নিত্য নতুন এই পুরনো পৃথিবীতে,
সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে
বেঁচে থাকার অপার আনন্দে
আমরা ঋদ্ধ, ধন্য।
স্মরণ করছি আজ প্রবল ভালোবাসায়,
সব সত্যপথ যাত্রীদের।
ঘোষণা করছি আমাদের অকপট একাত্মতা,
যুক্তিবাদী সব জ্ঞানীদের সাথে।
খণ্ডিত জ্ঞানের খোলস ছেড়ে
এসো বেরিয়ে পড়ি আজ,
মুক্ত জ্ঞানের সন্ধানে।
দুর্বল যুক্তির মায়াজাল ছিন্ন করে,
ঔদ্ধত্যের নির্বুদ্ধিতাকে অস্বীকার করে,
এসো খুঁজে নেই, ধারণ করি জীবনের
পূর্ণ সত্যকে।
এসো, প্রবল উদ্যমে হই সংগ্রামমুখর।
নিরলস ঐকান্তিকতা দিয়ে
গড়ে তুলি এক সুন্দর মানব জীবন।
এসো, বিশ্বাস করি,
যুক্তির বাইরে কিছু নাই।
হতে পারে না কাণ্ডজ্ঞানের
বিপরীত কোনো সত্য।
আমাদের পরিচয় হোক এমনই–
নীতির প্রশ্নে আমরা ক্ষমাহীন।
আমাদের মনোজগতে নাই
সত্যের কোনো বিকল্প।
ভাবতে পারি না আমরা
ন্যায়ের কিছুমাত্র অন্যথা।
বুদ্ধির অনুকূলে আমরা
নিঃসঙ্কোচ, নির্ভয়, অবিচল সর্বদা।
[মোহাম্মদ আমীর মারুফের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভিডিওটা তৈরি করে দেয়ার জন্য। আবৃত্তিটা আমি নিজেই রেকর্ড করেছিলাম দু’তিন দিন আগে। আমার ট্যাবে। কোনো মাইক্রোফোন ছাড়াই। এরপর টেক্সটসহ অডিওটা আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনের কাছে ইনবক্স করেছিলাম। তারা ভালো বলাতে মারুফকে অনুরোধ করেছি একটা ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
চিন্তাশীল প্রাণী হিসেবে একজন মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন মানুষের পরিচয়, নৈতিক অবস্থান ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন হওয়া উচিত, তারই একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’র মতো কবিতার আঙ্গিকে এটি আসলে মানবিক মর্যাদার একটি সর্বজনীন ঘোষণা। বিশেষ করে, আজকের ও আগামী দিনের জীবনবাদী সমাজকর্মীদের জন্য।]