ভুল তখনই ‘ভুল’ হয়, যখন তা হয় অনিচ্ছাকৃত। ইচ্ছে করে ‘ভুল’ লেখা ভুল নয়, স্টাইল বলা যেতে পারে। কখনো যদি কেউ ভুল না করতো, তাহলে সাহিত্যের ভাষাগত অগ্রগতি থেমে যেত। ভুল কাম্য, তবে সেটা স্বেচ্ছাকৃত হতে হবে। এক্ষেত্রে এটি হবে পরিবর্তন বা প্রগতি। ভাষার বিবর্তন তথাকথিত ভুলের উপর দাঁড়িয়ে। ভুল-নির্ভুলের মাপকাঠি হলো সত্য আর মিথ্যার প্রভেদ। সত্য আর মিথ্যা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।

তাহলে সত্য কী?

সত্য সংজ্ঞায়নের উপযুক্ত নয়। একে চেনা যায় দুটি বৈশিষ্ট্য দিয়ে–

১। যা সত্য, তা সহজাত হবে। কমনসেন্স একে এলাউ করবে। তা যা-ই হোক না কেন।

২। সত্য হবে সামগ্রিক। সমগ্রের সাথে সংগতিপূর্ণ না হলে কোনো ‘সত্য’ সত্যিকারভাবে সত্য হতে পারে না। খণ্ডিত ‘সত্য’ আদৌ সত্য নয়। বরং তা হলো সত্য-অনুরূপ মিথ্যা।

সত্যতা হলো বাস্তবতা।

পোস্টটির সামহোয়্যারইন লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *