Justification অর্থে যাচাইকরণের লক্ষ্য হলো belief এবং truth এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন। অর্থাৎ জ্ঞানকে true belief পর্যায় হতে উত্তরণ করা। কোনেকিছু আসলেই সত্য (true by itself) এবং কোনো মধ্যবর্তী সংযোগ প্রক্রিয়া ছাড়াই কোনো ব্যক্তি সেটিকে বিশ্বাস (accept অর্থে) করলো। এক্ষেত্রে কি বলা যাবে যে, এই ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়কে জানে? না, তা বলা যাবে না। কারণ, বিষয়টি স্বয়ং সত্য (by itself অর্থে) না হয়ে যদি আদতে মিথ্যা হতো, অথচ ব্যক্তি তা সত্য বলে বিশ্বাস করছে তাহলে কি তা জ্ঞান হতো? না, হতো না। অতএব lucky guess হতে বাঁচার জন্য সত্যতা ও বিশ্বাসের মাঝখানে একটা গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া থাকতে হবে যাকে আমরা জাস্টিফিকেশন বলি।
সত্যের আকংখা বা অনুসন্ধানের (pursuit of truth) এর ক্ষেত্রে আমরা কর্তব্যবোধকে (sense of duty) সক্রিয় বিবেচনায় নিবো কি নিবো না তার ওপর নির্ভর করবে যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি পরিণতিমুক্ত অর্থে ব্যবহৃত হলো. অ-পরিণতিমুক্ত অর্থে ব্যবহৃত হলো। সত্যকে গ্রহণ বা যাচাই করার সময়ে বা ব্যাপারে যদি কর্তব্যবোধকে রিলেট করা হয় তাহলে তা পরিণতিমুক্ত যাচাইকরণ। আর যদি তা করা না হয় তাহলে তা হবে অ-পরিণতিমুক্ত অর্থে যাচাইকরণ।
DJ এর ক্ষেত্রে সত্য হলো accidently true। NDJ-এর ক্ষেত্রে সত্যতা হলো non-accidentally true। এর মানে হলো DJ’র ক্ষেত্রে সত্যকে ‘নির্ধারণ’ করা হয়। ঔচিত্যবোধ হচ্ছে মানদণ্ড। NDJ’র ক্ষেত্রে সত্যতাকে ব্যক্তি-নিরপেক্ষ ও সমগ্রভাবে গ্রহণ করা হয়। DJ-এর সাথে evidentialismএর মিল রয়েছে। NDJ’র সাথে reliabilismএর মিল রয়েছে। DJ’র সাথে internalismএর মিল রয়েছে। NDJ’র সাথে externalismএর মিল রয়েছে।
যা সত্য, তাতো সত্য। objectively সত্য, নাকি subjectively সত্য – এই বিতর্ক আপাতত: বাদ থাকুক। যা সত্য, তাকে সত্য হিসাবে গ্রহণ করার জন্য ব্যক্তি সর্বাবস্থাতেই বাধ্য। এই জ্ঞানতাত্ত্বিক বাধ্যতাবোধের ক্ষেত্রে ব্যক্তির কর্তব্যবোধকে গণ্য করা হবে, না হবে না, তাই হচ্ছে এই বিতর্কেল মূল বিষয়। ব্যক্তির কর্তব্যবোধকে গণ্য করলে যা আসলে সত্য নয়, মিথ্যা বা অ-সত্য তা বলাটাও কখনো কখনো জাস্টিফাইড হতে পারে। সাদাকে সাদাই বলা হবে না কিছুটা সাদা (off white) বলা হবে – এটি হলো প্রশ্ন। সাদা-কালোর মতো অতিসহজ ও তুলনামূলকভাবে অকাট্য বিষয়কে উদাহরণ হিসাবে নিলে DJকে যতটা অযৌক্তিক মনে হবে, তুলণামূলকভাবে জটিল বিষয় সম্পর্কে তা ততটা যুক্তি সংগত মনে হবে। মনে করুন, কিছু শুকনো কেমিক্যাল সম্পর্কে ‘এগুলো কী?’
এই ধরণের প্রশ্নের উত্তরে একজন রসায়নবিদ সাধারণ মানুষের কাছে একাডেমিক উত্তর দিলে স্বভাবতই পাবলিক কিছুই বুঝবে না। তারজন্য এই প্রশ্নের উত্তরে কেমিক্যালটির প্রকৃত পরিচয়কে নাকচও করে না, আবার প্রশ্নকর্তাও নিজমতো করে কিছুটা বুঝে এমন ‘সঠিক’ জওয়াব দেয়াই যথার্থ। সাধারণ একজন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কেমিক্যাল সম্পর্কে যা জানলো তা deontologically justified হয়েছে। রসায়নবিদ সাধারণ মানুষকে কোনো বিশেষ কেমিক্যাল সম্পর্কে সাধারণের ভাষায় যা বললেন, তাও পরিণতিমুক্তভাবে ন্যায়সংগত হয়েছে। রসায়নবিদ নিজে রসায়নবিদ্যার কায়দায় সেই কেমিক্যাল সম্পর্কে যা জেনেছে তাও deontologically justified। যদিও তা সাধারণ মানুষের এতদসংক্রান্ত ‘জ্ঞান’ হতে ভিন্নতর। রসায়ন চর্চার সময়ে তার উচিত কোনো কেমিক্যালকে সেভাবেই জানা যেভাবে জানাটা রসায়নবিদ্যার দাবী। Non-deontological justification এর যারা প্রবক্তা তারা বলবে, উক্ত কেমিক্যাল সম্পর্কে সাধরণের জ্ঞানটা cognitively defective। তাই তা প্রকৃত বা আদৌ জ্ঞান হিসাবে গণ্য হবে না। জ্ঞানের প্রকরণ একটাই। অভিন্ন সত্যতাকে প্রাপ্তির লক্ষ্য আমাদের যাচাইকরণকে পরিচালিত করে। এক্ষেত্রে সত্যতার অনুসন্ধান হলো জ্ঞানের পরিণতি। একই বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এই পরিণতি বা লক্ষ্য ভিন্ন হতে পারে। যেমন একই শারিরীক বৈশিষ্ট্যের কারণে কোনো নির্দিষ্ট কাজে একজন ব্যক্তি যোগ্য, অন্য কাজের ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।
উল্লেখ্য, (১) পরিণতিমুক্তবাদ নীতিশাস্ত্রে কর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট, জ্ঞানতত্ত্বে তা বিশ্বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট। (২) NDJ’র দৃষ্টিতে যা স্বয়ং সত্য (true by itself) তার যথাসম্ভব কাছাকাছি উদাহরণ (probabilification) খুঁজে বের করা ও তা হুবহু দাবী বা প্রকাশ করার নাম হলো যাচাইকরণ বা জাস্টিফিকেশন।