ইউকে’তে ২০০৪ সালে পাশ করা Gender Recognition Act অনুসারে যুক্তরাজ্যের যে কোনো নাগরিক,
(১) ১৮ বছর বয়স হলে,
(২) জেন্ডার ডিসফোরিয়া থাকলে এবং
(৩) কমপক্ষে ২ বৎসর ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে সামাজিক পরিচয় মেনটেইন করলে,
সেই ব্যক্তি জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার অধীনে জেন্ডার আইডি ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পারবে। NHS কর্তৃপক্ষ কনভিন্স হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ট্রান্সজেন্ডার ম্যান বা ওমেন হিসেবে আইনগত স্বীকৃতি পাবে।
বিল পাশের পর হতে ২০১৮ পর্যন্ত চৌদ্দ বছরে নিজেকে ট্রান্স দাবী করেছে ৫ লক্ষ মানুষ। চিকিৎসা নিয়েছে ১২ হাজার দুইশত তিপান্নজন। এরমধ্যে ট্রান্স হিসেবে GEC (Gender Recognition Certificate) পেয়েছে ৪ হাজার ৯ শত দশ জন।
স্বভাবতই বাদবাকী ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ট্রান্স(?) ব্যক্তি নিজেকে অবহেলিত, উপেক্ষিত ও অস্বীকৃত মনে করছে।
এই ‘অসুবিধা’কে দূর করার জন্য সম্প্রতি ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট সম্প্রতি একটা বিল পাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১৬ বছর বয়স বা তদূর্ধ যে কেউ নিজেকে ট্রান্স দাবী করলে অবিলম্বে কোনো ধরনের টেস্ট ছাড়াই ট্রান্স হিসেবে সার্টিফিকেট পেয়ে যাবে।
ঋসি সুনাকের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট এই বিলকে ঠেকিয়ে দিয়েছে। খুব সম্ভবত, ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালত এ’ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ঋসি সুনাকের “A man is a man and a woman is a woman – that’s just common sense.” – এই মন্তব্যের এইটা হলো প্রেক্ষাপট।