ভুল ভুল ভুল
ভুলের উপরে ভুল
আগেও ভুল পরেও ভুল

কর্মকৌশলের দিক থেকে
আগাগোড়াই ভুল,
হোক সেটা সরলতা অথবা
ঔদ্ধত্যের কারণে।

কী সেই ভুল?
ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।
সেই ভুলের কী নাম?
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।

(স্ট্যাটাসটি এখানেই সমাপ্ত হলো)

*****

এ ধরনের একটি স্ট্যাটাস লেখার পটভূমি:

আলোচ্য বিষয়ে আমার একটা বই আছে, ‘জামায়াতে ইসলামী: অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়ন’  শিরোনামে। এটি পাবেন আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে। বইটির শেষের দিকে ‘আগামী নির্বাচন জামায়াতের জন্য শেষ সুযোগ’ শিরোনামের একটা আর্টিকেল আছে। এটি ফেইসবুকে প্রথম প্রকাশ করেছিলাম প্রায় দু’বছর আগে। গত সপ্তাহে এই পোস্টটা আবার নতুন করে শেয়ার করেছিলাম।

কোনো অবস্থাতেই আপকামিং এই ইলেকশানে পার্টিসিপেট না করাই বেটার। অন্তত ১০ বছর প্রত্যক্ষ রাজনীতি হতে দূরে থেকে অন্যান্য গঠনমূলক কাজে মনোনিবেশ করা দরকার। এই ছিলো ৭ পর্বে সমাপ্ত এই লেখাটির মূল কথা।

জামায়াতে ইসলামীর কর্তাব্যক্তিগণ, রাজনীতি যাদের পেশা ও নেশায় পরিণত হয়েছে, তারা বরাবরের মতোই আমার এসব কথায় খুব বিরক্ত হবেন। সন্দেহ নাই। উনাদেরকে নিয়ে আমার দুঃখ হলো, উনারা আমার একদা প্রিয় ইসলামী আন্দোলনকে রাজনীতি-সর্বস্ব একটা দলে পরিণত করেছেন।

হ্যাঁ, জামায়াতে ইসলামী আজ পরিণত হয়েছে মূলত একটা রাজনৈতিক দলে, যার রয়েছে কতিপয় ধর্মীয় তথা তাত্ত্বিক বা অ-রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড। যখন আমি এই ধারায় যুক্ত হয়েছিলাম তখন থেকে যতদিন পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম, ততদিন এটিকে একটা পরিপূর্ণ ইসলামী আন্দোলন হিসাবেই গ্রহণ করেছিলাম বা দেখতে চেয়েছিলাম। যেখানে রাজনীতি হলো ওয়ান অব মেনি পয়েন্টস। নট দ্যা ফোকাল পয়েন্ট।

১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমি এই ধারায় যুক্ত ছিলাম। এ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের বিস্তারিত বর্ণনা পাবেন আমার বইটিতে। এই স্ট্যাটাসের কোনো কমেন্টে আমি এনগেইজ হবো না।

আমি কে? সংগঠন সম্পর্কে এত বড় কথা যিনি বলছেন তার পরিচয় কী? যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, তিনি ‘সমাজ ও সংস্কৃতি অধ্যয়ন কেন্দ্র’ নামক ব‍্যক্তি-উদ‍্যোগে পরিচালিত একটা নন-একাডেমিক গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। cscsbd.com – এই ঠিকানায় গিয়ে তাকে খুঁজতে পারেন। সম্প্রতি তিনি ‘মুক্তবুদ্ধি চর্চা কেন্দ্র’ নামে একটি স্বতন্ত্র উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ‘সামাজিক আন্দোলন’ এবং ‘যুক্তি ও জীবন’ নামে তার দুটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। আগ্রহবোধ করলে এগুলো এক্সপ্লোর করে দেখতে পারেন।

বুঝতেই পারছেন, ‘এত বড় কথা’ যিনি বলেছেন তিনি নিছক অলস সমালোচক নহেন। তিনি কাজে বিশ্বাসী। নো সমালোচনা বা শুধু সমালোচনা, এই দুই প্রান্তিকতার মধ্যবর্তী তার অবস্থান। সমকালীন প্রতিকূল পরিবেশ ও সর্বশেষ অপ্রত্যাশিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আপনার প্রতি উনার পরামর্শ হলো, আপনার বা আপনার দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে যেভাবেই হোক না কেন, ইতোমধ্যে সংঘটিত হয়ে যাওয়া বড় বড় সব ভুলকে অকপটে স্বীকার করে সর্বান্তকরণে বিদ্যমান বাস্তবতাকে অনুধাবন করেন। ভুলগুলো থেকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করেন। সাথে সাথে, যার যার জায়গা হতে নিজ নিজ সাধ্য মোতাবেক কর্মতৎপর হোন।

