এটি গত পরশুদিন এক ফ্যামিলি গেট টুগেদারে নেয়া ছবি। আমার বাম পাশে মেজো আপা, চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত শেরশাহ কলোনী ইমারতুন্নেসা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মিসেস সাহানুর বেগম। ডান পাশে বড় আপা, ঢাকা শহরে অবস্থিত ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ফাতেমা খানম। পাশে উনার ভ্রাতৃবধূ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামসুন নাহার মিতুল।
আমাদের ফ্যামিলিতে সব মেয়েই কর্মজীবী। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। মাহবুব-কুসুম দম্পতির সন্তান ও বংশধরেরা যার যার পেশাগত জীবন ও কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন এবং কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ!
মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Taher Salim: Sir, assalamualaikum. If it’s your personal and family statement, it’s ok. But if intellectually taken, we would be looking forward to having your detailed lecture furnished with counterbalancing discourses on why to send women for work and if sent, how to balance the family with special reference to child raising from social, cultural and religious perspectives.
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: এ বিষয়ে আমার অনেক লেখা আছে। তার মধ্যে কয়েকটি লেখার লিঙ্ক দিচ্ছি। আগ্রহ ও সময় থাকলে পড়বেন। আশা করি ভালো লাগবে।
১। নারী অধিকার প্রসঙ্গে শরীয়াহর নির্দেশ বনাম নির্দেশনা
২। নারী অধিকার প্রসঙ্গে ন্যায্যতা ও সমতার ব্যাখ্যা
৩। নারী অধিকারের দৃষ্টিতে সমতা, ন্যায্যতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো
৪। আপনি তো বলেছিলেন আপনি কর্মজীবী নারীদের পছন্দ করেন
৫। কোনোটা না পড়লেও অন্তত এইটা পড়বেন: মেয়েদের চাকরি করা বা না করার সুবিধা-অসুবিধা ও কর্মজীবী নারীদের সংসার জীবনের ভালোমন্দ
৬। কেন আমি একইসাথে পুরুষতন্ত্র ও নারীবাদের বিরোধী?
Taher Salim: Thank you sir.
Mahbuba Afrin Khan: আসসালামু আলাইকুম। মেয়েদের জন্য ঘর উত্তম।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: এই উত্তম কাজটি করার জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা সাহাবী ‘ব্যর্থ’ হয়েছিলেন কেন?
Mahbuba Afrin Khan: বিস্তারিত বললে আমি উপকৃত হতাম হয়তো।
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: বিস্তারিত বলার কী আছে, বুঝলাম না!
মহিলা সাহাবীগণের সবাই না হলেও একটা বিরাট সংখ্যক মদীনার কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। তাঁরা শুধু ভোক্তা শ্রেণিভুক্ত ছিলেন না। বরং তাঁরা ছিলেন তখনকার উৎপাদন প্রক্রিয়ার অপরিহার্য অংশ। এখনো আমাদের গ্রামীণ সমাজে মহিলাদের এই ধরনের ভূমিকা পালন করতে আমরা দেখতে পাই। তো, গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক সমাজে মহিলারা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারলে শহুরে সমাজের উপযোগী পরিবেশে যোগ্যতা ও উপযুক্তি পরিবেশ থাকলে তারা আয়-উপার্জন, শিক্ষা গ্রহণ ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের জন্য বাহিরে আসতে পারবে না কেন?
মহিলা সাহাবীগণের প্রায় সবাই নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন। শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্যে তাঁরা বের হতেন। তাঁদের অনেকেই যুদ্ধ যাত্রায় শরীক হতেন।
উপরের কমেন্টে দেয়া লিংকগুলো পড়েন। অনুরোধ করছি। এগুলো ছাড়াও ‘সমাজ ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্র’র (সিএসসিএস) সাইটে এবং আমার পারসোনাল সাইটে সংশ্লিষ্ট অনেক লেখা পাবেন। সেগুলোও ক্রমান্বয়ে পড়ে দেখেন। আল্লাহর ওয়াস্তে মুখস্ত কথা বলবেন না। এবং না পড়ে ফারদার মন্তব্য করবেন না, প্লিজ…!