‍“নিজেকে ‌‘ন্যায়বিচারক’ প্রমাণের কোন ইচ্ছা নাই। আমি জাস্ট নারীপক্ষ। যদি নারীকে নির্দোষ বলার একটা কারণও থাকে আমি সেটা অনুসন্ধান করব। দ্যাটস ইট।”

এটি লিখেছেন Syeda Sazia Afrin। তাঁকে আমি চিনি না। যে মেয়েটা একই সাথে ছয়টা বয়ফ্রেন্ড মেইনটেইন করার ব্যাপারে তিনি লিখেছেন সে মেয়েটাকে নিয়ে তৈরি করা ভিডিওটাও আমি দেখি নাই। তবে উপরে উদ্ধৃত কথাগুলো আমার বেশ ভালো লেগেছে। কথাগুলো আমি সমর্থন করি, তাই ভালো লেগেছে, ব্যাপারটা এমন নয়। বরং একজন নারীবাদী নারী নারীবাদ নিয়ে একটা সরল বক্তব্য দিয়েছেন, অন্য অনেকের মতো রাখঢাক করে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে না বলে কথাটা পষ্ট করে বলেছেন, সেজন্যই লেখাটা আমার ভালো লেগেছে।

ছোট্ট এই কথা থেকে নারীবাদের মূল বৈশিষ্ট্য এবং কেন এটি সমর্থনযোগ্য নয় সেটি আমরা সহজেই বুঝতে পারি। আমি মনে করি না যে মানুষের জীবন ও সমাজে এমন কোনো বিষয় থাকতে পারে যা যুক্তি-বুদ্ধির ঊর্ধ্বে এবং sometime enjoys a ‌‘justice-holiday’.

অধিকাংশ ফিমেইল কমিউনিটি লিডার, বিশেষ করে নারী লেখকদেরকে দেখা যায় যে তারা শুধুমাত্র নারীদের প্রসঙ্গ নিয়ে নারী স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখালেখি করেন, এবং প্রেফারেবলি নারীদের পক্ষে সব সময় সাফাই গাইতে থাকেন। এনারা ‌‘ভিকটিমহুড মেন্টালিটি’র ধারক, বাহক এবং প্রচারক।

নারী-পুরুষ ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে নিজেকে মানুষ হিসেবে, ধর্মীয় দৃষ্টিতে নিজেকে আল্লাহর একজন বান্দা এবং খলিফা হিসেবে কেউ যদি ভাবতে পারেন, তাহলে কখনো তিনি ভাবতে পারেন না যে তিনি শুধুমাত্র নিজ জেন্ডারের পক্ষ নিয়ে পড়ে থাকবেন, সবকিছুকে একটা স্পেসিফিক জেন্ডারের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। আমার নারী অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখায় প্রসঙ্গক্রমে এটি নানাভাবে উল্লেখ করেছি।

হ্যাঁ, নারীদের লেখার মধ্যে নারী সংক্রান্ত বিষয় ও নারীসুলভ দৃষ্টিভঙ্গির একটা প্রাধান্য থাকতেই পারে। কিন্তু কারো লেখার প্রায় শতভাগ কনটেন্টই যদি হয় জেন্ডার-বায়াসড তাহলে তা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।

দেখছি, কেউ নারীপক্ষ, কেউ পুরুষপক্ষ। আমি নারীপক্ষ নই, পুরুষপক্ষ নই, নিরপেক্ষও নই। আমি বরং মানুষপক্ষ। যারা মানুষপক্ষ তারা আমার বন্ধুজন ও সহযোগী। নারীপক্ষ কিংবা পুরুষপক্ষ গ্রহণকারীদেরকে আমি ভুল মনে করি। একইসাথে আমি পুরুষতন্ত্র এবং নারীবাদের বিরুদ্ধে। নারী-পুরুষের সম্পর্ক সম্পর্কে আমি সমর্থন করি প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনা, যুক্তিবুদ্ধি ও মানবিক মর্যাদাকে।

আর, পিতৃতন্ত্র?

একটা পোস্টার বানিয়েছি। এখনও ফাইনাল করি নাই। যার বিষয়বস্তু খুব সম্ভবত এরকম, history of human civilization is the history of patriarchy or patriarchal societies.

যা ডিফল্ট তা সমর্থন বা বিরোধিতা করার কথা একটা বাহুল্যমাত্র। তাই আর কথা না বাড়াই। ভালো থাকেন।

মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Taib Ahmed: ‍“মানুষপক্ষ” একটা ভেগ আইডিয়া। এটা মাপার ভেরিয়েবলগুলা স্পষ্ট না বা ফিক্সড না। বরং ‍“সত্যপক্ষ” হতে হবে। যেটা কিনা দিনের  আলোর মত পরিষ্কার।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: মানুষপক্ষ কথাটা ইটসেলফ একটা vague আইডিয়া। তবে এখানে কথাটা এসেছে ‌‘নারীপক্ষ বনাম পুরুষপক্ষ’ এই পক্ষ-বিপক্ষ ভাগাভাগির প্রেক্ষাপটে। সে হিসেবে মানুষপক্ষ কথাটা মিনিং ক্যারি করে।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *