চাঁদ নও, জানি
তুমি এক মানবী, তবুও
পূর্ণিমার চাঁদের মতো
অনিমেষ মুগ্ধতা নিয়ে জ্বলে
তোমার রূপের শিখা।
তোমাকে দেখার প্রতিটা ক্ষণ
প্রতিটা মুহূর্ত
মনে হয় যেন
সমস্ত পৃথিবীর চেয়েও দামী।
মনের খাতায় তুমি
অলখে লেখা
জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতা…!
আমার সমস্ত অস্তিত্ব, সত্তা, স্বপন, স্মরণে
মিশে আছো তুমি
শুধু তুমি, শুধু তুমি।
চাঁদ নও, জানি
তুমি এক মানবী,
তুচ্ছ তুমি হয়তোবা কারো কাছে
আমার কাছে তুমি, পৃথিবীর
প্রেমযোগ্যা একমাত্র নারী।
আমার ঘুমভাঙ্গা রাতের
অলস দুপুরের কর্মহীন সময়ের
নিঃসঙ্গ অনুভবের প্রতিটা ক্ষণের
তুমিই একমাত্র হত্যাকারিনী…
[ছাত্রজীবনে লেখা। মনে হতে পারে, ছাত্রজীবনে ‘তুমুলভাবে ইসলামচর্চা করা’ সত্ত্বেও ‘তলে তলে’ প্রেমচর্চাও করেছি। এটলিস্ট ‘সাংগঠনিক প্রেম’ ধরনে বিশেষ কাউকে পছন্দ তো ছিলোই…! আসলে, না। ছাত্রজীবনের শুরুতেই পণ করেছিলাম– বন্ধুর ছোটবোন, কাজিন, প্রতিবেশী ও ক্লাসমেট ক্যাটাগরির কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াবো না। সৌভাগ্য কিম্বা দুর্ভাগ্য যা-ই হোক না কেন, ব্যাপার হলো এই চতুর্বিধ সম্পর্ক-সূত্রের বাহিরে প্রেম করার মতো কারো সাথে তেমনভাবে সাক্ষাৎলাভ ঘটে নাই। যার ফলে ছাত্রজীবনে প্রেম করার বা প্রেমে পরার কোনো মধুর স্মৃতি আমার নাই। অতএব, তারুণ্যের অনিরুদ্ধ প্রেমাকাঙ্খার অনিবার্য পরিণতি হিসাবে এ ধরনের নৈর্ব্যক্তিক রোমান্টিকতার চর্চা…। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫।]