আজ দুপুরের পর থেকে মনটা বেশ বিষন্ন হয়ে আছে। আকাশটা মেঘাচ্ছন্ন। শীতের এই সময়ে রোদ উঠেছে বেলা দুইটার পরে। তাও খুবই হালকা। ঘন কুয়াশা। মনটা ভারি। কী যেন হারানোর বেদনায় …!
আনন্দময়তার এক রঙ্গশালায় আমি থাকি। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস চারিদিকে। এদেরকে দেখে মনে হয়, এ পৃথিবী আর আমাদের নয়। তাদের। আমরা এখানে সসম্মানে পরিত্যক্ত, অপাংক্তেয়।
এমএ ক্লাসের একটা পরীক্ষার ডিউটি করে আসলাম। তারা চলে যাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে হৃদ্যতা যখন গাঢ় হয়ে আসে, বিদায়ের সুর বাজে, যাওয়ার সময় তখন ঘনিয়ে ওঠে। মনটা খারাপ হয়ে যায়।
স্টুডেন্টদের সাথে আমার খুব খাতির। আমাকে দেখলে তারা খুশি হয়ে উঠে। দৌড়ে আসে। কথা বলতে চায়। কথা যেন শেষ হয় না। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে।
মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। অনেক বেশি। এটি আমাকে আনন্দিত করে। কিন্তু, অন্তর্গত অনুভবে আমি কি সুখী? জানি না। জীবনের বৃন্ত থেকে চ্যুত হওয়ার আশঙ্কায়, মাঝে মাঝে বিমর্ষ হয়ে পড়ি। মুষড়ে পড়ি হারানোর বেদনায়।
যা অনিবার্য, তা চাই না। যা অসম্ভব, তাই পেতে চাই। এ এক অদ্ভুত স্ববিরোধিতা আমাদের জীবনে। কেন, জানি না।
এ ধরনের কন্টেন্ট ছাড়া লেখা খুব একটা লিখি না। সব সময় সিরিয়াস কিছু লিখি। আজ না হয় লিখলাম কিছু ব্যক্তিগত কথা।
কেউ না পড়লেও ক্ষতি নাই, আপত্তি করবো না উপেক্ষিত হলেও যদি তেমন সমঝদার অন্তত কেউ একজন এটি পড়ে। আমার কাজের জন্য নয়, যে কিনা ভালবাসে আমাকে একজন সংবেদনশীল ব্যক্তি মানুষ হিসেবে।