বাহাইন্ড দ্যা ক্লাস সিরিজ- ৩
[কয়েকদিন আগে অনার্স থার্ড ইয়ারে চিজমের জ্ঞানতত্ত্ব পড়াচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে এক ছাত্র বললো, ‘ফিলোসফি বলতে আসলে কী বুঝায়, এক মিনিটে তা বলেন’। তাকে আমি এই জওয়াবটা দিয়েছিলাম।]
অডিওটির পরিমার্জিত ট্রান্সক্রিপ্ট:
Philosophy deals with the big questions in an argumentative way.
ফিলোসফি হচ্ছে জ্ঞানের একটি শাখা, যেটি মৌলিক প্রশ্ন বা সমস্যাগুলোকে যুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করে। যেমন– এই যে ডাস্টারটি হাত থেকে ছেড়ে দিলাম, আর তা নিচে পড়ে গেলো। ফিজিক্সের লোকেরা বলবে, এটি নিচে পড়ার কারণ হচ্ছে মধ্যাকর্ষণ শক্তি। আমরা তাদের এই কথাকে মেনে নিয়েছি।
কিন্তু মধ্যাকর্ষণ শক্তি কেন? মধ্যাকর্ষণ শক্তি না হয়ে অন্য কিছু হলো না কেন? – এই ধরনের গোড়ার প্রশ্নকে ফিজিক্স এলাউ করবে না। ফিলোসফি এগুলোকে ডিল করে। বিজ্ঞান যা বলে সেইটাকে সেইটার জায়গায় রেখে প্রদত্ত ‘উত্তরটির’ আগে কী হতে পারে, পরে কী হতে পারে সেটা নিয়ে ফিলোসফি আলোচনা করে। তাই, অন্য যে কোনো ডিসিপ্লিনের তুলনায় ফিলোসফির অ্যাপ্রোচটাই আলাদা।
সবাই বলে, দর্শন হলো জীবন ও জগতের সামগ্রিক…। ফিলোসফির এ ধরনের সংজ্ঞার সমস্যা হলো, জীবন ও জগৎ নিয়ে তো সবাই কাজ করে। লিটারেচার, হিস্ট্রি, এনথ্রোপলিজি, পলিটিক্স …। কোনটা নয়? বিজ্ঞানের বিষয়গুলোও তো জীবন ও জগতের বাইরে কোনো কিছু নয়।
কিন্তু বিগ কোয়েশ্চেনস, ফান্ডামেন্টাল কোয়েশ্চেনস– এগুলোকে সিস্টেমেটিকেলি ডিল করে ফিলোসফি।
ফিলোসফি যেসব ইস্যু নিয়ে কাজ করে সেসব ইস্যুর মৌলিকত্ব ও গভীরতার কারণে পরিসংখ্যান বা ভৌত পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলোকে সমাধান করা সম্ভব নয়। সেজন্য যুক্তির হাতিয়ার বা বাহনকে ব্যবহার করতে হয়। ফিলোসফিতে এই কাজটিই করা হয়।
বিগ কোয়েশ্চনগুলোর উত্তর পাওয়া প্রসংগে স্বনামধন্য এস্ট্রোফিজিসিস্ট মিশিও কাকু বলেছেন, ‘you can wait your whole life; but you will not get an email from outside, from God or from some Supreme Being, that this is the answer to your question. You have to find out your own answer. OK?’
That’s philosophy.
Very good