– আপনি তো বলেছিলেন আপনি কর্মজীবী নারীদের পছন্দ করেন!
– আমাদের সমাজে নারী অধিকারের যে পরিস্থিতি, সেটা থেকে উত্তরণের একটি আপাত উত্তম পদ্ধতি হলো নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া। সোজা কথায়, কর্মজীবী হওয়া। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এটি সমাজের জন্য ক্ষতিকর। যেমন করে রোগ নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়, ঔষধ খেতে হয়, নানা ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে হয়। কেউ যদি এই রোগ নিরাময় পদ্ধতিকে নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিণত করে তাহলে সেটার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
অর্থাৎ আমরা বুঝলাম, যে সমাজে নারীদের দায়িত্ব পুরুষরা গ্রহণ করে না, বরং নারীদেরকে পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সর্বত্র ও সমানভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে হয়, সেটি একটি বিরাট সমস্যা। সমকালীন পাশ্চাত্য সমাজে যেমনটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
এর মোকাবেলায় আমাদের প্রাচ্য সমাজ, যেখানে অনেক ক্ষেত্রে নারীর মানবিক মর্যাদা ও অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত নয়, সেখানে পুরুষতন্ত্রের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার বিকল্প নাই। জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে যেমন করে আমরা কিছু জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
এমনকি যে সমাজে ইসলাম যেমনটা চায় তেমনভাবে নারীদের দায়িত্ব পুরুষরা গ্রহণ করে, সেখানেও পুরুষদেরকে নারীদের উপরে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেয়া হয়নি। বরং সেফটি ক্লজ হিসেবে পূর্ণ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকারের পাশাপাশি নারীদেরকে কিছু সম্পত্তির অংশীদার করা হয়েছে, এবং তাদেরকে নিজেদের ব্যক্তিগত অর্থ ও সম্পদের সংরক্ষণ ও পরিচালনার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
নারী অধিকার সংক্রান্ত বিষয়টিকে এই সামগ্রিক বাস্তবতার আলোকে বুঝতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আপনি কনসার্নড হয়েছেন এবং প্রশ্ন করেছেন, সে জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
[বি. দ্র.: – আলাপটা হয়েছে এক বিদেশী ভদ্রলোকের টাইমলাইনে। যেখানে মেয়েদের চাকরি না করে সংসার করার ওপর গুরুত্ব সংক্রান্ত তার স্ত্রীর একটি লেখা তিনি কোট করেছেন। সেখানে আমি একটি ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলাম। যার প্রেক্ষিতে একজন বাংলা ভাষাভাষী নারী পাঠক আমাকে ট্যাগ করে উপরের এই মন্তব্যটি করেছেন। যার প্রতিউত্তর হিসেবে উপরে উল্লেখিত মন্তব্যটি করেছি।]
মূল লেখাটির লিঙ্ক: Muslim Activists Push Toxic Feminism: The War Against Motherhood By Umm Khalid