‘ভাব’কে যারা মূখ্য মনে করে তারা ‘ভাববাদী’। ‘বস্তু’কে যারা আদি-উৎস মনে করে তাদেরকে বলা হয় ‘বস্তুবাদী’। এভাবে কোনোকিছুকে চূড়ান্ত হিসাবে যারা গ্রহণ করে তাদেরকে সেই বিষয়ে ‘-বাদী’ বলা হয়। এ অর্থে যারা বিজ্ঞান দিয়ে সব ধর্ম, দর্শন ও সমাজ সংশ্লিষ্ট সমস্যার (ইস্যু অর্থে) সমাধান নির্ণয়ের পক্ষে তাদেরকে সরাসরি ‘বিজ্ঞানবাদী’ না বলে বিজ্ঞানমনস্ক কেন বলা হয়, বুঝতে পারছি না। এটি কি যুবক শব্দের এন্টোনিম হিসাবে যুব-মহিলা বলার মতো gender-sensitive কোনো ব্যাপার কি না, বুঝতে পারছি না … !!

বিজ্ঞানবাদীরা বিশ্বাস করে, বিজ্ঞান সব প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম। এখন না পারলেও ভবিষ্যতে পারবে। ব্যাখ্যার gap এ তারা বিজ্ঞানকে বসায়, যেমন করে ধর্মবাদীরা ইতোমধ্যে অব্যাখ্যাত জায়গায় God কে বসায়। বিশ্বাসের ফাইন্ডিংস স্বতন্ত্র হলেও at the end of the day দুটাই কি belief system নয়?

বোকারা যেমন করে কখনোই বুঝে না, কেন তাদেরকে বোকা বলা হচ্ছে, সমস্যা হলো, ইনারাও তেমনি মানতে চান না যে, দিন শেষে সবই বিশ্বাস!!! এমনকি আপনি এই লেখাটা পড়ছেন, এটিও আদতে বিশ্বাস !! জ্ঞানবিদ্যার ভাষায় এটিকে বলা হয় empirical belief। আমার এ কথায় বিশ্বাস না হলে সমকালীন জ্ঞানবিদ্যা যে কোনো বই খুলে, লেখা পড়ে যাচাই করে নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, জ্ঞান মাত্রই বিশ্বাস যদি তাতে (স্বাধীন) সত্যতা থাকে এবং এই সত্যতা যদি যাচাইযোগ্য হয়। সমকালীন জ্ঞানতত্ত্ব বলতে প্লাটো প্রদত্ত জ্ঞানের এই ট্রাইপারটেইট সংজ্ঞার প্রস্তাবণাকে প্রমাণ কিংবা খণ্ডনের ‘ব্যর্থ চেষ্টা’র বর্ণনাকেই বুঝায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *