বুদ্ধিজীবী হতে চাইনে, হতে চাই চালচুলোহীন বিপ্লবী।
জ্বলে উঠতে চাই প্রতিবাদের প্রবল বহ্নি হয়ে।
ধ্বংস করে দিতে চাই অসত্যের সকল নির্মাণ।
সত্য আর ন্যায়ের পথে হতে চাই অক্লান্ত, দুর্বার।
ইচ্ছে করে, ছুঁড়ে ফেলে ভোগ বিলাস, সুখের পেয়ালা,
হয়ে উঠি জীবন জয়ী এক সাহসী যোদ্ধা।
সহজাত চাহিদা পূরণ করতে চাই,
চাই প্রবৃত্তির নিবারণ।
তারচেয়ে বেশি করে চাই, আমরণ মোকাবেলার ময়দানে
প্রতিরোধের ঝান্ডা উঁচিয়ে নির্ভীক এগিয়ে যেতে।
অর্থ-সম্পদের অধিকারী হতে চাই, তারচেয়ে বেশি করে চাই
তীব্র গতিতে সত্যের পথে এগিয়ে যেতে।
প্রতিপত্তি আর সম্মান চাই,
ভালো লাগে ক্ষমতা;
তারচেয়ে বেশি করে চাই, বেশি ভালো লাগে
অপশক্তির হাতে লাঞ্ছিত হতে।
নারীসঙ্গ ভালো লাগে, ভালো লাগে রোমান্টিকতা,
তার চেয়ে বেশি ভালো লাগে গণ মানুষের সঙ্গ,
তাদের অকপটতা।
মাঝে মাঝে যখন এ মন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে, তখন
জীবন-জুয়াড়ি হতে বড় সাধ জাগে।
তিলের সাথে দ্বন্দ্বে,
আপাত পরাজয়ের গ্লানিতে একবার অশ্রুপাতকে
সহস্রবার বীর্যপাতের চেয়েও মনে হয় বেশি সুখের।
ইচ্ছে করে, নিজেকে
যদি বানিয়ে নিতে পারতাম আণবিক বোমা,
এরপর বিস্ফোরিত হতাম জালিমের দূর্গে,
স্তব্ধ করে দিতাম মিথ্যার অগ্রযাত্রা।
ব্যক্তিগত সুখ শান্তি পেতে চাই,
তার চেয়ে অনেক বেশি করে চাই
তুমুল মোকাবেলায় লাভক্ষতির সব হিসেব ভুলে যেতে।
মাঝে মাঝে, সুশীল নাগরিক হওয়ার চেয়ে,
ভালো লাগে জঙ্গী তকমা পেতে।
অকাট মিথ্যার নির্লজ্জ বেসাতি দেখে
দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হওয়ার কথা বেমালুম ভুলে যাই,
মনে হয়, বিপ্লবী হওয়ার চেয়ে কিছু নয় বেশী সম্মানের।
ডিমে তা দেয়া মা-পাখির মত
হতে চাই অবিরত, নিরাপস, জীবন-পণ।
সত্যের স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে চাই আমৃত্যু আজীবন।
[বিদায়ী শীতের এক কিশোর সকালে কীসের টানে কীভাবে যেন লিখে ফেললাম এই ক’টি কথা।
জানুয়ারি ০৯, ২০২১
১৫ নম্বর বাসা, দক্ষিণ ক্যাম্পাস,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।]