মনে রাখবেন, সত্যিকারের একজন বিশ্বাসীর জীবনে নিষ্ক্রিয়তার কোনো সুযোগ নাই। পরিস্থিতি যতই সংকটাপন্ন হোক না কেন, আল্লাহর দুনিয়া যেমন বিস্তৃত, ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে আপনার-আমার কর্মক্ষেত্রও তেমনি অবারিত। একটি পথ সাময়িকভাবে বন্ধ বা সংকুচিত হওয়ার মানে এই নয় যে আর কিছু করার নাই। যিনি কাজ করতে চান তার জন্য কাজের অনেক ক্ষেত্র এখনো উন্মুক্ত, অবারিত ও উর্বর। অক্ষমদের জন্য অবশ্য অভিযোগ ও অভিসম্পাতই সান্তনা।

যাহোক, আমাদের জন্য দোয়া করতে ভুলবেন না যেন।

ফেইসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Ahsan Habib:

জানুয়ারী ০১, ২০১৮

বসুন্ধরা, ঢাকা

সালাম নেবেন! আপনার আজকের লেখা পড়েছি!

লিংকে গিয়েও পড়লাম, পরিষ্কার করে লেখার চেষ্টা করেছেন এবং অনেক বিষয় আপনার সাথে একমত!

এ বিষয়ে আমি সরাসরি অনেককে বলেছিলাম, কেন সবরের পথ অবলম্বন করছেন না, নির্বাচনে যাওয়া কি এনাদের জন্য ফরজ!? কেউ উত্তর দেয়া প্রয়োজন মনে করেননি, শুধু আপনি ফোন করেছিলেন নির্বাচনের তিনদিন আগে, অন্যজন নির্বাচনের দিন রাতে!

আমি ব্যক্তিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশ একটা শক্তির নাম, যা আমি শিরায় শিরায় অনুভব করি। মা-বাবা কবরে, কুতুবদিয়ার বসতবাটি সাগরগর্ভে আর কিছু জামায়াত নেতার উদরে! মেয়েরা একে একে দেশ ছাড়ছে। আমিও চলে যাবো নাকি মাটি কামড়ে পড়ে থাকবো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। আমার বেঁচে থাকাটা একটু কষ্টকর হবে, এ আর নতুন কি!

আমার পরিবারে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আত্মা বিক্রি করেননি কিংবা হাত পেতে কিছুই নেননি। তাঁরা শুধু দেশের জন্য প্রার্থনায় দু’চোখ ভেজাতেন। কেউ কেউ ‘আবারও অস্ত্র হাতে নেবো’ বলে অসহায় চিৎকার করতেন। কারো লোভ কিংবা মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙ্গিয়ে খাওয়া চোখে পড়েনি। হয়তোবা তার প্রয়োজন হয়নি!

এঁদের সান্নিধ্যে থেকে সততা, দেশপ্রেম, উন্নত চরিত্র গঠনে পর্যবেক্ষণরত আমিও শক্ত বিবেকের বাঁধনে জড়িয়ে অনেকটা আপনার মতোই একসময় ইসলামী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েছিলাম ৮৬ সালে। এতদিন পর, সত্যি বলতে কি, এখন আর হৃদয়ের সাথে সম্পর্ক অনুভব করি না!

এর পূর্বে স্কুল জীবনে সম্পর্ক ছিল জাসদ ছাত্রলীগের সাথে। তা ছিল শুধু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কারণে। ১৯৭৭/৭৮ সালের দিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলাম প্রমথ চৌধুরীর নাটক ‘রাস্তার ছেলে’, এরপর আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের ‘এখনই সময়’ ও ‘সুবচন নির্বাসনে’!

সেসময় দুকূল ছাপিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়ার ডাক, সবকিছু ফেলে ধ্যানজ্ঞান স্কাউটিং, প্রেসিডেন্ট স্কাউট, ওয়ার্ল্ড ও ন্যাশনাল জাম্বুরীতে অংশগ্রহণ, খালকাটা, রাস্তাবাঁধা, বৃক্ষরোপন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, গ্রামপুলিশকে ট্রেনিং প্রদানসহ সন্ধ্যায় গানের আসর…। উনার মৃত্যুর সাথে সাথে সেইসব দুর্দান্ত দিনগুলোর অবসান হলো। এরপর আর কেউ খোঁজ নেয়নি! উনার মৃত্যুতে হতবাক হয়ে ডুবে গিয়েছিলাম বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে। শুধু বেঁচে ছিল সঙ্গীত!

যে ইসলামী আন্দোলন শেখালো ঈমান, সততা ও সময়ের ব্যবহার, এঁদেরই রাজনীতিতে দেখেছি দেয়ালের পর দেয়াল রচনা, পদস্থদের স্বেচ্ছাচারিতা, পরমতসহিষ্ণুতা। মতের কোরবানী তো নাই, বরং কতৃত্বসুলভ দেহভঙ্গি মন ভেঙে দিলো। বার বার আহত হয়েছি জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে কর্মীদের মাঝে নিজেদের সর্ববিষয়ে যোগ্য ভাবা, নিজে জানে না অথচ অপরাপর জানা লোকদের থেকে জ্ঞান নেয়া কিংবা সে বিষয়ে বন্ধ্যাত্ম ঘোচানো দূরে থাক, কেউ কিছু বলতে চেষ্টা করলে তাকে থামিয়ে দেবার মনোবৃত্তি, সর্বোপরি গণচরিত্র অনুধাবনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া, যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তে উপনীত না হতে পারা! লোভ ভয়ের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া এবং অনুশীলন ও আত্মত্যাগের উদাহরণীয় চরিত্র হয়ে না উঠা; পক্ষান্তরে অন্যান্য দলের রাজনীতিবিদদের কাছে পাত্তা না পাওয়া ,বরং তাদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞার কাছে বশ্যতা স্বীকার করা – এসব পর্যবেক্ষণ করে চুপসে গেছি!

Mohammad Mozammel Hoque: স্ট্যাটাসে এনগেইজ হবো না বলে বলেছিলাম। কিন্তু আপনার এই লেখার মত অসাধারণ কোনো মন্তব্যে সমর্থনও প্রকাশ করব না, এমনটা তো বলিনি। তাই, এই লেখার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আপনার বক্তব্যের প্রতি ১০০ ভাগ সহমত। আপনার আমার মতো মানুষদেরকেও ইনারা গণ্য করেন না, কাদেরকে যে গণ্য করেন, সেটা আল্লাহ ভালো জানেন।

Mohammad Mozammel Hoque: নতুন করে আজকে আবার শুনলাম। অসাধারণ! সেই প্রেরণা এখনো অটুট। ‘ঘুমিয়ে আছ এই মাটিতে’।

Asm Fakhrul Islam: মোজাম্মেল ভাই, এমন একটি নির্বাচনে ‘হার’-এর কারণ খোঁজা কি চূড়ান্ত প্রহসন নয়?

Mohammad Mozammel Hoque: জামায়াতে ইসলামীর প্রতি আমার পরামর্শ ছিল, “কোনো অবস্থাতেই আপকামিং ইলেকশনে পার্টিসিপেট না করা। … অন্তত ১০ বছর প্রত্যক্ষ রাজনীতি হতে দূরে থাকা।” অতএব, বুঝতেই পারছেন, এই ইলেকশনের ব্যাপারে আমার মনোভাব ছিল প্রবলভাবে নেতিবাচক।

ময়দানে মোকাবেলা করার বিষয়ে বিএনপির নেতৃত্ব জামায়াত-শিবিরের উপর নির্ভর করে ছিল। এখন বুঝা গেল, সেটি ভুল ছিল। ইতোপূর্বে শাপলা চত্বরের ঘটনাতেও একই ছকে ঘটনা ঘটেছে। আইনী মোকাবেলার পাশাপাশি ময়দানে জোরদার আন্দোলন তাজা না রাখাটা ছিল জামায়াত-শিবিরের বিরাট ভুল। অবশ্য এটি ছিল তাদের সাংগঠনিক পলিসি। এর নির্দেশদাতা ছিলেন, যতদূর শুনেছি, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। আইসিটি ইস্যুতে উনার হেদায়েত ছিলো ‘নো রেসিস্টেন্স’। বাকিটা ইতিহাস ও আজকের বাস্তবতা।

আপনাকে বিশেষভাবে সম্মান করি। সেজন্য এনগেইজ হবো না বলা সত্ত্বেও আপনার মন্তব্যের এই উত্তর।

