চাই জ্ঞানভিত্তিক একটি সমাজ।
যেখানে প্রশ্নদের আছে অবাধ আনাগোনা
যুক্তি যেখানে অবারিত
বরং মূলভিত্তি সবকিছুর,
তেমন এক সমাজে বসবাস করতে চাই।
নৈতিকতা আর জ্ঞানচর্চার নামে
যত সব চৌকষ ভণ্ডামি হতে
চাই নিষ্কৃতি।
স্বপ্ন দেখি এক শুদ্ধ মানবিক জীবনের।
বাহুল্য সম্পর্ক আর নিঃসঙ্গতার যন্ত্রণা
যেখানে থাকবে না।
বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়া যাবে
মন খুলে সব কথা বলা যাবে
অবদমন কিংবা আরোপিত কৃত্রিম বিকৃতি-চর্চার যাঁতাকলে
যেখানে প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হতে হয় না,
জীবন যেখানে প্রকৃতির মতো অবাধ,
সত্য আর ন্যায় যেখানে অনিরুদ্ধ মূলস্রোতধারা
সেখানে থাকতে চাই।
নাগরিক হতে চাই তেমনি এক
মানবিক সমাজ ও বৈশ্বিক রাষ্ট্রের।
পরজীবন বিশ্বাস হলো
এই শুদ্ধতম আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি।
মানুষ অকপট হতে চায়
কিন্তু পারে না।
তাই তো সে ঈশ্বরবিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে।
নিজের মন আর ঈশ্বরের কাছে মানুষ অকৃত্রিম, সদা সত্যবাদী।
একজন নিরীশ্বরবাদী শেষ পর্যন্ত একাকী, নিঃসঙ্গ, পরিত্যক্ত।
নিরীশ্বরবাদীর জীবন কৃত্রিম, বিরোধপূর্ণ ও অর্থহীন।
সাময়িক আনন্দ কিংবা বেদনায় আমি তৃপ্ত নই।
খণ্ডিত জীবনে আমি তৃপ্ত নই।
এক অখণ্ড অনুভবে বরং আপ্লুত হতে চাই।
প্রশ্ন, যুক্তি, জ্ঞান আর আবেগ যেখানে একসূত্রে গাঁথা,
সেটাই আমার সত্যিকারের ঠিকানা।
ফিরে যেতে চাই
জীবনের সেই প্রতিশ্রুত প্রান্তরে।