মিথ্যা হচ্ছে একটি মানবীয় বিষয়। কেননা, মিথ্যা হচ্ছে একটি মূল্যবোধনির্ভর বা আদর্শনিষ্ঠ বিষয়। সত্যি কথা বলতে কী, আমাদের ভাষায় ব্যবহৃত সবগুলো টার্ম বা পদই হচ্ছে আদর্শনিষ্ঠ।
অর্থাৎ আমরা যে কথাই বলি না কেন, সেটার মধ্যে কোনো না কোনো ধরনের একটা অভিমত সংযোজিত থাকে। অথচ আমরা জানি, মূল্য বা আদর্শনিষ্ঠতা হচ্ছে একটি অবস্তুগত ফেনোমেনা। যদিও বস্তুগত বাস্তবতার ভিত্তিতেই সেটি গড়ে ওঠে।
বলাবাহুল্য, আদর্শনিষ্ঠতা হচ্ছে ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা এবং বিষয় বা বস্তুকেন্দ্রিকতার একটা সমন্বয়, যেখানে বিষয়ী তথা ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
তার মানে হলো, বিষয়ীবিযুক্ত একটি তথাকথিত নিরপেক্ষ বস্তু জগতে কোনো ধরনের মিথ্যার উপস্থিতি অসম্ভব।
এই পর্যায়ে আমরা তাত্ত্বিকভাবে (ontologically) বলতে পারি, মিথ্যার সর্বাংশ অনুপস্থিতির জগতে তথা মিথ্যাহীন একটি সত্যময় জগতে সত্য ‘সত্য’ হয়ে উঠবে না বা উঠতে পারে না।
তদুপরি, যেই সত্যকে ‘সত্য’ হয়ে উঠতে হয়, সেটাকে আমরা আসলেই সত্যি বলবো কি-না, সেটাও একটা প্রশ্ন।
মোরাল অব দ্যা স্টোরি হলো– মানুষ ভুল করে, মিথ্যা কথা বলে, সে অমূল বা অধ্যাস কল্পনা করে, এসব হচ্ছে মানুষের মেশিন বা যন্ত্র না হওয়ার সাক্ষাৎ প্রমাণ।
মানুষের এই অনন্যতা কীভাবে ও কোত্থেকে আসলো, বা এই ধরনের এক্সট্রা-অর্ডিনারি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটা প্রাণীর উদ্ভব কেন হলো, সেইটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের এক ধরনের উত্তর আমার কাছে আছে। কেউ জানতে চাইলে সেটা বলতে পারি।
আপনিও এই প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে পারেন এবং আপনার কাছে এর সম্ভাব্য কোনো উত্তর থাকলে সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
জানতে চাই, মানুষ নামের এক্সট্রা-অর্ডিনারি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটা প্রাণীর উদ্ভব হলো কেনো?