Try to do the best in every given situation — সময়ের প্রতিটা এককে এসো আমরা সম্পাদন করি আমাদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যা সর্বোত্তম করণীয়।
এই কথাটা আমার জন্যই অধিকতর প্রযোজ্য। বলা যায়, নিজেকে নিজে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য এটি লেখা। সেদিন আমার ওয়াইফকে বললাম। ভাবলাম, অন্যদেরকেও এটি জানাই। তাই, এখানে লেখা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, অন্যায় কাজকে তোমরা হাতে বাধা দাও। না পারলে মুখে প্রতিবাদ করো। তাও না পারলে অন্তর থেকে ঘৃণা করো।
তিনি নিজেই কখনো তৃতীয় স্তরে থেকে অন্যায়েরর মোকাবেলা করেছেন। যেমন, নবুয়ত পূর্ববর্তী জীবনে তিনি অন্যায় অবিচারকে ঘৃণা করেছেন, নিজে সেসব থেকে দূরে থেকেছেন।
নবুয়ত পাওয়ার পর মক্কী জীবনে তিনি দ্বিতীয় স্তরে থেকে কাজ করেছেন। ন্যায়ের কথা বলেছেন; অন্যায়কে প্রতিরোধ না করে অন্যায়কে এক্সপোজড করেছেন। যেটাকে আমরা দাওয়াতী এপ্রোচ হিসেবে বলি।
মাদানী জিন্দেগীতে এসে তিনি প্রথম স্তরে গিয়ে ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ করেছেন।
সাহাবীগণের জীবন হতেও আমরা এ রকম বাস্তব কর্মপদ্ধতির উদাহরণ দেখতে পাই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার জীবন, সমাজ, রাষ্ট্র ও সামগ্রিক বাস্তবতার আলোকে ঠিক করবেন, কোনো সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে তিনি কী করবেন বা কেমন ভূমিকা রাখবেন। এই কাণ্ডজ্ঞান থাকাটা জরুরী।
আর পরিস্থিতির ব্যাপারে কথা হলো, আমরা সব সময়েই, প্রতিটি মুহূর্তে এমন পরিস্থিতির মধ্যে থাকি যা আমরা নিজেরা সবটুকু তৈরি করিনি। বরং এক একটা পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত আমরা নিজেদেরকে আবিষ্কার করি। সেই অর্থে প্রতিটা সিচুয়েশনই এক একটা ‘গিভেন সিচুয়েশন’ বা প্রাপ্ত-পরিস্থিতি।
আমার দিক থেকে এহেন প্রাপ্ত-পরিস্থিতিতে আমি একটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারি। যা আমার দিক থেকে সামগ্রিক বিবেচনায় সর্বোত্তম।
কোনো পরিস্থিতিতে আমি যে ধরনের ভূমিকা রাখতে পারি তা হতে পারে নিম্নোক্ত তিন ধরনের সিদ্ধান্তের যে কোনো একটা। দ্বিতীয়টা প্রথমটা হতে ভালো। তৃতীয়টা দ্বিতীয়টা হতে ভালো।
মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া হতে পারে:
(১) logical decision বা পার্টিকুলারলি ওয়ান-টু-ওয়ান যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
(২) optimal decision বা সার্বিক বিবেচনা সাপেক্ষে অধিকতর যৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
(৩) satisficing decision বা সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত। মানুষ অনেক সময়ে ‘মানবিক কারণে’ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়, যা লজিক্যালি বা অপটিম্যালি কারেক্ট নয়।
অতএব, let’s do the best in every given situation.