সেদিন কথা হচ্ছিল আমাদের প্রায়-সমবয়সী আমার মত একজন প্রাক্তন নারীবাদী পুরুষের সাথে। তিনি নিপাট ভদ্রলোক। উনার বিদেশি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু না বলে সেখানকার পারিবারিক সংকট নিয়ে আমার সাথে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন।

রক্ষণশীল মূল্যবোধের সাথে প্রগতিশীল নারীবাদী মূল্যবোধের ঘরে ঘরে তৈরী হয়েছে সংঘাত। এটি নিরসনের জন্য তারা এখানকার এবং পশ্চিমাবিশ্বের কিছু প্রমিনেন্ট বক্তাকে নিয়ে প্রোগ্রামের আয়োজন করেছেন বটে, কিন্তু লাভের লাভ তেমন কিছু হয়নি।

উনার মতে, পারিবারিক মূল্যবোধের ব্যাপারে অতিথিদের (পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্যাটাগরির) বক্তব্য ছিল গৎবাঁধা স্টাইলে ট্রাডিশনাল সফট-ফেমিনিস্ট এপ্রোচের।

উনাদের বক্তব্য আমার শোনা হয়নি। আলাপচারিতায় আমি আমার মতো করে উনাকে কিছু কথা বললাম। আমার কথায় তিনি কিছুটা ইমপ্রেসড হয়েছেন বলে মনে হলো।

নারী, শিশু, সন্তান প্রতিপালন, দাম্পত্য সম্পর্ক ইত্যাদি পারিবারিক ইস্যুতে আমি যার সাথেই যখনই কিছু বলি, অতিঅবশ্যই নারীচরিত্রের অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত একটা বৈশিষ্ট্যের কথা সবাইকে বলি। উনাকেও বলেছি। সেটা হলো hypergamy।

হাইপারগেমি কী?

পলিগেমি যেমন পুরুষদের সহজাত বৈশিষ্ট্য, তেমনি করে হাইপারগেমি হলো নারীদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। পুরুষমাত্রই পলিগেমাস বা বহুগামী। নারীমাত্রই হাইপারগেমাস বা ঊর্দ্ধগামী।

যে কোনো নারীকে জিজ্ঞাসা করেন, কেমন পুরুষ তার পছন্দ?

কেয়ারিং, লাভিং ইত্যাদি হাবিজাবি কথাবার্তা সে প্রথমে বললেও এসব শুগারকোটেড (মানে, অনির্দিষ্ট) কথাবার্তাকে পাশকাটিয়ে সুনির্দিষ্ট করে তাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন,

তোমার লম্বা ছেলে পছন্দ? নাকি সমান হাইটের বা শর্ট ছেলে হলেও চলবে? তুমি তো ইনকাম করো। কতো ছেলে হাউজ ওয়াইফ নিয়ে সুখী আছে। তুমি কি একজন হাউজ হাজবেন্ড নিয়ে সুখী হতে পারো না?

তোমার থেকে বেশি উপার্জন করে এমন ছেলেই পছন্দ? কেন? সামাজিক মর্যাদায় তোমার থেকে নিচে অথচ ভদ্র ও সুদর্শন, এমন পুরুষকে কি তুমি পার্টনার/হাজবেন্ড হিসেবে পছন্দ করবে? তোমার পছন্দের পুরুষকে সোশ্যাল হাইয়ারআর্কিতে উপরেই থাকতে হবে? ‘সেই কাজে’র সাথে সোশ্যাল হাইয়ারআর্কির কী সম্পর্ক?

মসৃণ ত্বকের মাথা ভর্তি চুলের ‘গোল আলু’ (ফর্সা ছেলেকে মেয়েরা গোল আলু বলে ঠাট্টা করে, দেখেছি) মার্কা ছেলে তোমার পছন্দ নয় কেন? রাফ স্কিন মাসকিউলার বডির স্ট্রং ম্যানকেই কেন তোমার চাই? এমনকি সে বল্ড হেডেড হলেও তোমার আপত্তি নাই? কেন?

তোমার কথার বাইরে যায় না, এমন ছেলেকেই পছন্দ? নাকি, কমান্ড দিতে জানে এবং প্রয়োজনে দেয়, এমন ছেলেকেই তোমার পছন্দ? নির্বিবাদী, মামা’স বয় টাইপের, সুবোধ বালক তোমার পছন্দ? নাকি, এগ্রেসিভ এন্ড ইনডিপেনডেন্ট পুরুষ তোমার চাই?

