‘প্রগতিশীলদের’ তরফে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলোর সারবত্তা খুঁজে না পেয়ে তখন আমি সবেমাত্র ইসলামপন্থী হয়েছি। এটি ১৯৮৫ সালের কথা। এর আগে আমি নামাজ-রোজা কিছুই করতাম না। নতুন নতুন শুরু করলে যা হয়, আমিও এর ব্যতিক্রম ছিলাম না। যেসব আবেগী কাজ তখন করেছি তার একটি ছিলো সব সময়ে মসজিদের হুজুরদের সাথে ঘুরাফিরা করা। তাদেরকে বাসায় এনে খাওয়ানো ইত্যাদি। তখন আমার মা একদিন আমাকে ডেকে বললেন, দেখ, হুজুরদের কথাবার্তা শোনা ভালো। কিন্তু তাদের সাথে মেলামেশা করাটা ঠিক না। ব্যক্তি-মানুষ হিসাবে তারা সাধারণত ভালো হয় না।
তখন এ নিয়ে আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিলো তা ঠিক মনে না থাকলেও আম্মার এ কথাটা এখন খুব মনে পড়ে। ধর্মের কথা যারা বলেন, তাদের কথাগুলো যতটা সুন্দর, তাদের ব্যক্তিচরিত্র অনেকের ক্ষেত্রেই ততটা ভালো হয় না। বৃহত্তর অর্থে যে কোনো ধরনের আদর্শবাদ চর্চাকারীদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। দেখবেন, সাম্যবাদীদের আদর্শবাদী কথাবার্তা যতটা সুন্দর, তাদের ব্যক্তিচরিত্র ততটাই স্ববিরোধপূর্ণ।
গতকাল রাত্রে এক প্রতিভাময়ী textrovert সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিস্টের পোস্ট পড়তে গিয়ে হুজুরদের সম্পর্কে আম্মার কথাটা মনে পড়ে গেল। প্রসংগক্রমে তিনি রাজশাহী অঞ্চলের ভাষায় কথা বলেন এমন একজন ‘নামকরা’ হুজুরের নারীবিরোধী অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদ করছিলেন। আমার লেখাজোকার নিয়মিত পাঠকমাত্রই জানেন, নারীর মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমি একজন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি।
এ কাজে আমি ৩টা বিষয়ের সমালোচনা ও বিরোধিতা করে থাকি: (১) প্রাচ্যের নারীবিরোধী পুরুষতন্ত্র, (২) পাশ্চাত্যের ভোগবাদী উগ্র নারীবাদ ও (৩) এতদুভয়ের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট নারীদের সুবিধাবাদী মন-মানসিকতা।
প্রথম দুইটা সম্পর্কে মানুষ যতটা সচেতন ও সোচ্চার, তৃতীয়টা সম্পর্কে মানুষ ততটা সচেতন ও সোচ্চার নয়। নারী অধিকার বিষয়ে আমার এক একটা লেখাতে কোনো একটা দিকের ওপর আলোকপাত করা হয়। তাই, নারী অধিকার বিষয়ে আমার অবস্থান বুঝতে হলে উপরের তিনটা পয়েন্ট সম্পর্কেই ক্লিয়ার আইডিয়া থাকতে হবে।
সে যাই হোক, অজ্ঞাত কোনো কারণে মাথার সামনের কিছু চুল বের করে টুপি পরা (যা সুন্নতের খেলাফ), চিবাইয়া চিবাইয়া কথা বলা ওই শায়েখকে আমি রীতিমতো সাইকো মনে করি। যারা সব সময়ে নেগেটিভ কথা বলে তাদের আমি এড়িয়ে চলি। আদর্শ প্রচারের এটি ভুল পন্থা। শুধু তিনি নন, নারীদের ব্যাপারে ‘হেদায়তমূলক’ কথা বলার সময়ে সব হুজুরকেই আমার কাছে রীতিমতো সাইকো (মানে, মানসিকভাবে অসুস্থ) মনে হয়। কেন জানি নারীদের ব্যাপারে কথা বলার সময়ে তারা অন্যান্য সব মানবিক বৈশিষ্ট্যের চেয়ে যৌনতাকেই ওভারফোকাস করেন। আমার ধারণায় এটি তাদের sexist মন-মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।
কোনো কোনো ধারার ইসলামী নারী কর্মীদেরকেও দেখি হুজুরদের এই অতিযৌনসংবেদনশীলতা তথা সেক্সিস্ট প্রবণতাকে কার্যত সমর্থন করছেন। যারা পর্দা করা বা রক্ষার নামে আমাদের আশেপাশে বাড়াবাড়ি রকমের আচরণ করেন, তারা মনে করেন, তারা খুব ইসলাম আর শরীয়াহ প্র্যাকটিস করছেন। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অবচেতনে বা তলে তলে তারাও এক ধরনের ভোগবাদী সৌন্দর্যচর্চা করেন। ‘Concealment of Beauty? Or, Beauty of Concealment?’ শিরোনামের বইটার মতো আমার কাছেও প্রশ্ন, ‘সৌন্দর্যের রাজধানীকে’ সুরক্ষার নামে ‘অবরুদ্ধ রাজধানীর’ উন্মুক্ত ‘সচিবালয়ে’ প্লাস্টার-মাঞ্জা মেরে যারা ঘুরে বেড়ায় তারা কি আসলে সৌন্দর্য ঢাকতে চায়, নাকি, মূল সৌন্দর্যের সাথে আবরণীর সৌন্দর্যকেও মিলিয়ে গ্ল্যামার আরো বাড়াতে চায়? জানি না।
তবে এটুকু জানি, যেসব নারী পর্দার নামে বাড়াবাড়ি করেন, তাদের সাথে হুজুরদের অনেকখানি মিল আছে। উভয় ধরনের ব্যক্তিবর্গই শেষ পর্যন্ত সেক্সিস্ট। কেউ প্যাসিভলি, কেউ একটিভলি। উভয় পক্ষই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোরআন-হাদীসের খণ্ডিত ও আক্ষরিক অনুসরণে বিশ্বাসী। শরীয়াহ অনুসরণ ও বাস্তবায়নে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক মানোন্নয়নের প্রেক্ষাপট তথা ক্রমধারাকে উপেক্ষা করার বিষয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে রয়েছে অলিখিত, নীরব কিন্তু জোরালো ঐক্যমত (tacit agreement) ।
যদি বলি, গায়ে পড়ে বিরোধিতার মাধ্যমে কোনো কিছুর এক ধরনের বিকৃত চর্চাও ঘটে; যদি বলি, রাখ-রাখ ঢাক-ঢাক করার মধ্যে এক ধরনের শো-অফ প্রবণতাও কাজ করে; “না, না, দিবো না, দেখাবো না, তুমি পাবে না” চালচলনে এমন হাবভাবের মাধ্যমে “আছে, আছে। এখানে আছে। আমার কাছে আছে। এভাবে নয়, ওভাবে আসলেই পাবে” – এমন ধরনের বিপণন-মনোভাবও প্রকাশ পায়, তাহলে আপনারা হয়তোবা বলবেন, ‘এই লোক কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে গেল, দেখেন…! সব সময় এই লোক সবকিছুতে ফিলোসফি ফলায়’।
সমস্যা হলো, আমরা সচেতন থাকি বা না থাকি, সবকিছুর পিছনে (background-এ) ফিলোসফি কাজ করে। এটি অনিবার্য ও অবধারিত। দেখেছি, মননশীলতার চর্চা না থাকার কারণে অনেকেরই কাণ্ডজ্ঞান ও অনুভূতি স্থায়ীভাবে ভোঁতা হয়ে যায়। এর সাথে পপুলারিটির ড্রাগ যোগ হলে তো কথাই নাই। বুদ্ধিবৃত্তিক অধঃপতনের ষোলকলা পূর্ণ হতে আর কিছু বাকী থাকে না। এ ধরনের মোটাবুদ্ধির লোকজন নিজের অন্তর্গত প্রবণতাগুলোর সংক্রমণ সম্পর্কে স্বভাবতঃই টের পায় না। তখন সে বোকার মতো ভাবে, সে খুব আদর্শ উদ্ধার করে ফেলতেছে।
যেমন করে ওই আহাম্মক শায়েখ ও উনার ততোধিক আহাম্মক লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভাবছেন, ‘আহ, খুব তো হেদায়েত চর্চা হলো। বেশ তো…।’ এ ধরনের বিকৃতরুচির (perverted) প্রতিটা লেকচারের পরে খুব আত্মতুষ্টি নিয়ে হয়তো বলছেন, ‘ওয়া মা আলাইনা ইল্লাল বালাগ’ (বলা ছাড়া আমার কোনো দায়িত্ব নাই)। ভাবছেন, ‘নবীওয়ালা সুন্নতই তো কায়েম করছি।’ অতিশুদ্ধতাবাদী, অবুঝ ও চরমপন্থী খারেজীদের মতো কখন যে তারা নবী মুহাম্মদের (সা) আচরিত সুস্থ, সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক সমাজ সংস্কারের পথ হতে বিচ্যুত হয়ে গেছে তা তারা কখনোই টের পায় না। সত্যিকারের বেকুব হচ্ছে তারাই যাদেরকে বিবেক, বুদ্ধি, যুক্তি ও তথ্য দিয়ে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরেও তারা বুঝতে পারে না, ঘটনাটা আসলে কী। অবশ্য, সত্যিকারের যে বোকা সে কিছুতেই বুঝবে না কেন তাকে বোকা বলা হচ্ছে। এই দৃষ্টিতে, বোকাদেরকে বোকা বলাই সত্যিকারের বোকামী। সেজন্যই বেবুঝদেরকে সসম্মানে এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আদর্শবাদ নিয়ে কাজ করেন এমন লোকজনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি প্রায়শই অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও আদর্শের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। ইসলামচর্চা যাদের জীবিকা, কথা পরিষ্কার, ইসলাম তাদের পেশা। অথচ, ইসলাম বা কোনো আদর্শ কখনো কারো পেশা হতে পারে না। আমাদের আশেপাশের ইসলাম-উদ্ধারকারী খণ্ডিত বিদ্যাধারী পণ্ডিতদের ইসলামচর্চা হলো আদতে অর্থনৈতিক ব্যাপার-স্যাপার। তো, রুটি-রুজিকে হুমকির মুখে ফেলে এসব ইসলামজীবীরা কীভাবে হক কথা বলবে?
নারীনিগ্রহ, এটি ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা। এখানকার নারীবিরোধী আলেমগণ অজ্ঞাতসারে ইন্ডিয়ান কালচারেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই, নারীদের ব্যাপারে নেতিবাচক রেফারেন্সগুলো তাদের চোখে সব সময়ে জ্বলজ্বল করে। লোডেড অটো রাইফেলের থেকে ব্রাশফায়ারের মতো কারণে অকারণে তারা সব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দলীলের ফুলঝুড়ি ছড়ান। অথচ, নারীদের ব্যাপারে প্রচলিত রক্ষণশীলতার বিপরীত, এমন শত শত অকাট্য রেফারেন্স তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। ইহুদি আলেমদের মতো এসব ‘অস্বস্তিকর’ বর্ণনাকে তারা বেমালুম চেপে যান। অথবা, নানা ধরনের বিদঘুটে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেসব দলীলকে অকার্যকর ‘প্রমাণ’ করেন।
আসলে মানুষ মনের চোখেই প্রথমে দেখে, মনের কানেই প্রথমে শোনে। যা লেখা থাকে তারচেয়ে লিখিত লাইনের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা হতেই মানুষ বেশি পড়ে। প্রাতিষ্ঠানিক সিলেবাসের চেয়ে ‘সাংস্কৃতিক সিলেবাস’কে মানুষ অধিকতর গুরুত্ব দেয়। এগুলো মানুষের মজ্জাগত স্বভাব। সেই জন্য কোনোকিছু লেখা বা বলার সাথে সাথে উপযুক্ত পরিবেশ থাকাটাও জরুরী। চিন্তাকে সঠিক ধাঁচে প্রবাহিত করার জন্য উপযোগী আবহ আগে তৈরী করতে হয়। এইটাকে বলে চিন্তার ধরন বা paradigm বলে। বুঝে শুনে নিজের জন্য এক একটা বিষয়ের প্যারাডাইম আপনি তৈরী করবেন অথবা অন্য কারো প্যারাডাইমের আপনি অন্ধ অনুসারী হবেন। ঈমান বা তাওহীদ হলো গ্র্যান্ড-প্যারাডাইম।
এই দৃষ্টিতে ভাবছি আমাদের এক একটা ইস্যুভিত্তিক চিন্তার পরিবর্তনের চেয়েও, তাই অনেক বেশি দরকার চিন্তার ধরনের পরিবর্তন। particular changes in particular thoughts on specific issues are not so important. But, change of paradigm is a must…
ফেইসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Fuad Hasan: আমাদের আলেমরা যুগ যুগ ধরে নারীদের অনুপস্থিতিতেই তাদের নিয়ে ওয়াজ করেছেন। কেন জানি মনে হয়, এজন্য নারীদের সম্পর্কে কথা বলার ক্ষেত্রে তাদের প্রতি সম্মান রাখার ব্যাপারে যে বাড়তি সচেতনতা প্রত্যাশিত সেটাতে ওনারা অভ্যস্ত হননি। আমেরিকায় আমি বিভিন্ন মসজিদে বেশ কয়েকজন আলেমের কাছ থেকে নারীদের বিষয়ে কথা শুনেছি। আমার মনে হয়েছে যেহেতু পাশের ঘর থেকে মহিলারা তাঁদের কথা শোনেন এবং বক্তাও তাদের উপস্থিতির ব্যাপারে সচেতন থাকেন সেহেতু তারা অনেক ভদ্র ও সংবেদনশীল ভাষায় তাদের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ওয়াজগুলোতে নারীদের নিয়মিত উপস্থিতি থাকলে হয়ত এই সেক্সিস্ট মানসিকতা ধীরে ধীরে চলে যেত।
Mohammad Mehedi Hasan: শুধু ওয়াজ মাহফিলে নয়, মসজিদে নারীদের সালাতের ব্যবস্থা করা অতি জরুরী। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই উন্নতি হবে।
রহমত উল্লাহ: ১৯৮৫ এর আগে নামাজ -রোজা করতেন না এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
Mohammad Mozammel Hoque: হ্যাঁ, এমনকি জুমার নামাজও পরতাম না।
Shafiul Alam: টার্নিং পয়েন্টের শানে নযুলটা জানালে খুশি হব।
Mohammad Mozammel Hoque: ‘জামায়াতে ইসলামী: অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়ন‘ বইয়ের ভূমিকায় আভাস পাবেন।
Munir Ahmed: “ধর্মের কথা যারা বলেন, তাদের কথাগুলো যতটা সুন্দর, তাদের ব্যক্তি-চরিত্র তত ভালো হয় না। বৃহত্তর অর্থে যে কোনো ধরনের আদর্শবাদ চর্চাকারীদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য…..”।
… এসব কি লিখছেন জনাব??? পুরো আলেম সমাজ নিয়ে যে গবেষণা হাজির করেছেন, আসলে দ্বীনি ইলম ও আলেমদের সম্পর্কে কতটা জানা আছে আপনার???? কয়জন আলেমের সাথে মিশেছেন??? আপনার এই পোস্টের প্রতিবাদ করছি।
Mohammad Mozammel Hoque: ইসলামে বিশেষজ্ঞদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি priest class system-কে অস্বীকার করা হয়েছে। আমাদের আলেম সমাজের অধিকাংশের অবস্থা ২য় গ্রুপের। এইটুকু বিবেচনায় থাকলে ভুল বুঝবেন না আশা করি।
আপনার উদ্ধৃত মন্তব্যটা সংশোধন করে দিছি। হুজুরদের নিয়ে মন্তব্যটা আমার মায়ের। আমি সেটার মর্ম উপলব্ধি করেছি, এই যা। আমার নানা দেওবন্দের ফারেগ ছিলেন। তিনি ‘মমতাজুল মুহাদ্দেসীন’ টাইটেল পেয়েছিলেন। আলেমদের আমি শ্রদ্ধা করি। আমাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে জানেন, তারা এ সম্পর্কে অবগত। আমি বিশেষ একজন আলেমকে উদ্দেশ্য করে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু আলেম সম্পর্কে কথা বলেছি, এবং তা সুনির্দিষ্ট একটা বিষয়ে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। দোয়া করবেন।
Shaheed Ullah: After a long time I am 100% agreed with your present status. Though the sentences will not be accepted by those vested interest groups but statement is correct. Lectures are glamorous but when we see that the lecturer doing against his speech or ‘lectures are for followers not for lecturer’ then we found controversy. And that is the main causes of majority non following Muslims in the world.
Mohammad Mozammel Hoque: at last, anyway. Thanks
Syed Al Jaber Ahmed: সমাজের শিকড়ে থাকা অধিকাংশ তথাকথিত আলেম যাদেরকে সাধারণ মানুষ খুব ভক্তি করে তাদের নারী চিন্তা খুবই জঘন্য ও নোংরা। আর তারা তা ইসলামের নামে চালিয়ে যায়, নারী বিষয়ক আয়াত ও হাদীস এরা অনুধাবন করতে পারে না। তবে শুকরিয়া যে কিছু পড়াশোনা করা আলেম আছে, খুবই উন্নত পড়া আছে তাদের, তাই ইসলাম মেনে চলতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন… স্যারকে ধন্যবাদ।
Mohammad Mozammel Hoque: যে কয়েকটা বিষয়ে আলেম সমাজ গণহারে ফেইল, নারী অধিকার তার মধ্যে একটা। কিছু কিছু গাড়ির স্টিয়ারিং কেন জানি একদিকে টানে। বিশেষ করে তখনকার সময়ে টু-স্ট্রোক পুরনো বেবিটেক্সিগুলোতে দেখা যেত, স্টিয়ারিংকে একদিকে রাবার দিয়ে টেনে বেঁধে রাখা হয়েছে। না হলে চালানো যেতো না।
ব্যতিক্রম বাদে হুজুর মানেই নারী প্রসংগে বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন। তাদেরকে মা হিসাবে কিছুটা সম্মান দিলেও স্ত্রী হিসাবে তাদেরকে উন্নতমানের দাসীর চেয়ে বেশি কিছু তারা ভাবতে পারে না। আলেমদের প্রতি আন্তরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ সত্বেও যারা ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবেন তাদের পক্ষে এ বিষয়ে ছাড় দেয়ার সুযোগ নাই। কারণ, রোগ অনেক পুরনো ও দুরারোগ্য।