The way to get started is to quit talking and start doing.
– Walt Disney, Co-founder of Walt Disney Productions
কোনোকিছু শুরু করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করে যে জিনিসটা তা হলো ওই বিষয়ে বকোয়াজগিরি বন্ধ করে অবিলম্বে হাতের কাছে যা আছে তা দিয়ে শুরু করা। পরিকল্পনার ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়াটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজের কাজ কিছু না হওয়ার কারণ। “এসো সবে মিলে শুরু করি”, “কাজ করা দরকার”, “কাজ করা দরকার”, “শুরু করা দরকার”, “আগামীকাল হতে করবো” অথবা “আগে এস্টাবলিশড হয়ে নিই, তারপরে জোরেশোরে করবো” – অভিজ্ঞতায় দেখেছি যারা এমনতরো মনে করে, এসব মিষ্টি মিষ্টি কথাকে বুকে জড়িয়ে ঘুমায়, তারা কখনো তেমন কিছু করতে পারে না। প্রতিষ্ঠিত কোনো ধারায় কিছুটা এগিয়ে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে, কোনো একটা তকমা নিয়ে ঝুলে থাকে, বড়জোর। অতএব ….
In the future, there will be no female leaders. There will just be leaders.
– Sheryl Sandberg, CEO of Facebook
নারী-বিদ্বেষ অনেকখানি কমে অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবী অনেক বেশি মানবিক হয়ে উঠবে। আমারদের আশেপাশে কতো বেশি পরিমাণে যে পুরুষতন্ত্র (androcentrism) কায়েম আছে তা আমরা সব সময়ে বুঝতে পারি না, বা স্বীকার করি না। উপরের উদ্ধৃতিটিতে এই দিকটার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। নারীবিদ্বেষ শুধু নয়, ‘আলোকিত’ ও ‘মুক্তমনা’ হিসাবে নিজেদের দাবী করেন এমন অনেকেই ভেতরে ভেতরে ভীষণ সাম্প্রদায়িক ও পক্ষপাতদুষ্ট। আর সাম্প্রদায়িকতাকে যারা শুধুমাত্র ধর্ম-সংশ্লিষ্ট ব্যাপার মনে করেন, তারা নিতান্ত বোকার স্বর্গেই বাস করছেন …।
So often people are working hard at the wrong thing. Working on the right thing is probably more important that working hard.
– Caterina Fake, Co-founder of Flicker
অনেকেই খুব কাজ করে। সকাল-সন্ধ্যা তুমুল ব্যস্ত। মনে করেন, তারা অনেক কাজ করছেন। এ যেন দৌড়ানোর মেশিনের (treadmill) উপর হয়রান হয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করা …! বেশি কাজ নয়, অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ কাজে যথাযথভাবে এনগেজ হওয়াটাই বড় কথা।
Innovation distinguishes between a leader and a follower.
– Steve Jobs, Co-founder of Apple
মানুষ স্বভাবত:ই পরিবর্তন-রোধী (change-resistant)। গতানুগতিকাকে মানুষ ভালোবাসে। পজিটিভ সেন্সে একে ঐতিহ্য বলা হয়। মনে রাখতে হবে, পুরনো মানেই ঐতিহ্য নয়। পুরনো যা কিছু আমাদের অগ্রগতি, সামনে চলা ও নতুনকে গ্রহণ করার কাজে সহায়ক, কেবলমাত্র তা-ই ঐতিহ্য। উদ্ভাবনী ও গঠনমূলক কোনোকিছু তৎকালীন সমাজকাঠামো ও চিন্তাগত মানের নিরিখে এক ধরনের ভুল চিন্তা, বেপথু ভাবনা ও স্খলন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সে জন্য থেমে গেলে চলবে না। সাধারণ লোকেরা অসাধারণ কোনোকিছুকে শুরুতেই বুঝবে না, এটিই তো স্বাভাবিক। সবকিছুকে যারা কোয়ানটিটি দিয়ে যাচাই করে, তাদের মতো পপুলিস্টদের কাছে নতুন মানেই সন্দেহের বিষয়, খারাপ।
Never give up because you never know if the next try is going to be the one that works.
– Mary Kay Ash, Founder of Mary Kay Cosmetics
কততম চেষ্টায় সফলতা আসবে তা কি কোথাও লেখা থাকে? যদি তা নতুন কিছু হয়? বাংলায় এ রকম একটা প্রবাদ আছে না …. “একবার না পারিলে দেখো শতবার, পারিবে না কথাটি বলিও না আর।”
I choose a lazy person to do a hard job, because a lazy person will find an easy way to do it.
– Bill Gates, Co-founder of Microsoft
শুটিং শেখানোর জন্য একেবারে আনকোরাদেরকেই বাছাই করে নেয়া হয়। কারণ, যারা একবার ভুল শিখে গেছে, তাদেরকে ভুলটা ভুলিয়ে সঠিকটা শেখানোর চেয়ে, পটেনশিয়্যালিটি ও সিনসিয়ারিটি এমন কাউকে শেখানো অনেক বেশি সহজ। ভুল হওয়া বড় সরল অংকের ভুল বের করে তা সংশোধন করার চেষ্টা না করে, ফর্মূলা জানা থাকলে, অংকটা নতুন পৃষ্ঠায় আবার করে নেয়াই ভালো। আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ (স.) সবসময়ে নির্দোষ বিকল্পগুলোর মধ্যে সহজতমটাকেই গ্রহণ করতেন। যত উচ্চতর বুদ্ধিবৃত্তি তত ভালো ও উন্নত – এ রকমের একটা ভুল ধারণা অনেকের মধ্যে দেখি। ব্যাপক ও জটিল বুদ্ধিবৃত্তি চর্চা বড় কথা নয়। খেলায় গোল করে জিতে যাওয়ার মতো নিজস্ব বুঝ-জ্ঞানের গভীরতা অর্জনই হলো আসল কথা। সাফল্যের চাবিকাঠি। তথ্য বা তত্ত্ব কোনো কাজে লাগে না। কাজে লাগে আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা রিয়ালাজাইশান। কোরআন শরীফের সুরা তাকাসুরে যাকে “হাক্বক্বুল ইয়াক্বীন” (proper understanding) হিসাবে বলা হয়েছে।
If you’re not making mistakes then you’re not making decisions.
– Cathrine Cook, Co-founder of MeetMe
বর্তমান সমাজপরিবর্তনের ধারায় যারা নিজেদেরকে ‘ক্রিটিক’ হিসাবে পরিচয় দেয়, তাদের আমি অপছন্দ করি। ভয় পাই। আমি ‘ক্রিটিক’ নই, এক্টিভিস্ট-থিওরিস্ট। ভুল তাদেরই হয় যারা কাজ করে। অতএব, ভুল-মুক্ত থাকার একমাত্র পদ্ধতি হলো কোনো কাজ না করে বসে থাকা। ইসলাম কাউকে ‘ক্রিটিক’ হয়ে থাকার সুযোগ দেয় না।
The fastest way to change yourself is to hang out with people who are already the way you want to be.
– Reid Hoffman, Co-founder of LinkedIn
এ রকম আরো একটা কথা আছে, a man is known by his/her company। হাদীসে আছে, বনী ইসরাইলের আলেমগণ তাদের কাওমকে নানা অপকর্মের বিষয়ে সতর্ক করতো। কিন্তু মানুষ, বিশেষ করে নেতৃবৃন্দ তা শুনতো না। তৎসত্বেও সেসব আলেম ওদের সাথে উঠাবসা ও খাওয়া-দাওয়া করতেন। এতে আল্লাহ তায়ালা শেষ পর্যন্ত উক্ত আলেমদের মনকে পরিবর্তন করে দিলেন। এরপর আলেমরাই মন্দকাজগুলোর বিষয়ে খারাপ লাগা হতে বঞ্চিত হয়ে গেল …! বর্তমানে দেখি, সমাজ সংস্কারের কথা যারা বলেন, তারা দিনশেষে সমাজপতিদের নানা রকমের সুবিধাকে গ্রহণ করেন। যার কারণে এতো এতো আলেম, মাষ্টার ও সুশিল সমাজ প্রতিনিয়ত এত গলা ফাটানো সত্বেও দেশ ও জাতির তেমন কোনো অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে না।
সময় এসেছে, আসলেই যারা কিছু একটা করতে চায়, তাদের একত্রিত হওয়ার। এ ধরনের ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকেরই উচিত এই ঐক্য-প্রচেষ্টার প্রথম ব্যক্তি হিসাবে দাঁড়ানো। শুধু কথায় চিড়ে ভিজে না। তাছাড়া মনে রাখতে হবে, success is not always measured by what we see ….. !!!
Don’t look at your feet, look at the stars.” “Works give life meaning.
– Stephen Hawking, Scientist
এই লোকটাকে, আই মিন হকিংকে আমি পছন্দ না করলেও তার জীবন হতে অনেক শিক্ষা আমরা নিতে পারি। অন্ততপক্ষে আমি তার কাছ হতে অনেককিছু শিখেছি। এই লোকটা তিনটা বিয়ে করেছে। তারমানে এই নয় যে, আমিও …..! শুধুমাত্র ডানগালের একটা পেশীকে নাড়িয়ে কম্পিউটারের সাহায্যে সে লেখাপড়া করে। ভাবুন তো …. আল্লাহ আমাকে-আপনাকে কত্তো নেয়ামত দান করেছেন। সে তুলনায় আমরা কী করছি? উনার একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার সময়ে উনার এক মেয়ে উনার পাশে ছিলো। প্রশ্ন কর্তা শেষের দিকে বললেন, আপনি উপদেশমূলক কিছু বলুন। আমার যদ্দুর মনে পড়ে, তিনি বললেন, আমি আপনাদের তিনটা কথা বলবো। যা আমার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমি বলেছি। উপরের দুটি কথার পরে উনি আরও একটা কথা বলেছিলেন। সেটা আমার মনে নাই। প্রথম কথাটার মানে হলো নিজের অপ্রাপ্তির দিকে না তাকিয়ে আগামীর সম্ভাবনার দিকে তাকানো উচিত। প্রিয় ডেল কার্নেগীর ভাষায়, “লেবু থাকলে শরবত বানিয়ে নাও।” অর্থাৎ বিদ্যমান অসুবিধাকে সুবিধায় পরিণত করে নাও। যা পাও নাই তা নিয়ে হা-হুতাশ না করে এগিয়ে যাও। যথাসম্ভব দূরের লক্ষ্যে এগিয়ে যাও। তুমি-আমি-সবাই আমরা অনন্তের যাত্রী।
হকিংয়ের দ্বিতীয় উপদেশটিও বেশ চমৎকার। খুব ছোট কথা। কিন্তু খুব তাৎপর্যপূর্ণ। যে ধরনের কাজ বা কর্মক্ষেত্রই হোক না কেন, কর্ম-তৎপরতাই মানুষের জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। মন ভালো নাই? কিছু একটা করো। দেখবে, ভালো লাগবে। যে কোনো কিছু। কাজের মাধ্যমে যে আনন্দ তার চেয়ে বিশুদ্ধ আনন্দ আর নাই। এর আর একটা তাৎপর্য হলো সিরিয়াসনেস। যাই করো, সিরিয়াসলি করো। কাজটা যদি ভালো হয়, খুব দ্রুত তুমি এর দ্বারা অনেক অনেক উপকার পাবে। আর কাজটা যদি খারাপ হয়, শুরু থেকে সিরিয়াসলি এনগেজ হওয়ার কারণে অন্য যে কারো তুলনায় তুমি দ্রুতই এর অপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারবে। যারা সব কিছুতে এক-আধটু করে এনগেজ থাকে তারা কখনো ঘোরের থেকে বের হয়ে প্রকৃত চিত্রটা দেখতে পায় না।