1. Islam must be rescued from its religion-image. Islam is a deen, a life-view, a total ideology though it has religious aspects (rituals or nusuk).
  2. Whatever you say, practicality, pragmatism or applicability – it is the most important aspect for any ideology including Islam.
  3. The more secular, the more ritualistic.
  4. Hadith is necessary for understanding of the Quran and fiqh is a must for understanding of the Hadith collection.
  5. Any matter concerned with social behavior (muamalat), is rationalizable. Only rituals (ibadat) are not fully rationalizable.
  6. Beliefs (Iman) are nothing but rational conclusions including the declaration of Islam (Kalema tayyeba).
  7. Healthy concepts are built on authenticity of textual references as well as context, consistency and comprehensiveness. So, authentic references from Quran and Hadith are not enough for the proper understanding of Islam and Islamic movement.

এসবি ব্লগ থেকে নির্বাচিত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

ইঞ্জিনিয়ার হাবিব: “authentic references from Quran and Hadith are not enough for the proper understanding of Islam and Islamic movement.”

ব্যখ্যা করুন।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: কোনো কিছু বুঝতে হলে, বিশেষ করে কোনো কনসেপ্ট বা আইডিওলজি বুঝতে হলে যা অপরিহার্য–

    1.  Authentic references from its text(s).
    2. Contextual background.
    3. Consistency between references.
    4. Comprehensive or holistic observation at last.

শুধু সঠিক উদ্ধৃতি হলেই যদি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) যে কোনো কাজ, মত ও পথের জন্য কোরআন-হাদীস থেকে রেফারেন্স দেয়া সম্ভব। প্রতিটা ভ্রান্ত মতাবলম্বী দল ইসলামের নামে যা করে থাকে।

দেখুন, অদৃষ্টবাদী ও তাদের চরমবিরোধী কাদারিয়াগণ– উভয় পক্ষই কোরআনের রেফারেন্স ব্যবহার করেছে। আমার কাছে একটা বই আছে (আল বালাগ) যাতে তাবলীগের সব কাজকে কোরআন-হাদীসের অথেনটিক রেফারেন্স বেইজড প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। যা দেখলে জামায়াতের লোকজনের মেজাজ খারাপ হয়ে যাবে। আবার জাময়াতের ব্যাপারেও তাদের বিরোধীদের পক্ষ হতে অনুরূপ কথা আসতে পারে। হিযবুতসহ অন্যদের ব্যাপারেও একই কথা। আমি সে বিতর্কে যাবো না।

তবে সব বিতর্ক সমাধান করার একমাত্র গ্রহণযোগ্য পন্থা হচ্ছে উপর্যুক্ত চারটি বিষয়কে বিবেচনায় রাখা। শুধু সঠিক উদ্ধৃতি হলেই হবে না– এ কথা বোঝাতে এটুকু বললাম।

একমাত্র মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ইঞ্জিনিয়ার হাবিব: 1. text বলতে কোরআন এবং হাদিসকে বুঝাচ্ছেন কি?

2. Contextual background বিষয়টি বুঝলাম না।

3 এবং 4 বুঝেছি।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: টেক্সট বলতে যে কোনো টেক্সট। কমিউনিজমের টেক্সট হবে মার্ক্স-এঙ্গেলস-লেলিন-মাওসেতুং– এদের লেখা। আমি সমর্থন করি না করি সেটা ভিন্ন কথা। তেমনি ইসলাম বা ইসলামের কোনো কিছু বুঝতে হলে এর টেক্সটভিত্তিক রেফারেন্স হতে হবে। ইসলামের টেক্সট হলো কোরআন। এর ব্যাখ্যা হিসাবে হাদীস।

২। কনটেক্সচুয়্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড হলো শানে নুযুল বলতে আমরা যা বুঝি তা।

এম এন হাসান: পুরো বক্তব্যের সাথে সহমত। একটি ক্ল্যারিফিকেশন এবং একটু সংযোজন করছি।

সংযোজন: ৬ নম্বর পয়েন্টের সাথে। ঐ দিন একজন ভাই ঈমানের কথা বলতে গিয়ে বললেন, এটা হচ্ছে একটা ‘ইন্সুরেন্স’!

বাংলাদেশে ইন্সুরেন্সের নাম শুনলে মানুষ এক সময় দৌড়াতো, এজেন্টদের ধরে মারধরও করতো। অথচ ইউকেতে এসে দেখি কুত্তা-বিলাইয়ের জন্যও ইন্সুরেন্স আছে। ইন্সুরেন্স মানে নিরাপত্তা।

এরপর তিনি বললেন: আপনি যতই পয়সাওয়ালা হন যদি ইন্সুরেন্স না থাকে আপনি নিরাপদ নন, ঠিক যে যত ভাল কাজই করুক (যেমন– অনেক অমুসলিম অনেক ভালো কাজ করে) তার যদি ইন্সুরেন্স (ঈমান) না থাকে তাহলে সে জান্নাতের আশা করতে পারে না। ইন্সুরেন্সেরও কিছু শর্ত থাকে, মাসে মাসে ইন্সটল দিতে হয়। ঠিক তেমনি আল্লাহর কমান্ড (ইবাদাহ) ফলো করা হচ্ছে অনেকটা ইনস্টলমেন্টের মতো।

ক্লারিফিকেশন: ৩ নম্বর পয়েন্টে বলা বক্তব্যের ব্যাপারে আমার নিজের কিছু দৃষ্টিভঙ্গি আছে (যেমন– আমি ritualistic-এর জায়গায় ব্যবহার করব spirituality or spiritualistic)।

আপনি কি বুঝাতে চাইলেন সেটা পরিষ্কার হয়নি (যেমন– আমাদের অনেকেই ‘সেক্যুলার’ শব্দটি শুনলেই অজ্ঞান )। তাই একটু খোলাসা করলে বুঝতে পারতাম আমার দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক না বেঠিক।

ধন্যবাদ

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: সেক্যুলার বলতে আমাদের বাংলাদেশী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের বোঝানো হয়েছে। এমনিতে নামাজ পড়ে না। কিন্তু যেদিন মসজিদে যাবে বা নামাজে দাঁড়াবে, একেবারে টুপি পড়ে সুন্নাত-নফল সব পড়তে থাকে। এরা দাঁড়ি না রাখলেও টুপি পরে কাওয়ালী গাইতে ও শুনতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু আপাদমস্তক ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। অর্থাৎ ধর্ম ধর্মের জায়গায় খুব পবিত্র, কিন্তু দুনিয়া চলবে দুনিয়ার নিয়মে। দুনিয়ার বিষয়ে ধর্মের নির্দেশনাগুলো ঐতিহাসিকতা বা উপদেশমাত্র। যা-ই করি আল্লাহ মাফ করে দিবেন। মিউচুয়্যাল এক্সক্লুশান। এই আর কি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

মূল পোস্টের এসবি ব্লগ লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *