চেয়েছিলাম একটা জীবন,
হাসি, আনন্দ আর ভালোবাসাময়।
পেয়েছি দুঃখ-কষ্ট ভরা এক কঠিন সময়।
নিয়েছি মেনে খোদার হুকুম।
না মানার উপায় ছিলো না কোনো।
দুঃখ-সুখ, ভালো-মন্দ সব বরণ করে নিয়ে
জীবন হলো ক্রমাগত এগিয়ে চলা।
শুধু এতটুকু চাই,
যেন সহ্য করতে পারি সব ব্যথা;
যেন বইতে পারি সব অপ্রাপ্য বেদনার ভার;
যেন ভেঙে না পড়ি;
থাকি যেন আজীবন শরীরে মননে এমনই সুস্থ সবল।
প্রিয়জন কারো সাথে রাগ করবো,
অকারণে হবো অভিমানী তুমুল,
তেমন সুযোগ নাই।
জীবনের বিচিত্র ঘটনাপ্রবাহে
আমি জড়িয়ে গেছি। অসহায়।
আত্মপক্ষ সমর্থন করবো,
দাবি করবো অধিকার,
তেমন সুযোগ নাই।
রীতি, নীতি, যুক্তি আর প্রাপ্যতার দাবি নিয়ে
দাঁড়াবো সটান,
তেমন সুযোগ থেকে
ভাগ্যলিখন বঞ্চিত করেছে আমাকে।
হয়েছে এমন,
আমি জয়ী হওয়া মানে,
ক্ষতিগ্রস্ত হবে
আমারই আপনজন। অথচ,
আত্মজনের পরাজয়,
সে তো আমারই পরাজয়।
তাই, বেছে নিয়েছি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণের পথ।
সিদ্ধান্ত নিয়েছি মূক হয়ে থাকার।
নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছি সব অভিযোগ।
সবশেষে
একবার, শুধু একবার যদি হতে পারি জয়ী,
সেই স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছি।
শত অপমান আর লাঞ্ছনার পরেও
যেন থাকি এমনই জীবনবাদী;
এমন এক ইন্দ্রজিৎ জীবনের স্বপ্ন দেখি।
সুসময় আমাদেরকে আনন্দ দেয়।
দুঃসময় আমাদেরকে দেয় উপলব্ধি।
নিয়ে যায় আপন অস্তিত্বের কাছাকাছি।
পরিচয় করিয়ে দেয়
মুদ্রার অপর পিঠের সাথে।
বিপরীত সময়ে আমরা
অবাক বিস্ময়ে দেখি জীবনের এক ভিন্নচিত্র।
এমনই দুঃসময়ের মুখোমুখি হয়ে,
হয়ে উঠতে চাই দুঃখজয়ী এক জীবনবাদী।