একজন প্রশ্ন করেছেন, ধর্ম কি বিশ্বাস বা জ্ঞান, নাকি ধারণা?
উত্তর:
‘ধর্ম’ নামের কোনো কিছু আদতে ‘বিশ্বাস’ বা ‘জ্ঞান’ বা ‘ধারণা’র কোনো একটা হবে কিনা, অথবা কোনটি হবে? এ ধরনের কোনো প্রশ্নের পূর্বানুমান (premise) হচ্ছে, ‘বিশ্বাস’ ‘জ্ঞান’ ও ‘ধারণা’কে সর্বাবস্থাতেই আলাদা আলাদা বিষয় (notion) হিসাবে বিবেচনা করা। অতএব, মূল প্রশ্নটির সম্ভাব্য কোনো উত্তরের যথার্থতা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট পূর্বানুমান বা পূর্বানুমান-সমষ্টির সঠিক হওয়ার ওপর।
‘বিশ্বাস’, ‘জ্ঞান’ ও ‘ধারণা’ এক অর্থে, জ্ঞানের উপরি-কাঠামো বিবেচনায়, আরো সরলভাবে বললে, লোকজনের সাদামাটা বুঝ-জ্ঞানে এগুলো আলাদা আলাদা বিষয়। সেক্ষেত্রে, ‘জ্ঞান’ই প্রাধান্য পাবে। অন্য অর্থে, অর্থাৎ জ্ঞানের স্বরূপগত অর্থে (nature of knowledge) সব জ্ঞানই মূলত বিশ্বাস, যদিও সব বিশ্বাস জ্ঞান নয়।
মহামতি প্লাটোর বরাতে এটি বলা হয় যে, জ্ঞান হলো যাচাইযোগ্য সত্য বিশ্বাস। যদিও এই সূত্রের (JTB=K) বিরুদ্ধে গ্যাটিয়ারের একটি ‘ক্যাচাল’ নিয়ে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে জ্ঞানতাত্ত্বিকরা বেদিশা অবস্থায় আছেন…
জয়তু গ্যাটিয়ার সাহেব ….হা হা হা !
পরকাল সম্পর্ক এ দর্শন কি বলে।জানলে উপকৃত হতাম।