পশ্চিমাবিশ্বের জন্য নারীবাদী আন্দোলন ছিল অপরিহার্য। উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত সেখানকার নারীরা অনেক মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। যেমন,

তারা চাইলে সম্পত্তির মালিক হতে পারতো না। উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে ভাগ পেত না। তাদের ছিল না শিক্ষার অধিকার। ছিল না ভোটাধিকার। ইউরোপের কোনো কোনো এলাকায় স্বামী চাইলে স্ত্রীকে এমনকি বিক্রীও করে দিতে পারতো। তাদের ছিল না প্রজনন অধিকার। ছিল না বিয়ের সময় পাত্র নির্বাচনের অধিকার। বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে খোরপোশ ও ভরণপোষণের জন্য অর্থ প্রাপ্তির অধিকার তো পরের কথা, তাদের ছিল না বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার। এমনকি, কোনো পুরুষকে মূল মালিকানায় না রেখে কোনো নারী ছিল না স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার অধিকার।

এক কথায়, নারীদের অবস্থান ছিল দাসদের খুব কাছাকাছি।

প্রাচ্যসমাজে নারীর ব্যক্তিগত, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সব জায়গায় সমান মর্যাদায় ছিল না। কোথাও কোনোদিক থেকে ভালো এবং কোনো দিক থেকে খারাপ অবস্থা ছিল। কিন্তু তা কোনোক্রমেই ওয়েস্টের মতো এতটা করুণ ছিল না। প্রাচ্য সমাজব্যবস্থায় নারীর সবচেয়ে ভাল অবস্থা ছিল মুসলিম সমাজে। একজন মুসলিম হিসেবে আমি প্রাচ্যসমাজের ইসলামিক ধারায় নারীর কী অবস্থান ছিল, তা খুব সংক্ষেপে বলবো।

ইসলামিক আইন অনুযায়ী যে কেউ সামর্থ্য থাকলে সম্পত্তির মালিক হতে পারে। এখানে নারী-পুরুষ, মুসলিম-অমুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক-অপ্রাপ্তবয়স্ক, কোনো ভাগাভাগি নাই। নারীদের সকল ধরনের অর্থনৈতিক দায়িত্ব পুরুষের ওপর চাপানো সত্বেও ইসলামে নারীকে দেয়া হয়েছে মিরাস এবং মোহরানা। কৃষি বা ব্যবসার মাধ্যমে এককভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ছিল না কোনো আইনগত বাধা।

তখনকার সময়ে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় নারীদেরকে কখনো এক্সক্লুড বা ডিসক্রিমিনেইট করা হয়নি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, স্বয়ং নবীর তরুণী স্ত্রী আয়িশা (রা.) ছিলেন উনার সময়ে মদিনার সবচেয়ে বড় ফকিহ। তাঁর ছিল পুরুষ ও মহিলা ক্যাটাগরির বহু ছাত্র-ছাত্রী। ইসলাম ধর্ম মোতাবেক জ্ঞান অর্জন প্রত্যেকের ওপর ফরজ। জ্ঞান বলতে সকল ধরনের উপকারী জ্ঞান। এখানেও নারী পুরুষে কোনো রকমের পার্থক্য করা হয়নি।

তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে যে ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা (polity) প্রচলিত ও কার্যকর ছিল, তাতে নারীরাও ছিল স্টেকহোল্ডার। এমন ছিল না যে ভোটাধিকার সার্বজনীন, অথচ নিছক লিঙ্গগত পরিচয়ের কারণে নারীরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। রাজনৈতিক কারণে সাহাবিদের একাংশ নবীর অন্যতম স্ত্রী মা আয়িশার (রা.) নেতৃত্বে যুদ্ধও করেছে। কেউ বলেনি, আয়িশা (রা.) নারী হয়েও কেন রাজনীতিতে জড়াচ্ছেন? ভ্রাতৃঘাতী সেই যুদ্ধে অনেক রক্তপাত হয়েছে। সেই জন্য তিনি সারাজীবন রিগ্রেট করেছেন। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।

এ’ব্যাপাারে জানার আগ্রহ থাকলে ‘নারী অধিকার প্রসঙ্গে শরীয়াহর নির্দেশ বনাম নির্দেশনা’ – এই শিরোনামে আমার লেখাটা পড়তে পারেন।

নারীদেরকে জিহাদের ফরজিয়াত থেকে রেহাই দেয়া হলেও সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধে সমাজের প্রত্যেক সদস্যের যে সামাজিক দায়িত্ব, তা হতে নারীদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি।

আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে নারীদেরকে যে প্রজনন অধিকার ইসলাম দিয়েছে তা এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় দৃষ্টান্তহীন।

হানাফি মাজহাব ছাড়া অন্য মাজহাবগুলোতে কুমারী মেয়ের বিয়েতে কনের পিতার সম্মতিকে বাধ্যতামূলক করা হলেও সকল মাজহাব অনুসারে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারী স্বাধীনভাবে বিয়ে করতে পারে। কনের সুস্পষ্ট সম্মতি ছাড়া বিয়ে জায়েয হবে না। এ’ব্যাপারে সকল মাজহাবই একমত। কোরআন অনুসারে, হায়েজরত অবস্থায় স্ত্রীকে তালাক দেয়া যাবে না। তালাক দিতে হবে তুহরে তথা পবিত্রতার সময়ে।

নারীরা পুরুষের মতো মুখের কথায় তালাক দিতে না পারলেও তারা যে কোনো কারণে যে কোনো সময়ে একটা সালিশি সংস্থার মাধ্যমে তালাক চাইতে পারে। জোর করে কাউকে সংসার করানোর কোনো শরয়ী সুযোগ নাই। ইসলামের বহুবিবাহ সিস্টেম তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা নারীদের পূনর্বিবাহের একটা বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

বিয়ের সময় নবপরিণীতা স্ত্রীকে গিফট দেয়া বাধ্যতামূলক এবং কনে নিজে এর ধরন ও পরিমাণ নির্ধারণ করে। হ্যাঁ, আমি মোহরানার কথা বলছি। তালাকের সময়ে তাকে এককালীন অর্থসম্পদ দিতে হবে। এবং একটা মেয়াদ পর্যন্ত খোরপোশ দিতে হবে। সন্তানসম্ভবা হলে বা সন্তান থাকলে তার ভরণপোষণ দিতে হবে। পাশ্চাত্য বিশ্বে বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত এগুলো ছিল অকল্পনীয়।

ইসলামে কন্যাদান বলে কিছু নাই। বিয়ে হচ্ছে পরস্পরসম্মত দু’জন নরনারীর যৌন সম্পর্কের সামাজিক অবগতি। সমাজের কেউ রাজী না থাকলেও কোনো সমস্যা নাই, ন্যূনতম দু’জন সাক্ষী থাকাই যথেষ্ট।

ইসলামে বৈবাহিক ধর্ষণ বলে কিছু নাই। স্বামীর আহ্বানে সাড়া দেয়ার যেসব কথা হাদীসে বলা হয়েছে তা নির্দেশনামূলক। জেনারেল ডাইরেকটিভস। ইসলামিক পরিভাষায় হেদায়েতি বক্তব্য। অনেকেই এটি জানেন না, স্বাধীন নারীকে বিয়ে করলে তার সম্মতি ছাড়া তার সাথে আযল (জন্মনিয়ন্ত্রণের একটা প্রাকৃতিক পদ্ধতি) করা যাবে না। অর্থাৎ কোনো নারীকে মাতৃত্ব এবং নিজের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাকে শুধু ভোগের উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

কোনো নারী যদি স্বামীকর্তৃক যৌনসহিংসতার শিকার হয়, তাহলে অপরাপর যে কোনো ডমিস্টিক ভায়োলেন্সের মতো এ ব্যাপারেও অভিযোগ করতে পারবে। বিচার চাইতে পারবে। স্বামী তাকে যৌনতৃপ্তি দিতে না পারলে তা নিয়ে সে প্রকাশ্যে অভিযোগ করতে পারে। এবং অভিযোগ করা মাত্রই প্রয়োজনে সে বিয়ে ভেঙে দিয়ে উক্ত সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার ও পরকীয়ার অভিযোগের পক্ষে তার জন্য প্রমাণ হাজির করা জরুরী নয়। অবশ্য, প্রমাণ ছাড়া স্বামীকে জেনার শাস্তি দেয়া হবে না। শুধু বিয়েটা ভেঙে দেয়া হবে।

ইসলামিক সিস্টেমে বৈবাহিক চুক্তি কোনো আধ্যাত্মিক চুক্তি নয়। বরং স্থায়ী হবে এরকম আশাবাদের ভিত্তিতে সম্পাদিত একটা অস্থায়ী সামাজিক চুক্তি। স্বামী এখানে পার্টনার এবং লিডার। স্ত্রীর মালিকানাপ্রাপ্ত স্বামী বলতে যা বোঝায় মোটেও তা নয়। স্বামী বলতে আমরা যা বুঝি তার জন্য আরবীতে কোনো প্রতিশব্দ নাই। কোরআন হাদীসে বরং spouse বলতে আমরা যা বুঝি তদনুরূপ পরিভাষা (যাওজ) ব্যবহার করা হয়েছে।

আত্মপরিচয়হীন Mrs. অথবা Miss প্রথার অর্গল থেকে বের হয়ে শুধু Ms. পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অধিকার লাভ করার জন্য নারীরা পাশ্চাত্যে যে সংগ্রাম করেছে, তা ইসলামিক ট্রাডিশানে এট দ্যা ভেরি ফার্স্ট প্লেইস, সমস্যা হিসেবে কখনো আসে নাই। বিবাহিত-অবিবাহিত, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষ তার পিতৃপরিচয়ে পরিচিত হবে, এটাই নিয়ম। এটাই মেইনস্ট্রীম প্রাকটিস। পিরিয়ড।

এ’সব নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। আমি এখানে শুধু কিছু হিন্টস দিলাম, যাতে করে যে কেউ বুঝতে পারেন, পাশ্চাত্য বিশ্বে নারীবাদী আন্দোলন নারীদেরকে মুক্তি দিলেও আমাদের এখানে নারীবাদ অপ্রাসঙ্গিক। এমনকি নারীদেরই জন্য ক্ষতিকর পশ্চাতগামিতা।

একচুয়েলি, পাশ্চাত্যবিশ্ব এখন নানা দিকে থেকে উন্নত হলেও তখনকার সময়ে তারা ছিল অনুন্নত। মানবসভ্যতার ইতিহাসে ওসব এলাকা কখনোই কোনো উন্নত সভ্যতার ধারক ও বাহক ছিল না। তাই নারীবাদ সেখানে আলোকায়ন ঘটালেও এখানকার প্রেক্ষাপটে এটি আমাদের কাছে নতুন কোনো পজেটিভ ইমপেক্ট দেয় না। আমাদের জন্য কাজের কাজ হলো, আমাদের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধগুলোকে প্রপারলি প্রাকটিস করা। প্রটেক্ট করা।

একে তো ফেইসবুকে কথা বেশি বলা যায় না, তদুপরি দীর্ঘ রেফারেন্সশোভিত লেখা পড়ে, লক্ষ করেছি, মানুষ খুব কমই প্রভাবিত হয়। ১০টা এক পক্ষের রেফারেন্সের মোকাবেলায় যার ঈমান উল্টাদিকে তার কাছে ২টা বিরুদ্ধ-উদাহরণই বেশি সঠিক (plausible) বলে মনে হয়। রেফারেন্সের ওপর নির্ভর না করে আমি তাই লিভড এক্সপেরিয়েন্স এবং আমাদের কমন গ্রাউন্ড অব রেশনালিটির ওপর বেশি গুরুত্বারোপ করি। এখানেও সেই ধাঁচে কথা বলেছি।

শুরুটা ঠিক থাকলেও বাঁধা খুঁটিকে উপড়িয়ে দড়ি ছিঁড়ে নিজেকে মুক্ত করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে গভীরতর গর্তে পড়ে যাওয়া ব্যক্তির মতো নারীবাদের পরবর্তী অংশ নারীত্বকেই বরং হাওয়া করে দিছে। হালনাগাদের নারীবাদে নারীসত্তা অস্তিত্বহীন। অপাঙ্কতেয়।

এ ব্যাপারে, ‘কেন আমি নারীবাদবিরোধী’ আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন। সেখানে আমি নারীবাদ বিরোধিতার ১৭টা বড় ধরনের কারণ উল্লেখ করেছি। তাই এখানে কথা আর বাড়ালাম না। ভাল থাকুন।

মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Sumaiya Jahan: এতকিছু বললেন কিন্তু এটা খুব সুকৌশলে এভয়েড করলেন যে জামাই দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে সেখানে বাধা দেয়ার বা প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেয়ার দরকারও বলা হয়নাই। এতই সুবিধা।

Mohammad Mozammel Hoque: আপনি ঠিকই বলেছেন, জামাই দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইলে সেখানে বাধা দেওয়ার বা প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নেওয়ার কোনো বিধান ইসলামে নাই।

