বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ পড়া সবচেয়ে সোজা। শুধুমাত্র খাতায় নাম থাকলেই হলো। মাঝে মাঝে ক্লাশে হাজিরা দেয়া লাগবে। গোটা বৎসরে সাকুল্যে ১০/১২টা ক্লাশ হলেই হলো। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম হলো অন্ততপক্ষে শতকরা ৬০ ভাগ ক্লাশ করতে হবে। সে হিসেবে ১০টা পেপারে কমপক্ষে মোট ২০০ ক্লাসে উপস্থিতি থাকা দরকার। কিন্তু আমার জানা মতে, এটি ফলো করা হয় না। একেবারে কোনো ক্লাশ না করেও পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি লাভের উদাহরণ আছে। এ তো গেলো ক্লাশে উপস্থিতির কথা।

এবার আসুন ক্লাশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই স্টুডেন্টরা এমএ ক্লাশে আসে। অনেকে বই-খাতাও আনে না। নির্ধারিত ৪৫ মিনিট পার হলেই এরা উসখুশ শুরু করে। হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ক্লাশে বোর ফিল করে।

ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা লেখাপড়ায় ভালো। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ টিচার হবে ফিমেল। হয়তো তখন পুরুষ টিচারের জন্য কোটা নির্ধারণ করতে হবে। ম্যাডামদের সংখ্যা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে।

আমার এ অভিজ্ঞতা গতকাল হতে শুরু করে পেছনের দিকে অন্তত ১৭ বছরের। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের একটি বিখ্যাত ডিপার্টমেন্টের। বিখ্যাত এ জন্য যে, এই ডিপার্টমেন্টে অন্তত ৮-১০ বছর হতে কোনো সেশনজ্যাম নাই। নিয়মিত ক্লাশ, পরীক্ষা, ফলাফল ইত্যাদি হয় (সত্যিকার অর্থে জ্ঞানার্জন ছাড়া)। তাই নাস্তিকদের ডিপার্টমেন্ট বলা হলেও এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হতে ছাত্ররা আগ্রহী থাকে।

জানি না অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে।

পোস্টটির সামহোয়্যারইন লিংক

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *