law of identity বা সত্তাগত স্বাতন্ত্র্যতার সূত্রানুযায়ী অন্য কোনো ভেরিয়েবল বা শর্তের পরিবর্তন ব্যতিরেকে কোনো কিছু একইসাথে একাধিক সত্তা বা অস্তিত্বসম্পন্ন হবে না। তারমানে, দুটি বিপরীত জিনিস একইসাথে সত্য হবে না। পরস্পরবিরোধী দাবিগুলোর সবগুলো একইসাথে একই প্রেক্ষাপটে সঠিক হতে পারে না।
সত্যের রূপায়ন ও অনুধাবনে সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু মানুষ মাত্রই স্বজ্ঞাতভাবে মনে করে, সত্যতা হলো একক, অখণ্ড ও অভিন্ন। বিজ্ঞানে এটির উদাহরণ হলো Principle of Uniformity of Nature বা সংক্ষেপে PUN। ফিলসফিতে ওপরে বর্ণিত অভেদ নিয়মসহ এ রকম কিছু সেল্ফ-এভিডেন্ট ল আছে। যেগুলোকে আমরা যুক্তিবিদ্যার মৌলিক সূত্র হিসেবে জানি।
কনশাসনেসের মতো এগুলো স্বতঃপ্রমাণিত বা স্বপ্রমাণিত। যেমন analytic statement কখনো মিথ্যা হতে পারে না।
সত্যকে মানুষ অখণ্ড এবং অভিন্ন বলে মনে করে। এ কারণে সে নিজের খণ্ডিত অভিজ্ঞতাকে ইনফারেন্স দিয়ে মাল্টিপ্লাই করে সত্যের যথাসম্ভব কাছাকাছি যাবার চেষ্টা করে। ইনফারেন্স দিয়ে যতটুকু যেতে পারে না ততটুকু সে কল্পনা বা বিশ্বাস দিয়ে কাভার করার চেষ্টা করে।
আর প্রতিটা মানুষ সত্যকে অভিন্ন মনে করে বলেই যেটাকে সে সত্য মনে করে সেটাকে সে অন্য মানুষের মাঝে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
সত্য সম্পর্কে মানুষের এই ধারণাগুলো হলো জন্মগত। ইউনিভার্সাল।
মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Yasir Adnan: ইনফারেন্স দিয়ে মাল্টিপ্লাই করার মানে কি বহু অভিজ্ঞতা একত্রিত করে ডিসিশনে পৌঁছা?
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক: ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে নেয়া। যেমন করে পাহাড়ের উচ্চতা মাপা হয় জ্যামিতির নিয়ম ব্যবহার করে।