ভেবেছিলাম লিখবো, ‘আমার কষ্টের জন্যে কাউকে দায়ী করি না আমি।’
ক্ষণপরে ভাবলাম— না, করবো না আর ছেলে মানুষীপনা,
করবো না আর তরল আবেগ চর্চা।
আমার কষ্ট পাওয়া না পাওয়ায় কার কী আসে যায় …!
থাকি নিজের মতো করে, সেই তো ভালো।
তেমন কিছু তো হওয়ার কথা ছিল না।
তবুও জীবনে পেয়েছি সুখ
প্রাপ্যতার চেয়েও অনেক বেশি,
প্রাচুর্য তো কম আসেনি আমার জীবনে,
কিছু অনিবার্য কষ্টকে যদিও
ডেকে এনেছি সানন্দ ভুলে।
পেয়েছি ভালোবাসা কতো মানুষের, পেয়েছি স্নেহ মায়া মমতা,
শ্রদ্ধা অপরিমেয়। আর কী চাই?
এক জীবনে সব তো হয় না পাওয়া।
যা পাইনি তা ছিলো না পাওয়ার, এটুকু মনে রাখি।
প্রার্থনা করি যেন প্রভু দেন
সব দুঃখ সইবার ক্ষমতা।
ধৈর্যের আগুনে ভস্ম করে দিতে চাই সব হতাশা।
ঘুরে দাঁড়াতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই,
হয়ে উঠতে চাই দুর্লভ, দুর্বার।
ঠিক যেমনটি ছিলাম প্রথম যৌবনে।
আমৃত্যু থাকতে চাই অক্লান্ত, অজেয়, অকপট, নির্ভীক।
বাঁচতে চাই শেষ পর্যন্ত আত্মনির্ভরশীল হয়ে।
বিশ্বাস করেছি, যে যা বলেছে;
কথা রেখেছি বোকার মতো, সব ক্ষতি মেনে নিয়ে;
প্রতারিত হয়েছি সরলতার বিনিময়ে। তাতে, দুঃখবোধ নেই তেমন।
বিশ্বাস করি, জীবনের পরিসর যত বড়, কোনো ক্ষতি নয় তারচেয়ে বড়।
বিশ্বাস করি, সব ইস্যুতেই জিততে হবে,
এমন কোনো কথা নেই।
বিশ্বাস করি, সকল ক্ষতি আর পরাজয়ের পরে, অবশেষে
হবো বিজয়ী নিশ্চয়ই একদিন,
হতে পারে তা জীবনের সর্বশেষ সময়ে।
অপেক্ষায় আছি সেই সুবর্ণ সময়ের।
কবিতাটা ভালই লাগল, প্রেরণা পেলাম। কবির প্রতি রইল সালাম।