এ’ধরনের যে কোনো প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর একটাই। হাইপারগেমি। নারীবাদী সমতা এখানে অচল, অপ্রাসঙ্গিক, অবান্তর, অবাস্তব এবং অগ্রহণযোগ্য।

মেইটিং এবং ফেমিলি ফর্ম, নারীদের দিক থেকে এই দুইটাকে আলাদা করা মুশকিল। পুরুষদের ক্ষেত্রে এগুলো আলাদা জিনিস।

আজকালকার সেকুলার টার্ম মেইটিং-এর বেলায় নারীরা সমতাকে অস্বীকার করে। তাদের পছন্দের পুরুষকে হতে হবে এমন এক বন্য ঘোড়া যাকে কেউ দমাতে পারে না, অথচ সেই ‘স্ট্যালন’টি তার বশে থাকে। তাকে হিট করে না, বরং প্রটেক্ট করে।

অসমতা বনাম সমতার এই নেইচার-নার্চার দ্বন্দ্বে মেয়েরা আজ বিপর্যস্ত। একদিকে তাদের মনের টান অন্যদিকে তাদের উপর প্রচন্ড পিয়ার প্রেশার। তাদের মা-বাবা-ভাই-বোনের, বন্ধুদের, প্রতিষ্ঠানের, সমাজের। এই গ্যাড়াকলে পড়ে তার অবস্থা হয়েছে এমন, তার অন্তর যা চায়, আচরণে সে দেখাতে চায় তার বিপরীত।

নারীবাদের চেয়ে নারীদের বেশি ক্ষতি ইতিহাসে কেউ করেনি।

এমতাবস্থায় পুরুষেরা কী করবে, এবার এ’ প্রশ্নে আমার ওই সুহৃদকে দেয়া আমার উত্তরের কথা বলি। আমার এই প্রবাসী কাছের মানুষটি ফিমেইল হাইপারগেমি নিয়ে আমার কথাগুলো শোনার পরে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বিদ্যমান এই সামাজিক সেট-আপের ভিতরে থেকে পুরুষেরা কী করবে? কীভাবে তারা বাঁচবে?

আমি উনাকে বলেছি,

পুরুষেরা গ্রো করে, ওয়ার্দি লাইফ লিড করে, সুখী হয় প্রধানত ৪টা কাজের মাধ্যমে:

১. সম্মুখ যুদ্ধ (কমব্যাট ওয়ার বলতে যা বোঝায়);
২. নানা রকমের ফিজিকেল ভায়োলেন্স (ভায়োলেন্স বলতে গেটিং সুপেরিওরিটি ওভার পিপল এন্ড রিসোর্সেস);
৩. রেশনাল থিংকিং (প্রায়োরিটাইজিং ইট ওভার ইমোশনালিটি) এবং
৪. কম্পিটেন্ট মেইল ফ্রেন্ডশীপ।

এর প্রত্যেকটি তাদের কাছে এতটা আকর্ষণীয়, এগুলোর মোকাবেলায় এমনকি যৌনতার মতো আকর্ষণীয় ব্যাপারও তাদের কাছে তুচ্ছ।

আমাদের মতো চাকুরীজীবী সুনাগরিক গোবেচারাদের জন্য প্রথম দুইটা কাজ অসম্ভব। সেই রাস্তা আমরা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা অলরেডি হেভিলি ফেমিনাইজড। থাকলো পরের দুইটা। এবং এই দুইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

নারী ও পুরুষের জ্ঞান-বুদ্ধি মানুষ হিসেবে মূলত সমান হওয়া সত্বেও জ্ঞানবুদ্ধির ব্যবহারে মেয়েরা রাবারের মতো আপেক্ষিক। মাপের সময় সমান থাকে। মাগার, টানে না থাকলে তারা শেয়ারিং কেয়ারিংয়ের ইমোশনাল বন্ডিংয়ে অটোমেটিকেলি ফেরত যায়। নিজের আওতার বাইরে তারা বৃহত্তর কোনোকিছু নিয়ে মোটেও বদার করে না। ইন জেনারেল।

কথার কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইতিহাস বিভাগে অনেক নারী শিক্ষক এবং নারী শিক্ষার্থী থাকলেও ইতিহাস নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত আগ্রহ প্রায়শূন্য। হোক সেটা অতীতের ইতিহাস কিংবা অনগোয়িং চলমান ঘটনার ইতিহাস।

সায়েন্স, ফিলসফি, হিস্ট্রি, আর্টস এন্ড কমার্স, সব কিছুই বেসিকেলি ডেডিকেটেড মেইলদের এক্সক্লুসিভ কন্ট্রিবিউশন।