Asm Fakhrul Islam: থ্যাংক্স। কিন্তু আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভিন্ন। সরকার যেভাবে বিরোধী নেতাদের ধরে ধরে ফাঁসি দিয়ে, বন্দী করে রেখে, কর্মীদেরকে খুন-গুম করে, ৫ বছরে একটা সমাবেশ করার অনুমতি না দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলো তারপর বিরোধীদলকে রাজপথে আন্দোলন করতে না পারার জন্য দোষারোপ করা তাঁদের প্রতি চূড়ান্ত অবিচার হয়ে যায়। বিএনপির নেতৃবৃন্দও বারবার সামনে এসে তাঁদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। বন্দুকের সামনে কোনো নিয়ম চলে না। আমি বিরোধীদলকে দোষারোপ করার অলমোস্ট কোনো কারণ পাই না। অফ কোর্স এটা গৌস ইন্টু আ লট মোর ডিটেইল। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আমি কাউকে দায়ী করলে সেটা সরকারকেই করি। বিরোধীদলের দায় সেখানে মাইনর বলে আমার ব্যক্তিগত মতামত।

Mohammad Mozammel Hoque: আপনি জানেন কিনা জানি না, আমি কিন্তু ‘আন্দোলন’ করা মানুষ। সকল মাত্রায় ও সম্ভাব্য সর্বোত উপায়ে ‘আন্দোলন করার’ অভিজ্ঞতা আমার আছে। যে অতীত বা যে ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আমি উঠে এসেছি, সেটি সামনে রেখেই, আমার নিজস্ব আন্ডারস্ট্যান্ডিং থেকে আমি যা বলেছি, সেটা হয়তো এ ধরনের বিশেষ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে যারা উঠে আসে নাই তাদের বুঝে আসার হয়তোবা কথা না। তদুপরি, এ সরকার এক দিনে ‘এ সরকার’ হয়ে ওঠে নাই। দিনে দিনে তারা সেই সুযোগ পেয়েছে এবং নিজেদেরকে আগাইয়া নিয়ে গেছে।

এ সংক্রান্ত আরেকটি কথা হলো, গণআন্দোলন যারাই করুক না কেন, যাদের পক্ষে বা বিপক্ষে সেটা হোক না কেন, আন্দোলন মাত্রেরই কিছু কমন বৈশিষ্ট্য থাকে। যেমন, ‘আন্দোলন সক্ষমতা’ এক ধরনের ধারাবাহিকতার ব্যাপার। রাতারাতি কেউ কোনো তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে না। যে কোনো গণআন্দোলনের পিছনেই থাকে বা থাকতে হয়, একটি সুসংগঠিত দলের সাহসী ও সময়োচিত তৎপরতা। জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে সবাই এটি আশা করেছিল।

Abu Abdullah MA Haque: জামায়াতের চেয়ে ভালো একটা দল গঠন করেন না কেন?

Mohammad Mozammel Hoque: হ্যাঁ, করেছি অলরেডি। কিছুদিন পরে টের পাবেন, আশা করি। তবে সেটা সঙ্গত কারণেই জামায়াতের মতো পলিটিক্যাল ক্যারেক্টারের হবে না। তারমানে হলো, জামায়াতের চশমা দিয়ে দেখলে সেটার অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন না। আর জামায়াতের চশমা খুলে যদি দেখেন তাহলে এখনই অনেক কিছু আপনার নজরে পড়বে। একটা কাজ করতে পারেন, সংক্ষিপ্ত স্ট্যাটাসটির নিচে দেয়া দীর্ঘ পটভূমিটা আবারো ভালো করে পড়তে পারেন। কিছু না দেখলে বা কিছু না বুঝলে কষ্ট করে আবারো পড়েন। বারবার পড়েন। তেমন কারও সহযোগিতা ও নিতে পারেন। তাতে করে নতুন আলোর সন্ধান পাবেন, যদি তেমন দৃষ্টিতে দেখেন।

Abdus Salam Azadi: আমার মনে হয় এই ভস্মের ভেতর থেকে জামায়াতের উঠে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। কিন্তু জানি না আমাদের বড় ভাইরা নার্ভে হাত রাখার মতো মন রাখেন কিনা। অনেক ধন্যবাদ স্যারকে

Mohammad Mozammel Hoque: শ্রদ্ধেয় সালাম আজাদী ভাই, আপনার কথার সাথে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেয়ার কর্তৃপক্ষ হিসেবে যারা আছেন তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। পর্যাপ্ত ও সঠিক তথ্য না থাকার কারণে তারা ময়দান বুঝতে পারছেন না, এমন নয়। বরং তাদের চরিত্রগত কিছু সমস্যার কারণে এমনটি হচ্ছে। ‘যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ’ – প্রচলিত এই কথাটি সংশ্লিষ্ট এই ধারার ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের জন্য প্রযোজ্য। যদিও বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এ ধরনের কথা বলাটাও নিতান্ত অশোভন।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *