“না তুমি যুক্তির,
না তুমি জ্ঞানের,
না তুমি প্রজ্ঞার।
তুমি শুধু আমার
অনুভবের।
আমার আবেগের
অনিরুদ্ধ প্রবলতায়,
আমার অস্তিত্বের
গভীরতম কন্দরে,
রয়েছো তুমি
এক অনন্য সিঙ্গুলারিটি হিসেবে,
হে অন্তর্যামী।”
স্রষ্টা বিশ্বাসের ভিত্তি হলো জীবন ও জগৎ সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা। যুক্তি হলো এর বাহ্যিক পোশাক। জ্ঞান হলো এর ভেতরকার দিক। প্রজ্ঞা হলো এই পথের আরো গহীন অঞ্চল বা উচ্চতর পরিসর। সবশেষে অনিরুদ্ধ আবেগের প্রবলতম অনুভবই হলো আমাদের মৌলিকতম সব বিশ্বাসের উৎস।
আমাদের শুদ্ধতম গেয়ান মাত্র দুটি বিষয়ে সীমিত:
(১) আমি তথা আমার অস্তিত্ব হলো এর সূচনা বিন্দু।
(২) ঈশ্বর বিশ্বাস হলো আমার সব জ্ঞানের সর্বোচ্চ অর্জন।
প্রতিটা মানুষের রয়েছে দুটি মৌলিক জ্ঞানগত ভরকেন্দ্র। একদিকে সে নিজে। তার অস্তিত্বের একান্ত, অনির্বচনীয় অনুভব। অন্যদিকে ঈশ্বর। এক পরমসত্তায় বিশ্বাস ও তাঁর প্রতি সমর্পিত হওয়ার গত্যন্তরহীনতা। এরই মাঝে মানুষের জীবন, জগত, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সাধারণ সব বিশ্বাস, যুক্তি, সংস্কৃতি, রাজনীতি, ধর্ম, অর্থনীতি। আরো সম্ভবপর যা কিছু। এক কথায় সবকিছু।
অবশ্য, প্রত্যক্ষ ও সচেতনভাবে অস্বীকার করে কেউ কেউ পরোক্ষ ও অবচেতনে ঈশ্বর নামক এই জ্ঞানভরকেন্দ্রকে ‘প্রকৃতি’ হিসেবে মেনে নেয়। যে নামেই ডাকো না কেন, তিনি তো তিনিই। আমার সব বৈশিষ্ট্যকে মানো। কিন্তু আমাকেই চাও না মানতে! কেমন হে তুমি অবিশ্বাসী?
টীকা: এখানে আইদার-অর বা বাইনারি হিসাবে দেখার পরিবর্তে অভিজ্ঞতা, যুক্তি, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিশ্বাসকে দেখতে হবে ক্রমসোপানমূলকভাবে (hierarchically)।