অন ডেমোক্রেসি অ্যান্ড মেরিটোক্রেসি: অ্যা শর্ট কনভারসেশন উইথ মোহাম্মদ ইশরাক

মোহাম্মদ ইশরাক:

গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ইনফ্লুয়েনশাল কাজ করেছেন ড্যানিয়েল বেল। তিনি চীন ও সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন ডেমোক্রেসির চেয়ে মেরিটোক্রেসি ভালো। চারটা পয়েন্টে ড্যানিয়েল বেল গণতন্ত্রের নিন্দা করেছেন:

  1. tyranny of the majority: বেশীরভাগ সময় মেজরিটি র‍্যাশনালি কাজ করে না। লিমিটেড পলিটিকাল জ্ঞান এবং বায়াসের কারণে মেজরিটির টিরানি তৈরী হয়।
  2. tyranny of the minority: আবার গণতন্ত্রে সকলের ভোট সমান না। প্রত্যেকেই একটা করে ভোট দিতে পারে, এটা সত্য। কিন্তু বিত্তবান লোকেরা টাকা-পয়সা খরচ করে যেভাবে মানুষের ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে সেটা সাধারণের পক্ষে সম্ভব না। শক্তিশালী লবি গুরুত্বপূর্ণ পলিসিগুলা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সাজাতে প্রায়ই হস্তক্ষেপ করে। জনস্বার্থ এসব ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থেকে যায়।
  3. tyranny of the voting community: ডেমোক্রেসিতে তারাই ম্যাটার করে যারা ভোট দিতে পারে। ভোটই যেহেতু ক্ষমতার উৎস তাই ভোট যারা দিতে পারে না তারা এখানে উপেক্ষিত থাকে। বিদেশী নাগরিক, অভিবাসী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অধিকার গণতন্ত্রে তাই সংরক্ষিত না। কারণ এদের ভোটাধিকার নাই। নেতারা তাই এদের অধিকার নিয়ে কনসার্নড না। নেতারা বরং তাদেরকেই খুশী রাখে যাদের ভোট তাদের ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন হয়।
  4. tyranny of competitive individualists: গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে divisive ক্যাম্পেইন চালায় এতে করে সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। প্রত্যেকে প্রত্যেকের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করে। এতে করে জনস্বার্থ নিয়ে চিন্তা করার কালেক্টিভিস্ট যে মানসিকতা সেটা দূর হয়। এতে করে সমাজ সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক:

একই সমস্যা meritocracy’র হবে না, তার নিশ্চয়তা কী?

কথার কথা, মেরিটোক্রেসি আর অটোক্রেসির মধ্যে কিভাবে পার্থক্য করা যাবে? মানে, অটোক্রেসি যখন নিজেকে মেরিটোক্রেসি হিসেবে দাবী করবে, জেঁকে বসবে, তখন অন্যরা সেটাকে কিভাবে ডিল করবে?

আমি যতটুকু জানি, রাজনীতির জন্য তিনটা বিষয় খুব জরুরি।

এর প্রথমটি হলো ক্ষমতা কারা নিবে,

দ্বিতীয়টি হলো ক্ষমতা তারা কিভাবে পরিচালনা করবে,

তৃতীয়টা হলো ক্ষমতার পালাবদল কিভাবে হবে।

যে রাজনৈতিক তত্ত্ব বা ব্যবস্থার মধ্যে এই তিনটি বিষয়ে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নাই, আমার মতে সেটা ত্রুটিপূর্ণ।

There cannot be any ‘the best’ political theory or system। পলিটিক্স নিয়ে এটাই হলো আমার চূড়ান্ত উপলব্ধি। তবে রাজনীতির কিছু ফর্মুলা আছে। তার ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু নীতি নিয়মকানুন আছে। এক অর্থে এটা বিজ্ঞানের মতো সুনির্দিষ্ট। আরেক অর্থে এটা মানববিদ্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। রাজনীতিকে মাঝে মাঝে আমার কাছে কবিতার মতো অর্থবহ, কিন্তু অনির্দিষ্ট বলে মনে হয়।

মোহাম্মদ ইশরাক:

মেরিটোক্রেসি জনগনের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য না। কে কী চাইলো না চাইলো তার উর্ধ্বে উঠে মেধা দিয়ে সবকিছুকে জাজ করাই মেরিটক্রেসির কাজ।

অবশ্য ড্যানিয়েল বেল ডেমোক্রেসির সীমাবদ্ধতাগুলো যত ভালভাবে দেখিয়েছেন তত ভালভাবে মেরিটোক্রেসির মেরিট দেখাতে পারেন নাই। তাঁর স্যাম্পলও চীন এবং খুব বেশী হলে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এটা থ্যট এক্সারসাইজ হিসাবে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ড্যানিয়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রিবিউশন হচ্ছে ডেমোক্রেসিকে desacralize করা।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *