দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ অথচ সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন।

এখানে কারণ বলতে আমি উদ্দেশ্য বা পারপাসকে বুঝাচ্ছি।

করণীয় ঠিক করার সময় যারা ‘কারণ’ বিষয়টিকে উপেক্ষা করে কিংবা ততটা গুরুত্ব দেয় না, তাদের জ্ঞান কখনো উচ্চস্তরের বা পরিপূর্ণ হতে পারে না।

কোনো কিছু কীভাবে ঘটে, সেটি জানা জরুরি। কিন্তু তারচেয়েও বেশি জরুরি হলো, কেন তা ঘটে, সেটি জানা।

যন্ত্রের ‘জ্ঞান’ কেন সত্যিকারের জ্ঞান হয়ে উঠে না, তা যদি আমরা জানতে চাই তাহলে সহজেই বুঝতে পারবো, যন্ত্র বা রোবটের জ্ঞান হলো যান্ত্রিক তথা উদ্দেশ্য-নিরপেক্ষ।

যান্ত্রিক সত্তার মধ্যে থাকে না উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রবণতা। ফিলোসফিতে যাকে আমরা ইনটেনশনালিটি হিসেবে বলে থাকি।

তার মানে হলো, subjectivity ছাড়া intentionality হয় না। Intentionality ছাড়া ethics হয় না। Ethics ছাড়া knowledge হয় না।

এই দৃষ্টিতে, নলেজ হলো এক্সক্লুসিভলি হিউম্যান ফেনোমেনা। পূর্বনির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট নিয়মের অলঙ্ঘনীয় বন্ধনে পরিচালিত কোনো সিস্টেম knowledgeable হতে পারে না।

উল্লেখ্য, সহজাত প্রবৃত্তি বা বেসিক ইন্সটিংক্টও এক ধরনের যান্ত্রিকতা।

মানুষের এই অনন্য স্বাতন্ত্র্যতা কেন? মানুষ কেন জৈবিক সহজাত প্রবৃত্তির বাইরে গিয়ে জগতের অস্তিত্ব নিয়ে ভাবিত হয়? মানুষ কেন আস্তিক বা নাস্তিক হয়? মানুষ কেন কোনো না কোনো নৈতিক মতবাদে বিশ্বাস করে? কোনো প্রাণী বা বস্তুর ক্ষেত্রে তো কেউ দাবি করে না, এটি ‘এই’ বা ‘অমুক’ ফিলোসফিতে বিশ্বাস করে!

কেন?

কয়েকদিন আগে একটা আলোচনায় বলেছিলাম, বস্তুবাদই স্বয়ং বস্তুবাদের বিপক্ষ যুক্তি। কেননা, বস্তুবাদীরা বিশ্বাস করে– বিশ্বাস বলে আদৌ কোনো কিছু নাই। জগত নিছকই বস্তুময়। সেজন্য তারা বস্তু-অতিরিক্ত মন বা আত্মা জাতীয় কোনো কিছু না থাকায় তথা বস্তুবাদে ‘বিশ্বাস’ করে!

তো, শেষ পর্যন্ত কী বুঝলেন?

লেখাটির ফেসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *