কারণটা যতই ‘জেনুইন’ হোক না কেন, অন্যকে উপহাস করার বিষয়টাকে আমি সর্বতোভাবে এড়িয়ে চলি। আত্মবিকাশ ও সুস্থ ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরী।
প্রয়োজনে যে কারো সুস্থ সমালোচনা করা যেতেই পারে। কিন্তু ট্রল করা বলতে যা বোঝায় তা হলো অসুস্থ সমালোচনা। দিনশেষে তা সমালোচনাকারী ব্যক্তিকে সমালোচিত ব্যক্তির চেয়েও নিম্ন স্তরে পৌঁছিয়ে দেয়, সমালোচিত ব্যক্তি যদি আসলেই ততটা খারাপ হয়েও থাকে।
At any situation, find the positivity first, and negativity at the least.
Troll is poisonous to healthy personality. No matter how much genuine is the issue, avoid trolling.
আপনি যদি অভিনেতা হোন, তাহলেও যত্রতত্র ও যখন-তখন সব কিছুতে অভিনয় করবেন না নিশ্চয়ই। যখন আপনি অভিনয় করছেন, তখন আপনি ও দর্শকবৃন্দ উভয়পক্ষ ভালো করেই জানে, আপনি অভিনয় করছেন। মানুষ মনে করবে আপনি সত্যিকারভাবে এমনটি করছেন, অথচ আপনি অভিনয় করছেন; এটি শঠতা ও প্রতারণা।
তারমানে এই নয়, আপনি ট্রলকে ট্রল হিসেবে উপস্থাপন করলে সদা-সর্বদা সেটি করতে পারেন। হ্যাঁ, আপনি যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত অধিকারের দৃষ্টিতে এটি সঠিক। যেমন করে শঠ ও প্রবঞ্চকেরা যা করে সেটার দায়-দায়িত্ব তাদের।
মাত্রাতিরিক্ত উপহাস করার মাধ্যমে, শুরুতে যা বলেছি, আপনার ব্যক্তিত্ব ক্ষুণ্ন হবে। আপনি গভীরভাবে চিন্তা করতে অক্ষম হযে পড়বেন। হালকা চটুলতাই আপনার সবসময় ভালো লাগবে। ভালো কিছুতে সিরিয়াসলি এনগেইজ হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি মানসিকভাবে বাধাগ্রস্ত হবেন। কারো সাথে আপনার নির্ভরযোগ্য সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।
এবার আসেন, মাত্রার কথা বলি।
আমি বলেছি, মাত্রাতিরিক্ত উপহাস বা ট্রল না করতে। সমস্যা হলো, মাত্রাটা আমরা প্রায়শই বজায় রাখতে পারি না। অন্যকে উপহাস করার যে বিকৃত আনন্দ, তা আমাদেরকে নেশাগ্রস্ত করে তোলে।
তাই, সবচেয়ে ভালো হয়, এ ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড হতে যথাসম্ভব আত্মরক্ষা করা।