প্রায় ২০ বছর পরে আমার বাসায় লুঙ্গির আগমন। বড় মেয়ে মাহজুবাহ যখন ছোট ছিল তখন থেকে প্যান্ট পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এতদিন বাসায় ছিল না কোনো লুঙ্গি। হঠাৎ করে গতকাল সৌরভ ও তার বড় বইন ফাইজা যোগাযোগ করে বললো, তারা আগামীকাল আমার সাথে দেখা করতে আসবে।
ও মা! আসার পরে জানা গেল, তাদের আসার মূল কারণ হলো আমাকে একটা লুঙ্গি গিফট করা। প্রথমে আমি বিশ্বাস করি নাই। সত্যি সত্যি সৌরভ আব্দুল্লাহ ওর ব্যাগ থেকে একটা প্যাকেট বের করল। সেটা খুলে দেখি বিশাল এক লুঙ্গি। আড়ং থেকে কেনা। বেশ দামী।
কেন জানি ওদের এই নিখাদ আন্তরিকতা আমার খুব ভালো লাগলো। যদিও আমার বাসার লোকজন জানে, হেলদি জনসংখ্যার পারিবারিক পরিসংখ্যানে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকার কারণে আমি উপহার পেতে অভ্যস্ত। যদিও বাইরের লোকজন আমাকে কোনো কিছু গিফট করতে কখনো সাহস করে না। এবং যদিও, কাউকে কিছু গিফট করার ব্যাপারে আমি অতিশয় অনুদার ও মাত্রাতিরিক্ত গাফেল।
যাহোক, খুব দ্রুত নিজেকে বিশাল সেই লুঙ্গির মধ্যে সেট করে নিলাম। কিন্তু সেল ফোন, চাবি, টাকা ইত্যাদি জিনিস রাখতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হলো। কিছু পেতে হলে কিছু তো ছাড় দিতে হয়। মানলাম। ওয়ান্স এগেইন বুঝলাম, লুঙ্গি পড়তে বেশ আরাম। মাটি ও বাতাসের সাথে সাক্ষাৎ সংযোগ, নিরন্তর মিতালী!