নারী বনাম পুরুষ, এভাবে যদি ভাগাভাগি করেন, তাহলে বলতেই হবে, মানব সভ্যতা পুরুষের অবদান। বিশেষ করে, ‘অবদান’ বলতে নারীবাদীরা যা বোঝে, সেই দৃষ্টিতে।

অন্যদিকে, বলতেই হয়, চারিদিকে যত মানুষ দেখেন, তাদের প্রত্যেকেই কোনো না কোনো নারীশরীরের বিচ্ছিন্ন (grown অর্থে) অংশ। বায়োলজিক্যালি সন্তানেরা মায়ের শরীরের স্যাটেলাইট পোর্শান। প্রত্যেক মানুষ তার মায়ের শরীরের পরিবর্তিত এবং বর্ধিত রূপ। গর্ভাশয়ে শুক্রাণু ছড়ানো ছাড়া সন্তান উৎপাদনে পিতার কোনো ভূমিকা নাই।

মানবিক মূল্যবোধ শিক্ষা বলতে আমরা যা বুঝি তার বৃহদাংশ আসে মায়ের থেকে। মা হলো সন্তান গড়ার কারিগর। শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে। সন্তান লালন-পালন এবং সন্তানের শিক্ষা-দীক্ষায় পুরুষ তথা সন্তানের পিতার ভূমিকা মূলত সহযোগী ভূমিকা। যদিও এই সহযোগিতা অপরিহার্য।

এত সিগনিফিকেন্ট এই মাতৃত্ব। অথচ এই মাতৃত্বকেই সবচেয়ে বেশি আন্ডারমাইন করেছে এই জামানার অভিনব মতবাদ, নারীবাদ। নারীকে সে পুরুষ বানাতে চায়। নারীবাদের যারা প্রবক্তা তাদের একজনকেও আমি পাই নাই যে কিনা মাতৃত্বকে হাইলাইট করা তো দূরের কথা, এমনকি পজিটিভলি মূল্যায়ন করেছে। কার্যত তারা মেটারনিটিকে একটা বোঝা, একটা বাধা হিসেবে গণ্য করেছে।

শুধু ধর্ম নয়, নারীবাদের ইচ্চ এন্ড এভরি প্রপনেন্ট খুব স্পষ্ট এবং প্রকাশ্যভাবে পরিবারবিরোধী। তারা বিয়ে বিরোধী। গে ম্যারেজ, ওপেন ম্যারেজ, সেক্স পজিটিভিটি এরকম নানা কিসিমের অভিনব যৌনবিকৃতিকে ট্রাডিশনাল বৈবাহিক ব্যবস্থার মধ্যে ইনকর্পোরেট করে তারা পুরো মেরিটাল সিস্টেমটাকে ভণ্ডুল করে দিতে চায়। অথচ,

বৈবাহিক ব্যবস্থা হলো নারীস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়।

একজন নারীর নারীত্বের প্রতিটি অনুসঙ্গ, তার প্রতিটি শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন আবর্তিত হয় মাতৃত্বকে কেন্দ্র করে। বিবর্তনবাদী মনোবিদ্যার অ আ ক খ পড়ার পর পরই আপনি তা জেনে যাবেন। এ’টুকু বোঝার জন্য এভলিউশনারি সাইকোলজিতে পণ্ডিত হওয়া লাগবে না।

এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে পুরুষরা কীভাবে বাঁচবে, এ’প্রসঙ্গে আমি ৪র্থ যে কথা বলেছি, তা সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

পরিবার বলেন, সমাজ বলেন, রাষ্ট্র বলেন, রাষ্ট্রসংঘ বলেন, ধর্ম বলেন, সংস্কৃতি বলেন, মতাদর্শের কথা বলেন, এমনকি (কারো কারো মতে) নারীবাদের কথা বলেন, এ’সব কিছু্ পুরুষেরই সৃষ্টি। পুরুষেরা বন্ধুত্ব করে বৃহত্তর কোনো লক্ষ্য অর্জন করার জন্য। পুরুষশূন্য কোনো কিছুতে মেয়েরা মোটেও কমফোর্ট ফিল করে না। ফিমেইল অনলি অথচ তাৎপর্যপূর্ণ গঠনমূলক এমন কিছুর কথা জানা যায় না।

শুনেছি, বুয়া না আসলে মেয়েদের ম্যাচে একসাথে রান্নাও হয় না। তারা সবকিছুতে হিজ হিজ হুজ হুজ (যার যার তার তার) নীতিতে বিশ্বাসী।

এগেইন, আমাকে ভুল বুঝবেন না। নারী বনাম পুরুষ, এভাবে ভাগাভাগি করলে ফলাফল যা দাঁড়ায় আমি তা নিয়ে বলছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে নারী বনাম পুরুষের এসব কাটাকাটি, ফাটাফাটি, ভাগাভাগি, মারামারি, দ্বন্দ্ব আর অবিশ্বাসে প্রবলভাবে অবিশ্বাসী।

একটা গাছের শেকড় আর কাণ্ডকে যেভাবে বিচ্ছিন্ন করা যায় না, ফুল ও ফলের মালিকানা নিয়ে শিকড় এবং কাণ্ডের মধ্যে বিবাদ যেমন শোভা পায় না, তেমন করে পুরুষের মোকাবেলায় নারী কিংবা নারীর মোকাবিলায় পুরুষ, এমন দ্বান্দ্বিক ধারণাকে সুস্থ মস্তিষ্কে প্রশ্রয় দেয়া যায় না।

আপনি জানেন কিনা জানি না, নারীবাদ সমগ্র মানব ইতিহাসকে বাতিল করে। ইতিহাসের কোনো দোহাইকে তাই তারা মানতে নারাজ। আফসোস, হালনাগাদের নারীবাদে অনেককিছুই আছে, অনেককিছুর কথাই তারা বলে, শুধু একটা নারী শরীরের পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটা কোষে বিস্তৃত দ্যা ভেরি ইনহারেন্ট ফিমেইল কেরেকটারিসটিকস, এক কথায় ফেমিনিনিটি বা ফিমেইলনেস ছাড়া।

নারীবাদী নারীরা নারীত্বকে, নারীত্বের সকল অনুষঙ্গকে মোটাদাগে আনএমপাওয়ারিং এবং অবমাননাকর বলে মনে করে। মাতৃত্বকে যথাসম্ভব মিনিমাইজ করে তারা সর্বোতভাবে পুরুষের মতো হতে চায়। নারীবাদের এই overwhelming টক্সিসিটি হতে বাঁচার জন্য নারীবাদকে এক্সপোজ করতে হবে। ঘৃণা ছড়িয়ে নয়। একাডেমিকেলি। এবং সিরিয়াসলি।

ফ্যাক্ট হলো, আমি ইদানীং নারীবাদ সম্পর্কে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেছি। ট্রান্সরা হিজড়াদের অধিকারের নামে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে। যদ্দুর মনে হচ্ছে, অন্তত বাংলাদেশে তারা সফল হবে না। অথচ, আমাদের অজ্ঞানতা ও অসচেতনতার কারণে ফেমিনিস্টরা এ’দেশে নারী অধিকারের নামে নারীবাদকে প্রতিষ্ঠার কাজে অনেকখানি সফল হয়ে গেছে।

ট্রাডিশনাল ফেমেলি এন্ড সোসাইটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী অধিকার আদায়ে করুণভাবে ব্যর্থ হয়েছি। প্রচলিত সমাজব্যবস্থার এসব দুর্বলতাকে পুঁজি করে নারীবাদ আমাদেরকে রীতিমতো হজম করে ফেলেছে। আমাদের কমন ভোকাবুলারি এখন হেভিলি ফেমিনিজম বায়াস্ড। শিক্ষিত পুরুষ এবং নারী দুনিয়াটাকে দেখে নারীবাদের লেন্স দিয়ে।

শিক্ষিত ব্যক্তিমাত্রই কমবেশি নারীবাদী। আপনি যদি নারীবাদবিরোধী হোন, তাহলে আমি জানি, আপনি একজন প্রাক্তন নারীবাদী। ভাগ্যিস নারীবাদী ব্লু-পিলের পরিবর্তে বাস্তববাদী রেড-পিল গ্রহণ করেছেন। মিসোজিনিস্ট ওয়ার্ল্ডে আপনাকে স্বাগতম।

ফাহাম সালাম যেমনটা করেন, ফাঁকতালে দুই একটা স্ল্যাং বলে দেন, আমিও যদি তেমনটা বলতে পারতাম তাহলে একটু শান্তি লাগতো। আপাতত ফর ইউর ক্লারিফিকেশন-

নারীবাদী দৃষ্টিকোণ হতে নারীবাদের বিরোধিতাকারী মাত্রই নারীবিদ্বেষী। মিসোজিনিস্ট।

হোক তার আলোচনা একাডেমিক পয়েন্ট অব ভিউ থেকে, নারী অধিকার নিয়ে থাকুক তার পাঁচ/সাতটা বই, ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পেশাগত ও সামাজিক জীবনে নারী অধিকারের পক্ষ নিয়ে থাকুক তার বিস্তর একটিভিজম, তাতে কিছু আসে যায় না; যেহেতু সে নারীবাদের বিরোধিতা করেছে অতএব সে ইনহারেন্টলি একজন ইন্টারনালাইজড মিসোজিনিস্ট।

এরা রংধনুর কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে দুনিয়াটাকে তারা দেখে সাদাকালো হিসেবে। আস ভার্সাস দেম, এই ফরমেটেই তারা সবকিছুকে বিবেচনা করে। নারীবাদের ৩২ রকমের ভার্শান আছে। এর প্রত্যেকটি অপর সবগুলোকে শর্তহীনভাবে নাকচ করে। নারীবাদীদের মত এত প্রান্তিক (exclusionary) চিন্তার মানুষ আমি দেখি নাই।

এই চরম টক্সিক মতবাদকে সর্বস্তরে বিগ NO বলা ছাড়া গত্যন্তর নাই।

সহজ কাজ। একটাই মাত্র করণীয়। পুরুষকে হয়ে উঠতে হবে লিডারশিপ কোয়ালিটিসম্পন্ন সক্ষম পুরুষ। নারীকে হয়ে উঠতে হবে নারীত্ব আর মাতৃত্বের মহিমায় গরিয়ান। আনএপোলোজেটিক। গিল্ট-ফ্রি। স্ট্রং পার্সন। এভাবে গড়ে উঠবে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা। সুখী হবে প্রত্যেক পক্ষ একটা উইন-উইন সিচুয়েশনে।

মিউচুয়াল ডিপেন্ডেন্সি ছাড়া, পরস্পর স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল দুটো এন্টিটির মধ্যে একটা স্ট্রং বন্ডিং গড়ে ওঠার কোনো কারণ নাই। এটা রসায়নবিদ্যার জন্য যেমন সত্য, সম্পর্কের রসায়নের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।

লেখাটি এ’পর্যন্ত যদি পড়ে থাকেন, লেখাটা যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে, আনলাইক কবি আখতারুজ্জামান আজাদ, আপনি আমার কাছ হতে কমচে কম একশ’ টাকা পুরস্কার চাইতে পারেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

১। Murshida Mousumee: আল্লাহ প্রথমে আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করলেন, তারপর আদমের (আঃ) সঙ্গীনি হিসেবে হাওয়া মাতাকে সৃষ্টি করলেন। তাই পুরুষের জন্যই নারীর সৃষ্টি, আসলে পশ্চিমা সংস্কৃতি নারীবাদী মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে যা বুঝলে একেবারে ভিত্তিহীন।

Mohammad Mozammel Hoque: পুরুষের জন্য নারীকে তৈরী করেছেন, এটা ইসলামিক ডিসকোর্স না। আল্লাহ তায়ালা কোরআনের একটা আয়াতে বলেছেন, তোমাদেরকে একটা প্রাণ হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। সৃষ্টির প্রক্রিয়াটা এখানে অগুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মর্যাদা।

মানুষ হিসেবে নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান। কর্মগত ব্যবস্থাপনার দিক থেকে নানা রকমের হাইয়ারআর্কি আছে। ছোট-বড়, ওস্তাদ-ছাত্র, পিতামাতা বনাম সন্তান, শাসক-জনগণ, ক্রেতা-বিক্রেতা, ডাক্তার-রোগী ইত্যাদি। এ ধরনের একটা সাধারণ বিভাজন বা শ্রেণীকরণ হচ্ছে নারী-পুরুষ।

২। TR Fatema Siddik: নারী হয়েও নারীবাদ তত্ত্বকে পছন্দ করিনা, বিরোধিতা করি, তার মানে আমিও কি নারীবিদ্বেষী!

সত্যি নারীবাদই নারীদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। নারীবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে— নারী হয়ে জন্মানোটা অসম্মানের। তাই তোমাকে পুরুষালী বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করে পুরুষ হয়ে উঠতে হবে।

নারীর পরিবার তার, সন্তান তার, স্বামী তার। অথচ নারীবাদ তত্ত্ব শিখায় সন্তান লালন-পালন করা, পরিবারের জন্য কাজ করা মানেই চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকা। এসব কাজও নারী তোমার নয়। নারীর কাজ হিসেবে দেখানো হয় স্বেচ্ছাচারী আত্মকেন্দ্রিক জীবন। কামাই করো আর উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন করো।

জীবন মানে আমি, তুমি আর সে অর্থ্যাৎ আমরা। কিন্তু নারীবাদ শিখায় জীবন মানেই ‘শুধু আমি’। যাইহোক আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে। ইংরেজি আর বাংলার সংমিশ্রিত লেখা পড়ে বুঝতে আমার সময় লাগে। তাই পড়তে একটু অসুবিধা হয়েছে অবশ্য।

Mohammad Mozammel Hoque: বাংলা আমি ভাল লিখতে পারি। ইংরেজীটা যে ততটা ভাল পারি তেমনটি নয়। বাংলা-ইংরেজী মিলিয়ে লেখাটা আমার ছাত্রজীবনের অভ্যাস। পরীক্ষার মূল খাতাতেও এভাবে লিখেছি। তখনকার সময়ে এ ধরনের মিশ্রণের কারণে রীতিমতো পরীক্ষা বাতিল হওয়ার আইন ছিল। কোনো এক স্যার আমাকে ডেকে সেটা বলেছিল। যাহোক, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

আসলে যেভাবে কথা বলি সেভাবেই লিখি। সরি ফর ইউর ইনকন্ভেনিয়েন্স…!

৩। Tiyana Farabee: নারীত্ব মানে কী? সেটার অর্থটা একটু বুঝিয়ে বলুন? পুরুষের তুলনায় কম সক্রিয়, লজ্জাশীল, পর্দাশীল, মিষ্টভাষী, নম্র, ভদ্র? তারা মাতৃত্ব নিয়ে থাকবে এবং বাসায় বসে সন্তান পালন করবে? মাতৃত্বই নারীর একমাত্র পরিচয় হতে পারে না। কখনোই না। আই রিপিট, কখনো না। মাতৃত্ব ছাড়া পৃথিবীতে অনেক কিছু আছে। সে নিজেকে যেভাবে দেখতে চায়, সেভাবে গড়তে পারে। এটা তার অধিকার।

আর পুরুষ হবে লিডারশীপ কোয়ালিটিসম্পন্ন? এর মানে কী? নারীরা লিডার হতে পারে না কেন? কারণ আপনাদের মতো কিছু পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ অন্যান্য স্বল্পজ্ঞানী মানুষদের মাঝে বড় বড় কথায় পোস্ট ভর্তি করে ভুল ইনফরমেশন ছড়াচ্ছেন। নাথিং এলস্। ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন-

নারীবাদ মানে নারীকে পুরুষের সমান করা নয়, কিংবা পুরুষকে নারীর সমান করা নয়। নারীবাদ মানে সকল মানুষকে একদণ্ডে বিচার করা এবং নারী, পুরুষ, সকল লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাইকে সমান অধিকার দেওয়া। এছাড়া আপনার বিশেষ একটা পয়েন্ট ভুল- প্রত্যেক নারী এমন পুরুষ চায় না যে তাকে প্রোটেক্ট করবে কিংবা তার ঢাল হবে।। অনেকে এমনও চায় না যে তার পার্টনার সুদর্শন হোক, পয়সাওয়ালা হোক।

আর যদি চায়- এটা তার চয়েজ, তার অপিনিয়ন, তার ইচ্ছা। এতে কোনো ভুল নেই। (তবে যদি কেউ তার পার্টনারের পয়সায় চলতে চায়- আমি ঘোর বিরোধী) হাউজ হাজব্যান্ড নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে কারণ একজনের উপার্জনে কখনো একটা সংসার চলে না। প্রশ্ন উঠতে পারে, পুরুষরা তো চালায় ঠিকই! এর কারণ তারা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষ। তারা নারীদের বন্দি রাখতে চায়। বাইরের সমস্ত দায়িত্ব তাদের কাঁধে নিতে চায়। আর ভেতরের (ঘরের) দায়িত্ব দিতে চায় নারীর উপর‌।

নারী-পুরুষ অবশ্যই একে অপরের উপর নির্ভরশীল, কারণ কাউকে বাদ দিয়ে সমাজ চলবে না, কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে একজনকে নিয়ে সমাজ চলবে না।

Raisa Anjum: সমস্যা হচ্ছে গিয়ে নারীবাদিরা নারীর অধিকার নিয়ে কাজ না করে কাজ করে কীভাবে তাকে পুরুষদের সমতুল্য করা যায় সেটা নিয়ে, নির্যাতিত নারীর পাশে না দাঁড়িয়ে কীভাবে ট্রান্স-নারীর পাশে দাঁড়াতে হয় সেটা নিয়ে। নারীর অধিকার আর নারীবাদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।

