প্রেক্ষিত: চবি’র ভর্তি পরীক্ষা

প্রতি বছরের মতো এবারও, আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ওরশের মতো করে ভর্তি-পরীক্ষার ‘মহোৎসব’ চলছে। ফ্যাকাল্টিসমূহের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা বছরের পর বছর ধরে পূর্বতন লিস্ট কপি করে ইনভিজিলেশনের চিঠি পাঠায়। দেখা যায়, নির্দিষ্ট একটা কক্ষে একই শিক্ষকগণ বহু বছর ধরে ডিউটি করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল অন্য বিভাগের এক সহকর্মীর সাথে একটি ভর্তি পরীক্ষার ডিউটি করলাম। যে কোনো রকমের অসদুপায় অবলম্বনের বিষয়ে আমার ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতির বিষয়ে তিনি বহু বছর হতেই ভালোভাবে অবহিত। প্রসংগক্রমে ভর্তি পরীক্ষায় কোয়ালিটি ইনভিজিলেশন নিশ্চিতকরণ নিয়ে আমার ইতোপূর্বে দেয়া নোটের বিষয়ে তাঁর সাথে কথা হলো। তা ছিলো মূল পরীক্ষা শুরু হওয়ার পূর্ববর্তী প্রস্তুতি-পর্বে। সাড়ে দশটা হতে এগারোটার মাঝে। অনেক কথার মাঝে তিনি এ কথাও বললেন যে, অনেক রুমেতো অনুরূপ কড়াকড়ি বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আপনার কড়াকড়ি বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বাদবাকীদের সাথে একটা imbalance situation ক্রিয়েট করছে না? এরই প্রেক্ষিতে উনার সাথে আইন ও নৈতিকতার আন্ত:সম্পর্ক নিয়ে আমি কিছু কথা বলেছি, যা নিয়ে আজকের এই নোট।

জীবনবোধ ও নৈতিকতা

জীবনবোধের ভিত্তিতে নৈতিকতা গড়ে উঠে। এর মানে, নৈতিকতা হলো জীবনবোধের অপর নাম। জীবনবোধের যে পার্থক্য আমরা দেখতে পাই তা অনেকটাই প্রায়োগিক ও উপরিকাঠামোগত। মানুষের জীবনবোধের মৌলিক দিকগুলো অভিন্ন প্রকৃতির। সেগুলো বিকাশের মাত্রাভেদই মানুষে মানুষে বিভাজন বা মতদ্বৈততার সৃষ্টি করে। আইন হচ্ছে নৈতিকতাবোধ বা সংক্ষেপে নৈতিকতার প্রায়োগিক দিক। জীবনবোধ ও নীতিবোধ সবার সমান হয় না বলেই আইনের সৃষ্টি ও প্রয়োগের প্রসংগ। নৈতিকতা ও আইন – এতদুভয়ের বৈধতা (excuse or legitimacy) হলো সত্যতা ও ভালোত্ব (truth & goodness)। অতএব, যা ‘ভালো’ তা-ই নীতি ও আইনসম্মত হয়ে থাকে বা হওয়া উচিত।

ভালো বলতে কী বুঝায়?

ভালো (good) কী? মজার ব্যাপার হলো, ‘ভালো’র কোনো ভালো definition আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নাই। তার মানে, ভালো তার নিজ গুণে তথা অন্তর্গতভাবেই (intrinsically) ভালো। ভালো নিয়ে এ রকম গোলমেলে অবস্থার কারণে আইন বানাতে হয়। অর্থাৎ সত্য ও ভালো বলতে আমরা যা বুঝেছি তার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যা করণীয় তাকে একটা স্পেসিফিক বা ব্রড বাউন্ডারীর মধ্যে লোকেইট করতে হয়। এই দৃষ্টিতে, আইন হলো চাপিয়ে দেয়ার তথা বাধ্যবাধকতার বিষয়। অন্যদিকে নৈতিকতা হলো গড়ে ওঠার বা স্বত:স্ফূর্ততার বিষয়। authority ছাড়া আইন অচল। এর বিপরীতে নৈতিকতার ক্ষেত্রে authority হলো ‘dogmatism’ এর পরিচায়ক। অতএব, অপ্রাংগিক। একটি আইনের যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও নৈতিক ভিত্তি তা সংশ্লিষ্ট সব মানুষের মধ্যে সমানভাবে থাকে না। কারণ মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি ও জীবনবোধ depthnessএর দিক থেকে সমান নয়।

Precision through quantification

ভাষা দর্শনে Precision through quantification বলে একটা কথা আছে। মনে করুন, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আপনার স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয়। তাই আপনি Air Conditioner এ ২০ ডিগ্রি ফিক্স করে দিলেন। রুমের তাপমাত্রা এর বেশি হলে AC ‘মনে করবে’ এখন গরম। তখন সে ঠাণ্ডা বাতাস চালু করে দিবে। আবার রুমের তাপমাত্রা যখন কুড়ির কম হবে তখন এসি গরম বাতাস নিঃসরণ করবে। AC’র কি গরম-ঠাণ্ডার অনুভূতি আছে? না নেই। তৎসত্বেও সে উষ্ণতা ও শীতলতাকে নির্ধারিত (given) কোয়ান্টিফিকেশনের মাধ্যমে প্রেসাইসলি ডিটারমাইন করে। ব্যক্তির intrinsic feeling, দার্শনিক পরিভাষায় যাকে ‘qualia’ বলা হয়, তা না থাকা সত্বেও air condition system কোনো কক্ষের শীতলতা ও উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাথমিকভাবে নৈতিকতার ভিত্তিতে তৈরী করা আইনই তেমনিভাবে মানুষের বাস্তবজীবনকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।

নৈতিক প্রেরণা ও নৈতিকতার মর্যাদা

নৈতিকতার তাত্ত্বিক মর্যাদা আইনের উপরে। যদিও প্রায়োগিক দিক থেকে আইনই একমাত্র বিবেচ্য। বলাবাহুল্য, আইনের আওতার মধ্যে প্রদত্ত অবকাশ (flexibility) ও বিকল্প-বিশেষকে গ্রহণ করাটা আইনকে অতিক্রম করে যাওয়া বুঝায় না। সংশ্লিষ্ট আইনের পেছনে যে নীতিবোধ থাকে তার প্রশস্ততার (partial indeterminism) কারণেই এহেন অবকাশ বা সুযোগ দেয়া হয়। আমরা নীতিবোধ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হবো। এতটুকুই। আইন দ্বারা উদ্বুদ্ধ হওয়ার কিছু নাই। আইন মানতে হবে। আইন মানার মাধ্যমে নীতিবোধের লংঘন অথবা নৈতিকতার দাবী পূরণ করতে গিয়ে আইনের লংঘন – এমনটি হয়, হতে পারে। আমরা দেখি। যদিও আইন ও নৈতিকতার সম্পর্ক পরিপূরক হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

নৈতিক আচরণের অপর নাম ‘আইন’

আইন ও নৈতিকতার ইতিবাচক সম্পর্কের বিষয়ে ওপরে বলা হয়েছে। একজন নৈতিকতা সমৃদ্ধ ব্যক্তি স্বত:প্রণোদিত হয়েই অর্থাৎ তাঁর নীতিবোধের কারণেই আইনানুযায়ী চলবে। এমনকি আইনটি লেখা না থাকলেও। বলবৎকারী কর্তৃপক্ষ না থাকলেও। সে ক্ষেত্রে তা হলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নীতিবোধ নি:সৃত আচরণ (code of conduct)। তাই কোনো আইনের পেছনে যে বিবেচনাবোধ বা সংশ্লিষ্ট আইনের ফাউন্ডেশান হিসাবে যে নৈতিক-প্রেরণা তা উক্ত জনপদের লোকজন যত বেশী ধারণ করবে সে আইন তত নির্বিঘ্নে পালিত হবে। এসব হলো আইন ও নৈতিকতার ইতিবাচক সম্পর্কের দিক। আইন ও নৈতিকতার একটি নেতিবাচক সম্পর্কের দিকও আছে। যা বলার জন্যই এই লেখা।

আইন ও নৈতিকতা মিউচুয়্যলি এক্সক্লুসিভ, এজওয়েল !?

অপর এক দৃষ্টিতে, আইন ও নৈতিকতার একটি অত্যন্ত নাজুক ও নেতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান। তা হলো এটি এক ধরনের বিপরীত অনুপাত সম্পর্ক। বিপরীত অনুপাত সম্পর্ক হলো এমন, এর একটি যে পরিমাণে বাড়বে অপরটি সে পরিমাণে কমবে। নৈতিকতার দাবী পূরণ করতে গিয়ে আইনের বরখেলাফ কিংবা আইন রক্ষা করতে গিয়ে নৈতিকতা লংঘন হতে পারে বলে ওপরে বলা হয়েছে। সে বিষয়ে আমি কথা বাড়াচ্ছি না। আইন ও নৈতিকতার বিপরীত অনুপাত সম্পর্কের প্রমাণ হলো, দেখবেন, কোনো বিষয়ে আইনে প্রদত্ত সর্বোচ্চ অবকাশকে গ্রহন করা হলো নৈতিকতার দাবী হিসাবে যা করণীয় তার (মানগত দিক থেকে) সর্বনিম্নকে গ্রহণ করার নামান্তর। যদি তাই হয়, তাহলে, আইনগত দিক থেকে সর্বোচ্চ সীমায় থাকাটা নৈতিকতা বিবেচনায় সর্ব নিম্নে অবস্থান করাকেই নির্দেশ করে। যিনি নৈতিক দিক থেকে যত বেশি দূর্বল তিনি আইনের নানাবিধ অসংগতি ও ফাঁক-ফোকরকে তত বেশি খুঁজে বেড়ান, আঁকড়ে ধরেন। আইনের দোহাই দিয়ে তিনি নীতিবোধের ঘাটতিকে ঢাকার চেষ্টা করেন। তাই norms & principles যাদের মধ্যে প্রবল তাদের জন্য খুব বেশি rules & regulations-এর দরকার পড়ে না। আইন তথা rules & regulations হলো মূলত: norms & principles এর দাবী বা ফল(শ্রুতি) – এ কথাটা যতখানি সত্যি, norms &principles এর ঘাটতি বা অনুপস্থিতিই rules &regulations এর উদ্ভব বা উপস্থিতির কারণ – এ কথাটাও ততখানি সত্যি। কী ‘গোলমেলে’ ব্যাপার, তাই না?

সত্যতা ও প্রমাণের দ্বন্দ্ব

আইন চলে প্রমাণ দিয়ে, উদ্ধৃতি দিয়ে, যাকে আমরা evidence বলি। আইনের ভিত্তি যে যুক্তি (argument) সেখানে প্রমাণ কিংবা উদ্ধৃতি-উদাহরণগত যুক্তি অচল। আইনের ভিত্তিগত যুক্তি তথা নৈতিকতার ক্ষেত্রে সত্যতা বা ভালোত্বই হচ্ছে একমাত্র যুক্তি। তাই আইনের যুক্তি আর নৈতিকতার যুক্তি এক নয়। কোনো মার্ডার কেসকে এক্ষেত্রে আমরা উদাহরণ হিসাবে নিতে পারি। মনে করুন, কেউ ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। তার পাশে রক্তমাখা ছুরি হাতে কাউকে পাওয়া গেলো। অতএব, সে-ই খুনী? হতে পারে, সে ব্যক্তি মূলত: একজন রেসকিউয়ার। যার যার সাথে নিহত ব্যক্তির তেমন শত্রুতা ছিলো তাদের কেউ তার হত্যাকারী হতে পারে। হতে পারে, সত্যিকারের খুনীকে আইডেন্টিফাই করা গেলো না বা তাকে আইনের আওতায় আনা গেলো না। কোনো নিহত ব্যক্তির হত্যাকারীকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এমতাবস্থায় আপনি বলতে পারবেন না যে, সে আদৌ মরে নাই, বা সে আত্মহত্যা করেছে। তার মানে হলো, truth এবং evidence সবসময়ে এক (consistent) হয় না। যদিও সচরাচরভাবে evidence মাত্রকেই truth-based মনে করা হয়। evidence হলো আইনের বিষয়। truth হলো নৈতিকতার বিষয়।

রাজার পুকুরে এক ঘটি দুধ ঢালার উদাহরণ

ভর্তি পরীক্ষার যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম তা দিয়েই শেষ করি। উক্ত সহকর্মী যেমনটা বললেন। অনেক রুমে তেমন কড়াকড়ি হচ্ছে না। অথচ নির্দিষ্ট কেউ কোনো কোনো রুমে কেন কড়াকড়ি করছেন? এতে কি ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর in a sense এক ধরনের ‘injustice’ হচ্ছে না? নৈতিক দিক থেকে এর উত্তর হলো, ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য নিয়মিত পরীক্ষার মতো নয়। এটি একটি বাছাই পরীক্ষা। এখানে অন্যায়ভাবে কেউ যতটুকু আগাবে অপরাপর প্রত্যেক প্রতিযোগি ব্যক্তিগতভাবে ঠিক ততটুকু পিছিয়ে যাবে। অন্যান্য নিয়মিত ও সাধারণ পরীক্ষায় কারো বেশি নম্বর পাওয়ার কারণে অন্য কারো নম্বর কমে না। কেউ এগিয়ে যাওয়ার কারণে কেউ পিছিয়ে যায় না। ফার্স্ট-সেকেন্ড-থার্ড এর সিরিয়ালিটি যা করা হয় তা প্রতীকি ধরনের।

আইনগত দিক থেকে উক্ত প্রশ্নের উত্তর হলো, রাজার পুকুরে দুধ ঢালার মতো। এক রাজা তার প্রজাদের হুকুম দিলো, সবাই যেন নির্দিষ্ট একদিন ভোরে এক ঘটি করে দুধ উনার প্রাসাদ-সংলগ্ন একটা শুকনো পুকুরে ঢালে। প্রত্যেকেই ভাবলো, আমার এক ঘটি দুধ না ঢাললেই বা কী! সবাইতো ঢালবে। রাজার হুকুম বলে কথা! নির্দিষ্ট দিন দেখা গেলো, রাজার পুকুর দুধ-শুন্য। কারণ, প্রত্যেকেই এমটি ভেবেছে …! বিপুল-সামষ্টিক কোনো বিষয়ে আইন মানা না মানার ব্যাপারে প্রত্যেকেই ভাবতে পারেন, আমি না মানলে কী আর আসে যায়। বা, অনেকেই মানছে না, আমি না মানলে কী আর হবে। দেখুন, এভাবেই কিন্তু lawlessness এর মতো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে। lawlessness মানে কিন্তু law না থাকা নয়। বরং রিটেন বা কনভেনশনাল law থাকা সত্বেও এর যথাযথ, বা ন্যূনতম প্রয়োগ (আমল) না থাকাই হলো সত্যিকারের lawlessness ।

Morality is always personal. ‘Collective morality’ is a fallacy

যেখানে আইন আছে কিন্তু বলবৎকারী (শক্তিশালী) কর্তৃপক্ষ নাই সেখানে ব্যক্তিবর্গের নৈতিকতার মানই ভরসা। সেখানকার লোকদের সামনে আইন অনুমোদিত সর্বোচ্চ সুযোগকে গ্রহণ করে নৈতিকতার সর্বনিম্ন মানে অবস্থান করবেন, নাকি আইনের মৌলিক দাবী বা মূল অপশনকে গ্রহণ করে নৈতিকতার সর্বোচ্চ মানকে বজায় রাখবেন – এরকম একটা প্রশ্ন এসে যায়। ভর্তি পরীক্ষাসহ সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা মাষ্টারেরা যে অফুরন্ত ফ্রিডম এনজয় করি, সেসব ক্ষেত্রে এই প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক। অধিকাংশ সহকর্মীকে দেখি, নিম্ন নৈতিক মানের হওয়া সত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায়শ:ই তাঁরা আইনে অনুমোদিত সর্বোচ্চ সুযোগকে গ্রহণ করার জন্য তৎপর । তাদের দৃষ্টিতে আমি অতি-সরল, বোকা ও কিছুটা ক্ষ্যাপাটে । এসব ভাবলে মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে!! আইন তার গঠনগত দিক থেকে সামষ্টিক চরিত্রের হওয়া সত্বেও নৈতিকতা একটা ব্যক্তিগত বোধের বিষয়। তাই তথাকথিত ‘collective morality’র নামে আমরা সুবিধাপ্রাপ্তির সহজাত নির্দোষ প্রবণতার সাথে ‘সুবিধাবাদিতা’কে গুলিয়ে ফেলছি কিনা, ভাবতে হবে।

আইন ও নৈতিকতার ব্যাপারে ইসলাম কী বলে?

ইসলামী-অনৈসলামী, আস্তিক-নাস্তিক, রাজনৈতিক-সুশীল, নারী-পুরুষ, সেক্যুলার-ফ্যানাটিক নির্বিশেষে আমাদের বিরাট অংশই আইনের সুবিধা নিয়ে অনৈতিক সুবিধাবাদিতা চর্চা করার ব্যাপারে কঠোরভাবে ‘শান্তিচুক্তিবদ্ধ’। ইসলামের দিক থেকেই যদি দেখি, আইন হচ্ছে নিছক দুনিয়াবি বিষয়। আখিরাতে নৈতিক আইনের ভিত্তিতেই সব বিচার-আচার হবে। ইসলামে collective rationality বলে কিছু নাই। দৃশ্যত: collective rationalityর কোনো বিষয়ে আপনি আমি ব্যক্তিগত কী করছি, বা করবো, তা-ই মূল বিষয়। দায় বা accountability বলে যে জিনিস আছে, তা, ইসলামের দৃষ্টিতে, সদা-সর্বদাই ব্যক্তিগত। ইসলামপন্থীদের যদি ‘তুয়াদ্দুল আমা-নাতা ইলা আহলিহা’র [‘আমানতসমূহকে প্রাপ্য ব্যক্তির নিকট পৌঁছানো নিশ্চিত কর’ – আল কোরআন] ব্যাপারে আন্তরিক দেখতাম, খুশী হতাম!!! মেরে দেয়া, চালিয়ে দেয়ার ব্যাপারে দেখছি, সবাই তলে তল খালতো ভাই ……

Similar Posts

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *