“আপনি যেহেতু নাস্তিকতা নিয়ে কাজ করছেন, সেহেতু নাস্তিক মুফাস্সিল ইসলামের বিষয়টি আপনি অবগত আছেন হয়ত। এই বিষয়ে আপনা মতামত জানতে চাই।”
জনৈক পাঠকের এই অনুরোধের প্রেক্ষিতে উনাকে আমি বলেছি–
এই লোকটাকে কিছুটা মাথা খারাপ বলে মনে হয়েছে। যদিও তার কথাগুলোর মধ্যে অনেকখানি সত্যতা আছে। তার কথার মধ্যে তথ্যগত বিভ্রান্তি কতটুকু কী আছে, সেটা আমাকে যাচাই করে দেখতে হবে। আমার দৃষ্টিতে, উনার অবস্থানের যে দুর্বলতা, তা পদ্ধতিগত। অর্থাৎ, তিনি যে পদ্ধতিতে, সোজা কথায়, ব্যক্তি-আক্রমণমূলক পদ্ধতিতে সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে চাচ্ছেন, সেটি ভুল। বরং, জীবন ও জগতের সামগ্রিক সত্যতা সম্পর্কে আমরা যখন যাচাই করতে যাবো, তখন আমাদেরকে হলিস্টিক তথা সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টিকে দেখতে হবে। তিনি হরহামেশাই নানা ধরনের লজিক্যাল ফ্যালাসি করে থাকেন। তদুপরি, ইসলামের ব্যাপারে যে ধরনের নেতিবাচক যাচাই পদ্ধতি তিনি অনুসরণ করছেন এবং যেভাবে ঐতিহাসিক পদ্ধতির অপপ্রয়োগ করছেন, তাতে করে শুধু ইসলাম কেন, দুনিয়ার কোনো আদর্শই কারো কাছে গ্রহণযোগ্য ও টেকসই মনে হবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সত্যতা ও মিথ্যাত্ব নিয়ে আমার একটা বক্তব্য আছে। তা হলো, মিথ্যা হচ্ছে অনেকখানি সত্যের সাথে খানিকটা মিথ্যার সংমিশ্রণ। কোনো মিথ্যা আপাদমস্তক মিথ্যা হয় না। কিন্তু সত্যকে হতে হয় নিখাঁদ ও আপাদমস্তক সত্য।
খানিকটা কিংবা অনেকখানি সত্যতা আছে, তারমানে এই নয় যে কথাটা আসলে সত্য। সত্যকে হতে হয় নির্ভেজাল সত্য। যদিও মিথ্যা মানে নির্ভেজাল মিথ্যা, এমন নয়। তাহলে কথাটা এই দাঁড়ালো– কোনো কিছু মিথ্যা হওয়ার মানে হলো, সেটি সত্য-মিথ্যার একটা ককটেল বা সংমিশ্রণ।
শুরুতে আমি বলেছি, ওই ক্ষ্যাপাটে লোকটার বক্তব্যের মধ্যে ‘অনেকখানি সত্যতা’ আছে। এই কথা দ্বারা আমি কী বুঝাতে চেয়েছি, সেটা ক্লারিফাই করার জন্য এই কথাগুলো বললাম।