আওয়ামী লীগ নৃশংসভাবে হেফাজতকে দমন করেছে। আওয়ামী লীগের অবস্থান থেকে দেখলে, এর কোনো গত্যন্তর ছিল না। আওয়ামী লীগকে জন্ম থেকে চেনার দাবিদার (যেমন– বিএনপি), কিংবা আওয়ামী লীগকে ঐতিহাসিকভাবে চেনা, জানা ও মোকাবিলার দাবিদাররা (যেমন– জামায়াত) কী করে এতগুলো নিরীহ লোককে চরম ঝুঁকির মুখে ছেড়ে দিলো? যারা সরলপ্রাণ আলেম-উলামাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঢাকা শহরের নিরাপদ ফ্ল্যাটে রাতযাপন করেছে, আমি তাদেরকে ঘিন্না করি…!

আন্দোলনে টিকে থাকতে হলে মোকাবিলা অনিবার্য। আমি সর্বপ্রকারে নিশ্চিত হয়েছি, মোকাবিলার কোনো কার্যকর পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি কারোই ছিল না। জামায়াত ও বিএনপি – উভয়েই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চেয়েছে। মাঝখানে অগণিত নিরীহ লোকের রক্তের বন্যা বইলো…!

মনে পড়ে, প্রথম ঢাকা সমাবেশের পর হেফাজত যখন সন্ধ্যায় সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করে তখন জামায়াতের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলেরা হতাশা ব্যক্ত করে। তাদের মতে, হেফজতের সাথে যা কথা হয়েছে, সে অনুসারে কথা ছিলো অনির্দিষ্ট কালের ঘোষণা দিয়ে অন্তত তিনদিন ঢাকায় অবস্থান করা। তাদের অর্থাৎ জামায়াতের নাকি সে ধরনের ‘প্রস্তুতি’ও ছিল!

আমি তখনই (এপ্রিলের ছয় তারিখ সম্ভবত) সেই ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, হেফাজতকে ইসলামবিরোধী শক্তির মোকাবিলায় একটা সামাজিক চাপ হিসাবে রেখে দেয়ার নীতি গ্রহণ করার জন্য। বলেছিলাম, রাজনৈতিকীকরণ করলে হেফাজতের পরিণতি হবে আওয়ামীকৃত গণজাগরণ মঞ্চের মতো! ক্র্যাকডাউনের পরে বলেছিলাম, হেফাজত আর কোনোদিনও ওঠে দাঁড়াতে পারবে না। অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন, প্রবলভাবে দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। কাঙালের কথা বাসি হলেই ফলে…

এখন রক্তমাখা ছবি পোস্ট করে কী লাভ? হতে পারে, এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ‘স্কেপ গোট’ বা বলির পাঁঠা বানিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকা দেয়ার নয়া রাজনীতি…!

পোস্টটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *