কোনো কিছুকে জ্ঞান হতে হলে সেটিকে অতি-অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে। এমনকি যেটি সম্ভাব্য সেটিতেও আছে, থাকতে হবে, সেটি সম্ভাব্য হওয়ার নিশ্চয়তা। আপনি যদি বলেন, এমনটি হতে পারে। কিন্তু আপনি নিশ্চিত নন যে, এটি হতে পারে। তাহলে, সংশ্লিষ্ট বিষয়টির ‘হতে পারা’র জ্ঞানতাত্ত্বিক স্ট্যাটাস কোনক্রমেই বিবেচনাযোগ্য হবে না।

ভালো কথা, যে কোনো কথা বা বাক্যেরই কোনো না কোনো নলেজ-স্ট্যাটাস তথা জ্ঞানতাত্ত্বিক অবস্থা বা মর্যাদা আছে বা থাকবে। হোক সেটি কম কিংবা বেশী ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো কিছু। বা, এ দুটির কোনোটিই না হলে প্রতিসম (counter-balanced) জাতীয় কিছু হবে। এই অবস্থাকে সাধারণত আমরা abstain বা withholding বলে থাকি। এবং এই উইথহোল্ডিং করার ব্যাপারটাও নিশ্চিত হয়েই করতে হবে। খেলার রেফারি বা আম্পায়ারগণ খেলা শুরুর সময়ে এহেন (peculiarly) justified অবস্থায় থাকেন। এবং সর্বাবস্থাতেই জানার দাবীর সাথে, এমনকি না জানার দাবীর সাথেও, নিশ্চিয়তভাবে জানা বা না জানার দাবী করতে হবে। আদতেই আপনি বা কেউই, কোনো বিষয়েই, পুরো (এবসলিউট অর্থে) নিশ্চিত না হওয়া সত্বেও।

মনে রাখবেন, জানলেই হবে না, জানা থাকার, অর্থাৎ জ্ঞান থাকার দাবীও করতে হবে। নতুবা, সে জানা অর্থহীন, অকার্যকর। আর, যা অর্জন করা হয়নি সেটি আদৌ জ্ঞান হিসাবে বিবেচিত হবে না, যদিও সেটি সত্য হয়। সেটিকে ‘ভাগ্য-অনুমান’ (Lucky Guess) বলা হবে।

তার মানে, জ্ঞান আর সত্যতা তথা সত্য বিশ্বাস, আলাদা জিনিস। যদিও সত্যতা ও বিশ্বাস ছাড়া জ্ঞান হয় না। যাচাইকরণ (justification) ই সত্যতা (true by itself) ও বিশ্বাস (acceptance) – এই দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *