রোজা রাখা কিংবা ঈদ উদযাপনের জন্য চাঁদ দেখা নিয়ে যে কনফিউশন তৈরি হয় তা নিরসন করার জন্য সবার উচিত হাদীসের গ্রন্থগুলো থেকে এ সংক্রান্ত হাদীসগুলো পড়ে বর্ণনাগুলোকে সুসমন্বিতভাবে (with proper consistency) অনুধাবন করার চেষ্টা করা।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এটিসহ ইসলামের সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এভেইলেবল প্রাইমারি সোর্স তথা কোরআন, হাদীস ও সীরাত থেকে সরাসরি জেনে নেয়ার ব্যাপারে, এমনকি উচ্চশিক্ষিত লোকদের মধ্যেও দেখা যায় এক ধরনের অনীহা ও তাচ্ছিল্যভাব।
যার কারণে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনেকেই স্রেফ আন্দাজে ও চলতি পপুলার ট্রেন্ড অনুসারে কথা বলেন। এটি অনভিপ্রেত।
আপাতত সেকেন্ডারি সোর্স থেকে যারা এ বিষয়ে জানতে চান তাদের জন্য নিম্নোক্ত পরামর্শ:
১। এ বিষয়ে রোর বাংলা’র এই আর্টিকেলটা পড়তে পারেন: চন্দ্র দর্শনের আদি-অন্ত
২। সবচেয়ে ভালো হয় যদি এ বিষয়ে শ্রদ্ধেয় Salamat Ullaht‘র লেখাগুলো পড়েন।
৩। সময় থাকলে আমার এই দুইটা লেখাও এক্সপ্লোর করে দেখতে পারেন:
ক. একই দিনে বিশ্বব্যাপী ঈদ পালনের ইস্যু নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা
ফেইসবুক থেকে নির্বাচিত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Ohidul Alam: Mohammad Omar Farooq bhai, will you read this post and comment?
Mohammad Omar Farooq: Salaam. The post is informative, but there wasn’t really anything new. Also, the post does not lead to any conclusion. Here is my take on the issue.
- Lunar calendar is particularly relevant to ascertaining the beginning and ending of Ramadan as well the day of Eid’s.
- Focusing on just the Ramadan, the guidance is that fasting should begin with the beginning of the month of Ramadan.
- During the time of the Prophet, neither there was any means to deal with the lunar month except through naked eye sighting nor was there any way to adhere to and implement a uniform day worldwide.
- Today the birth of the moon is accurately determined. When we determine the beginning of the month of Ramadan based on accurate astronomical data, we ARE fulfilling the requirement that Ramadan begins with the beginning of the month of Ramadan and ends with the ending of the month of Ramadan. Thus, we do not violate what is expected of us in regard to the ibadah related to the month of Ramadan.
- Abu Umar Faruq Ahmad, a Shari’ah Scholar, has rightly pointed out that the fasting during the Ramadan and doing so based on determination of the beginning of month of Ramadan and ending of it is ibadah. However, the method of determination of the beginning and ending of the month is not part of Ibadah. Thus, going by astronomical data is neither a violation of Islam nor any compromise of any aspect of Islam. No mafsada (harm, demerit or loss).
- However, going by astronomical calculation has added maslaha (benefit, gain or merit). It allows us to perform this noble ibadah uniformly and unitedly (even if only symbolically).
- Finally, there is NO conclusive and incontrovertible evidence from the Qur’an and Sunnah that sighing of the crescent with naked eye is a religiously mandated duty universally for ALL time. If we think that the naked eye sighting is a requirement in itself, we should not use any scientific timetable for Salat as well. Instead, we should use rising and setting of the sun and its shadow to continue to do our Salat. Also, we should not begin and break our fast every day based not precise astronomical data accurate to the minute. We should not use any loudspeaker for adhan. We should not stream any khutbah from Masjid al-Haram or Masjid al-Nawawi. All these are related to ibadah, but not according to the way our Prophet (s) and his noble companions did.
- What we are doing today is not only adding confusion, incoherence and disunity, but also making us appear disoriented and ludicrous to the rest of the world. Fi amanillah.
Ohidul Alam: mashaAllah! Good points! Many thanks!
Ohidul Alam: Mohammad Omar Farooq and Mohammad Mozammel Hoque, I presume you may know each other as you have some common background! And also, currently doing similar kind of job and contributing in your own field of Islam, alhamdulillah.
Mohammad Mozammel Hoque: না, উনার সাথে আমার এখনও পরিচয় বা সাক্ষাৎ হয়ে ওঠেনি।
Mohammad Omar Farooq: সালাম। ড. মোজাম্মেলের সাথে আমারও যোগাযোগ হয়নি, অন্তত ফেসবুকে। দেশ ছাড়ার আগে উনার সাথে কোনো যোগাযোগ বা যোগসূত্র ছিল কিনা সেটা দেখতে হবে। তবে উনার অনলাইন উপস্থিতি এবং তার বিভিন্ন লেখালেখির সাথে আমি বেশ কিছুটা পরিচিত। ফি আমানিল্লাহ।
Mohammad Mozammel Hoque: ভাই Mohammad Omar Farooq, সালাম নিবেন।
যে জন্য এই কমেন্টটি করা, তা হলো, আপনি হয়তো জানেন না, যে আমি পিএইচডি করি নাই। অথবা, করতে পারি নাই। তেমন ধরনের একাডেমিক ক্যারিয়ার করার জোরালো ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। তবে একজন আদর্শ শিক্ষক বলতে যা বোঝায়, আল্লাহর রহমতে ইতিমধ্যেই তার বেশ খানিকটাই আমি হতে পেরেছি। আমার ইচ্ছা, যেন আমি একজন পপুলার পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল হতে পারি। অন্ততপক্ষে যেন একজন প্রো-ইসলামিক পাবলিক ফিগার হতে পারি।
আমার প্রতি সৌহার্দ্য প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
Salamat Ullah: চাঁদ নিয়ে বিতর্ক যখন আছে তখন আরেকটু বিতর্ক করি। 🙂
ইসলামের নির্দেশনা আমজনতার কাছে অত্যন্ত সহজ, সরল এবং স্বচ্ছ করা হয়েছে। চাঁদ দেখার পদ্ধতি বা নির্ধারণ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যন্ত সহজ করে বলে গিয়েছেন। ২৯ দিন পূর্ণ হলে চাঁদ দেখতে হবে। খালি চোখে দেখতে হবে। কোনো বাইনোকুলার বা আধুনিক টেলিস্কোপ ব্যবহার করে চাঁদ দেখতে হবে– এই রকম কোনো নির্দেশনা আমি পাইনি। চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আরো সহজ করা হয়েছে। মেঘে ঢাকা থাকলে কোনোরূপ দ্বিধাদ্বন্দ্ব না রেখে ৩০ দিন পূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। খুব সহজ করে আমজনতার জন্য নির্দেশনা আছে। আমি কাউকে পাইনি যে এই নির্দেশনা বোঝেনি।
তো, আমার কাছে মনে হচ্ছে, অত্যন্ত দুঃখের সাথেই বলতে হচ্ছে আজকালকার মুসলমানের কাছে এই নির্দেশনা পছন্দনীয় নয়। উপমহাদেশ ছাড়া এই পদ্ধতিতে আর কেউ চাঁদ দেখে না। আমরা কিছু বিষয় যোগ করেছি যেমন দূরবীন দিয়ে চাঁদ দেখা। এতে ঘটনা জটিল হয়েছে। টেলিস্কোপ যোগ করেছি, তাতে ঘটনা আরেকটু জটিল হয়েছে। এভাবে জটিল থেকে জটিলতর। কঠিন থেকে কঠিনতর করেছি। এখন ব্যাপারটা এমন জটিল হয়েছে সেই জটিলতার গিট্টু খোলার মতো সমাধান কারো কাছে নাই।
চন্দ্রদর্শনের আদি-অন্ত আর্টিকেলে লেখক উল্লেখ করেছেন, ফ্রেঞ্চ জ্যোতির্বিদ থিয়েরি লিগ্যাল অমাবস্যার সময় চাঁদ দেখেছিলেন। এই বিষয়ে একটু মনোসংযোগ দরকার। অমাবস্যার সময় চাঁদ দেখেছিলেন। আসলে তিনি ছবি তুলেছিলেন। এবং সাবধানতা গ্রহণের আহবান জানিয়েছিলেন যাতে কেউ এই সময় চাঁদ দেখার চেষ্টা না করে। এই সময় চাঁদ দেখার চেষ্টা করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
তো, প্রশ্ন: ফ্রেঞ্চ জ্যোতির্বিদ থিয়েরি লিগ্যাল অমাবস্যার সময় চাঁদ দেখেছিলেন, তাকে হিলাল দেখা বা চাঁদ দেখার প্রমাণ হিসেবে কি গ্রহণ করা যায়?
সম্মানিত পাঠকের মতামত জানলে ভালো লাগতো।
আমার মতামত: যদি দূরবীন দিয়ে চাঁদ দেখা বৈধ হয়, তাহলে থিয়েরি লিগ্যাল যেভাবে চাঁদ দেখেছেন তা বৈধ হবে না কেন? যদি দূরবীন দিয়ে চাঁদ দেখা বৈধ হয়, তাহলে থিয়েরি লিগ্যালের চাঁদ দেখা বৈধ। যদিও এ পদ্ধতিতে চাঁদ দেখতে গেলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে দূরবীন বা অন্য কোনো যন্ত্র দিয়ে চাঁদ দেখা বৈধ মনে করি না।
আল্লাহ পাক আমাদের জন্য অনেক কিছু সহজ করেছেন, সরল করেছেন। আমরা জটিল করেছি। জটিলতর করেছি। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে, আবার সহজ-সরল পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া।