(ডিসক্লেইমার: এটি আমার লেখা নয়। এটি এই বিষয়ে দীর্ঘ ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন নারী পেশাজীবীর বক্তব্য। বছর চারেক আগের টেড-টক। ইতোমধ্যে এটি প্রায় ছাব্বিশ লাখ ভিউ হয়েছে। মনে রাখতে হবে, বক্তা নিজে ওয়েস্টের মানুষ, কথাগুলো বলেছেন সমকালীন পাশ্চাত্য সমাজের প্রেক্ষাপটে এবং সেখানকার দর্শকদের সামনে। এটি হুবহু অনুবাদ নয়। কিছুটা পরিমার্জিত ও সংক্ষেপিত।
উন্নতবিশ্বের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে চমকপ্রদ কিছু তথ্য, নারী-পুরুষের একান্ত ব্যক্তিজীবন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট এবং এ বিষয়ে আমাদের আশেপাশের অনেক কিছুর সাথে কমবেশি সাযুজ্যতা আপনি সহজেই এতে পেয়ে যাবেন। প্রয়োজনে ইউটিউব হতে বক্তব্যটি খুঁজে নিয়ে চেক করে দেখতে পারেন, অনুবাদে আমি বিশেষ কোনো হেরফের করেছি কিনা। ক্ষেত্রবিশেষে আমি ইচ্ছে করেই মূল ইংরেজি বাক্য, বাক্যাংশ বা শব্দকে রেখে দিয়েছি। এসব বিষয়ে খোলামেলা কথাবার্তা বলার ব্যাপারে আমাদের ওভার সেনসিটিভিটির কারণে অরিজিনাল টাইটেলটা হুবহু অনুবাদ না করে একটু পরিবর্তন করে দিয়েছি।)
***
বর্তমান সময়ে সেক্স হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বিতর্কযোগ্য বিষয়। এর কাছাকাছি হচ্ছে ফাইন্যান্স। এমন অনেক যুগল আছে যারা মাসের পর মাস, এমনকি বছর পেরিয়ে গেলেও যৌন সম্পর্ক করেনি। অথচ, তারা দৃশ্যত সুখী দম্পতি। সমস্যা হয় তখন, যখন একপক্ষ সেক্স করতে চায়, কিন্তু অন্যপক্ষের থাকে সেই কাজের ব্যাপারে ঘোরতর অনীহা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত পরিসংখ্যান হতে জানা যায়, রিলেশনশিপে সন্তুষ্ট এমন ৭৫% যুগলের মধ্যকার প্রায় অর্ধেকই তাদের যৌনজীবন নিয়ে সুখী নয়। এই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে ১০,০০০ লোকের ওপর। যাদের অধিকাংশ বিবাহিত পুরুষ।
হ্যাঁ, ঠিক আছে। আমরা সেক্স করেই যাচ্ছি। যদিও তা করছি ভুল সময়ে, ভুল মানুষের সাথে। বিয়ের আগেই আমরা সেক্স করছি। এই সময়টা এভারেজ দশ বছর। এরপর আমরা লং-টার্ম রিলেশনশীপে যাচ্ছি। অথচ, ততদিনে আমরা সেক্স নিয়ে খানিকটা বোরড হয়ে গেছি। দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ বিবাহিত যুগল তাদের বাসর রাতে যৌন সম্পর্ক করা হতে বিরত থাকে। অন্তত শতকরা পঞ্চাশ ভাগ পুরুষ বিয়েই করতো না, যদি তারা আগেভাগেই জানতো যে তাদের বৈবাহিক জীবন হতে যাচ্ছে সেক্সলেস।
অধিকাংশ বিবাহিত যুগল গড়পরতা সপ্তাহে একবারের বেশি সেক্স করে তাদের বৈবাহিক জীবনের প্রথম দশকে। এরপর এটি ক্রমান্বয়ে কমতে কমতে বছরে ৫৮বারে নেমে আসে। বিবাহিত দম্পতির শতকরা বিশ ভাগের যৌন সম্পর্ক মাসে একবারেরও কম হয়ে থাকে। এই ধরনের অবস্থা হলে তখন একে আমরা অযৌন দাম্পত্য জীবন হিসেবে বলতে পারি।
কেন আমরা বৈবাহিক জীবনে সেক্স করছি না? এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে নিম্নরূপ:
আমাদের ব্রেইনে একটা কেমিক্যাল কাজ করে, সচরাচর যেটাকে PEA বলা হয়। বিয়ের দু’বছর পর হতে এই কেমিক্যালটি ক্রমান্বয়ে কম রিলিজ হতে থাকে। যার ফলে সমানুপাতিক হারে কমতে থাকে যৌন মিলনের হার। রিলেশনশীপের মধ্যে কনফ্লিক্ট চলে আসলেও যৌনমিলনের হার কমে যায়। সেক্সকে নোংরা বা খারাপ মনে করা, কিংবা এটার ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়া, এসব কারণেও, বিশেষ করে নারীদের, যৌনজীবনে ভারসাম্যহীনতার উদ্ভব ঘটতে পারে। ইন্টারনেট পর্নগ্রাফির প্রতি আসক্তিও পুরুষ ও নারীর যৌন-শিথিলতার অন্যতম কারণ।
একপক্ষের ক্রমাগত যৌন-অনীহার কারণে সুখের দাম্পত্য জীবন দ্রুতই পরিণত হতে পারে দুঃখের নরকে।
আজকালকার অধিকাংশ নারী একইসাথে ঘরে ও বাইরে কাজ করে। ঘরের কাজের অধিকাংশই নারী কর্তৃক সম্পাদিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গৃহস্থালির কাজ করার ব্যাপারে পুরুষেরা সাধারণত অনীহা প্রকাশ করে। অন্যদিকে আমরা (মানে, নারীরা) কাজ করতে করতে টায়ার্ড।
যখন আমরা ‘সেই কাজ’ করি, তখনও অন্তত শতকরা দশ ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা স্মার্টফোন ব্যবহার করছি। কাজ সম্পন্ন হওয়ার অব্যবহিত পরেই ফোন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শতকরা পঁয়ত্রিশ ভাগ দম্পতির কোনো একপক্ষ।
আমার ক্লিনিকে যৌন দুর্বলতা (dysfunction) নিয়ে কোনো দম্পতি যখন আসে তথন তাদের প্রতি আমার অবধারিত প্রথম প্রশ্ন থাকে, তুমি/তোমরা কি সক্রিয় যৌনজীবন মেনটেইন করো? এ ধরনের প্রশ্ন যখন আমি সুনির্দিষ্টভাবে নারীদের উদ্দেশ্যে করি তখন তারা কখনো সরাসরি হ্যাঁ বা না বলে না। তারা বলে, “Sometimes,” “Sort of,” “I am not sure,” “He is” – এরকম কিছু একটা। তখন আমি তাদের বলি, এর মানে তো, না। তখন তারা স্বীকার করে, হ্যাঁ, এরমানে না-সূচক।
পুরুষদের কমন অভিযোগ, তাদের পার্টনার নারীরা সেক্স ইনিশিয়েট করে না। এটি সত্যি। আমার মতে এর কারণ হলো সেক্স সম্পর্কে নারীদের ভুল ধারণা। নারীরা মনে করে, নারীদের আগ্রহ ও ইচ্ছা জাগলেই পরে তাদের সেক্সুয়াল একটিভিটিতে জড়ানো উচিত। এর আগে নয়। এটি একেবারে ভুল ধারণা। বাস্তবতা হচ্ছে, it is sexual activity that prompts sexual interest and desire. Sexual arousal emerges as a result of sexual activity.
পুরুষেরা, তোমরা সান্নিধ্য (intimacy) কামনা করো। এটি আমি জানি। তুমি চাও, ঘরে এসে তুমি সেই কাঙ্ক্ষিত সান্নিধ্য পাবে। সারাদিন পরিশ্রম করে তুমি ঘরে এসে দেখলে সব এলোমেলো হয়ে আছে। অথচ, তোমার মাথায় ঘুরছে সেক্সের চিন্তা। এমন সময়ে তোমার বউ বলে উঠলো, ‘তুমি কি দুধ এনেছা?’ কিংবা এ ধরনের কিছু। হয়তো তুমি বাজার থেকে দুধ বা এ ধরনের কিছু যা তোমার আনার কথা ছিল তা আনতে বেমালুম ভুলে গেছো। এরপর তোমার অবস্থা ….।
দেখা গেলো আমরা ব্যস্ত আছি ফেইসবুক নিয়ে। অপরপক্ষ যে হরমোনের যন্ত্রণায় অস্থির, সেই বিষয়টা কিন্তু আমরা খেয়ালই করি না। হয়তো আমরা এভাবে বলি, “আজকে আমি টায়ার্ড ফিল করছি।” অথবা, “আমার পেট ব্যথা করছে”। অথবা, “গত মাসেই তো আমরা একবার করলাম…” ইত্যাদি। দেখা গেলো, এই নারীটি মানুষ হিসেবে চমৎকার। সে একই সাথে ঘরে ও বাইরে কাজ করে। বাচ্চাদের যত্ন নেয়। এমনকি সে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সমাজসেবাও করে থাকে। Sometimes she even has time for girls’ nights out.
একবার আামি নিজেই এক ফ্রেন্ডের সাথে এ’রকম গার্লস নাইট হতে ফিরছিলাম। আমরা যখন উক্ত বান্ধবীর বাসার কাছে পৌঁছলাম, সে তখন দেখলো তার বেডরুমে বাতি জ্বলছে। সে খুব বিরক্ত হয়ে বললো, “Donny is waiting up for me. Do me a favor. Drive around the block a few times until the light goes out.”। এবার বুঝেন ….! আমি তাকে বললাম, “Listen! You get in there and make love to your husband, before somebody else does.” আমি খেয়াল করেছি, তার স্বামীকে অন্য নারী কামনা করছে, এমন অবস্থায় একজন স্ত্রী স্বামীর প্রতি অধিকতর যৌন আকর্ষণ বোধ করে।
দেখলাম, আমার উক্ত বান্ধবী এরপরেও কনভিন্সড না। তখন আমি তাকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলাম এমনসব কথা বলে, ‘দেখো, সেক্স করার মাধ্যমে একজন নারীর সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। তারমধ্যে একটা youthful glow তৈরী হয়। তার ঘুম ভালো হয়। wrinkle-free skin হয়।’ না, এসব কথাতেও কোনো লাভ হলো না। সে শুধু বললো, “Keep driving.”
সন্তান জন্মদানের আকাঙ্ক্ষা একজন নারীর মধ্যে সেক্স ড্রাইভ তৈরী করে। ভুলভাবে মনে করা হয়, সন্তান হলে কোনো নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে বা নাই হয়ে যাবে। অথচ, marital eroticism-এর একটি হলো মাতৃত্ব।
এবার পুরুষত্বহীনতা নিয়ে খানিকটা বলি। এটি হতে পারে cardiovascular disease জনিত কারণে। হতে পারে ডায়াবেটিসের কারণে। এর সাথে যুক্ত হতে পারে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস, মদ্যপান, নেশাগ্রস্ততা, আর্থিক সমস্যা বা কোনো অমীমাংসিত গভীর দ্বন্দ্ব। এগুলোর প্রত্যেকটিই স্বতন্ত্রভাবে পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষাকে কমিয়ে দেয়। এর পরিণতি হয় শারীরিক সম্পর্কহীন দাম্পত্যজীবন।
যেসব মানুষ এ ধরনের যৌনতাবিহীন দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে জীবন কাটায় তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়া যায়, তারা নিজেদেরকে নিয়ে গভীর হতাশা বোধ করে। তারা মনে করে, তাদের প্রেমকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তারা নিজেদেরকে উপেক্ষিত বলে মনে করে। তারা মনে করে, তারা যথেষ্ট আকর্ষণীয় নয়। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো, তারা ব্যক্তিগত জীবনে গভীর একাকীত্বের যন্ত্রণা ভোগ করে।
এই ধরনের একাকীত্ববোধ মানুষকে ভেতরে ভেতরে কুড়ে কুড়ে খায়। And loneliness has been shown to increase vascular resistance, elevate blood pressure, and lead to an early death. শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া কিংবা মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যুর ঝুঁকির চেয়েও you are more likely to die from loneliness।
মেয়েদের সাথে যখন আমি কথা বলি, তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করি, “If you are not having sex with your husband, someone else may.” আমার এ কথা শুনে তারা আপসেট হয়ে যায়। তারা বলে, পুরুষের দুশ্চরিত্রের জন্য আমি নারীদের দায়ী করছি। বাস্তবতা হচ্ছে এই কথাটা পরিষ্কার করে বলার মাধ্যমে আমি একটা সামাজিক দায়িত্ব পালন করছি।
শারীরিক সম্পর্কহীন বৈবাহিক সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পুরুষটি যখন অন্য নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে তখনো সে বৈবাহিক সম্পর্কটিকে টিকিয়ে রাখতে চায়। অপরদিকে কোনো নারী যখন এ ধরনের প্রতারণা করে তখন সে তার সেক্সলেস বিয়েকে ভেংগে দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়। সাধারণত ব্যাপারটা এমন ধরনের হয়ে থাকে। আর হ্যাঁ, নারীরাও চিট করে। যদিও সচরাচর এটি লোকেরা খেয়াল করে না। আমরা এই কাজে খুব দক্ষ (sneakier)। যার কারণে আমরা খুব একটা ধরা পড়ি না। এর কারণ এও হতে পারে, we are socialize very differently।
নারীরা পুরুষদের সাথেও প্রতারণা করে, অন্য নারীর সাথেও প্রতারণা করে। টেকনোলজি আমাদের সবার জন্য প্রতারণাকে খুব সহজ করে দিয়েছে। পলিটিশিয়ান হতে শুরু করে the stay-at-home parent, প্রত্যেকের জন্য প্রতারণা করাটা হয়ে গেছে অত্যন্ত সহজ ব্যাপার। স্বামী বা স্ত্রীর কাছ হতে গোপন করে কোনো কিছুকে চট করে সরিয়ে ফেলা তথা স্ক্রীন সোয়াইপিং আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারে to an online passionate love affair। from texting to sexting, to secret phone conversations। অনলাইনে দু’জন যত বেশি যোগাযোগ করবে, সশরীরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনাও তত বেড়ে যাবে।
পারস্পরিক ভালবাসার ব্যাপারটা কখনোই বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তি ছিল না। এটি ঐতিহাসিক সত্য। বরং, এটি ছিল পরিবারের সদস্য বৃদ্ধি, সম্পত্তি ও শ্রমভিত্তিক একটি ব্যবস্থা। এর বিপরীতে, বিংশ শতাব্দীর আমেরিকাতে egalitarian ideals এবং হলিউভ মুভি ইন্ডাস্ট্রির বদৌলতে বিয়ে সম্পর্কে এমন একটা ধারণা তৈরী হয়েছে যা অবাস্তব। এখন আমরা ভুলভাবে মনে করি, বিয়ে হলো একটা চিরকালীন রোমান্টিক ভালবাসার সম্পর্ক। যেন একই পার্টনারের সাথে তোমাকে সেক্স করতে হবে সারাজীবন।
আমার রোগীদের কাছ হতে আমি যে প্রশ্নটি বরাবরই শুনি তা হলো, বৈবাহিক সম্পর্ক হতে যৌনতাকে বাদ দিতে হবে কতো বৎসর বয়স হতে? একজন ৪৪ বছরের ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো, মরিন, তুমি কি মনে করো ৬৫ বৎসর হলে সেক্স করা বাদ দেয়া উচিত? একজন ২২ বৎসর বয়স্ক ব্যক্তি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো, আমার মনে হয়, বয়স ৩৫ হয়ে গেলে সেক্স নিয়ে আমার আর অতো এনগেইজ না হওয়াই ভালো। তাই না, মরিন? দেখো তোমরা মানুষের চিন্তাভাবনা…।
আমার মতে, everybody is older, until you get there। আজ আমি তোমাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি, যৌনতা কখনো শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপার নয়। তুমি যদি সুস্বাস্হ্যের অধিকারী হয়ে থাকো তাহলে তোমার জীবনের ৮০’র দশক, এমনকি ৯০’র দশকেও তুমি চাইলে যৌনজীবনে সক্রিয় থাকতে পারো।
প্রত্যেকের জন্যই যৌনতা একটা দরকারী জিনিস। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অথচ, একে লজ্জাষ্কর ব্যাপার হিসেবে মনে করা হয়। আগেকার সময়ে সম্পদশালী অভিজাত পুরুষেরা কুইক সেক্সের জন্য উপপত্নী রাখতো। তাদের কাছে যেতো। একইভাবে এখন আমরা যাচ্ছি কম্পিউটারের কাছে। ইন্টারনেট পর্নগ্রাফি যেন আমাদের হালজামানার মিসট্রেস। প্রযুক্তি এখন মানবিক সম্পর্কগুলোকে দ্রুত গতিতে রিপ্লেস করে দিচ্ছে।
কীভাবে আমরা সেক্সলেস মেরিজের মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করতে পারি তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আমার মতে, যৌনতা হলো রক্ত সঞ্চালনের ব্যাপার। এটি এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম। স্টেমিনা বাড়ানোর জন্য, কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে প্রতিদিন কাজ করতে হয়। এটি তেমনই একটা ব্যাপার। একজন শারীরিক পরিশ্রম করা নারীর জেনেটিলিয়াতে স্বাভাবিকভাবেই রক্ত সঞ্চালন হবে বেশি। ফলে সে অধিকতর যৌন সংবেদনশীলতার অধিকারী হবে।
শারীরিক পরিশ্রমের ব্যাপারটা পুরুষের যৌনঅক্ষমতা নিরাময়ের ক্ষেত্রেও কার্যকর। এর বাইরে আছে, নারীদের শুষ্কতাজনিত সমস্যা। এটি হতে পারে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবনের কারণে, বুকের দুধ পান করানোর কারণে অথবা মেনোপজজনিত কারণে। এই সবকিছুরই আছে উপযুক্ত চিকিৎসা।
তোমাদের প্রতি আমার কথা হলো, স্মার্টফোনের চেয়ে স্পাউজকে বেশি মনোযোগ দাও। (চাকুরীস্থলের) বোর্ডরুমে বেশি সময় না দিয়ে বেডরুমের সময় (যথাসম্ভব) বাড়িয়ে দাও। নচেৎ, তোমার বেডরুমেই দেখবে ‘বোর্ড মিটিং’ বসেছে। বৈবাহিক জীবনের সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে না গিয়ে সেগুলো ডিল করো। একসাথে একই বিছানায় একই সময়ে ঘুমোতে যাও। তোমাদের দাম্পত্যজীবনে অন্যকিছু বা অন্যকেউ যাতে ঢুকে পড়তে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকো। বৈবাহিক সম্পর্কের বাহিরে অন্য কোনো নারী বা পুরুষের ব্যাপারে তোমার মধ্যে যাতে ততটা মুগ্ধতা তৈরী হতে না পারে, সে ব্যাপারে সে ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ সিচুয়েশনকে কীভাবে সামলানো উত্তম হবে, তা নিয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করো ও তা মেনে চলো।
আমাকে ভুল বুঝো না। আমি বলছি না, যে কোনে মূল্যে তোমাকে একজনের সাথেই জীবন কাটাতে হবে। আমি এটি মিন করছি না। আমি শুধু বোঝাতে চাচ্ছি, (তোমার পার্টনারের প্রতি) তোমার মনের যে ফ্যান্টাসি, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তোমার ব্রেইন হচ্ছে তোমার সবচেয়ে বড় সেক্স অর্গান। আর একটি কথা। এটি আমি একটু জোরেশোরে বলতে চাই— সকল দাম্পত্য বিষয় সমাধান করো তোমার নিরাবরণ বেডরুমে। ভালো থাকো।