আপনি ব্যক্তিগতভাবেও এমন একজন পুরুষকেই পছন্দ করবেন যে আপনাকে ডমিনেট করতে পারে আই মিন যার উপর অন্তত আপনি নির্ভরশীল থাকবেন, কোনো পুরুষ আমার উপর নির্ভরশীল হোক এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনোই চাইবো না। সে অবশ্যই মেন্টাল পিসের জন্য আমার উপর নির্ভরশীল হতে পারে, তবে ভারি কাজকর্মের জন্য না। যদি এমন করে তবে সে কাপুরুষের আওতায় পড়ে।

৪। Samia Binte Azad: পুরোটাই পড়লাম। আমিও শিক্ষিত নারী বিধায় একসময় নারীবাদে বিশ্বাসী ছিলাম। তারপর আমার অতি সম্মানিত একজন ব্যক্তি আমাকে নারীবাদ সম্পর্কিত রেড পিল খাওয়ালেন। তারপর থেকে মনের মধ্যে কনফিউশান জন্ম নেওয়ায় নারীবাদ সম্পর্কিত কিছু পড়াশোনা, ওরা আসলেই কী চায় এসব নিয়ে জানার পর বুঝলাম সত্যিকারের নারীর অধিকার নিয়ে ওদের কোনো কথা নেই। নারীর উপর পুরুষের সমান হয়ে এক্সট্রা একটা বস্তা নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া ছাড়া এদের আর কিছু বলার নেই।

আলহামদুলিল্লাহ, এরপর থেকে আমি মিসোজিনিস্ট। এন্ড আই এম হ্যাপি উইথ ইট।

বিদ্র: এখানে মিসোজিনিস্ট শব্দটা বর্তমান নারীবাদের বিরুদ্ধে বোঝাতে ব্যবহার করেছি।

৫। Riaz Hasan: পুরাটা পড়েছি। আমরা আসলেই হেভিলি ফেমিনাইজড এবং আমাদের কমন ভোকাবুলারিও হেভিলি ফেমিনাইজড। এবং এই বিবর্তনটা মাত্র এক দশকেরও কম সময়ে ঘটেছে। এই জন্য অনেকেই সিচুয়েশনের ভয়াবহতা এখনো জানেন না।

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুটাও বাংলাদেশে মানুষের হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডারদের পার্থক্যের ব্যাপারে অজ্ঞতার সুযোগে এতটুকু আসছে। সেভাবেই, হেভিলি ফেমিনাইজড যে ব্যাপকভাবে নারী পুরুষ হয়ে যাচ্ছে, ভোকাবুলারি চেইঞ্জ হয়ে যাচ্ছে, এটাও সবাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। প্রত্যেকেরই ডাইলেমা আছে। ১০ বছর আগে, বা নিজেদের মা-বাবা, চাচা-চাচীদের যেমন দেখেছে, সেটা এখন আর রেফারেন্স তো নাই-ই, উল্টা মা, চাচীরা সব নির্যাতিত টাইপের বয়ানের আধিক্য। ফেমিনিজমের এই সর্বগ্রাসী হামলার আরেকটা চিহ্ন হল, ট্রান্সজেন্ডারদের মধ্যেও রিসেন্ট দেখবেন ছেলে থেকে মেয়ে হয়ে যাওয়া বা হতে চাওয়াদের আধিক্য! কিন্তু যেই ওয়েস্ট থেকে এই চিন্তার আমদানি, সেখানেও ২০ বছর আগের ডাটা বিপরীত ছিল।

যাই হোক, সব রেফারেন্স, বয়ান যেহেতু দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, ইসলামই কেবল হতে পারতো ফেমিনিজম এর বিপরীতে শক্ত ভিত হয়ে দাড়াতে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই পশ্চিমা সেলিব্রেটি বক্তারাও একপেশে সুগারকোটেড হাইলি বায়াসড বয়ান হাজির করে নারী-পুরুষের অধিকারের ভারসাম্যটাকে নষ্ট করেছেন।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। একাডেমিক স্টাইলে ডাটা এবং ফ্যাক্ট ভিত্তিক লেখা রেফারেন্স দিয়ে চালিয়ে যান। এবং পরিশেষে সবপর্ব মিলিয়ে বই লেখারও অনুরোধ থাকলো।

Mohammad Mozammel Hoque: দুইটা এনটিটি কখনো সমান হতে পারে না, উভয়ের কমন কোনো বৃহত্তর প্রেক্ষাপট বিবেচনা ব্যতিরেকে। একটা কমন রেফারেন্স পয়েন্ট থেকে সেটার subsequent বিষয়গুলো সমান হবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে এ ধরনের সমতার দাবি অবভিয়াস হওয়ার কারণে নতুন করে সেটা দাবি করা এক ধরনের বাহুল্যকথা বা রিডানডেন্স।

যেমন, শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা-কর্মচারী আমরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে সমান। এই অবভিয়াস সত্যের উপর নির্ভর করে কেউ যদি দাবি করে ছাত্র-শিক্ষক সমানে সমান, তাহলে সেটা তো ভুল কথা হবে।

আই থিঙ্ক ইউ হ্যাভ গট দ্যা পয়েন্ট।

এখন আমি যেইভাবে কথা বললাম, এইটা হল পিওর একাডেমিক অ্যাপ্রোচ। মোর স্পেসিফিকালি, মেটাফিজিক্যাল অ্যাপ্রোচ অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং এন্টিটিজ এন্ড দেয়ার ইন্টাররিলেশনস। এই এপ্রোচে কথা বলার লোক পাই না। লোকেরা স্লোগান দিতে অভ্যস্ত। যুক্তি শোনার মতো ধৈর্য এবং মন মানসিকতা তাদের নাই।

৬। Md. Moniruzzaman: শিক্ষিত-চাকুরীজীবী সংসারীদের ম্যাক্সিমাম ডিসিশন নারীবাদ প্রভাবিত। এবং সেই সংসারে নারীবাদী সিদ্ধান্তের প্রভাব বেশি, যেই সংসারে পুরুষেরা একটা অলীক সুখের আশায় নারীবাদের সাথে আপোষ করতে চায়। সফট ফেমিনিজমকে ভ্যালিড মনে করা পুরুষদেরও ম্যাক্সিমাম সিদ্ধান্ত মূলত নারীবাদ প্রভাবিত। চমৎকার লিখেছেন!

৭। Mohammad Manjur Elahi: সময়োপযোগী যুক্তিসঙ্গত লেখার জন্যে ধন্যবাদ! ভেরি ফেমিনিটি বা ফিমেইলনেসকে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, নারীবাদের আগ্রাসনের পরেও! এটা বিদায় করতে পারলে ষোলকলা পূর্ণ হয়! সুপারপাওয়ারকে সুপারিস্টিশন বানিয়ে সুপার ডিস্ট্রাকশন চলছে। আল্লাহ যেন কখনোই সফল না করেন!

Mohammad Mozammel Hoque: আমরা যদি নিজেদের সামাজিক অসঙ্গতিগুলোকে স্বীকার করে নিয়ে সেগুলোকে সমাধান করতে পারি এবং বাইরে থেকে আসা উটকো ঝামেলাগুলোকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করি, তাহলে আমি আশাবাদী, এই নগরভিত্তিক সমাজ জীবনেও আমরা আমাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ধর্মীয় মূল্যবোধকে সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবো। ইতোমধ্যে এর বৃহৎ ও ক্ষুদ্রতর সফলতা আমরা লক্ষ্য করছি। সেটা নিয়ে একদিন কথা হতে পারে। আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে, Women’s role in urban life.

৮। Mohammad Tausif Rafi: আমি সমান সুযোগ সমর্থন করি, তবে আপনার লেখার কথাগুলা সত্যি।

Mohammad Mozammel Hoque: দুটো বিষয়। একটা হল সুযোগের সমতা। আরেকটা হল ফলাফলের সমতা। সুযোগের সমতা হলো মানবিক দাবি। আর ফলাফলের সমতা হল অবাস্তব দাবি।

We want equality of opportunity, but oppose the peculiar idea of equality of outcome.

সুযোগের সমতা আর ফলাফলের সমতা যে দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস এইটা অনেকেই জানে না। এখন লোকজনকে বেশি বেশি করে নারীবাদের ইনহারেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলোকে বোঝাতে হবে।

নারীবাদ বুঝলে তারা অটোমেটিক্যালি বুঝে যাবে, এইটা কতটুকু ভালো বা কতটুকু ক্ষতিকর। নারীবাদের মূল দাবিগুলোকে ঢেকে রেখে নারীবাদীরা কতগুলো সুন্দর সুন্দর স্লোগান মানুষকে মুখস্ত করিয়েছে, যা খুবই বিপদজনক। যেমন এই যে সমতার কথা।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *