প্রশ্ন: “আসসালামু আলাইকুম স্যার। আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন করতে চাচ্ছিলাম। আমরা অনেক সময় দেখি থাকি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়। যেমন– ‘rationality’র অস্তিত্ব আছে কিনা? ‘freedom’ বলে কিছু আছে কিনা? ‘justice’ বলে কিছু আছে কিনা?
জর্ডান পিটারসনও এ রকম প্রশ্ন করে থাকেন নাস্তিকদের। আমি জানতে চাচ্ছিলাম, এসব টপিক কি গায়েবের মতই metaphysical?”
একটু আগে ফেইসবুকের মেসেঞ্জারে এক পাঠকের উপরোক্ত প্রশ্নের আলোকে তাৎক্ষণিকভাবে এই উত্তরটা দিয়েছি:
যে কোনো বিষয়ই অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিকসের আলোচনার মধ্যে আসতে পারে। অধিবিদ্যা বা মেটাফিজিকস হচ্ছে কোনো বিষয়কে তাত্ত্বিক বা অন্তর্গত দিক থেকে দেখার চেষ্টা করা। এই অনুসন্ধান প্রচেষ্টা বৃহত্তর পরিসরে হলে আমরা তখন সেটাকে বলি কসমোলজি। এবং যদি কোনো বিষয়কে যথাসম্ভব ক্ষুদ্রতর বা উৎপত্তিগত দিক থেকে দেখার চেষ্টা করা হয় তখন সেটাকে আমরা বলি অন্টোলজি।
Ontology এবং cosmology এই দুইটা নিয়ে হচ্ছে মেটাফিজিকস। যে কোনো বিষয় এই ধরনের তাত্ত্বিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মধ্যে আসতে পারে।
তাহলে, র্যাশনালিটি, ফ্রিডম ও জাস্টিস বলতে আসলে কী বুঝায়, অর্থাৎ এসব বিষয়ের inner characteristics নিয়ে যখন কেউ কিছু জানতে চাইবে তখন সে আলোচনাটা মেটাফিজিকস হয়ে উঠবে।
র্যাশনালিটি, ফ্রিডম, জাস্টিস– এগুলার বেসিস কী, কীসের ভিত্তিতে এগুলার প্রচলিত মানদণ্ড বা ক্রাইটেরিয়াগুলোকে ফিক্স করা হচ্ছে, এগুলোর পক্ষে বা বিপক্ষে যেসব যুক্তি দেয়া হচ্ছে সেগুলোর তাত্ত্বিক ভিত্তি কী, এগুলোই হচ্ছে এসব বিষয় সম্পর্কে মেটাফিজিক্যাল ইনকোয়ারির বিষয়।
এই দৃষ্টিতে ফিলোসফির প্রধান সকল শাখা, ইনক্লুডিং জ্ঞানতত্ত্ব, যুক্তিবিদ্যা, নীতিবিদ্যা, এক কথায় সব কিছুরই একটা মেটাফিজিক্যাল আসপেক্ট আছে বা হতে পারে। অন্যভাবে, সবকিছুরই একটা এপিস্টেমোলজিক্যাল ইনকোয়ারি বা আসপেক্ট আছে বা হতে পারে।
মেটাফিজিকস এবং এপিস্টেমোলজি – এই দুইটা হচ্ছে একই মুদ্রার দুই পিঠের মতো। Epistemology বুঝতে হবে মেটাফিজিক্যালি। অপরদিকে মেটাফিজিকস বুঝতে হবে এপিস্টেমোলজিক্যালি।