মতাদর্শগত করণীয়:
১. যুগোপযোগী তথা প্রাগ্রসর চিন্তার একাধিক গাইড বা মেন্টরকে অনুসরণ করা।
২. বিশেষ কোনো মডেলের পরিবর্তে আদর্শ ও মূলনীতিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া। প্রয়োজনে নিজস্ব মডেল গড়ে তোলা।
৩. ব্যক্তির বাহ্যিক পরিবর্তন ও কর্মগত পরিশুদ্ধির পরিবর্তে মন-মানসিকতা ও চিন্তার উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দেয়া।
৪. সমাজের আধ্যাত্মিক ও আঙ্গিক উন্নয়নের পাশাপাশি মজবুত বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আবহ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করা।
৫. সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যকে বাস্তব কর্মপদ্ধতি হিসাবে গ্রহণ করা।
৬. নারী সমাজ, শ্রমিক শ্রেণী ও অমুসলিম-আকীদাবিরোধী-সেক্যুলার লোকজনসহ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসমূহের ব্যাপারে ইতিবাচক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা।
সংগঠন ব্যবস্থা সম্পর্কিত করণীয়:
১. গণমুখী সংগঠন কায়েম করা।
২. পেশা, ব্যক্তিগত ঝোঁক প্রবণতা, বয়স, যোগ্যতা ও এলাকাগত অবস্থানকে বিবেচনায় নিয়ে সাংগঠনিক ইউনিট কায়েম করা।
৩. দ্বীনি ও দাওয়াতী সংগঠন, সমাজসেবামূলক সংগঠন, বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যম সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক সংগঠনসহ সব সংগঠন ব্যবস্থাকে স্বায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠা ও কাজ করার জন্য পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা (facilitate) করা।
৪. শক্তিশালী ও একক কেন্দ্রীয় সংগঠনের পরিবর্তে ‘ক্লাউড সার্ভার সিস্টেম’ বা ‘ওয়াইড গার্ডেন মডেল’ হিসাবে গুচ্ছ পদ্ধতির সংগঠন কায়েম করা।
৫. স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নৈতিকতা ও গণমুখীনতাকে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া।