আগামীকাল আমার স্ত্রী, বড় আর ছোট দুই বোন, আমাদের সর্বকনিষ্ঠ ছোট ভাইয়ের বউ আর তাদের ছেলেমেয়ে ও কাজের লোকদের নিয়ে আমাদের বাসার ছাদে আমি ঈদের নামাজ আদায় করব, ইনশাআল্লাহ। নামাজের পরে নিম্নে উদ্ধৃত হাদীসগুলো পাঠ করে আমি একটি খুতবা দিব। এরপর কিছু দোয়া পাঠ করে দ্বিতীয় খুতবা তথা মোনাজাত পর্ব শেষ করব। ইনশাআল্লাহ।
আপনারা সবাই নিজ নিজ ঘরে মহিলাদেরকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। বিশ্বব্যাপী মহামারীজনিত পরিস্থিতির কারণে সারাদেশব্যাপী সরকারিভাবে লকডাউন চলছে। এতদপ্রেক্ষিতে সদ্য সমাপ্ত এই রমজানে ঘরে ঘরে মহিলা ও শিশুদেরকে নিয়ে ব্যাপকভাবে জামায়াত সহকারে নামাজ পড়া হয়েছে, যা বিশেষ করে নারীদেরকে মসজিদে এসে নামাজ পড়ার ব্যাপারে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করেছে, এবং এ ব্যাপারে সামাজিক চাপ সৃষ্টির জন্য তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এমতাবস্থায় তাদেরকে নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে ঈদের নামাজ আদায় করা হলে তারা যথেষ্ট পরিমাণে উৎসাহিত হবে।
নামাজের পরে হামদ ও সানা পড়ে ঈদুল ফিতর সংক্রান্ত এই হাদীসগুলোকে খুতবা হিসেবে পাঠ করে শোনাতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাও দিতে পারেন।
ঈদের সূচনা
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় উপস্থিত হলেন তখন তিনি দেখতে পেলেন মদীনাবাসীরা দুটি জাতীয় উৎসব পালন করছে। আর এই উপলক্ষে তারা খেলাধুলার আনন্দ অনুষ্ঠান করছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা যে এই দুইটা দিন জাতীয় উৎসব পালন করো এর মৌলিকত্ব এবং তাৎপর্য কী? তারা বলল, ইসলামের পূর্বে জাহেলিয়াতের যুগে আমরা এই উৎসব এমনি হাসি খেলা এবং আনন্দ করার মাধ্যমে উদযাপন করতাম। এখন পর্যন্ত তাই চলে আসছে। তা শুনে নবী করীম (সা) বললেন, আল্লাহ তোমাদেরকে এই দুটি উৎসব দিনের পরিবর্তে এর থেকে আরো উত্তম দুটি দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা দান করেছেন। অতএব, পূর্বের উৎসব বন্ধ করে এই দুটি দিনের নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানাদি পালন করতে শুরু করো।
– আবু দাউদ, মুসনাদে আহমদ
ঈদের দিনের কর্মসূচি
১। রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাজের ময়দানে পায়ে হেঁটে যেতেন এবং পায়ে হেঁটে প্রত্যাবর্তন করতেন।
— ইবনে মাজাহ
২। রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে সকাল বেলা নামাজের জন্য রওনা করতেন না।
— সহীহ বুখারী, ইবনে মাজাহ
৩। জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিনে ময়দানে যাতায়াতের পথ পরিবর্তন করেছেন।
— সহীহ বুখারী
৪। হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের ঈদসমূহকে তাকবীর বলার সাহায্যে সুন্দর-আনন্দময় ও জাঁকজমকপূর্ণ করে তোল।
— তাবরানী
৪। নাফে ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজের পূর্বে অথবা পরে নফল নামাজ পড়তেন না।
— মুয়াত্তা ইমাম মোহাম্মদ, অনুচ্ছেদ ৪১, ঈদের নামাজের পূর্বে অথবা পরে নফল নামাজ পড়া। হাদীস নম্বর ২৩৬
ঈদের নামাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ
১। হযরত হাফসা বিনতে শিরিন রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঈদের দিন আমরা আমাদের প্রতিবেশীদেরকে (এখানে প্রতিবেশী বলতে নারীদেরকে বোঝানো হচ্ছে) বের হতে দিতাম না। একবার একজন মহিলা আসলেন। তিনি বনু খালাফের প্রাসাদে অবস্থান করলেন। আমি তার নিকট গেলে তিনি বললেন, তার ভগ্নিপতি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ১২টি জিহাদে শরীক হয়েছেন এবং এর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধে স্বয়ং তার ভগ্নীও শরিক হয়েছেন। (তিনি বলেন) আমার ভগ্নি বলেছেন, আমরা যুদ্ধে রোগীদের সেবা করতাম, আহতদের শুশ্রূষা করতাম। একবার সে প্রশ্ন করেছিল, হে আল্লাহ রাসূল, আমাদের কারো কাছে যদি ওড়না না থাকে তখন বের হওয়ায় কোনো ক্ষতি আছে কি? তিনি বলেছেন, তার সঙ্গী যেন নিজের উড়না দিয়ে (তাকে) ঢেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করে এবং এভাবে কল্যাণকর কাজে মুমিনদের আহবানের যেন অংশগ্রহণ করে।
— সহীহ বুখারী
২। হযরত উম্মে আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদেরকে (ঈদে) বের হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই আমরা ঋতুবতী, সাবালগ এবং পর্দানশীন মহিলারাসহ বের হতাম।
ইবনে আউন কর্তৃক বর্ণিত এক রেওয়াতে আছে, … অথবা পর্দানশীন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদেরকে নিয়ে বের হতাম।
যাই হোক, ঋতুবতী নারীরা মুসলমানদের জামায়াত এবং তাদের সামগ্রিক কাজের আহবানে শরীক হতো এবং তারা ঈদগাহে পৃথকভাবে থাকতো।
— সহীহ বুখারী
৩। হযরত উম্মে আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঈদের দিন আমাদেরকে ঘর থেকে বের হওয়ার আদেশ দেয়া হতো। আমরা কুমারী, বালিকা, এমনকি ঋতুবতী নারীদেরকেও ঘর হতে বের করতাম। এরপর পুরুষদের পিছনে থেকে তাদের তাকবীরের সাথে সাথে তাকদীর পড়তাম এবং তাদের সাথে সাথে আমরা ওইদিনের বরকত এবং পবিত্রতা লাভের বাসনা দোয়া করতাম।
— সহীহ বুখারী
৪। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে হযরত আতা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি (আতা) তাকে (জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ) বলতে শুনেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিতরের দিন দাঁড়ালেন। তারপর প্রথমে নামাজ পড়লেন, এরপর খুতবা দিলেন। খুতবা হতে অবসর নিয়ে নেমে আসলেন এবং মহিলাদের সামনে উপনীত হলেন। এরপর বেলালের হাতের উপর ভর দিয়ে তাদেরকে উপদেশ প্রদান করলেন। বেলাল তার কাপড় প্রশস্ত করে ধরলেন, আর মহিলারা তাতে দানের দ্রব্যসমূহ নিক্ষেপ করতে লাগলো।
ইবনে জুরাইজ বর্ণনা করেছেন, আমি আতা ইবনে আবু রাবাহকে জিজ্ঞেস করলাম, তারা কি সদকায়ে ফিতর দান করেছিলেন? তিনি বললেন, না, নফল সদকা দিচ্ছিলেন। ওই সময় কোনো একজন মহিলা তার বড় আংটিটি দান করলেন। অন্যান্য মহিলাও তাদের বড় বড় আংটিসমূহ দান করতে লাগলো।
আমি পুনরায় আতা ইবনে রাবাহকে জিজ্ঞেস করলাম, নারীদেরকে উপদেশ দান করা কি ইমামের জন্য বাধ্যতামূলক? তিনি বললেন, হাঁ, তা অবশ্যই বাধ্যতামূলক। তাদের কি হয়েছে যে তারা এ কাজ করে না?
ইবনে জুরাইজ বলেন, হাসান ইবনে মুসলিম তাউসের মাধ্যমে ইবনে আব্বাস থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। ইবনে আব্বাস বলেছেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বকর, উমর ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। তারা সকলেই নামাজের পরে খুতবা দিতেন। আমি যেন দেখছি, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে হাতের ইশারায় লোকদেরকে বসিয়ে দিচ্ছেন এবং কাতার ঠেলে সামনে নারীদের কাছে উপস্থিত হচ্ছেন। বেলাল তাঁর সাথে সাথে ছিলেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের এই আয়াত পাঠ করলেন,
“হে নবী, যখন মুমিন নারীরা তোমার কাছে এসে এই মর্মে বাইয়াত করে যে তারা আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, নিজেদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, কারও বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা অপবাদ দিবে না এবং সৎকাজে তোমার অবাধ্য হবে না; তখন তুমি তাদের বাইয়াত গ্রহণ করো এবং তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
আয়াত পাঠ শেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে বললেন, তোমরা সদাকা করো। তখন বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে ধরলেন এবং বললেন, আমার পিতামাতা আপনাদের জন্য কোরবান হোক। আপনার সদাকা করেন। তখন মহিলারা তাদের ছোট-বড় আংটিগুলো বেলালের কাপড়ের উপর ফেলতে শুরু করলেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অন্ধকার যুগে বড় আংটিগুলোকে ‘ফাতাখ’ বলা হতো।
— সহীহ বুখারী
ঈদের খুতবা
১। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ঈদের নামাজ আযান-ইকামত ছাড়াই পড়িয়েছেন। তিনি এ সময় দাঁড়িয়ে দুটি খুতবা দিতেন এবং দুই খুতবার মাঝখানে আসন গ্রহণ করে পার্থক্য সূচিত করতেন।
— মুসনাদে বাযযার
২। মালিক (রহ) বলেন, আমাদের মধ্যে এই সুন্নত প্রচলিত— যাতে দ্বিমত নাই যে ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতরের দিন ইমাম স্বীয় মন্যিল হতে এমন সময় বাহির হবেন, যাতে তিনি নামাযের সময় ঈদগাহে পৌছতে পারেন।
ইয়াহইয়া (রহ) বলেন, মালিককে (রহ) প্রশ্ন করা হলো এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে, যে ঈদুল ফিতরের দিন ইমামের সাথে নামায পড়েছে। সে খুতবা শোনার পূর্বে প্রত্যাবতন করতে পারে কি? তিনি বলিলেন, না। ইমাম প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত সেই ব্যক্তি প্রত্যাবর্তন করবে না।
— মুয়াত্তা ইমাম মালেক, ইমামের প্রভাতে ঈদগাহে গমন করা ও খুতবার জন্য অপেক্ষা করা, রেওয়ায়েত- ১৩
ঈদের নামাজের তাকবীর
প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরিমার পরে তিনটি তাকবীর কোরআন পড়ার পূর্বে দিতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকাতে কোরআন পাঠের পর তিনটি তাকবীর দিতে হবে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মুসা আশআরী আবু মাসউদ আল আনসারী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে এটি বর্ণিত। ইমাম সাওরি, ইমাম আবু হানিফা এই মত গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও তাকবীর সংখ্যা বেশ কম হতে পারে। বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখিত হয়েছে।
তাকদীরসমূহ একসঙ্গে ও পর পর মিলিতভাবে দেওয়া হবে, নাকি কোনো হামদ বা তসবি পাঠ দ্বারা তাদের মাঝে পার্থক্য করা হবে, এই পর্যায়ে ইমাম মালেক, ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আওযায়ী বলেন, তাকদীরসমূহ রুকু সিজদার তাসবীহ পড়ার মতো মিলিত তথা পর পর দিতে হবে। কেননা, হাদীসের বর্ণনাসমূহে পার্থক্য করার ও পর পর না দেওয়ার কোনো কথা বলা হয় নাই। অবশ্য ইমাম শাফেয়ী তাকবীরসমূহের মাঝে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, ‘সুবহানাল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ইত্যাদি পাঠ করে পার্থক্য করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
ঈদের নামাজে আযান-ইকামত নাই
হযরত জাবির ইবনে সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ঈদের নামাজ এক বার নয় দুই বার নয়; একাধিক বার ঈদের নামাজ পড়েছি তাতে আজান ও ইকামত ছিল না।
— মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিজি
ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কী করা উচিত
ইয়াহিয়া (রহ) বলেন, মালিক (রহ) বলেছেন, তাঁর মতে যে ব্যক্তি ঈদের দিন লোকজনকে নামাজ পড়ে ফেরার সময় রাস্তায় পায়, সেই ব্যক্তির জন্য ঈদগাহে অথবা স্বগৃহে ঈদের নামাজ পড়ার প্রয়োজন নাই। আর যদি সে ঈদগাহে বা নিজ ঘরে ঈদের নামাজ পড়ে তাতেও কোনো আপত্তি নাই। সে প্রথম রাকাতে কিরাতের পূর্বে ৭ তকবির পড়বে ও দ্বিতীয় রাকাতে কিরাতের পূর্বে ৫ তাকবীর পাঠ করবে।
— মুয়াত্তা ইমাম মালিক। উভয় ঈদের নামাজে কিরআত ও তাকবীরের বর্ণনা। রেওয়ায়েত ৯
ঈদের দিনে খেলাধুলা
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন। তখন আমার নিকট দুটি বালিকা (দফ বাজিয়ে) বুয়াস যুদ্ধ সংক্রান্ত গীত গাইতেছিল। তিনি বিছানায় শুয়ে চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখলেন। ইতিমধ্যে আবুবকর আসলেন। তিনি আমাকে ধমক দিয়ে বললেন, শয়তানী বাদ্যযন্ত্র বাজানো হচ্ছে, তাও আবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে ফিরে বললেন, বাদ দাও। এরপর তিনি যখন অন্য দিকে খেয়াল দিলেন তখন আমি তাদেরকে ইঙ্গিত করলাম, তারা বের হয়ে গেল।
আর ঈদের দিন সুদানী হাবশীরা বর্ষা ও ঢালের খেলা খেলত। একবার আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লামকে বললাম, অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম, হাঁ। তারপর তিনি আমাকে তাঁর পিছনে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে আমার গাল ছিল তাঁর গালের উপর। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, খেলা শুরু করো, হে বনী আরফিদা। অবশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি আমাকে বললেন, তোমার হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে চলে যাও।
— সহীহ বুখারী