বিশ্বাস ছুঁয়ে যায় মানুষের হৃদয়,
প্রবলতর প্রতি-বিশ্বাস শুধু
মুছতে পারে বিশ্বাসের ছায়া।
হোক জ্ঞান, যুক্তি অথবা নির্বুদ্ধিতা, কুযুক্তি
এককথায় তথ্য-প্রমাণ সবই
বিশ্বাসের অনুগত।
যে যেটা বিশ্বাস করতে চাইবে
সেটার পক্ষে সে
সব যুক্তি প্রমাণ খুঁজে পাবে।
বিশ্বাস দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না,
শুধু অনুমানের বিষয়।
কর্মে যার বহিঃপ্রকাশ।
যুক্তি আর জ্ঞান হলো
সামাজিক সম্পর্কের ব্যাপার।
তাই, নৈরব্যক্তিক কোন যুক্তি বা জ্ঞান
হতে পারে না।
যিনি বিশ্বাসী নন
তিনি জ্ঞানী হতে পারেন না।
এ অসম্ভব।
বিশ্বাসটা তাঁর যা-ই হোক না কেন।
বিশ্বাসহীন জীবন নিরর্থক ব্যর্থ।
প্রশ্ন হলো, যার যা বিশ্বাস
তা কি তিনি নিজে অর্জন করেছেন?
কিংবা সেটা নিছক সামাজিক বিশ্বাস?
আরোপিত বিশ্বাস নিয়ে
যারা জীবন যাপন করে
তারা অন্যের জীবন যাপন করে।
আসুন, প্রত্যেকে আমরা
নিজ নিজ জীবন যাপন করি।
নিজের বিশ্বাসের জগত নিজেই নির্মাণ করি।
যুক্তি সেখানে হাতিয়ার মাত্র,
জ্ঞান সেখানে উপাদান শুধু,
নিজের জগতে শেষ পর্যন্ত
আমি আপনি একাকী।
নিজ নিজ জ্ঞানের জগতে
প্রত্যেকেই স্বাধীন, স্বতন্ত্র
একেকটা কেন্দ্র।
সামষ্টিক জীবনের ধারণা হলো
সামাজিক উপরিকাঠামোর ব্যাপার।
নিঃসঙ্গ, একান্ত সব ব্যক্তিসত্তা
যার ভিত্তি।