দুষ্ট প্রকৃতির ও অবুঝ লোকদের সাথে যথাসম্ভব সদ্ব্যবহার করো, যদি তাদেরকে দমন করতে তুমি সক্ষম না হও। না, আন্তরিকভাবে নয়। নিছক কৌশল হিসেবে।
যাতে করে তাদের অযাচিত আক্রমণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতির বোঝা বহন করা থেকে তুমি বেঁচে থাকতে পারো।
সমাজকর্মীদের দায়িত্ব হলো, সব সময় নির্ঝঞ্ঝাট ও পরিপাটি হয়ে থাকা। প্রয়োজন মাত্রই অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকা। বাহুল্য যে কোনো কিছুকে বর্জন করা। হোক তা সমাজের বাদবাকি গোবেচারা স্বার্থপরদের দৃষ্টিতে অতীব জরুরী সম্পর্ক কিংবা প্রাপ্তি।
সমাজকর্মীরা হলো ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র। আত্মস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে; এমনকি, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে তারা অন্যদের নিরাপত্তা দেয়।
এমন সমাজ সচেতন মানবকর্মীদের জন্যই তো সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতা টিকে থাকে। তারাই যদি হয় প্রো-স্ট্যাবলিশমেন্ট দুনিয়াদার, তাহলে কীভাবে তারা হবে সেইফ গার্ড অব হিউম্যানিটি, মানবিক মূল্যবোধ ও মর্যাদা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী?
প্রতিটা আদর্শেরই থাকে অনেক সমর্থক, সহযোগী ও অনুসারী। ইঞ্জিনবিহীন বগীর মতো সেগুলো অকার্যকর। আমাদের দরকার কিছু লড়াকু মানুষ।
যারা যোদ্ধা প্রকৃতির নয়, তাদের মানবিক মর্যাদা আত্ম-অবনমিত। তারা কিছুটা কম মানুষ। সামাজিক অবস্থান, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি ও বস্তুগত শক্তি তাদের যত বেশি হোক না কেন, আসলে তারা লোয়ার লেভেল পিপল।
যারা হতে চাও মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ, আসো সব অসত্য, অন্যায়, মিথ্যা ও জুলুমের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। দমন করি সব দুষ্ট লোকদের।
যারা স্বল্প বুদ্ধি কিংবা অবুঝ, তারা আসলে নিজেরাই সাইলেন্ট অপ্রেসার; অথবা নির্যাতক জুলুমশাহীর কার্যত সমর্থক। এদেরকেও ছাড় দেয়া যাবে না।
গণহত্যা কিংবা জাতিগত নির্মূলের মতো নির্মমভাবে মোকাবেলা করতে হবে, মন্দ পক্ষের সব এলিমেন্টকে।
আপস হবে নিছক কৌশলগত।