এ দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসলামপন্থী যে তলে তলে আইসিসপন্থী, তা মাঝে মাঝে প্রকাশ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি কোনো এক ইসলামপন্থী ফ্যাক্টরি মালিকের পক্ষ থেকে নামাজ না পড়লে কর্মচারীদের বেতন কাটা যাওয়ার নোটিশ প্রদান করার ঘটনা এবং এই ধরনের জোরজবরদস্তিমূলক কাজের ব্যাপারে ইসলামপন্থীদের কারো কারো সমর্থন প্রদান করা থেকে এটি আন্দাজ করা যায়।

এই প্রসঙ্গে আমার এই লেখাটা পড়তে পারেন:

পাপ ও অপরাধ নিয়ে সেক্যুলার ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য

Mehzabul Hoque Nahid: স্যার, কোথায় এই ব্যাপারটা ঘটলো?

Mohammad Mozammel Hoque: খুঁজলে পাবেন। খুব সম্ভবত একটা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে। অবশ্য ইতিমধ্যে তারা ব্যাপারটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সংশোধনমূলক পাল্টা নোটিশ দিয়েছে। আমি সেটা পড়েছি তবে সংরক্ষণ করে রাখিনি

Abidul Islam Chowdhury: যে গার্মেন্টস কারখানায় তিন বেলা নামাজ বাধ্যতামূলক (বিবিসি বাংলা)।

Mohammad Mamunur Rasid Mamun: আমার জানতে ইচ্ছে করে, ফ্যাক্টরির মালিক শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন দেন কিনা।

Abubakar Siddique: ঐ ফ্যাক্টরিতে ইসলাম কায়েম হয়ে গেছে। শ্রম, শ্রমিকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো কিনা জানা গেল না। একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রে সালাত কায়েম? উনারা উপর হতে পিটিয়ে ডিমের বাচ্চা বের করতে চান। ডিমের ভিতর হতে নিজে আবরন ভেদ করে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বের হওয়ার সবর কে করে? জোর করে বাচ্চা বের করতেই হবে, তাতে বাচ্চা প্রতিবন্ধী হলে উনাদের কি!

Rafiq Bin Ali: রাসূল (সা) বলেছেন সন্তানকে ৮ বছর বয়স থেকে সালাতের তাগিদ দিতে, ১০ বছর বয়স থেকে সালাত আদায় না করলে প্রয়োজনে বেত্রাঘাত করতে। এখন রাসূলকেও কি আইসিসপন্থী বলবেন? যেই পিতা-মাতা ওই হুকুম তার পরিবারে ফলো কিংবা প্রয়োগ করে তাদেরকেও কি আইসিসপন্থী বলবেন?

(প্রশ্নগুলো অবশ্য স্ট্যাটাসদাতার প্রতি রেখেছিলাম। আপনি যেহেতু তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, তাই আপনাকেও রিপ্লাই হিসেবে দিলাম।)

Abubakar Siddique: বাচ্চার উপর বাবা-মার শাসন এবং মাতা-পিতার উপর সন্তানের দায় দায়িত্ব রাষ্ট্র বা কোন সংস্থা প্রতিষ্ঠানের উপর সমপর্যায়ের নয়। নামাজ না পড়ার কারণে কোনো কর্মচারীর বেতন কর্তন বা জেল-জরিমানা হয়েছিল কি? হলে সেই রাষ্ট্র ইসলামী না সেক্যুলার ছিল?

কারখানার মালিকপক্ষ যদি শ্রমিকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, নিজেরা শ্রমিকের সাথে দুপরের লাঞ্চ করেন, নামাজ পড়েন, ঈমাম দিয়ে নামাজের গুরুত্ব বুঝান, তালিম দেন, নিয়মিত নামাজীর জন্যে গিফটের ব্যবস্থা করেন; তাহলে সেখানে অতি সহজে, স্বেচ্ছায়, আগ্রহে সকলে নামাজী হতো। ২/১ জন না পড়লে কী করবেন? কুফরি সমাজে তাকে ইসলামী বিধানের শাস্তি দিতে পারেন না। বাবা সন্তানকে শাসন করে, স্ত্রীকেও শাসন করেন। রাষ্ট্র সেখানে নাক গলায় না।

Rafiq Bin Ali: প্রথমত, ওই ফ্যাক্টরি কোনো রাষ্ট্র নয়, সেটি মালিকের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বলতে পারেন নিজ পরিবারের মতো। এখানের নিয়মগুলোও অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে তিনিই ঠিক করবেন, রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্র দেখবে মানবাধিকার সংরক্ষণ হচ্ছে কিনা সেটি।

সৌদিতে তো আপনিও ছিলেন। সেখানে সেক্যুলার রাষ্ট্র থেকে যাওয়া মুসলমানদের জন্যেও কিন্তু সালাত বাধ্যতামূলক। এটি নিয়ে আপনিও কি কখনো প্রশ্ন তুলেছেন যে, যেহেতু সেক্যুলার রাষ্ট্রের নাগরিক, তাই তার উপরে সালাত বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়!

আর, একটি রাষ্ট্র সেক্যুলার হলেই কি আমাকে সেই অজুহাতে বলতে হবে যে, থাক যেহেতু সেক্যুলার রাষ্ট্র, তাই অমুক তমুক ইসলামী নিয়ম মানার ব্যাপারে জোর দেওয়া ঠিক হবে না! যেমন ধরুন, খুনের শাস্তি খুন। এটি ইসলামেরই বিধান। বহু সেক্যুলার রাষ্ট্রে এটি নেই। তাই বলে কি সেক্যুলারিজমের দোহাই দিয়ে আমাকে বলতে হবে যে, আগে মানুষকে বুঝানো দরকার খুন করা ভালো না (যদিও এটি কে না জানে), তারপর খুনের শাস্তি খুন নির্ধারণ করা উচিত!

ফ্যাক্টরির সুযোগ সুবিধা নিয়ে আপনি যা যা বলেছেন, আমি সম্পূর্ণরূপে একমত। এগুলো সবই ইসলামের শিক্ষার নির্যাস। কিন্তু সালাতের বিষয়টি সেখানে কর্মরত মুসলমানদের কে না জানে যে এটি ফরজ? আমি তো মনে করি বাংলাদেশের মুসলিম শিশুরা ছাড়া বাকি সকলেই জানে সালাত ফরজ। কাজেই জানা বিষয়টি অবধারিত করলে অসুবিধার কি কিছু রয়েছে?

সুদ হারাম। বাংলাদেশের অর্থনীতি সুদভিত্তিক। এখানে কি হারাম থেকে নিজেকে বাঁচাতে এবং অন্যদেরকেও বাঁচাতে আপনি আপনার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ইসলামী অর্থনীতির প্রচলন ঘটাননি? সেক্যুলার রাষ্ট্র হওয়ার পরেও নিজ আঙ্গিনায় যদি সেটি বৈধ মনে করেন, তাহলে কেউ জাহান্নামের আগুন থেকে নিজে বাঁচতে এবং অন্যদেরকেও বাঁচাতে নিজ আঙ্গিনায় সালাতের বিষয়টি নিয়মে পরিণত করলে আপত্তি কেন?

দ্বিতীয়ত, আমি মূলত হাইলাইট করেছিলাম স্ট্যাটাসদাতার ‌‘আইসিস’ শব্দটিকে। আমার স্পেসিফিক কোয়েশ্চেন রয়েছে এই শব্দের বিপরীতে। জবাবটা সেটির ভিত্তিতেই আসা বাঞ্ছনীয় ছিল।

ধন্যবাদ!

Abubakar Siddique: মোজাম্মেল স্যারের পাপ ও অপরাধ নিয়ে লিখাটি পড়তে পারেন।

Rafiq Bin Ali: জনাব, আমি ওনার লেখার সাথে পরিচিত।

একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের অনেক নিয়ম যেমন আমার দ্বীনী বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক নয়, তাই আমি সেগুলো স্বাগত জানাই। আবার অনেক নিয়ম যেগুলো আমার দ্বীনী বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক, তাই আমি সেগুলোর বিরোধিতা করি।

মোজাম্মেল সাহেবের লেখাগুলোর ব্যাপারেও আমি ওই নীতিই ফলো করি।

Mohammad Mozammel Hoque: লিংকে দেয়া লেখাটা পড়ার জন্য অনুরোধ করছি। অন্তত একবার একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। এরপর মতামত জানাবেন।

Rafiq Bin Ali: সেটি শুরুতেই বলতে পারতেন! কিন্তু আপনি যুক্তিবিদ্যার সম্মানিত শিক্ষক হয়েও যুক্তিকে যুক্তি দিয়ে খণ্ডন না করে প্রকারান্তরে আমাকে ‌‘জাহেল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আমার সরাসরি মন্তব্যের রিপ্লাইয়ে। এটি আপনার মতো একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে কামনা করি নাই।

এটি সত্য যে, আমি এখনো লিংকের নোটটি পড়ে দেখিনি। আমার প্রশ্নগুলো ছিল স্ট্যাটাসের ‌‘আইসিস’ শব্দটির প্রেক্ষিতে। নিজের বিবেককে প্রথমে যুক্তির দ্বারা প্রশ্ন করেছি, সেখান থেকে সদুত্তর না পেয়ে আপনাকে প্রশ্ন করেছি। কাউকে তাত্ত্বিক বিষয়ে প্রশ্ন করার সময় আমি সাধারণত এই নিয়ম ফলো করি।

Abubakar Siddique: যেখানে মতভেদের সুযোগ, সেখানে একমতের জরুরত নেই। আমার ধারণা কট্টর অবস্থান বুঝাতে ‌‘আইসিস’ শব্দটি এসেছে। একজন লিখলেন, দেশের সংবিধান জুতাপিটা করা মুমিনের কাজ, এক পীর সংবিধানে পেশাব করা যায় বললেন, ইসলামী দলগুলো এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করে, এক শ্রেণীর আলেম জালিম শাসকের সমালোচনায় বিমুখ। এইভাবেই তো আমাদের চলছে। চলবে। দরকার বেশি সহনশীলতা, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। তাইলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

Munir Uddin: কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সার্ভিস কন্ট্রাক্ট বা রিক্রুটমেন্ট এগ্রিমেন্টে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়ার কিংবা এর মিনিমাম রিকয়ারমেন্ট হিসেবে সালাত আদায়ের শর্ত জুড়ে দিতে পারে কিনা? এবং এর ব্যত্যয় হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রভিশন রাখলে অনৈতিক হবে কিনা? পক্ষ-বিপক্ষের লেজিসলেশন কি? – এই আলাপটি জরুরি মনে হলো।

Mohammad Mozammel Hoque: আলাপের কোনো দরকার নাই। বিষয়টা খুব ক্লিয়ার। চাকরির সাথে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হবার কোনো সম্পর্ক নাই। ইমামতির চাকরি ছাড়া। অবশ্য ইমামতির চাকরিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুমোদন করি না।

Munir Uddin: আগের কমেন্টটি আমার মতামত নয়, আলাপের সূত্র।

মর্ডান সিভিল স্টেট এন্ড ল-এর সাথে ইসলামের যৌক্তিক ও প্রায়োগিক রিলেশন, এনগেজমেন্ট ও লিমিট নির্মাণ করতে না পারলে মুসলমানদের দুর্দশা আরো বাড়বে।

সিভিল স্টেট এন্ড ল’তে ধর্ম বা বিশ্বাসগত বাধ্যবাধকতার কোনো প্রভিশন অনৈতিক। তারপরও ধরেন, এমন প্রভিশন রাখা হলো। এরপরে কিন্তু যা ঘটবে তা মারাত্মক হবে। নামাজ না পড়ার অজুহাতে বেতন কর্তন, ডিটেনশন, ডিমোশন, ওএসডি, সাসপেনশন, ফায়ারিংয়ের আরেক জুলুমের ফিরিস্তি শুরু হবে। ইসলামের নামে এ জুলুমের একটা ভিন্ন ফ্লেভার থাকবে নিশ্চিত।

Mohammad Mozammel Hoque: বিষয়টাকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করা জরুরি বলে মনে করি। আমি সাধারণত চলমান কোনো ইস্যুতে কখনো কোনো কথা বলি না বা কোনো মন্তব্য করি না। এটি লক্ষ্য করে থাকবেন। কিন্তু ভাবলাম, এই বিষয়ে কথা পরিষ্কার করে বলে দেওয়াই ভালো। বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দানে যাতে চরমপন্থীরা কোনো অবস্থান তৈরি করতে না পারে।

আপনি যে আলাপের কথা বলেছেন সেটা হতে হবে ব্যাপক পরিসরে। সে দিক থেকে আপনার কথা ঠিকই আছে। আমি যেটা বলেছি সেটা আমার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

Ahmed Kabir: সৌদিতেও নামাজ বাধ্যতামূলক, তাদেরকে আইসিসপন্থী বলবেন না স্যার?

Mohammad Mozammel Hoque: সৌদি আর আইএসআইএস, তাদের মধ্যে পার্থক্য ও বিরোধ হলো রাজনৈতিক পজিশন তথা ক্ষমতা কে পাবে না পাবে সেটা নিয়ে। চিন্তা-চেতনায় আমার দৃষ্টিতে তারা একই সমান্তরালের লোকজন।

Ahmed Kabir: ইসলামের জন্য কেউ এক পা এগুলে সেক্যুলাররা বাধা দিবে, কটাক্ষ করবেই। যদিও ওই ফ্যাক্টরিতে বেতন কাটার পরিবর্তে এক্সট্রা বোনাস দিলে অধিকতর হিকমার পরিচয় দেওয়া হতো। সেক্যুলাররা গঠনমূলক আলোচনা না করে কোন ট্যাগ লাগিয়ে কাৎ করা যাবে সেই প্রচেষ্টায় থাকে।

Mohammad Mozammel Hoque: কথায় কথায় আপনারা সেক্যুলারদের বিরোধিতা করেন কেন? আমি তো সেক্যুলারদের পোষ্য। সেক্যুলারিজমের পক্ষে। একটা সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে বেতন দিয়া পালে। তারা জানে, আমি কী করছি। তারপরও তারা আমাকে সর্বপ্রকারে বাঁচিয়ে রেখেছে।

আশেপাশে যতসব ইসলামী প্রতিষ্ঠান আছে তাদের অধীনে থাকলে এতদিনে চাকরি তো দূরের কথা, আমার জান বাঁচতো কিনা সন্দেহ। ‌‘মুক্তচিন্তা’র অপরাধে আমাকে এতদিনে তাকফীর করে ফাঁসিতে ঝোলানো হতো!

Abdullah Maroof: সরি স্যার, আর উত্তর না দিয়ে পারলাম না। বিশ্ববিদ্যালয় আপনাদের বাপের টাকায় চলে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কি কেউ শিবির বা ছাত্রদল করতে পারবে না??? সবাইকে সেক্যুলার হইতে হবে??? প্রতিটা কথার জবাব দেয়া যাইতো। আপনি মুরুব্বি মানুষ, আমরা সেক্যুলার না তো, তাই কথায় কথায় জবাব দিয়ে অভ্যাস নাই।

Abdullah Maroof: Ahmed Kabir ভাই, বাদ দেন। দিনশেষে সবাই একই ইসলামিক হইলে আপনি তাকফিরি আর নাইলে মডারেট। আর কোনো পার্থক্য নাই। স্যার তাকফিরিদের ভয় পান, অথচ আরেকজনকে উনি নিজেই আইএস ট্যাগ দিয়ে রাখসে।

অথচ এই স্যারই কোনোদিন ফেসবুকে সাউন্ড করবে না শাহজালাল হলে এক ছেলে নামায পরে জন্য ছাত্রলীগ ওকে বের করে দিসে।

আহমেদ ছফা ঠিকই বলেছিলো, বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনলে দেশ আর স্বাধীন হইতো না।

Mohammad Mozammel Hoque: বিশ্ববিদ্যালয় চলে জনগণের টাকায়। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে হতে হয় বিবদমান আদর্শ ও মূল্যবোধ নিরপেক্ষ। সেই অর্থে বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেক্যুলার।

দ্বিতীয়ত, যুক্তির কথায় ‌‘মুরুব্বী বলে বললাম না’ এ ধরনের কথাগুলো খুবই অপ্রত্যাশিত। যুক্তি থাকলে বলো। ‌‘মুরুব্বী বলে বললাম না’ এ কথা বলে এড়িয়ে যাওয়ার কী কারণ?

বিশ্ববিদ্যালয় মানে কী, এটাই তো বোঝার চেষ্টা করা উচিত সবার আগে।

Abdullah Maroof: বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন মানেটা বুঝবো স্যার??? যেটা দেখি সেটা??? নাকি যেটা কিতাবে লেখা আসে অইটা???

Ahmed Kabir: Rafiq Bin Ali, উনি নিজেকে সেক্যুলারদের দলভুক্ত রাখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

Mohammad Mozammel Hoque: হ্যাঁ, আপনাদের মতো ইসলামপন্থীদের সাথে থাকার চেয়ে নিজেকে সেক্যুলার বলার ব্যাপারে, ভাবার ব্যাপারে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

আমি একটি সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি। আমি মনে করি, সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণেই আমি আমার মতো করে এখানে ইসলাম চর্চা করতে পারছি। প্রচলিত কোনো ইসলামী প্রতিষ্ঠান আমাকে হজম করতো না।

এ কারণে আমি এই সেক্যুলার প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞ।

এবার আমাকে যা বলার এবং আমার ব্যাপারে যা করার করেন। তবে আপনাদের মতো লোকেরা কী করতে পারে, সেটা আমার জানা আছে। সেটা নিয়েই আমার এই স্ট্যাটাস। বোঝা গেছে?

