নৈতিকতা ও মানবিকতার নিরিখে সব মানুষ সমান। এটি মানুষের জন্মগত অধিকার। সে হিসাবে নারী ও পুরুষও সমানে সমান। সমান মানে একেবারেই সমান। মানুষ হিসাবে। প্রকৃতির সন্তান বা খোদার বান্দা হিসাবে। যদিও তাদের মধ্যে আছে তাৎপর্যপূর্ণ কিছু ভিন্নতা। কন্সিকোয়েন্টলি, দায়িত্ব ও অধিকারের ক্ষেত্রে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত কতিপয় স্বাতন্ত্র্য।
সমস্যা হলো, নারী-পুরুষের এই প্রকৃতি প্রদত্ত গঠনগত পার্থক্যের অজুহাতে বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীদের ওপর আরোপ করেছে নানা ধরনের মানবেতর ও বৈষম্যমূলক নিয়ন্ত্রণ। এই ধরনের এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে মানুষের উপর মানুষের সকল প্রকার আরোপিত বৈষম্যের নিরসন, প্রত্যেকের প্রকৃতিগত স্বাতন্ত্রকে স্বমর্যাদায় সংরক্ষণ ও সর্ব পর্যায়ে মানুষের জন্মগত সমতার মৌলনীতিকে প্রতিষ্ঠা ও সমুন্নত রাখার জন্য, সুযোগ-সুবিধাদির ক্ষেত্রে প্রাপ্যতা বা ন্যায্যতাভিত্তিক (equitable) বণ্টন ব্যবস্থা কায়েমের সংগ্রাম করা প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের আশু কর্তব্য।
কোনো কমিউনিটির বিশেষ কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার কতটুকু বেশ-কম করে ‘সমতা-ন্যায্যতা-সমতা’র এই নীতি বাস্তবায়ন করা হবে তা কেইস-টু-কেইস বিশদ আলোচনা ও বিবেচনার দাবি রাখে। এ বিষয়ে বিশেষ করে এই কথাটা সব সময় ও সর্বাগ্রে মনে রাখার অনুরোধ করে এই আলোচনা এখানে শেষ করছি–
ইকুইটি হলো নিতান্তই একটি প্রায়োগিক নীতি। যার ভিত্তিগত নীতি বা underlying principle হলো সেন্স অব ইকুয়ালিটি। so guys, don’t play equity with equality. instead, buy equity for equality.
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধু নারী সম্প্রদায় নয়, ইতোমধ্যে পিছিয়ে পড়া বা পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে আছে এমন যে কোনো কমিউনিটি বা জনগোষ্ঠীর জন্য সমতা ও ন্যায্যতার এই নীতি সমভাবে প্রযোজ্য ও গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষেপে এ-ই হলো এই ভিডিওটির মূল বক্তব্য।
এ বিষয়ে মাস দুয়েক আগে আমার লেখা এই নিবন্ধটিও পড়ে দেখতে পারেন– নারী অধিকারের দৃষ্টিতে সমতা, ন্যায্যতা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামো।