‘জানা’-কে ‘ভালো’ করে ঠিকঠাক করতে গেলে (high standard of K) কম্বলের লোম বাছার মতো জানাটা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। পক্ষান্তরে ‘সবকিছুকে জ্ঞানভিত্তিক করা’র নীতি মানতে গেলে আলটিমেটলি তালেগোলে (Low standard of K) চালিয়ে দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। – এই মর্মে সমকালীন জ্ঞানতত্ত্বের ভূমিকা কোর্সের contextualist response to BIV (brain in vitamin) argument বিষয়ে দেয়া পূর্ববর্তী স্ট্যাটাসে দুই ‘বিশিষ্ট ছাত্র’ দুটি খুব সিম্পল প্রশ্ন করেছেন। একজনের প্রশ্ন, এটি কি (জ্ঞানগত) স্ববিরোধিতা নয়? আর একজনের প্রশ্ন, এটা কি জেনে মেনে নেওয়া নয়?
হ্যাঁ, এটি এমন স্ববিরোধিতা যা মেনে না নেয়ার কোনো বিকল্প নাই। অতএব সব বিরোধিতাই (contradiction) খারাপ, এমন নয়। জ্ঞানের উপরি কাঠামো অনুসারে সবকিছুকে যাচাই করতে হবে, নিশ্চয়তা লাগবে। জ্ঞানের ভিত্তিকাঠামো অনুসারে, যা কিছু দিয়ে যাচাই করা হবে, সেগুলোর, যেমন মাপকাঠির, কোনো মাপ বা যাচাই লাগবে না। জ্ঞানের base level এ মেনে নেয়া (belief) মানেই নিশ্চয়তা। অর্থাৎ নিশ্চয়তা বোধ থাকলেই তা নিশ্চিত।
জ্ঞানের ভিত্তি হলো সুন্দর ময়ুরের বিশ্রী পায়ের মতো। [চিড়িয়াখানায় যতবারই ময়ুর দেখেছি, প্রতিবারই খেয়াল করেছি, এতো সুন্দর ময়ুরের পাগুলো খুবই বিচ্ছিরি …!!!]
যা হোক, জ্ঞানের যে কোনো দাবীকে যাচাই করা এবং সে জন্য নিশ্চয়তার (certainty) শর্ত আরোপই হলো এই উভয় সংকট বা প্যারাডক্সের জন্য দায়ী। নিশ্চয়তা ছাড়া কোনো কিছুকে সম্ভাব্য বলাও সম্ভব না। আপনি তো বলতে পারেন না যে, এটি হতে পারে, কিন্তু আমি নিশ্চিত নই যে এটি হতে পারে।
শারীরিক ও জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতার কারণে আপনি আমি বা কারো পক্ষেই কিন্তু কোনো বিষয়ে deductive confirmity’র দাবী করা সম্ভব নয়। উত্তরণের উপায় হিসাবে যদি inductive confirmity’র প্রস্তাবনা করা হয়, সেটিও নিশ্চয়তার শর্তপূরণ করে না।
যে মানুষ গতকাল, পরশু, এ সপ্তাহ, গত সপ্তাহ, এ মাস, গত মাস, এ বছর, গত বছর বা গত দশ বছর ধরে প্রতিদিন সকালে আপনার বাসার পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে, তিনি আগামীকালও আপনার বাসার পাশ দিয়ে সকাল বেলা হেঁটে যাবেন, এমনটি আপনি ভাবতে পারেন। কিন্তু এর কোনো নিশ্চয়তা আছে কি?