Abdullah Maroof: স্যার, ঠিক যেমন আপনাদের সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয় এই রকম ইসলামপন্থীদের হজম করবে না???

আর সেক্যুলার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা চিত্র বলি স্যার। চবির হলে রামদা ধার দেয়ার দৃশ্য দেখে আমার বোন চবিতে ভর্তিই হয় নাই ভয়ে।

Mohammad Mozammel Hoque: শোনো, তোমরা শিবির করার জন্য মার খাইছো। আর নাম দিচ্ছো ইসলামের। আমাকে শিখাও? না? এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে, শিবির সম্পর্কে তোমার চেয়ে ডেফিনেটলি আমি অনেক বেশি কিছু জানি। চিন্তা করে কথা কইও।

Abdullah Maroof: (১) শিবির কোনো বেআইনী সংগঠন নয়। (২) শিবির করলে অপরাধ হইলে পুলিশে দেন। (৩) অইটা ছিল সেক্যুলারদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের দৃশ্য। ???

জিনিসটা কিন্তু এমনও না শুধু আপনি একলাই জানেন। আমার আব্বু চবির ছাত্র, আমার ছোট মামাও। উনারাও জানে, আমিও জানি।

আর আপনার সম্মানার্থে শুধু ছাত্র পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলাম, শিক্ষক সেক্যুলারদের চরিত্র এনালাইসিসে নাই বা গেলাম।

Mohammad Mozammel Hoque: তুমি বনাম আমি— বলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কে বেশি জানে? হুদাই কথা বলো! তোমার লোকদেরকে জিজ্ঞেস করো আমাকে চিনে কিনা।

Abdullah Maroof: (১) স্যার, আপনি স্ববিরোধী কথা বলতেসেন। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কথা আপনিই তুলসেন। (২) চবি সম্পর্কে কে বেশি জানেন তা আপনি বা আমি কেউ শিওর না। আর আমি জাস্ট নিজেকে জানার চেষ্টা করি আগে। (৩) স্যার, আমি কোনো পার্টি করি না। তাই আমার কোনো লোকজন নাই। আর আমার আব্বু আর মামা আপনার সিনিয়র। সো, উনারা আপনাকে চেনার প্রশ্নই আসে না। (৪) আমি আগেই বলসিলাম, আপনি মুরুব্বি মানুষ। অনেক কিছুই বলতে চাই না। আপনিই জোর করে শুনতে চাইসেন। আমার কথায় বেয়াদবি নিয়েন না।

Ahmed Kabir: জনাব, আপনি সেক্যুলার, আবার ইসলাম প্র‍্যাক্টিস করেন। ব্যাপারটা স্ববিরোধী হয়ে গেল না?

Mohammad Mozammel Hoque: হ্যাঁ, আপনার দৃষ্টিতে অবশ্যই স্ববিরোধিতা। এ নিয়ে আপনাকে ব্যাখ্যা দেয়ার ব্যাপারে আমি কোনো আগ্রহবোধ করছি না। ভালো থাকেন।

Ahmed Kabir: শিবির করলে মাইর খায় কেন? শিবিরের সাথে ব্যাবসায়িক ঝামেলা নাকি জমিজমার ঝামেলা আছে?

Mohammad Mozammel Hoque: সেটা আপনার ব্যাপার। পাল্টা প্রশ্ন করবেন না। শিবির সম্বন্ধে আমার চেয়ে আপনি বেশি জানেন না। আপনার নেতাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন আমার সম্পর্কে। তারা না জানলে তাদের ঊর্ধ্বতনদেরকে জিজ্ঞেস করেন। তারাও না জানলে তাদেরও ঊর্ধ্বতন কাউকে জিজ্ঞেস করে ‌‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাম্মেল স্যার’ সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর আগে এখানে মন্তব্য করতে আসবেন না।

Abdullah Maroof: স্যার, এইটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন যদি আগ্রহবোধ না করেন??? আপনি বলেছেন, ‍“এই পোস্টে যারাই উল্টাপাল্টা মন্তব্য করবে, তাদেরকেই উপযুক্ত রকমে ধোলাই করা হবে। এটি আমার স্বভাববিরুদ্ধ। কিন্তু এখানে আমি এটাই করবো। কারণ, এই ধরনের চরমপন্থীদেরকে এখনই মোকাবেলা করতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দান থেকে এদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। And I think I can do it and handle all the extremist….!”

Abdullah Maroof: স্যার কি শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি বা আমীরে জামাত ছিলেন??? বা মাওলানা মউদূদীর সাথে জামাতের কো-ফাউন্ডার??

Mohammad Mozammel Hoque: আমি কী ছিলাম, সেটা তো তোমাকে জানার জন্য বলেছি। তোমাকে আমার জবাবদিহি করতে হবে কেন? তোমার কাছ থেকে বেশি জানি, এটাই তো। ফাউল কথা বলতে আসবে না। One more stupid comment, you will be blocked.

Abdullah Maroof: আমাকে ব্লক করলে কি আপনার প্রবলেম সলভ হবে??? এইভাবে ব্লক করা কি ফেবু তাকফিরের নামান্তর নয়??? আমার সকল স্টুপিড কমেন্টস আসছে কথার প্রেক্ষিতে। আপনি আমাকেও ইন্ডিকেট করলেন, আমি নাকি শিবির করতাম। এরপরেও আমি আপনাকে ইন্ডিকেট করে কিছুই বলি নাই।

যাই হোক, আপনার ওয়াল আপনার অধিকার। আপনার সাথে আমার পরিচয় দর্শনে, আমি জানি না দর্শন আর এথিক্স ভিন্ন কোনো বিষয় কি না।

Mohammad Mozammel Hoque: অতএব, অফ যান। নচেৎ, বুঝতেই পারছেন।

হ্যাঁ, আমার এই ব্যবহার অপ্রত্যাশিত। কিন্তু আমি খুব ক্ষিপ্ত হয়ে আছি এই চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে। চরমপন্থা যেখানেই দেখবো সেখানেই আমি নিজেই চরমপন্থী হয়ে উঠবো। অন্তত এই পোস্টে। সেটি আগেই বলেছি। আপনারা আমার ভদ্র চেহারাটা দেখেছেন। কিন্তু ‌‘তেমন’ রূপটা দেখেননি। তাই এত কথা বলছেন।

Abdullah Maroof: (১) ফিলোসফি কোনো সমাধান দেয় না। সো, প্রত্যেকেই নিজ নিজ আইডিওলজি নিয়ে থাকবে এবং চরমপন্থাও একটা আইডিওলজি। (২) একটা তিতা সত্য বলি স্যার। আপনি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। গরিবের বউ সবার ভাবি। বাট, আমি যদি আজকে আপনার কোনো সরকার দলীয় ছাত্র হইতাম আপনি নিজেও এই হুমকি দেয়ার আগে ১০ বার চিন্তা করতেন। আপনি নিজেও জানেন, ইসলামিস্টদের বলা সোজা। কারণ, তারা উইক। (৩) আপনার দার্শনিক রূপ ছাড়া আর কোনো রূপ দেখার আগ্রহ নাই। (৪) আপনি কি দেশের আর দশটা অন্যায়ের সময়েও এমন অগ্নিমুর্তি ধারণ করেন??? না করে থাকলে হুদাই মরা ইসলামিস্টদের উপর পাওয়ার দেখানো বেকার।

Ahmed Kabir: ব্যক্তির বহুরূপ আর স্ববিরোধিতা নিজেকে কখনোই স্ট্যাবল পজিশন দিবে না। সাইকোলজি এটাই বলে, আর সাইন্স বলে উইক পয়েন্টে আঘাত করেই পেয়ার হইতে হয়। তাই উনারা নিরীহ শিবিরের উপর খিস্তিখেউড় করে, কিন্তু লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে না। ইদানীং লক্ষনীয়ভাবে তারা সেক্যুলার চর্চা করছেন, করুক আপত্তি নাই, আগেও তারা এটা করতো। একটা বাউন্ডারিতে ছিল বলে সেক্যুলার চরিত্রটা অপ্রকাশ্য ছিল, এখন প্রকাশ্য সেক্যুলারিজম চর্চা চলছে। স্যারের অধৈর্যমূলক হম্ভিতম্ভি থেকেও এটা স্পষ্ট। সময়ের অপেক্ষা, বাংলার এরদোগানরা অসম রাজনীতির মাঠে কতটা সফল হয়৷

Ahsanol Hoque: ফ্যাক্টরির বেশিরভাগ শ্রমিক নারী। আর নারীরা ঋতুস্রাব/হায়েজের কারণে নামাজ আদায় না করলে কী হবে, তাও স্পষ্ট করেনি। গরীবের পেটে লাথি মারার আরেকটা অপকৌশল বলে মনে করি। সদিচ্ছা থাকলে ১০% বোনাস দিতে পারত।

Oliur Rahman: নামাজের সাথে আইএস-এর সম্পর্ক কী? মুসলমান হলে নামাজ পড়তে হবে– এটা তো আল্লাহ বাধ্যতামূলক করছেন, ইসলামপন্থীদের দোষার কারণ কী হলো?

Mohammad Mozammel Hoque: ‌‘মুসলমান হলে’– আপনার এই কথাটা কি ব্যাখ্যা সাপেক্ষ নয়? মুসলমান হওয়া আর জন্মগতভাবেই আদমশুমারির হিসাব অনুযায়ী মুসলমান হিসেবে পরিচিত হওয়া, এই দুইটা কি এক? কেউ মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে, নিছক এই কারণে কাউকে ইসলাম মানতে বাধ্য করা, এটা কি ঠিক? ইসলাম কি বংশগত ব্যাপার, নাকি ব্যক্তিগতভাবে সঠিক মনে করা না করার ব্যাপার?

আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর ঠিক করলেই বুঝে ফেলবেন, কেন আমি এই স্ট্যাটাস দিয়েছি।

Robin Khan: ফেবুতে এর সংখ্যা প্রচুর দেখা যায় এখন। যে শাস্তি দেওয়ার কাজ রাষ্ট্রের, তা ব্যক্তি পর্যায় দিতে গেলে কেউই মেনে নিবে না, তা যতই ভালো কাজ হউক। এদিকে আমরা মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি না, কিন্তু শরীয়া কায়েম করার জন্য তৎপর, যা ইসলামের প্রতি অন্যদের ধারণাকে ভীতিকর পর্যায়ে নিয়ে যায়।

Muhammad Mostafijur: এটা করাতে যদি আইএসআই হয়। তাহলে যারা ইসলামের ফরজ মানলো না, তারা কি মুসলিম? বা নিজেদেরকে কাফের বলে কাজ করবে।

Mehedi Hasan Rana: তাহলে ইসলামিক রাষ্ট্র যদি নামাজ বাধ্যতামূলক করে দেয়, তখনও কি সেটা জোর-জবরদস্তি হবে?

Sopno Chari: এই আয়াতের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন কি?

الَّذِينَ إِن مَّكَّنَّاهُمْ فِي الْأَرْضِ أَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ وَأَمَرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَنَهَوْا عَنِ الْمُنكَرِ ۗ وَلِلَّهِ عَاقِبَةُ الْأُمُورِ

এরা এমন সব লোক যাদেরকে আমি যদি পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দান করি তাহলে এরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে।৮৫ আর সমস্ত বিষয়ের পরিণাম আল্লাহর হাতে। (সূরা হাজ্জ ২২:৪১)

Mohammad Mozammel Hoque: আপনার দৃষ্টিতে কি মনে হয়, আমার অবস্থান এই আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক? হ্যাঁ বা না বলবেন সরাসরি।

Sopno Chari: হ্যা

Mohammad Mozammel Hoque: তাহলে কুরআনের সুস্পষ্ট হুকুমের বিরোধিতা করার জন্য আমাকে কিংবা এই ধরনের ‌‘কুফরি’ যে করবে তাকে কী বলা হবে? উপরের উত্তরের মতো এক কথায় পরিষ্কার করে বলবেন, আশা করি।

Muhammad Mostafijur: আলেমদের কাছে যাও।

Muhammad Mostafijur: স্যার, যে নামাজ পড়বে না, একচুয়ালি সে কি মুসলিম?

Mohammad Mozammel Hoque: আমি কি এখানে ফতোয়ার দোকান খুলে বসেছি যে আমার কাছে জিজ্ঞেস করছো?

Muhammad Mostafijur: আপনি তো ঐ মালিকের বিরুদ্ধে ফতুয়া দিলেন। আলেমেরা এই ব্যাপারে ফতুয়া দিক।

Mohammad Mozammel Hoque: হ্যাঁ, আমি ফতোয়া দিলাম। কেউ তো আমার কাছে ফতোয়া চায়নি। আমি নিজের থেকে আমার মতো করে বললাম। তুমি যেটা ঠিক মনে করো সেটা তুমি তোমার মত করে বলো। তোমাকে নিষেধ করছে? সেটা না করে, কায়দা কানুন করে এখানে প্রশ্ন করছ কেন?

Muhammad Mostafijur: এখন কিছু বললেই তো বল্ক মারবেন।

Mohammad Mozammel: উল্টাপাল্টা কিছু বললেই নগদে ব্লক। ১০০ ভাগ কনফার্ম থাকতে পারেন। শুধু আপনাকে নয়, এ ধরনের সবাইকে। কথায় বলে, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।

Sopno Chari: স্যার, কে কুফর আর কে ঈমানদার সেটা ফতোয়া দেয়া আমার কাজ নয়, আর আমার যোগ্যতা নাই ফতোয়া দেওয়ার।

Mohammad Mozammel Hoque: আসল ব্যাপার হলো আপনি ভিতরে ভিতরে তাকফিরি মনোভাব পোষণ করেন। কিন্তু মুখ ফুটে সেটা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন, কিংবা ভয় পাচ্ছেন। আপনাদের এই মন-মানসিকতার বিরুদ্ধেই আমার সংগ্রাম।

অনুরোধ করছি, আমার এই লেখাটি পড়ে আমার সম্বন্ধে জানার চেষ্টা করবেন: এক অর্থে আমি চরমপন্থার পক্ষে

Sopno Chari: না স্যার, আপনি ভুল বুঝেছেন। আমি আপনার সব লেখা পড়ি।

Mohammad Mozammel Hoque: ‌‘এক অর্থে আমি চরমপন্থার পক্ষে’ শিরোনামে উপরে যে লেখাটার লিংক দিলাম, এইটা পড়েছেন? না পড়লে একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।

Sopno Chari: জ্বি স্যার পড়েছি।

Masud Kabir: ঘটনার পুরোপুরি সত্যতা না জেনে মিডিয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাউকে ‌‘ইসলামপন্থী বা আইসিসপন্থী’ হিসেবে ট্যাগ লাগানো ‌‘সেক্যুলার-সুশীল বনা রোগ’। আইসিস ট্যাগে দেশ আক্রান্ত হলে আপনিও নিশ্চয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আপনার কাছে আরো বিবেচনাপূর্ণ মন্তব্য আশা করি।

Mohammad Mozammel Hoque: মনে করেন, ঘটনা সত্যি নয়। কিন্তু ইস্যু বা সমস্যা, সেটা তো সত্যি। ইস্যুটি হলো,

(১) কাউকে নামাজ পড়ার জন্য বাধ্য করা যাবে কিনা।

(২) কাউকে নামাজ না পড়ার জন্য তার মজুরি কাটা যাবে কিনা।

Masud Kabir: স্যার, আমি ছোট একটি রপ্তানী প্রতিষ্ঠান চালাই। আমার অভিজ্ঞতা হলো–

১। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয়/সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। গড়ে প্রায় ১০ ঘন্টা সময় একজন শ্রমিক কারখানায় সময় দেয়। কুরআন তেলাওয়াত, ওয়াজ, গানসহ নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে তারা কাটায়। আর উৎপাদন ও পরিবেশের স্বার্থে পিএম/জিএমরা তার ব্যবস্থা করে দেন। মালিকদের কাছে পজিটিভলি উপস্থাপন করেন, তাতে তারাও সহযোগিতা করেন।

২। মজুরি কাটার সমর্থন আমি করি না। কিন্তু এই বাড়াবাড়িটা মালিক হয়তো করেননি তা ধারণা করা যায়। এটা সর্বোচ্চ ইনচার্জ বা সেকশান ম্যানেজার করে থাকতে পারেন, যাদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত/অর্ধশিক্ষিত। কারণ, মাসে এমন একটা ফ্যাক্টরিতে বেতন-মজুরি মিলিয়ে প্রায় ১৫/২০ কোটি টাকার মতো পরিশোধ করতে হয়, যার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে মিড ম্যানেজম্যান্টের হাতে। মালিক জানেনও না, এ মাসে কত জনের বেতন কর্তন হয়েছে, কী কারণে।

বিষয়টি যেভাবে কভার করা হচ্ছে এতে করে ফ্যাক্টরিগুলোতে ধর্মীয় পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে। এখন বেশিরভাগ মালিক এই সুযোগে নামাজের ব্যবস্থা সংকোচন করে দিতে পারেন, কিংবা যারা আগ্রহী তাদেরকে নিরুৎসাহিত করবেন। এটা দুঃখজনক।

আইসিসের মতো ‌‘জঘন্য’ শব্দ এই কর্মকাণ্ডের সাথে আরোপ করা কতটুকু যৌক্তিক, তার বিবেচনা ভার আপনার কাছে।

Mohammad Mozammel Hoque: আমার কাছে মনে হয়েছে, ‌‘আইএসআইএস’ শব্দটি ব্যবহার করা সঠিক হয়েছে। আপনার কাছে সেটা মনে নাও হতে পারে। চরমপন্থী হিসেবে লোকজন কিছু কিছু লোককে আইডেন্টিফাই করে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অনেকেই মন-মানসিকতায় চরমপন্থী। আমি এটাই বলার চেষ্টা করেছি।

Masud Kabir: জ্বি। ইসলামকে চরমপপন্থী বুঝাতে বর্তমানে ট্রাম্প, নেতানিয়াহু, মোদীসহ পশ্চিমা মিডিয়াগুলোও ঢালাওভাবে আইএসআইএস ব্যবহার করে। আপনার চেষ্টার সাথে যেন তাদের প্রচেষ্টা একীভূত না হয়, সেই দোয়া করি।

Rafiq Bin Ali: রাসূল (সা) বলেছেন সন্তানকে ৮ বছর বয়স থেকে সালাতের তাগিদ দিতে, ১০ বছর বয়স থেকে সালাত আদায় না করলে প্রয়োজনে বেত্রাঘাত করতে। এখন রাসূলকেও কি আইসিসপন্থী বলবেন? যেই পিতা-মাতা ওই হুকুম তার পরিবারে ফলো কিংবা প্রয়োগ করে তাদেরকেও কি আইসিসপন্থী বলবেন?

Mohammad Mozammel Hoque: সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়াকে আমি জরুরী বলে মনে করি না। ধন্যবাদ। ভালো থাকেন।

Rafiq Bin Ali: জনাব শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। আপনি যেভাবে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, আর সেই প্রেক্ষিতে আমি যে প্রশ্নগুলো করেছি, এরপরে আপনার জবাব দেওয়ার কিছু থাকলেই তো দিবেন!

ওই ফ্যাক্টরি কোনো রাষ্ট্র নয়, সেটি মালিকের নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বলতে পারেন নিজ পরিবারের মতো। এখানের নিয়মগুলোও অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণে তিনিই ঠিক করবেন, রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্র দেখবে মানবাধিকার সংরক্ষণ হচ্ছে কিনা সেটি।

Mohammad Mozammel Hoque: no more engagement with you. thank you very much. আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা যখন জাহেলদের মোকাবেলা করবে তখন সালাম দিয়ে কেটে পড়বে। অতএব, আপনাকে একটা বিরাট সালাম। ভালো থাকেন। এরপর আবার গায়ে পড়ে হেদায়েত করতে আসলে নগদ ব্লক। তারপর আবার বলবেন না যে আমি এসব কথা বলছি এজন্য আমাকে ব্লক করা হয়েছে

Munir Uddin: ‍“কিছু গোঁড়া জঙ্গি সংগঠন ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য বর্তমান গোটা বিশ্বে যে নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তা ইসলামী প্রতিষ্ঠানসমূহে চর্চিত ও ইসলামবাদী রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ কর্তৃক রাত দিন প্রচারিত ত্রুটিপূর্ণ আদর্শবাদের কুফল।

ইসলামকে ভিত্তি করে মুসলিম সমাজে সৃষ্ট এ নৈরাজ্যের সংশোধন ধর্মবিবর্জিত (সেকুলারিজম) পন্থায় হবে না। বরং প্রচলিত ইসলামিক ন্যারেটিভের একটি কাউন্টার ন্যারেটিভ (প্রতিতত্ত্ব) উপস্থাপনের মধ্যেই এর সমাধান নিহিত রয়েছে।”

– গামিদী।?

Mohammad Mozammel Hoque: এই পোস্টে যারাই উল্টাপাল্টা মন্তব্য করবে, তাদেরকেই উপযুক্ত রকমে ধোলাই করা হবে। এটি আমার স্বভাববিরুদ্ধ। কিন্তু এখানে আমি এটাই করবো। কারণ, এই ধরনের চরমপন্থীদেরকে এখনই মোকাবেলা করতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দান থেকে এদেরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। And I think I can do it and handle all the extremist….!

MD Jahidur Rahman Naim: একজন শিক্ষকের ব্যবহারের নমুনা হচ্ছে এটা??

Mir Farhad: সেক্যুপন্থী শিক্ষক থেকে এর বেশি কি আশা করবেন? জাফর ইকবালের ভাইরা ভাই, এক্টু ইসলামিক ফ্লেবারে আর কি!!!

Muhammad Mostafijur: হাটহাজারির আলেম, অথবা মক্কা-মদীনার আলেমরা এই ব্যাপারে কি ফতোয়া দিয়েছেন, জানেন?

Mohammad Mozammel Hoque: আমি তো সেটা জানতে চাইনি। কেন আমাকে প্রশ্ন করছো?

তোমার কাছে যদি সেই ফতোয়াগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় সেগুলোকে নকল করে তুমি পাবলিসাইজ করো। কেউ তো তোমাকে নিষেধ করিনি। কার সাথে কী বিষয়ে কথা বলছো, হিসেব-নিকেশ করেই বলবে।

Abul Khaer: ‍“তাহলে দেখা যাচ্ছে, যে ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আমরা পাপ ও অপরাধের মধ্যে পার্থক্য করছি, সেই ভিত্তিটা কিন্তু আল্টিমেটলি আমাদেরকে ইসলামী প্যারাডাইম থেকে সরিয়ে সেক্যুলার প্যারাডাইমে নিয়ে যায়।”

আপনার আলোচনা অহেতুক দীর্ঘ।

ইসলামে বান্দার হকের ব্যাপারে শক্তি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে আর আল্লাহর হকের ব্যাপারে দাওয়াতের কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে ধর্মের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্র কোনো আইন করতে পারে না। কিন্তু প্রয়োজনে নৈতিকতা বরখেলাপ থেকে রক্ষার জন্য কোনো আইন করলে বা করতে হলে তার জন্য ধর্মের অজুহাতের দরকার নাই, সোশ্যাল ওয়েলবিংয়ের নামে সেটা করবে। কারণ ‌‘পাপের’ কারণে কাউকে শাস্তি দেওয়ার কথা ইসলামে নাই। তাই ইসলামের নামে করলে তা ইসলাম সম্মত হবে না।

Mohammad Mozammel Hoque: তারমানে, আপনি দীর্ঘ লেখাটা পড়েছেন?

Abul Khaer: হমম।

Khandaker Raquib: আইসিসপন্থী বলে নির্বিচারে মুসলমানদের সরলীকরণ সিকিউরিটাইজেশন অব ইসলামের জমানায় খুব নিন্দনীয় ব্যপার স্যার। নিন্দা জানায়ে রাখলাম।

Mohammad Mozammel Hoque: নিন্দিত হয়ে খুশি হলাম। কারণ, আপনি অকপটে কথাটা বলেছেন।

আপনাদের মতো পেশাদার সমাজতাত্ত্বিকদের সাথে এনগেইজ হওয়ার এইটা হলো একটা সমস্যা। আপনারা সবগুলো বিষয়কে দেখেন, বিশেষ করে বর্তমানে আধিপত্যশীল পাশ্চাত্য সভ্যতা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ইত্যাদির দৃষ্টিতে। আর আমরা হলাম সমাজ নিয়ে সচেতন, কিন্তু সেরকমভাবে পাশ্চাত্য একাডেমিয়ার দৃষ্টিতে সমাজ ও রাষ্ট্রকে দেখি না। বরং সাদামাটাভাবে যেটা মনে হয় সেটাকেই সঠিক মনে করি। আপনাদের দৃষ্টিতে আমাদের এই জেনারালাইজেশন অবশ্যই ত্রুটি। সেইটা স্বীকার করি।

Mahmudur Rahman: স্যার, ওয়াল্লাহি। আপনাকেই বেশি পাশ্চাত্যের চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হতে দেখছি।

Mohammad Mozammel Hoque: পাশ্চাত্য চিন্তাধারা আমার ভালো লাগে। তবে আমি পাশ্চাত্য চিন্তাধারার যে একাডেমিক লাইন, একাডেমিয়া বলতে যা বোঝায়, সেটার অনুসারী নই। পাশ্চাত্য চিন্তাধারার অনেক কিছুর সাথে আমি ইসলামের মিল খুঁজে পাই। আমি ‌‘বোকো হারাম’-এ বিশ্বাস করি না। উল্লেখ্য, বোকো হারাম মানে, পাশ্চাত্যের যা কিছু, তা হারাম– এমন চিন্তাধারা। এটি একটি নাইজেরিয়ান উগ্রপন্থী দলের পরিভাষা।

Muhammad Nurullah Tarif: স্যার, আপনার অনেক পোস্ট এড়িয়ে যাই। সবসময় পারি না। মাফ করবেন। যদি এই পোস্টের মতো অভিমত দিয়ে আলেমদেরকে, দ্বীনদারদেরকে, সর্বস্তরের মুসলিমদেরকে কষ্ট না দিতেন। আপনার বিশেষায়ন দর্শন। তারপরেও ইসলাম নিয়ে লিখবেন, মত প্রকাশ করবেন। কোনো আপত্তি নেই। তবে দয়া করে সঠিক কথা লিখুন। জাকির নায়েক ডাক্তার। কিন্তু কত মহান অবদান রাখছেন। বিশ্বব্যাপী আলেমগণ তাঁর অবদানকে স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু আপনি কেন ভুল দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করবেন!! নামায ইসলামের বাধ্যতামূলক ইবাদত। নামায বর্জন করা ইসলামে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে ব্যক্তি নামায পড়ে না তার বিধান সম্পর্কে ফিকাহবিদ আলেমগণের যে কয়েকটি অভিমত আছে এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন অভিমত হলো: কাফের হিসেবে তাকে হত্যা করা হবে। এর চেয়ে শিথিল অভিমত হলো: তাকে শাস্তিস্বরূপ হত্যা করা হবে। সর্বাধিক শিথিল অভিমত হলো: তাকে আটক করা হবে। দেখুন: https://islamqa.info/bn/answers/2182/ ও https://islamqa.info/bn/answers/5208/। আপনি তো স্যার ইসলাম কায়েমের পক্ষে বলেন। সে হিসেবে আপনি তো নামায পড়ানোর তাগিদমূলক এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর কথা। (গার্মেন্টসের মালিকপক্ষ জানিয়েছে, বেতন কাটার কথা তারা তাগিদ দেয়ার জন্য বলেছে।) তা না করে আপনি এ উদ্যোগের সমালোচনা করছেন। খারেজি আইএস-এর সাথে সম্পৃক্ত করে এ উদ্যোগকে বিতর্কিত করছেন। তাহলে স্যার, আপনি কোন ইসলামের দিকে ডাকছেন? যেটা কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক ইসলাম, নাকি আপনার চিন্তাপ্রসূত ইসলাম?

Mohammad Mozammel Hoque: সেটা আপনার বিবেচনা। আমার ব্যাপারে আপনি কি অভিমত পোষণ করবেন সে ব্যাপারে আমি কেন বলতে যাবো। আমি আমার কথা বলেছি। এই আর কি। আপনি আপনার কথা বলেন। এই বলাবলি এবং করাকরি, এই সুযোগটা অব্যাহত থাকুক, আমি এটি চাই।

লেখাটির ফেইসবুক লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *