[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বিবেচনা করে আমার প্রতিক্রিয়া।]
ইংরেজিতে একটা কথা আছে– There is always a ghost in the machine. বাংলাভাষীরা বলে– সর্ষে-পড়া দিয়ে ভূত তাড়ানো যাবে কীভাবে, ভূত যদি সর্ষের মধ্যেই থাকে? বর্তমান উপাচার্যের সাথে কলা অনুষদের শিক্ষকদের সৌজন্য সাক্ষাতের দিন সিনিয়রমোস্ট টিচারদের সাথে আমিও বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। ১লা জানুয়ারি হতে নতুন অফিস টাইম (৮:৩০–৪:৩০, শুক্র-শনি ছুটি) নির্ধারণ প্রসংগে আজ দুপুরে অন্য বিভাগের এক নবীন শিক্ষক আমাকে অভিনন্দন জানালো। কারণ, প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে অত্যন্ত খোলামেলাভাবে যেসব আত্মসমালোচনামূলক একাডেমিক সমস্যা নিয়ে সেদিন আমি কথা বলেছিলাম তাতে অফিস টাইম ও ট্রান্সপোর্ট শিডিউলের অসংগতির বিষয়ও ছিলো। যাহোক সে প্রসংগ।
এটি দেখে ভাল্লাগছে যে, গণনিয়োগের অর্ধযুগ পরে এ পর্যায়ে এসে নতুন চবি প্রশাসনের, খুব সম্ভবত, মনোভাবের দৃশ্যত ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। আশা করি এই নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে সত্যিই যারা ভালো স্টুডেন্ট তারাই নিয়োগ পাবেন। দুঃশ্চিন্তার বিষয় হলো, নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গিয়ে যদি কিছু কিছু ‘বিরোধী মতের লোক’ও এসে যায় তখন ভিসি স্যার উপর মহলে কী জওয়াব দিবেন, বুঝতে পারছি না। নাকি আর্টিফিশিয়্যাল ইনটেলিজেন্স পড়াতে গিয়ে ক্লাসে ঠাট্টা করে যে কথা উদ্ধৃত করি, there is always a ghost in the machine – তাই শেষমেষ সত্যি হয়ে দাঁড়াবে??? কষ্ট পাবো যদি দেখি মিষ্টির পুরোটাই খাওয়া হয়েছে ‘বিচি’গুলো বাদে…!!!