের জন্য, এরকম একটা সম্ভাবনা দেখিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন সালাফি স্কুলের খুবই প্রভাবশালী স্কলার ইবনে তাঈমিয়া। তিনি এমনকি জাহান্নামের শাস্তি যে ফাইনাইট হওয়াই যৌক্তিক সেটা প্রমাণ করেছেন৷ স্ক্রিপচারে সাপোর্ট খুজেছেন কিন্তু কনক্লুসিভ কিছু দেখাতে পারেন নাই স্ক্রিপচারে তার মতের পক্ষে৷
সারাজীবনের জন্য আগুনে পুড়ানো মানবিক নয়। তবে ঈশ্বরের মানবিক হওয়ার দায় নাই। ঈশ্বরের পক্ষে পরম করূণাময় ও অসীম দয়ালু হওয়া যেমন সম্ভব, ঈশ্বরের পক্ষে স্যাডিস্ট হওয়াও সম্ভব। আস্তিকরা কোন রকম যাস্টিফিকেশন ছাড়া ঈশ্বরকে গুড এবং যাস্ট মনে করে। অথচ ঈশ্বর কে গুড এবং যাস্ট মনে করার পেছনে যেসব কারণ, যুক্তি ও আর্গুমেন্ট দাড় করানো সম্ভব, ঠিক একই রকম কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত কারণ, যুক্তি ও আর্গুমেন্ট দাড় করানো সম্ভব ঈশ্বর কে ইভিল আর আনযাস্ট হিসেবে মনে করার জন্য। এটাকে বলে সিমেট্রি থিসিস- যদি একটা ইভিল এন্ড আনযাস্ট ঈশ্বরকে বিশ্বাস করা আনরিজনেবল মনে করা হয়, তাহলে একটা গুড এবং যাস্ট ঈশ্বরে বিশ্বাস করাও আনরিজনেবল হবে। আল্লাহর ইনফাইনাইট জাহান্নামের বিধান এই সিমেট্রি থিসিস কে আরো শক্তিশালী করে৷ সেক্ষেত্রে ফাইনাইট জাহান্নাম সিমেট্রি থিসিস কে দূর্বল করে।
-
-
‘আল্লাহ’ কি proper noun নাকি common noun? ইহুদি-খ্রিস্টান স্ক্রিপচারে (এবং বিব্লিকাল স্কলারদের মত অনুযায়ী ও) ঈশ্বরের একটা proper noun আছে। সেটা হল YHWH. এখন সত্যি ই যদি ইহুদি-খ্রিস্টান-ইসলামের ঈশ্বর এক ই সত্ত্বা হয়ে থাকেন, তার proper noun তো চেঞ্জ হওয়ার কথা না। ইসলামে ঈশ্বরের এই proper noun এর উল্লেখ নাই কেন? আর ‘আল্লাহ’ যদি proper noun হয়, তাহলে এক ই আল্লাহ থেকে ইহুদি খ্রিস্টান স্ক্রিপচার গুলাও আসছে এই দাবি সন্দেহের মুখে পড়ে না? আবার ইহুদি খ্রিস্টান রা কেন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ঈশ্বরের proper noun চেঞ্জ করবে অথবা শূণ্য থেকে হাজির করবে? আবার ‘আল্লাহ’ কে common noun হিসেবে নিলে এটা কি বলা যায় ইসলামের আল্লাহর proper noun YHWH?
-
সমসাময়িককালের আধ্যাত্ম সমস্যা সম্পর্কে নাস্তিক্যবাদীদের প্রতি খোলা চিঠি
https://www.somewhereinblog.net/blog/RazaulKarimFaquire/30318975 -
ইসলামে কি যুদ্ধবন্দদীনীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে যৌন সম্পর্ক করা জায়েজ?যদি না হয়,তাহলে রেফারেন্স কি যে সাহাবিরা রেপ করেন নাই?
-
উত্তরদেওয়ার পর আমার প্রশ্নটা ডিলিট করবেন
-
প্রশ্নটা ডিলিট করে দিন প্লিজ। আমি করতে পারছি না।
-
আস্তাগফিরুল্লাহ।আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি।https://youtu.be/lKivTKf5XP4 এখানে সব সুন্দর করে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ মাফ করুন!
-
-
-
Leave a Reply