এর কারণ হলো, পুরুষরা পলিগেমাস। এটি পুরুষ-চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। যেমন করে নারীমাত্রই হাইপারগেমাস, যা নারী-চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। হাইপারগেমাস হবার জন্য আপনি যদি নারীদেরকে দোষারোপ না করেন, তাহলে একই যুক্তিতে পলিগেমাস হওয়ার জন্য পুরুষদেরকেও দোষারোপ করতে পারেন না। সৃষ্টিকর্তা বা প্রকৃতি(?) প্রত্যেক জেন্ডারকে তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়ে পাঠিয়েছেন। এইটুকু বুঝার পরে আপনাকে বুঝতে হবে আরো দুইটা জিনিস:

১. Sexual dimorphism এবং ২. SMV তথা sexual market value।

এখানে এসব বিষয় ব্যাখ্যা করছি না। তা করতে গেলে একটা স্বতন্ত্র লেখা হয়ে যাবে, তাই। Polygamy versus hypergamy, sexual dimorphism এবং SMV – হিউম্যান সেক্সুয়ালিটির এই তিন বৈশিষ্ট্যের আলোকে আপনি যদি mating pattern-এর হিসাবটা এভাবে মিলাতে চান,

প্রত্যেক নারীর জন্য একজন পুরুষ সঙ্গী, তাহলে আপনাকে পুরুষের বহুবিবাহকে স্বীকার করে নিতে হবে। প্রত্যেক পুরুষের জন্য একজন নারী, সম্ভবত আপনি হিসাবটাকে এভাবে মিলাতে অভ্যস্ত। আপনার ভুলটা ঠিক এই জায়গাতে।

টেবিলের ডান পাশ থেকে বাম পাশে যদি তিন ফিট হয় তাহলে বাম পাশ থেকে ডান পাশেও হুবহু তিন ফিটই হবে, এই যে বস্তু জগতের নিয়ম, ঠিক এভাবে সমাজবিজ্ঞানের ঘটনাগুলো ঘটে না। এখানে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে যা চট করে বাইরে থেকে দেখা যায় না। প্রত্যেক পুরুষের জন্য একজন নারীসঙ্গী, আপনার এই হিসাবটা সঠিক হলে প্রত্যেক নারীর জন্য একজন পুরুষ সঙ্গী, এই হিসাবটাও ঠিক মিলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না।

বছর কয়েক আগে প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে অলরেডি বৈবাহিক ও পারিবারিক ব্যবস্থা থেকে ঝরে পড়া নারীর সংখ্যা, প্রথম আলোর ভাষায় বিচ্ছিন্ন নারী, এটি প্রায় শতকরা ২০ ভাগ। ভাবতে পারেন? নারী-পুরুষের সংখ্যা সমান হওয়া সত্বেও মেইটিং মার্কেটে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা থাকে বেশি। এটাও বোধহয় আপনি কোনোদিন ভাবেননি।

sexual dimorphism, হাইপারগ্যামি এবং SMV’র মতো বিষয়গুলোও আপনার ভাবনাচিন্তার মধ্যে কখনো স্থান পায়নি, আমি নিশ্চিত। যে ধরনের কালচারাল এনভায়রনমেন্ট এবং ইন্টেলেচুয়াল পাবলিক স্ফিয়ারে মানুষ বসবাস করে, সাধারণত সে এর বাইরে তথা আউট অফ দা বক্স কিছু ভাবতে পারে না। খুব সম্ভবত আপনিও এর ব্যতিক্রম নন।

সাথে আপনাকে এ কথাটাও বলি, বর্তমান পাশ্চাত্যসভ্যতাই দুনিয়ার বুকে একমাত্র সভ্যতা নয়। পাশ্চাত্যবাসীদের অতীতে কোনো সভ্যতা ছিল না, কিন্তু আমাদের ছিল। এখনো আমরা অনেক দিক থেকে তাদের তুলনায় অনেক বেশি সভ্য। যদিও আমরা, বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে, তাদের তুলনায় দুর্বল।

মানব ইতিহাসের শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত দুনিয়ার অধিকাংশ সমাজে মেইল পলিগেমি প্র্যাকটিস করা হয়েছে। মানুষের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস এই অভিনব পাশ্চাত্য যৌন-নৈতিকতার বিপক্ষে। অবশ্য আমার মূল যুক্তি ইতিহাসের নয়, বরং বিবর্তনবাদী মনস্তত্ত্বের।

আপনি আগে শুনেন নাই এমন কিছু এখানে পেয়ে থাকলে সেগুলো নিয়ে একটু পড়াশোনা করেন। চিন্তাভাবনা করেন। ভালো মনে করলে আমার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন। I am always open to free and friendly discussion।

ভালো থাকুন।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *