মুহাম্মদের (সা) সাথে হযরত আয়েশার (রা) বিয়ের বিষয়ে লক্ষ্যণীয় দিকগুলো হলো:

ক. মুহাম্মদের (সা) ১৩ জন স্ত্র্রীর বয়সক্রম দেখলে বুঝা যায়, এই ধরনের ‘স্বল্পবয়সী স্ত্রী’ তাঁর আর ছিলো না। অতএব, তাঁকে ‘বালিকাদের প্রতি আকৃষ্ট পুরুষ’ বলা যুক্তিসংগত হবে না।

খ. মুহাম্মদ (সা) হযরত আবু বকর ও ওমরের (রা) মেয়ে বিয়ে করেছেন; হযরত উসমান ও আলীর (রা) কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। দৃশ্যত এতে একটি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিদ্যমান।

গ. নবীর দায়িত্ব ছিল বৈধতার সীমা নিজ কার্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা। দেখা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি সেসব কাজ নিজে সবার আগে করেছেন যেসব কাজকে সাধারণ জনগণ ‘অবৈধ’ মনে করছিলো। তিনি সর্বনিম্ন বয়সের নারী বিয়ে করেছেন। যেমন– হযরত আয়েশা (রা)। আবার, সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীকেও বিয়ে করেছেন। যেমন– হযরত সাওদা বিনতে যামনা (রা)।

ঘ. যৌন নিপীড়নের শিকার নারীরা পরবর্তীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা লাভ করার পরা সাধারণত এ বিষয়ে সোচ্চার হয়ে থাকে। হযরত আয়েশার (রা) ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিলো এর বিপরীত। এটি সবার জানা আছে যে, মুহাম্মদের (সা) সাথে হযরত আয়েশার (রা) দাম্পত্য সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর ছিল।

ঙ. সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হাদীস বলেছেন যারা এমন চার জনের অন্যতম ছিলেন হযরত আয়েশা (রা)। তাঁর গুণাবলী ছিল অনন্য। মুহাম্মদ (সা) স্বভাবতই সেটি বুঝতে পেরেছিলেন।

চ. এবার আসুন আপত্তি উত্থাপনকারীর মূল অভিযোগের প্রতিপাদ্যে – আয়েশা (রা) সাবালিকা ছিলেন কিনা। ৯ বছর বয়সে সাবালিকা হতে পারে কিনা, তা যাচাইয়ের বিষয়। মরুভূমি অঞ্চলের বাড়ন্ত শরীরের বালিকা এই বয়সে সাবালিকা হওয়া সম্ভবপর। কেন আমরা ধরে নিচ্ছি তিনি নাবালিকা ছিলেন? হ্যাঁ, আমাদের দেশের মেয়েরা এই বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। আঠার বছর বয়সের পূর্ব বিয়ে করতে পারে না। আঠার বছরের আগে কি আমাদের দেশের মেয়েরা যৌন জীবনের উপযুক্ত হয় না? এখানে আমরা তাত্ত্বিক আলোচনা করছি। সুতরাং আমাদেরকে মুক্ত মনে ভাবতে হবে।

ছ. যখন তাঁর মা তাঁকে কনে হিসাবে রাসূলের (সা) নিকট পাঠালেন তখন, বুখারীর হাদীসে আছে, তিনি বান্ধবীদের সাথে খেলছিলেন । এটিকে যদি তাঁর সাবালিকা না হওয়ার যুক্তি হিসাবে উপস্থাপন করেন তাহলে সেটি গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হতে পারে না। আমার স্ত্রী (বিয়ের সময় যার বয়স ছিল ২৫ বছর) তাঁর বর্তমান ৪১ বছর বয়সেও তিনি বাচ্চাদের পুতুল খেলায় অংশগ্রহণ করেন। পুতুল নিয়ে খেলা ইত্যাদি মেয়েদের স্বভাবগত অভ্যাস।

জ. রইলো ‘বাল্যবিবাহের’ প্রসঙ্গ। ইসলাম বাল্যবিবাহকে অনুমোদন করে। ছেলেমেয়ের অভিভাবকবৃন্দ বিয়ের প্রস্তাব করতে পারে। সংশ্লিষ্ট পাত্র-পাত্রী পরিণত বয়সে এই বিয়েকে মেনে নেয়া বা অস্বীকার করার অধিকার রাখে। যদি কোনো পক্ষ এই ধরনের বাল্যবিবাহ মানতে অস্বীকার করে তাহলে সেটি বাতিল, আদৌ বিয়ে হয়নি হিসাবে, গণ্য হবে।

ঝ. সর্বপরি মুহাম্মদের (সা) সাথে হযরত আয়েশার (রা) বিয়ের বয়স নিয়ে ব্যাপক মতভেদ বিদ্যমান। বুখারীর বর্ণনাই একমাত্র বর্ণনা নয়। কোনো কোনো বর্ণনায় সেটি ১৪–১৬। সামহোয়্যারে গত ২২ মে ২০১০ তারিখে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে। কোনো কারণে মডারেটররা সেসব পোস্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নেটে চাইলে যে কেউ এসব দেখতে পারেন।

Ibn Kathir based himself on Ibn Abi al-Zinad’s assertion that she was ten years older than `A’isha, however, al-Dhahabi in Siyar A`lam al-Nubala’ said there was a greater difference than 10 years between the two, up to 19, and he is more reliable here. It is reported in Taqri’bu’l-tehzi’b as well as Al-bidayah wa’l-nihayah that Asma died in 73 hijrah when she was 100 years old. Now, obviously if Asma was 100 years old in 73 hijrah she should have been 27 or 28 years old at the time of hijrah. If Asma was 27 or 28 years old at the time of hijrah, Ayesha should have been 17 or 18 years old at that time. Thus, Ayesha, if she got married in 1 AH (after hijrah) or 2 AH, was between 18 to 20 years old at the time of her marriage.

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *