১. আলেম সম্প্রদায় ও ইসলাম: আলেমদের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, অতি প্রয়োজনীয় ও প্রত্যাশিত ভূমিকা সত্ত্বেও ইসলামে কোন ‘যাজক শ্রেণী বা সম্প্রদায়’ ব্যবস্থা নাই। যার ফলে, ইসলামে কারো ‘কপিরাইট’ জাতীয় কোনো ‘একক কর্তৃত্ব’ থাকারও কথা নয়। বিশেষজ্ঞ হিসাবে দাবি না করে যে কোনো শিক্ষিত ও কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান ইসলাম সম্পর্কে তার বুঝজ্ঞান নিয়ে মতবিনিময় করতে পারেন।
২. ইসলামে মাত্রাজ্ঞান: শুধু গান-বাজনা ও খেলাধূলা কেন, ইবাদতের মতো বিষয়কেও মাত্রাতিরিক্ত করার সুযোগ নাই। ইবাদাত নিয়ে বাড়াবাড়ি করা তিন গ্রামবাসী সাহাবীর ঘটনা আমরা জানি। ইবাদতসহ কোনো ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত না করা, বাড়াবাড়ি না করাই সুন্নাত। আল্লাহ তায়ালা ফরজ জুমার নামাজ শেষ করার পর মসজিদ হতে বের হয়ে দুনিয়াবী কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই না?
ইসলামে কোনো বিষয়েই বাড়াবাড়ির সুযোগ না থাকায় শুধুমাত্র সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতার মতো বিষয়গুলোকেই কেন একতরফাভাবে সমালোচনার আড়ালে গিলোটিন করা চেষ্টা করা হচ্ছে?
৩. হারাম কোন বিষয়গুলো? আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী সুস্পষ্ট (আল হারামু বাইয়িনুন…)। দেড় হাজার বছর পরেও স্বীকৃত মানের স্কলারদের মধ্যে যেসব বিষয় হারাম হওয়ার ব্যাপারে মতবিরোধ রয়ে গেছে, তা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই ভালো।
৪. হুবহু ইসলাম: “আমাদের দায়িত্ব হলো ইসলামকে হুবহু প্রচার করা। যিনি গ্রহণ করবেন তিনি সৌভাগ্যবান।…” – এই ধরনের কথাবার্তা আপাতদৃষ্টিতে খুব যুক্তিসংগত মনে হলেও ক্ষেত্রবিশেষে এর এমন প্রয়োগ দেখা যায় যা ইসলামের মর্মবাণীর বিপরীত। এই ‘হুবহু ইসলাম’ কথাটাকে যদি ‘ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নে ক্রমধারার অপরিহার্যতার’ আলোকে বিবেচনা করা না হয় তাহলে মুসলমানদের দাওয়াহ ও ইসলাহের সকল কাজ ইতিবাচক ও গঠনমূলক না হয়ে নেতিবাচকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতার রোগে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসলামের মতো আদর্শের পক্ষে একজন সমাজকর্মী হিসাবে কোনো অবস্থাতেই আমি নিজেকে রি-এক্টিভ হিসাবে দেখার কথা ভাবি না। সর্বদাই চাই প্রো-এক্টিভ থাকতে।
৫. হারাম ও কুফর: হারাম ও কুফরের মতো মারণাস্ত্র নিয়ে যারা সবসময়ে ফায়ারিংয়ে অভ্যস্ত, আমি তাদের ভয় পাই, এড়িয়ে চলি। হারাম ও কুফরের সীমাকে যতটা সম্ভব সংকুচিত রাখার পক্ষপাতি। কারণ, ওই যে উপরের ৩ নং পয়েন্টে বলেছি, রাসূলূল্লাহর (সা) সেই হাদীস “আল হালালু বাইয়িনুন, ওয়াল হারামু বাইয়িনুন…।”
৬. তরুণদের ইসলাম-জ্ঞানের ঘাটতি: একজন সম্মানিত মন্তব্যকারী বলেছেন, আমাদের তরুণরা ইসলাম সম্পর্কে কম জানেন। তাই, তার ভাষায়, তারা বিনোদন নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন। এটি ঠিক, বয়স্কদের জ্ঞান পরিমাণগত দিক থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি। অপরদিকে, তরুণদের জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ ও আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনেক বেশি। তাদের মধ্যে দ্বীন ও আদর্শের ব্যাপারে যে ধরনের কমিটমেন্ট দেখা যায় তা বয়স্কদের মধ্যে বিরল।
তরুণদের যে আল্ট্রা-সেনসিটিভিটিকে মোকাবিলা করতে হয় তা বয়স্কদের থাকে না। এতদ বিবেচনায় বার্ধক্যের নিরাপদ অবস্থানে থেকে এক ধরনের ‘আপসহীন’ ও আধ্যাত্মবাদী ধর্মচর্চা করা সহজ।
৭. ইসলামকে ধর্ম মনে করার ভ্রান্তি: ধর্মীয় আবেদনের মাধ্যমে মননশীলতার মতো ‘বে-দ্বীনি’ প্রবণতাকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণের দৃশ্যমান প্রবণতার মূলে রয়েছে ইসলামকে ধর্ম মনে করার মতো ঐতিহাসিক বিভ্রান্তি।
ইসলামকে ধর্ম না বলে দ্বীন বলাটাই যুক্তিসংগত। দ্বীন শব্দটির বাংলাকরণের অনাবশ্যক পণ্ডিতি করতে গিয়ে ধর্ম শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ নিয়ে টানাটানি করার কী দরকার? ধর্ম বলতে সাদামাটাভাবে যা বোঝানো হয়, ইংরেজিতে রিলিজিয়ন শব্দটি এর সমার্থক।
ইসলামকে ধর্ম বা রিলিজিয়ন হিসাবে দাবি করার ফলশ্রুতিতে ধর্মের সকল ‘ব্যাড ট্র্যাক-রেকর্ডকে’ অনর্থক কাঁধে চাপিয়ে নেয়ার কোনো মানে হয় না। ইসলাম এমন ধর্ম যার মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ইত্যাদি সব আছে – এ ধরনের কষ্টকর দাবি করার চেয়ে ‘ইসলাম একটা পূর্ণাঙ্গ আদর্শ যার মধ্যে ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিসহ মানব সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় সব দিকের সমাহার বিদ্যমান’ – এমন দাবি করাট অনেক বেশি বাস্তব যুক্তিসম্মত বলে মনে করি।
৮. সাহিত্য-সংস্কৃতিকে শির্কমুক্তকরণ প্রকল্প: সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতা চর্চার ক্ষেত্রে ‘শির্ক হান্টার ওয়াচম্যানদেরকে’ আমি এড়িয়ে চলি। সর্বদা ‘জিহাদী আমেজে’ থাকা এসব ‘আমলদার’ শ্রদ্ধেয়গণ প্রায়শ কোনো যুক্তি শুনতে নারাজ। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতার বিষয়গুলোকে যারা বুঝতে অপারগ, প্রায়শই দেখা যায়, ধর্মবাদিতার বর্মের আড়ালে থেকে উনারা উপন্যাসকে প্রবন্ধের ফরমেটে, কবিতাকে রাজনৈতিক দলের বিবৃতির ফরমেটে, সংগীতের কথামালাকে বক্তৃতার মঞ্চের বক্তব্যের ফরমেটে বিবেচনা করেন।
সাহিত্য-সংস্কৃতিকে শির্ক মুক্তকরণের এই ‘মহান’ কাজে উনারা শব্দ আর উপমার পার্থক্যকে গুলিয়ে ফেলেন। ভাবেন না যে, বুৎপত্তিগত অর্থ হতে বিচ্ছিন্ন করে প্রচলিত অর্থে কোনো শব্দ বা পদ ব্যবহার করা যায়। কোনো কথার বাহ্যিক অর্থকে পাশ কাটিয়ে দূরবর্তী ও ভিন্নতর অর্থে কোনো শব্দ বা বাক্যকে ব্যবহার করা সম্ভব – এটি এসব ‘রিলিজিয়নিস্ট-পিউরিটানিস্টগণ’ কখনো বুঝতে চান না।
৯. কেন আমি ‘এসব কথা পাবলিকলি বলি: একজন পাঠক বলেছেন, এসব বিশেষ ধরনের কথাবার্তা আমার পরিচিত মহলে নিতান্তই অনাকাঙ্খিত হিসাবে বিবেচিত হয়। সেজন্য অনেকেই আমার লেখায় কোনো মন্তব্য প্রদানে বিরত থাকেন। উনার কথা হলো, অডিয়েন্সকে বিবেচনায় নিয়েই আমার কথা বলা উচিত।
হ্যাঁ ভাই, যে কোনো বক্তাকে তার সম্ভাব্য শ্রোতৃমণ্ডলীকে সামনে রেখেই কথা বলতে হয়। ‘একবিংশ শতাব্দীতে ইসলামী আন্দোলনের কাজের ধরন: প্রেক্ষিত আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাম্প্রতিক লেখায় ব্যাখ্যা করে বলেছি, কেন আমি আমলের দিক থেকে ৩০% হিসাবে বিবেচিত তথা ‘গ’ গ্রুপ হিসাবে চিহ্নিত সাধারণ মুসলমানদেরকে আমার সব অনলাইন কথাবার্তার মূল টার্গেট অডিয়েন্স মনে করছি। তাই, আমাকে নিয়ে ‘আমাদের’ লোকজনের সম্ভাব্য হতাশাবোধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আমার কিছু করার নাই।
১০. অভিজ্ঞতার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ হতে তাত্ত্বিক আলোচনার বৈধতা: আমার যত কথা, তার পুরোটাই আমার অভিজ্ঞতা প্রসূত। নবী-রাসূলগণ ছাড়া যে কারো জন্যেই এটি প্রযোজ্য। তাই না? এক্ষেত্রে কার কথা ঠিক, তা নির্ধারণ করার একমাত্র মাপকাঠি হচ্ছে যুক্তি। আমরা যখন অভিজ্ঞতার সূত্রে কোনো কিছু বলি, তখন তা কোনো না কোনো যুক্তির আকারেই পেশ করি। এমনকি, কোনো কিছু কোরআনে বা হাদীসে থাকাটাও একটা যুক্তি। যুক্তি ছাড়া কোরআন ও হাদীসের পূর্বাপর ও ক্ষেত্রবিশেষে আপাত বিরোধপূর্ণ বিষয়াদির মীমাংসাও সম্ভব নয়।
আমি যুক্তির পক্ষে অকপট। আর্গুমেন্ট ভার্সাস ফ্যাক্ট তথা রিজন ভার্সাস রেভিলেশন – টাইপের আলোচনা নিতান্তই শ্রেণী বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, কোনো তথ্য বা ফ্যাক্ট স্বয়ং একটা যুক্তি। এই দৃষ্টিতে প্রত্যাদেশ বা ওহীর নির্দেশ ও নির্দেশনাবলীও হলো এক প্রকারের যুক্তিবিশেষ, যদিও তা সর্বোচ্চ পর্যায়ের।
যেখানে যুক্তি চলবে না সেখানে যুক্তি দিয়েই দেখাতে হবে কেন সেখানে (এ ধরনের) যুক্তি চলবে না। তাই, দিন শেষে আপনি আমি বা কেউ কি যুক্তির বাহিরে যেতে পারলো?
১১. ইসলাম কি সর্বোচ্চ আদর্শবাদ হিসাবে থাকবে না সমকালীন সমাজে বাস্তবায়নযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবে? বাকস্বাধীনতা, মুক্তবুদ্ধি ও মননশীলতা ছাড়া কোনো আদর্শ হতে পারে না। ইউটোপিয়া তথা দার্শনিক রাজার ধারণার মতো কল্প-আদর্শ হিসাবে নয়, ইসলামকে একটা টেকসই বা চলনসই মতাদর্শ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। যার নসীবে হেদায়াত আছে, যিনি সত্যসন্ধানী, তিনি আবু যর গিফারীর (রা) মতো ‘দ্বীনের’ সন্ধানে অপরিচিত এলাকায় ছুটে আসবেনই – এমনটা ভেবে বসে থাকলে চলবে না।
১২. অলওয়েজ বকোয়াজগিরি: সেদিন বাজেট বক্তৃতার সময় হঠাৎ করে মনে হলো, ক্রমাগত একতরফা সাফল্য দাবির এই প্রবণতা তো প্রচলিত ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে হরহামেশাই দেখা যায়। কতজনের মধ্যে আপনাদের কতজন, অন্যরা কতসংখ্যক কাজ বের করেছে আর আপনারা কত – তার কোনো হদীস নাই। এ কথার প্রসংগ হলো, ইসলামিস্টদের কালচারাল এক্টিভিটিজ নিয়ে।
তারা প্রায়শই বলেন, আমরা এতটা অ্যালবাম বের করেছি, এতটা প্রোগ্রাম করেছি। বছরে প্রায় ১০০ অ্যালবাম বের হচ্ছে। গণমানুষের কথা বাদ দিলেও ইসলামিস্টদের বিশেষ রুচিবোধেও সেগুলো তেমন রোচে না, দেখছি।
১৩. ইসলামে সবকিছুই কোয়ান্টিটেটিভ: বিশেষ করে প্রশ্ন উত্থাপনকারী ও দ্বিমত পোষণকারীদের সংখ্যাধিক্যতার কথা বলে ঘায়েল করতে চাওয়ার একটা উৎকট প্রবণতা ইদানীং খুব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বলা হয়, এত ভুল হলে আপনি একটা সঠিক করে দেখান তো দেখি। সংখ্যাগত সফলতা কোনো আদর্শ ও যুক্তির সঠিকত্বের মাপকাঠি বা প্রমাণ হতে পারে না। ইসলাম সংখ্যার বিষয় নয়, গুণের বিষয়। তাই, ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের কোনো বিষয়ে যেখানে কোয়ান্টিটেটিভ অ্যাপ্রোচের কথা বলা হয় সেখানে আমি নাই।
১৪. প্রাইভেসি বনাম সিক্রেসি: ‘ধর্ম, সংস্কৃতি, মননশীলতা ও ইসলাম’ শীর্ষক অব্যবহিত পূর্ববর্তী নোটের শেষের দিকে উক্ত বোদ্ধা পাঠক যথার্থই বলেছেন যে, আমি ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের বিষয়ে প্রচলিত রাখঢাক বা গোপনীয়তা নীতির ঘোর বিরোধী। প্রচলিত বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনের (কম্যুনিস্টিক) ক্যাডার সিস্টেম থেকে উদ্ভূত সপ্ত আসমানের পারস্পরিক রহস্যের মতো কঠোর গোপনীয়তার নীতিকে আমি স্পষ্টতই ভুল মনে করি।
সিক্রেসির পক্ষে তিনি প্রাইভেসির প্রসঙ্গ তুলে আমার এই ‘খোলা নীতির’ বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি প্রাইভেসি ও সিক্রেসির মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন। প্রাইভেসি হলো এক ধরনের সিক্রেসি। প্রাইভেসি থাকতেই হবে। তাই বলে, সর্বাত্মকবাদী আদর্শ যেমন কম্যুনিজমে যে ধরনের সাংগঠনিক সিক্রেসি মেনটেইন করা হয় তার সাথে ইসলামের সম্পর্ক দূরবর্তী।
১৫. ‘বিধিবদ্ধ ফোরামে’ ডিসকাশনের সুযোগ: উক্ত শ্রদ্ধেয় পাঠক আমার ভাবনাগুলোকে নিয়ে সিরিয়াস ডিসকাশনের কথা বলেছেন। সেটির সুযোগ কই? আমি যখন প্রচলিত ইসলামী আন্দোলনের ছাত্র-কর্মী ছিলাম, তখন দেখেছি আমাদের দায়িত্বশীলেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা শুনেছেন, আলোচনা করেছেন। এখন গত দু’দশক হতে বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলনে দেখছি, কোনো অনাকাংখিত মন্তব্য তো দূরের কথা, কোনো প্রশ্ন শুনতেও কেউ আগ্রহী নন। উনাদের টাইম নাই। পরিস্থিতি নিয়ে কোনো সাংগঠনিক ব্রিফিং নাই। আছে খালি আনুগত্যের দরস।
নেতৃত্ব ও আনুগত্যের ভারসাম্যের কথা খুব বলা হয়। অথচ পরামর্শকে শুধুমাত্র ‘ফোরামের’ সাথে সংশ্লিষ্ট করা হয়, যা ইসলামের সমালোচনা নীতির খেলাফ। বেশি বেশি হওয়া উচিত ছিল পরামর্শ, নেতৃত্ব ও আনুগত্যের ভারসাম্যের দারস।
১৬. প্রশ্ন করার অধিকার: ইসলামে নীতি ও আদর্শের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ অবারিত। এমনকি যুদ্ধের মাঠেও যদি শত্রুপক্ষের কোনো সৈনিক কোনো নীতি ও আদর্শ সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করে তাহলে তাকে নিরাপত্তা দিয়ে, প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তার সীমানায় পৌঁছিয়ে দিতে হবে।
খুতবায় কথা বলা নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও আমরা হযরত ওমরকে (রা) প্রশ্নের জবাব দিতে দেখেছি। আর এখনকার অতি ব্যস্ত ইসলামী দায়িত্বশীলদেরকে সাধারণরা তো দূরের কথা, তাদের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরাও প্রশ্ন করা সুযোগ পান না। যদিওবা কোনো প্রশ্নোত্তরের সুযোগ হয় সেখানে শুধুমাত্র ‘বাছাইকৃত’ প্রশ্নেরই একতরফা ‘জবাব’ দেয়, যার শেষ কথা হলো সংগঠন ও দায়িত্বশীলরা সর্বদাই সঠিক (?)।
১৭. কেন এই লেখা: ‘ধর্ম, সংস্কৃতি, মননশীলতা ও ইসলাম’ শীর্ষক অব্যবহিত পূর্ববর্তী নোটে জনাব শেখ মোজাম্মেল আল-হকের কয়েকটি মন্তব্যের উত্তরে এই লেখা।
Shaikh Muzammel Al-hoque, আপনার কথাগুলোর বিস্তারিত জবাব দেয়ার মতো সময়-সুযোগ না থাকায় অতি সংক্ষেপে কিছু বলেছি। এতে আপনার কথার জবাব হোক বা না হোক, সমঝদার পাঠকবৃন্দ বুঝবেন, আমি কী বলতে চেয়েছি। ধন্যবাদ।
ফেইসবুক থেকে নির্বাচিত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Shaikh Muzammel Al-hoque: Re-note: by SK Al-Hoque ne the note given by Muzammel Hoque on 9 June 13.
Thanks for your 17 points note. I have seen all of them with utmost care. My Re-note is as follows:
- I am not much skilled in English Language as it is my forth language in which I try to discuss. I do not know type-setting in Bangla either. However, I try to say in lieu to:
- No2: There is no chance to practice anything as ebadah which is not ebadah in Islam. As there is no chance to innovate any rituals in Islam, and also no chance to give more impotence to a less important area or issue. But one thing is very important that a permissible thing should not transform into a Mysir (addiction) which may lead you to miss obligatory worship or make you ignore an essential duty, or even take you far from remembrance of Allah and reading His book! To keep always within the limit is the balance way of practicing Islam.
- No3: What falls in between Haram and Halal is defined as ‘Mushtabahat’. Our prophet s. told us to refer them to the specialist Ulama to get advice regarding them, not to expunge or ignore them.
- No 4. Kromodhara i.e. doing something gradually is not applicable when you advise a Muslim. U may apply that when u give dawah to a non-Muslim as our prophet s. advised. For a non-Muslim is Da’wah, for a Muslim you apply ‘amr bil ma’ruf and nahi anil munkar’. What someone does not do tell him to do, and when he mistakes correct him, and when he does a sinful thing you tell him to avoid it. It never makes you reactive. If you do otherwise that never make u proactive either.
- Youth are more active that is true, but they should not lead but instead they should comply with advises revealed from seniors, skilled and scholarly leadership, because they are normally of حدثاء الأسنان/ سفهاء الأحلام as our prophet s. said. I am sure if we can furnish them with proper knowledge of Islam through proper teachers of Islam they never hate Islam or dislike it. But we have serious lack of those kinds of teachers! No one can deny that the teacher of Islam that we see nowadays many among them are influenced by some special ideas, thoughts or isms, some are just philosophers and some others are half-cast. I am sorry to say that.
- No 7: It was very severe mistake if someone say: ‘’to believe that Islam is a Dhormo’’ is a misconception. When Allah said: It is الدين، ملة إبراهيم i.e. religion, how we say it is other than a religion. Islam is not a product of somebody’s thought & ideas, it is revelation from divine source! This is the problem that is created by so called philosophers. Many of them thought that what does not make sense to them was not of religion! Here is the main conflict lies. Mu’tajela sect of Islam used to believe that.
- No8: Nothing goes out of jurisdiction of Islam. As such, games, songs, cinema and cultural activities cannot go beyond the boundary of Islam any way. A person should understand what allowed and what is not, and up to what level. Here the question of knowledge arises. Which word gives what sort of meaning under what kind of context of situation i.e. social, mental, emotional, textual, and grammatical and the context of Usol is well known to proper scholars of Islam. Upon which knowledge they have produced our Islamic Fiqh.
- No10: Logic, experience and the knowledge of divine texts are not in equal position. When our logic and exp. contradict the divine guidance you have to prioritise the divine instruction. You don’t try to scale religious affairs by your logic and experience when the divine text exists. If you do you are like one who tries to weigh the Himalaya by the scale of gold as Ibn Khaldoun said. Quran-Hadith is not logic as the logic is not Quran-Hadith. U do not mix up please.
- No11: What is ok and what is not ok Quran-Sunnah decides not any human individual. Islam is always fit for every time, every place and every individual. When and individual goes out of Islam, becomes influenced by foreign ideas and cultures, depends absolutely on his logic and or he has lack of knowledge about Islam only he may think like what you have said. Learning Islam through proper teachers of Islam is the answer.
- No12: It is not my concern.
- No13: Islam is qualitative or quantitative, was confusing to me. However, Islam does not look in quantity rather it looks in to quality. How many is namely Muslim it is not that important, but important is what kind of Muslim he is? What kind of eman he keeps and what sort of a’mal he performs. Allah is so highest sovereignty who does not need our eman nor He requires our a’mal. It clearly declared in the Quran and Hadith Qudsi. Correct eman and correct amal are of our ultimate need to satisfy Allah and achieve the paradise. It is said in the Quran repeatedly. The group mongers are paying much attention to the quantity not to the quality.
- No14: privacy is a must not secrecy what do u mean was not clear to me. May it was not of my concern.
- No15&16: also were not among my concern. However, the group mongers, the vote mongers cannot perform real da’wah of Islam, because they try to keep public happy with them. Whereas Allah swt and His prophet insisted to address the munkar and advise to do the ma’ruf and relay on Allah for any circumstances arises. He is the one who helps the Mumeneen, as He swt promised to do so. The Jews religious leaders did not do so this is why they have been punished. كانوا لا يتناهون عن منكر فعلوه لبئس ما كانوا يعملون .
I do thank you for your attention. You may post further comment if you like. Wassalamu alaikum.
Mohammad Mozammel Hoque: আপনার অধিকাংশ বক্তব্যের সাথে আমি বা যে কেউ একমত হবে। কিছু কিছু বিষয়ে আপনার বক্তব্য প্রচলিত অর্থে সঠিক। যদিও সেগুলোতে আমার দ্বিমত রয়েছে, যা আমার পোস্টে আমি বলেছি।
ক. মুতাশাবাহা: আমি লিখেছিলাম, যেসব বিষয় হারাম হওয়া সম্পর্কে দেড় হাজার বছর পরেও আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে, সামাজিক জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে সেগুলোকে হারাম হিসেবে চিহ্নিত না করা উচিত।
এরমানে এই নয় যে, সেগুলোকে হারাম হিসেবে গন্য করে যেসব ফতোয়া দেওয়া হয়েছে তা সব নাকচ বলে বিবেচিত হবে।
রাসূল (সা) দুটি বিকল্পের মধ্যে সহজটিকে সবসময় গ্রহণ করেছেন। নিজেদের জন্য সন্দেহজনক বিষয়গুলোকে এড়িয়ে চললেও অন্যদের জন্য তথা সামাজিক জীবনের ক্ষেত্রে নিছক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো জিনিসকে নাজায়েজ বা হারাম হিসেবে সাব্যস্ত করা উচিত হবে না।
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতার বিভিন্ন ক্ষেত্র ও বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে আজিমত বা সর্বোচ্চ মান এবং অন্যদের জন্য অর্থাৎ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয়াদিতে রুখসত বা ন্যূনতম মান নির্ধারণের নীতি অনুসরণ করা অপরিহার্য বলে মনে করি।
খ. শরিয়ার বাস্তবায়নে ক্রমধারা: আপনি ক্রমধারার বিষয়টিকে শুধুমাত্র অমুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হিসেবে বলেছেন। এ বিষয়ে ‘ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নে ক্রমধারার অপরিহার্যতা’ শিরোনামে অধুনালুপ্ত সোনার বাংলাদেশ ব্লগে আমার একটি সাড়া জাগানো লেখা রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
সমকালীন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকীহ আল্লামা ইউসুফ আল-কারযাভী ও তাঁর শিক্ষক শায়খ মুহাম্মদ আল-গাযালীসহ অনেক ফকীহ ইসলামী শরীয়াহ বাস্তবায়নে ক্রমধারার বিষয়টিকে মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য বলে মনে করেছেন।
যেসব বিষয়ে ফকীহদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে যে কোনো একজনের মতের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে মতামত ব্যক্ত করার অধিকার একজন মুসলমানের জন্য স্বীকৃত থাকা উচিত বলে মনে করি।
গ. দর্শনের সাথে ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিকদের ঐতিহাসিক বিরোধ: ইসলামী শিক্ষার প্রচলিত ধারায় দার্শনিকদের বুদ্ধিবৃত্তিকে অবজ্ঞা, সংশয় ও নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়; যা হওয়ার কথা ছিল না। মুসলিম দার্শনিকদের সাথে ইসলামী ধর্মতাত্ত্বিকদের ঐতিহাসিক বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের কারণে এমনটি হয়েছে। আল-ফারাবী, ইবনে সিনা প্রমুখ মুসলিম দার্শনিকদের সর্বাত্মক বিরোধিতা করেও তৎকালীন শ্রেষ্ঠতম আলেমে দ্বীন মুহাম্মদ আল-গাযালী (১০৫৮- ১১১১) তাঁর ‘দর্শনের খণ্ডন’ নামক পুস্তকের সুবাদে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ‘মুসলিম দার্শনিক’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
যেই ইমাম নিজেকে কখনো দার্শনিক পরিচয় দেননি, নিজের বইয়ের নাম দিয়েছেন ‘দর্শনের খণ্ডন’, যেখানে তিনি সমকালীন দার্শনিকদের ২০টি তত্ত্বকে খন্ডন করে যুক্তি দিয়েছেন– তাঁকে শ্রেষ্ঠ ‘মুসলিম দার্শনিক’ বলা হচ্ছে কেন?
এই কেন’র উত্তর যার কাছে স্পষ্ট নয়, তিনি কখনো ইসলাম ও দর্শনের সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। আসলে দর্শন হচ্ছে একটা পদ্ধতি। এখানে কোনো ব্যক্তির অথবা নামের অথবা পক্ষের কোনো একাধিপত্য নাই।
এসব বিষয়ে নিম্নোক্ত পোস্ট দুটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে–
১। দর্শন কী? প্রসঙ্গ: দর্শন ও ইসলাম
২। ইসলাম ও দর্শন: প্রচলিত ভুল ধারণার সংশোধন
ঘ. ফিকহ ও প্রগতিশীলতা: স্বীকৃতমানের ইসলামী বিশেষজ্ঞদের প্রদত্ত রায়সমূহকে গ্রহণ করার জন্য পরবর্তী মুসলমানরা বাধ্য কিনা, এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন। আমি মনে করি, কোরআন-হাদীস ব্যতিরেকে যে কোনো ফিকাহগত বিষয়ে পরবর্তী মুসলমানরা দ্বিমত পোষণ ও নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করতে পারেন। যদিও তা সর্বদাই হতে হবে কোরআন ও হাদীসের ভিত্তিতে। যুগের পরিবর্তনে কোরআন ও হাদীসের বুঝজ্ঞানের ধরন-পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আসাটা স্বাভাবিক। নতুন নতুন আবিস্কারের মাধ্যমে আমরা যেমন বিজ্ঞান সংক্রান্ত আয়াতগুলোকে নতুন করে বুঝতে শিখেছি, সমাজবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে।
ঙ. যু্ক্তি ও প্রত্যাদেশের বিরোধ অথবা সমন্বয়? যুক্তি এবং প্রত্যাদেশের মধ্যে কোনটি আগে– কোনো মুসলমানের কাছে এটি আদৌ বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না। এই সহজ কথার একটা ভুল অর্থ করা হয়। তা হলো, প্রত্যাদেশ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে যুক্তি চলে না।
অধিকতর শক্তিশালী যুক্তির উপস্থিতিতে নিম্নস্তরের যু্ক্তি নাকচ হয়ে যায়। যেসব বিষয় মানবীয় জ্ঞানের ঊর্ধ্বে সেসব বিষয়ে জ্ঞানের উৎস হিসেবে যখন মহান আল্লাহ তায়ালাকে কেউ মেনে নেয় অর্থাৎ ইসলাম গ্রহণ করে, তখন ওহীর নির্দেশনাকে অনুসরণ করা তার জন্য মোটেও অযৌক্তিক নয়। যখন আমরা কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করি ও তার নির্দেশনা মেনে চলি, তখন কি আমরা ডগমেটিক্যালি বিহেভ করি? মোটেও নয়। কারণ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞকে যখন আমরা উক্ত বিষয়ের জ্ঞানের জন্য নির্ভরযোগ্য বলে মনে করি, তখন তাকে আমরা বাহ্যত ‘অন্ধভাবে’ মেনে নিলেও প্রকৃতপক্ষে তাহলো আমাদের জ্ঞানকাঠামো ও যুক্তি-প্রক্রিয়া বিশেষ।
এজন্যই আমি বলেছিলাম, আমাদের সকল অভিজ্ঞতাই মূলত যুক্তি বিশেষ। কোরআন ও হাদীস থেকে যখন আমরা কোনো রেফারেন্স গ্রহণ করি, তখন সেটিকে আমাদের বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার তুলনায় উচ্চতর যুক্তি ও বুদ্ধি হিসেবে গন্য করি। এই বিবেচনায় আমাদের জ্ঞানতাত্ত্বিক কাঠামোর ফাউন্ডেশন হচ্ছে অভিজ্ঞতা। এর উপরে স্তর হচ্ছে বুদ্ধি। বুদ্ধির উচ্চতর স্তর হচ্ছে স্বজ্ঞা বা ইনটুইশন। প্রত্যাদেশ বা ওহী হচ্ছে পারফেক্ট ইনটুইশন বা জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর। নিম্নস্তরের জ্ঞান বা যুক্তিকে উচ্চতর উৎসের জ্ঞান বা অধিকতর শক্তিশালী যুক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত করার মানে যুক্তি বা জ্ঞানকাঠামোকে অতিক্রম করা নয়। বিষয়টা নিছক ক্রমসোপান বা পর্যায়ক্রমের ব্যাপার।
চ. ইসলাম ও গণতন্ত্র: ‘…the vote mongers cannot perform real da’wah of Islam’– এটি বর্তমানের সুশিক্ষিত ইসলামী চরমপন্থীদের দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্র সমর্থনকারী ইসলামপন্থীরা ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ দায়িত্ব পালন করতে পারে না– এটি ঠিক নয়। এসব বিষয়ে আমার পূর্ববর্তী অন্যান্য লেখায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
Shaikh Muzammel Al-hoque: Mr. Hoque, thank you for your post. The points you have raised again I feel they are very similar to the points used to be raised by orientalist scholars. They have written 60000 or more books on Islam and translated them into world popular languages, and also distributed them to most of the public and academic libraries all over the world. Their goal is to reconstruct Islam by their thoughts and ideas, as they have done previously about Islam brought by Jesus. As they are restlessly studying Islam from their western perspectives, I would request you to make sure from whom you are taking your knowledge of Islam. However, they point you have raised need longer discussion. To continue in doing so I need to know about your academic background so that I can understand with whom I am discussing. Aql i.e. human intellect has got so much recognition and respect in Islam but Islam does not want to be controlled by Aql rather it tries to control over Aql. This is why Allah sent down Books to teach human intellectuals and sent down prophets to explain. I am sorry to say: Devil was depending on his aql which is why he denied to bow for Adam, and consequently he went deviated and cursed. This was because paying honor to Adam was not making sense to him. This is an example of giving much important to aql and prioritize it over naql i.e. the text. InsaAllah I will try to discuss some other points at next opportunity. Wassalam and best wishes.
Mohammad Mozammel Hoque: আমি মাদ্রাসায় পড়িনি। ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান অর্জিত। দর্শন বিষয়ে পড়ি, পড়াই। আপনি যদি আপনার মতো কোনো শায়খের সাথে এক্সচেঞ্জ করতে চান, তাহলে আপনি ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন, বোধকরি। আমার প্রোফাইলে এসব আছে। আক্বল না নক্বল – এই জাতীয় সাদা-কালো প্রশ্ন এক ধরনের ক্যাটাগরি মিসটেক। আপনি যে পাশ্চাত্য-পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন, এটি সেই পাশ্চাত্যের বৈশিষ্ট্য। তারা বিতর্ক করে অভিজ্ঞতা না বুদ্ধি, ভাববাদ না বাস্তববাদ ইত্যাদি বাইনারি পদ্ধতিতে। প্রাচ্য চিন্তাপদ্ধতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হায়ারার্কিক্যাল। সে অনুসারে আমাদের জ্ঞানের প্রাথমিক উৎস হলো ইন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা। সব বিষয়ে ইন্দ্রিয়জ জ্ঞান দিয়ে চলে না। তখন আমরা বুদ্ধির দারস্থ হই। বুদ্ধি দিয়ে যা পাওয়া যায় না, তা পাওয়া যায় স্বজ্ঞা দিয়ে। আমরা মুসলমানরা স্বজ্ঞারও ঊর্ধ্বতন একটা চূড়ান্ত উৎসকে গ্রহণ করি যাকে প্রত্যাদেশ বা ওহী বলা হয়। আশা করি, এতটুকুতে আপনার আক্বল-নক্বল ‘দ্বান্দ্বিকতা’র অবসান ঘটবে।
ইসলামকে প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য কারো নিজস্ব কোনো কিছু মনে করি না, যদিও রাসূল মুহাম্মদ (সা) প্রাচ্যের একটা দেশের অধিবাসী ছিলেন। ইসলামের মডেলটা একটা নির্দিষ্ট লোকেশানে বিল্ডআপ হলেও এর প্রযোজ্যতা বিশ্বের সকল দেশের সকল মানুষের জন্য সমভাবে ডিস্ট্রিবিউটেড। ইসলামের প্রাচ্য বনাম খৃষ্ট-ইহুদীবাদের পাশ্চাত্য – এ ধরনের ব্যাপারগুলো নিয়ে প্রাসংগিক আলোচনা হতে পারে। যাকে এক অর্থে ওরিয়েন্টোলিজমও বলা হয়ে থাকে। সেটি নিয়ে অন্য পোস্টে আলোচনা হতে পারে। এখানে শুধু এতটুকুই বলবো যে, আমি ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বে’ বিশ্বাসী নই। যদিও যে কোনো মতাদর্শের বিরোধীরা সেটির ব্যাপারে সর্বদাই ‘ষড়যন্ত্র’ করে থাকে। এসব বিষয়ে আমি গেম থিওরিকে সঠিক মনে করি।
In most of the cases, especially in a matter like Islam and Islamic ideology, formal education appears as a sort of ‘certified ignorance’, I see…!!!
Shaikh Muzammel Al-hoque: In order to shorten the length of discussion I did not mentioned verses and ahadith in light of which I made my points. Next, I will expect from you to mention verses an ahadith on which you make your points. Otherwise, holding debate on Islamic issues goes meaningless.
You have said: ‘In most of the cases, especially in a matter like Islam and Islamic ideology, formal education appears as a sort of ‘certified ignorance’, I see…!!!’ which seems to mean that people who specialized in Islam, Islamic ideologies, formal Islamic education are certified ignorant. If it is correct then no benefit for you to discuss anything with me and so as I. Now I feel that I have lost all credentials and fitness to discuss about Islam with you. Your sentence gives another non-spoken meaning that is: who are non-specialized in above mentioned areas are to be ‘uncertified enlightened’. So, therefore, I need to learn from you because I am among those certified ignorant, and you also do not need to learn anything from me because you believe you are of uncertified enlightened. I think nothing left between me and you if my interpretation is correct. Thank you.
Mohammad Mozammel Hoque: কোনো কথা হতে এমন কিছু ধরে নেয়া যা বুঝানো হয়নি, এটি এক ধরনের অসততা। ইসলামের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের পরে মাওলানাদের হওয়ার কথা ছিল নৈতিকতা ও জ্ঞানগত দিক হতে জাতির কাণ্ডারী। উনারা অধিকাংশই তা হননি। নিজেদের জন্য সর্বোচ্চ মান আর অন্যদের জন্য ন্যূনতম মান– হওয়ার কথা ছিল এই নীতি। বাস্তবে দেখছি এর উল্টো!!! ডাক্তারী না পড়ে ডাক্তার হওয়া যায় না। কিন্তু সাহিত্যিক হওয়ার জন্য সাহিত্যের কোনো বিভাগ হতে সার্টিফিকেট নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কলা ও সমাজ বিজ্ঞানের যে কোনো বিষয়ের জন্য এটি সত্য। এক্সপার্টাইজ ইজ এ মাস্ট। এটি ইসলাম বা যে কোনো বিষয়ের জন্যই প্রযোজ্য। ব্যাপার হলো, আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় গলদের কারণে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী ও বেসরকারী মাদ্রাসা – সব জায়গাতেই শিক্ষার সনদপ্রাপ্তদের অধিকাংশই বিষয় না বুঝে মুখস্ত বিদ্যায় ভর করে ‘শিক্ষিত’ বা ‘বিশেষজ্ঞের’ তকমা নিয়ে বের হয়। সার্টিফাইড ইগনোরেন্স বলতে এটি বুঝানো হয়েছে। এই সরল বা অবভিয়াস অর্থটি না বুঝে গায়ে পড়ে ঝগড়া করা টাইপের কথাবার্তা বলবেন, ভাবিনি। প্রায় লেখাতেই ‘ধর্মবাদীদের’ [রিলিজিয়নিস্ট] এড়িয়ে চলাকে পছন্দ করার কথা আমি বলি। আশা করি, বুঝবেন।
Shaikh Muzammel Al-hoque: The way you like, the way you think you do but please not in Islam. Don’t you want to be a religionist? Then how you say to avoid religionist I do not understand. Your statement seems to be self-contradicting. I see you try to judge everything by your vision and make the decision. It may work somewhere but not in Islam. Newton said: more you know more you learn how much you have to know. But in your case, I see you have finished learning. I never try to unexpectedly interfere in anything. Why I do jhogra with you without need? You believe that to learn dhormo no need for academic lessons as doctors and engineers do. As if it is a product of hawa and everyone can make it by his hawa. There have been many did alike and have lost their way. And even they have created chaos, trouble, tension, hate rate and even created wrong conception about Islam. The current terrorism is their product. They have put petrol in the fire of secularists and every Muslim and Islam as a whole are getting burnt. We understand very well that Mulavis from Bangladesh are helpless, were helpless over the history. No gov. no authority paid their attention to them. No good academic higher institutes are made for them except those of madrasas they have made by their own initiatives and serve a bit for Muslims whatsoever. How do you expect something more from them? It is not the Moulovis kept them unfit or left them behind, it is the gov and authorities who are and were responsible for not paying attention to the Islamic education. And will never pay any attention further specially people like you who believe that Islamic Education does not require any specialization. And Moulovis did not give us anything. Allah said: Be just when you say something.
Mohammad Mozammel Hoque: did I say “(I) believe that Islamic Education does not require any specialization”? I have sufficient number of Islamic scholars to help me occasionally. They are mostly my colleagues. So, if you wanna give me knowledge, sorry! And, please read what I have posted already! I have responded to you, basically not to satisfy you but make the points clear to the common readers. I think, I have done it already.
Shaikh Muzammel Al-hoque: No one can give knowledge is other part is not willing to receive. Or a student when thinks that teacher does not know better than him. Why I go to give you knowledge while you believe yourself is competent teacher of Islam? Am I such a silly?
Mohammad Mozammel Hoque: Did I say or have claimed me “…. a competent teacher of Islam”? Maybe you are not silly in your position but your behaviour is quite silly, I see! Nobody is a teacher in Facebook but ‘friends’. Though we are not ‘friends’ in our practical life but we have to be friendly in fb. We just share our views and have friendly exchange. But you are adopting fallacies in your propositions. I did not tag you in my note. then why you continue to post irrelevant comments? whatever you have, surely you lack in common-sense and manner, I see! please try to understand it!!!!
Shaikh Muzammel Al-hoque: রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পূর্ণ অধিকার থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া পরিত্যাগ করে, আমি জান্নাতে তার জন্য একটি গৃহের যিম্মাদার হব’ (আবূদাঊদ হা/৪৮০০)