প্রতিটা মানুষের একটা যৌনজীবন আছে বা থাকে। হোক সে বিবাহিত-বিবাহিতা বা অবিবাহিত-অবিবাহিতা। যখন সে দাম্পত্যজীবন যাপন শুরু করে তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজ স্ত্রী বা স্বামীর কাছ থেকে স্বীয় যৌনতার চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু এর আগে?
পুরুষরা বিয়ের আগে বা একাকীত্বের সময়ে আত্মরতির আশ্রয় গ্রহণ করে। এটি সবাই জানে। আমাদের সমাজে যেটা অনেকেই জানে না, অথবা জানলেও কোনোক্রমেই স্বীকার করতে চান না তা হলো, আত্মরতি, এমনকি সমকামিতার মতো অস্বাভাবিক যৌনাভ্যাস পুরুষের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে কিছুমাত্র কম নয়। বরং তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হওয়ার কারণে যৌনতার ক্ষেত্রে এটি তাদের একাংশের কাছে বিশেষ পছন্দনীয় প্যাটার্ন।
অনেক স্বামী, স্ত্রীর সাথে যান্ত্রিকভাবে মিলিত হয়। স্ত্রীর পূর্ণ তৃপ্তির বিষয়টা খেয়াল করে না। এরা সক্ষম হলেও অতীব স্বার্থপর। কোনো কোনো স্বামী যৌনমিলনের সময়ে দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়। এ ধরনের বঞ্চিত নারীদের কেউ কেউ অতঃপর নিজেই নিজের মতো করে ‘ঝামেলামুক্ত’ হওয়ার পথ বেছে নেয়। কোনো কোনো স্বামী একবার যৌনমিলনের পর কয়েকদিন পর্যন্ত যৌনতার বিষয়ে আর আগ্রহী হন না। অথচ, হতে পারে তার সঙ্গী নারীটি চাচ্ছে নিয়মিত যৌনমিলন। এ ক্ষেত্রে সেলফ-সেক্সই তাদের জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য নগদ সমাধান। একই ধরনের সমস্যা হতে পারে বিবাহিত পুরুষেরও। এ তো গেল বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের সমস্যা।
যারা অবিবাহিত তাদেরও রয়েছে যার যার মতো করে নিজ নিজ একান্ত ব্যক্তিগত যৌনজীবন। যেসব অবিবাহিত মেয়ে, যেভাবেই হোক না কেন, ছেলেদের সাথে ‘সম্পর্ক’ করে, তাদের পক্ষে আত্মরতি বা সমকামিতার মতো যৌনবিকৃতি হতে মুক্ত থাকা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু যেসব অবিবাহিত মেয়ে রক্ষণশীল জীবনযাপন করে তাদের জন্য ‘নিজের কাজ’ নিজেই কোনোমতে সেরে নেয়া হচ্ছে চাপমুক্ত থাকার সহজতর উপায়।
ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত নৈতিকতার কারণে তারা কিছুদিন প্রকৃতিবিরুদ্ধ সব ধরনের অস্বাভাবিক যৌনচর্চা হতে মুক্ত থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রবৃত্তির অবাধ্য তাড়নায় কিছু দিনের মধ্যেই তাদের এই অস্বাভাবিক, আরোপিত ও কৃত্রিম ‘সততা’র বাঁধ ধ্বসে পড়ে। এরপর আবারো সে এখন থেকে ভালো হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। স্বভাবতই আবারো সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের জন্য অনুশোচনায় ভোগে। এভাবে প্রকৃতিসম্মত, স্বাভাবিক ও কার্যকর দাম্পত্য যৌনজীবন শুরু করার আগ পর্যন্ত এই এন্ডলেস লুপে সে ঘুরপাক খেতে থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যারা যৌনশীতল এবং যারা অতিযৌনপ্রবণ তাদের মধ্যে একটা বিষয়ে খুব মিল লক্ষ্য করা যায়। তা হলো, তারা যৌন-নৈতিকতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বেশি। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।
বড় হওয়ার পর থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত এই দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময়ে একজন নারী স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ ধরনের ব্যক্তিগত যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠে। বিয়ের পরে দাম্পত্য যৌনজীবন তার মধ্যে এক ধরনের সহজলভ্য-বৈচিত্রতা আনলেও কোনো কোনো বিবাহিত নারী দীর্ঘদিন আচরিত ব্যক্তিগত যৌনজীবনের প্রিয় অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে পারে না। এ ধরনের নারীদের যৌন বৈচিত্র্যপ্রিয়তা তাদের দাম্পত্য জীবনে তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলার কথা নয়, যদি তারা প্রয়োজনানুসারে স্বামীর কাজ সেরে দেয়ার ব্যাপারে সচেতন থাকে। ব্যাপার হলো, পাকা ফোঁড়া গেলে দেয়ার মতো, জমে থাকা ‘কষ্ট’ নিঃসরণের মাধ্যমে পুরুষের যৌন কামনার আপাত সমাপ্তি ঘটে।
প্রবল যৌন তাড়নায় ছাত্র-ছাত্রীরা বন্ধুত্ব বা এফেয়ারের নামে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। ফোন-সেক্স হচ্ছে এ ধরনের সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যখন একান্ত নির্জনতায় প্রবল যৌনতা তাদেরকে পেয়ে বসে তখন তারা নিজ নিজ তথাকথিত জাস্ট ফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলার জন্য উতলা হয়ে উঠে। নানা ধরনের প্রাসঙ্গিক-অপ্রাসঙ্গিক কথার মাধ্যমে অবচেতনভাবে সঙ্গসুখ তথা যৌনতার উত্তাপই আসলে সে উপভোগ করে। কোনো না কোনো ধরনের পটেনশিয়াল পার্টনারের সাথে কথা বলার মাধ্যমে মানুষের যৌনতাড়নার প্রাবল্য কর্পূরের ঊর্ধ্বপাতনের মতো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্তিমিত হয়ে আসে। এটি পরীক্ষিত সত্য।
যৌনতার ব্যাপারে এক আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, পুরুষের ক্ষেত্রে যখনই জমে উঠা ‘অবাঞ্চিত কষ্টগুলো’ নিষ্ক্রান্ত হয়ে যায় আর নারীর ক্ষেত্রে এক পর্যায়ে যখন চরম উত্তেজনার স্তর পার হয়ে যায় – তখনই সমস্ত নৈতিকতা, ভালোমন্দ-জ্ঞান ও বিধিনিষেধের কথা তার মনে পড়ে যায়। একটু আগের হিতাহিতজ্ঞানশূন্য উদগ্র বাসনা, বেপরোয়া যে ভাব, পার্টনারের জন্য যে ব্যাপক ফিলিংস – তা আর থাকে না।
অগত্যা পরিস্থিতিতে অননুমোদিত ও অনিরাপদ যৌনতা হতে বাঁচার জন্য অনেকেই আত্মরতির আশ্রয় নেয়, এটি ওপেন সিক্রেট। ধর্মীয়ভাবে কোনো কোনো মাজহাবে এ ধরনের অবস্থায় এটি জায়েযও বটে। কারো কারো ক্ষেত্রে একবার যৌনতা করলে কয়েকদিন আর না করলেও চলে। এমনও আছে যারা একটানা কয়েক দিন বা কয়েক ঘন্টা পর পর ‘ওসব’ করার জন্য আগ্রহী ও সক্ষম হয়ে থাকে। শারীরিক গঠন দেখে এটি আন্দাজ করা কঠিন। শারীরিক সুস্থতা আর যৌন সক্ষমতা, দুটি আলাদা জিনিস।
কার্যকর দাম্পত্য জীবন যাপনের সুযোগ অথবা না থাকুক, প্রতিটি মানুষের থাকে একান্ত যৌনজীবন। সক্রিয় ও সফল দাম্পত্য জীবনের ক্ষেত্রে কারো একান্ত যৌনজীবন মানেই হলো তার স্বাভাবিক দাম্পত্য যৌনজীবন। কথাটা উল্টোভাবে বললে, স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন না থাকা বা ব্যাহত হওয়ার মানে হলো, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার একান্ত যৌনজীবনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নিপতিত। বাহ্যিক দিক থেকে তিনি যতই সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন না কেন।
তথাকথিত সামাজিকতার প্রবল চাপে মুখে যা-ই বলুক না কেন, টয়লেটে ছোট কিংবা বড় কাজ সারার মতো, মানুষ কোনো না কোনোভাবে স্বীয় যৌনতার দাবি পূরণ করতে বাধ্য। ‘সেই কাজ’ না করে কেউ থাকতে পারে না। হোক সেটা স্বপ্নে অথবা জাগরণে। হোক সেটা এই ফর্মেটে অথবা সেই ফর্মেটে। অনুমোদিত অথবা অননুমোদিত পন্থায়। যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা বা সামলিয়ে চলতে পারার কথা বলে, অথবা যাদের কাছে ‘ওসব’ যেন কোনো ব্যাপারই না, তারা নিজের মতো করে ‘প্রয়োজন পূরণ’ করেই তবে সাধু-সন্ত সাজে। ক্ষুধাতৃষ্ণার মতো মানুষের জৈব প্রবৃত্তির এই অপরিহার্য প্রয়োজন প্রত্যেকেই পূরণ করে থাকে। কে কখন কীভাবে করে, সেটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ব্যাপার।
লেখাটি প্রকাশের আগে এডিট করার সময়ে সংযোজিত মন্তব্য:
জাঙ্গেল রুট ধরে বন্যপ্রাণীদের চলাচলের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে আমার বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে দলে দলে রোমিও-জুলিয়েটরা হৈ-হল্লা করতে করতে যায়। লেডিস হল হতে ফরেস্ট্রি বা জিরো পয়েন্টের দিকে। এবং উল্টো পথে। তাদের উচ্ছ্বাস অপরিমেয়। সঙ্গত কারণেই তাদের কথাবার্তা ও ভাবভঙ্গির মর্ম অনুমানযোগ্য। আমাদের বাসার ঠিক বিপরীতে অবস্থিত শিশু পার্কটিতে তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত শিশুগীরি দেখতে দেখতে আমরা বিরক্ত। ইদানিং ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস শুরু হওয়ার কারণে এইসব ডিস্টার্ব্যান্সের ফ্রিকোয়েন্সি অনেক বেড়ে গেছে।
তাই ভাবলাম, লেখাটা ফেলে না রেখে দিয়েই দেই। বছর দশেক আগে এটি লিখেছিলাম। ড্রপবক্সে পড়েছিল। মূল লেখাটা ছিলো আরো ‘কড়া’ ও খোলামেলা। ইতোমধ্যে গড়ে উঠা আমার এক ধরনের ‘ইমেজের’ দিকে তাকিয়ে অনেক কিছু বাদ দিয়েছি। কিছু শব্দ ও বাক্যগঠন এডিট করেছি। এরপরও কেউ যদি আহতবোধ করেন, তাহলে অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি।
যৌনকর্ম বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত শব্দগুলো বলা বা লেখার ব্যাপারে যে অতিরক্ষণশীল সংবেদনশীলতা লক্ষ করা যায়, সেটা বাহুল্য, কৃত্রিম ও অযৌক্তিক। কথাটা এজন্য বললাম, আমি দেখলাম, পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের মধ্যেই (সূরা বাকারা, ১৮৭ নং আয়াত) এ ধরনের তিনটি শব্দ উল্লেখিত আছে। কোরআনের এ ধরনের অংশ, আয়াত বা শব্দগুলো সবার জন্য নয়, বা জনসমক্ষে পাঠযোগ্য নয়, এমন তো নয়। কোরআনে কোনো অ্যাডাল্ট সেকশন নাই। সবটুকু ওপেন ফর অল। তারমানে, মানুষের যৌনজীবন সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলাভাবে আলাপ-আলোচনার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে যে ওভার-সেন্সিটিভিটি, সেটিই বরং ভুল ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে আজকের মতো শেষ কথা হলো, সব সমস্যা ইমিডিয়েটলি আমরা সমাধান করতে না পারি, কিন্তু একজন সমাজকর্মীর দায়িত্ব হলো, সমস্যা যে আছে – সেটি ঠিক কোথায় এবং কী কারণে – তা বলে দেয়া। যে কোনো সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য এটি অপরিহার্য। পূর্বশর্ত। এরই আলোকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে লেখাটিকে বিবেচনা করবেন। বায়ান্ন বছর বয়স তো আর এমনিতেই হয় নাই। আশা করি বুঝবেন।
আসুন, এ সমাজ ভেংগে গড়ে তুলি এক নতুন সমাজ। যেখানে কেউ প্রকৃতিবিরুদ্ধ জীবনযাপনে বাধ্য হবে না। যেখানে নৈতিকতা হবে অকৃত্রিম। জীবন হবে মানবিক। সুস্থ। সুন্দর। সফল।
ফেসবুকে প্রদত্ত মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য
Aminul Hoque: সুন্দর লিখেছেন। এই সমস্যার সুন্দর সমাধান ইসলাম দিয়েছে। ছেলে-মেয়ে বালেগ হলেই বিয়ের ব্যবস্থা, পর্দা, তাকওয়াসহ অন্যান্য আরো বিষয় আছে যা একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই পাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো, আমরা রোগ ধরতে পারলেও রোগের যে চিকিৎসা ইসলাম দিয়ে রাখছে সেটা আমরা কেউই প্রয়োগ করতে চাই না। আমিও না, আপনিও না। এটাই সত্য। যেমন– আমার বা আপনার ছেলে/মেয়ের বয়স ১৫/১৬ হলেই কি আমরা তাদের বিয়ের বিষয়ে চিন্তা করি? তা কিন্তু করি না। আমরা চাই আমার ছেলে/মেয়ে আগে মাস্টার্স পাশ করুক, তারপর চাকুরি, তারপর বিয়ে। ততক্ষণে যে ওদের ক্ষুধা চরমে উঠে সেটা বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই।
Muhammad Sajal: অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। ১৫/১৬-তে না পারলেও অন্তত ২০/২১ বছরের মধ্যে বিয়ে দেয়া প্রচলিত সামাজিক কাঠামোতেই সম্ভব।
Shourov Khan: সম্ভব নয়, আগে অভিবাবকদের সচেতন হতে হবে।
Ab Mamun: হচ্ছে উল্টো, বিয়ে দিনকে দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।
Mohammad Mozammel Hoque: সামাজিক সমস্যা নিয়ে বেশি বেশি আলোচনা করা হলো পাথরের মতো শক্ত এঁটেল মাটিতে পানি ঢেলে দেয়ার মতো।
Md Shahidullah: আর্লি ম্যারেজ এর সহজ সমাধান হতে পারে।
Shourov Khan: বিদেশে এমনটাই হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় লেখাপড়া শেষ করতে করতে ২৬-২৭ বছর পেরিয়ে যায়। তারপর আবার জীবিকার তাগিদে কর্মক্ষেত্র খুঁজে সেটেল হতে হতে আরো অনেক বছর লাগে। সঠিক সমাধান হচ্ছে কর্মজীবনের প্রবেশের সময়টাকে তরান্বিত করা। আর দরকার অভিভাবকদের সচতেনতা। আর্লি ম্যারেজ কিন্তু অনেক ধরনের অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখে। এসব ট্যাবুকে অস্বীকার করার উপায় নেই, তাই অভিভাবকদের অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
Waky Mahmudul Hasan: এই লেখাটার সাবস্ক্রাইবারদের দিকে একবার চোখ দেন। তরুণ জনগোষ্ঠীর নিজের সাথে মিলে যাওয়ায় তারা এটাকে পছন্দ করছে। আপনার গত কয়েকটা লেখার চেয়ে অনেক বেশি হিট করতে যাচ্ছে লেখাটা। সমাজ পরিবর্তনের ডাকে সঠিকভাবে সমস্যা ডিটেক্ট করাটাই সবচে জরুরি। আর সেটা ঘোষণা করা মাত্রই একটা বিশাল জনগোষ্ঠী একমত পোষণ করবে। অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ধন্যবাদ স্যার।
Mahmudul Hasan Css: স্যার, ভিকটিম সবাই। কিন্তু কেউ বলতে সাহস পায় না। এমন সমাজ ভেঙে প্রকৃতিসমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার জন্য আওয়াজ জরুরি।
Mohammad Mozammel Hoque: একটা অন্যায় বহুদিন ধরে চলছে। তারমানে এই নয় যে এহেন জুলুম আরো বহু দিন চলবে। এখনি যদি এই অপব্যবস্থার গতিরোধ করা না হয় তাহলে তথাকথিত উন্নত বিশ্বের মতো সর্বগ্রাসী নৈতিক বিপর্যয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।
Md Nayeem Watto: ‘আর তার নিদর্শনাবলির মাঝে এও হলো একটি নিদর্শন, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই মাঝ থেকে জোড়া সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা প্রশান্তি লাভের জন্য তাদের কাছে যাও এবং তিনি তোমাদের মাঝে প্রেম-প্রীতি ও দয়ামায়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে সেসব লোকের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে, যারা চিন্তাভাবনা করে।’ (সূরা রুম: ২১)
‘যখন তোমরা দেখ কোনো ব্যক্তি বিবাহ করেছে, সে ধর্মের অর্ধেক পূর্ণ করেছে, এরপর তারা উভয়ে বাকি অর্ধেকের জন্য আল্লাহকে ভয় করুক।’ (বায়হাকি)
‘দুজনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য তুমি বিবাহের চেয়ে উত্তম কিছুই খুঁজে পাবে না।’ (ইবনে মাজা)
Al Malik Nasrullah Khan Rumman: স্যার, আমি মনে করি আজ থেকে ১০/২০ বছর বা তার আগে মানুষের যৌনজীবন যে বয়সটায় শুরু হতো, আজো সেই বয়সেই শুরু হয়। শুধু সমাজের বেধে দেয়া কিছু নিয়মই পরিবর্তন হয়েছে। তাই সঠিক সময়ে বিবাহই এর প্রকৃত সমাধান।
Md Nayem Uddin: সেদিন আমরা সেন্ট্রাল ফিল্ডে বসেছিলাম ৫টার দিকে। সন্ধ্যার দিকে ঐ দিকের পরিবেশ…! শুধু আমি অবাক হয়ে ছিলাম। ভাবছিলাম, এর নাম প্রেম নয়, বরং যৌনতা নিবারণ হলো এর প্রকৃত উদ্দেশ্য। অসাধারণ স্যার, আপনি সময়ের কণ্ঠস্বর।
Asm Fakhrul Islam: আমি ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত আত্মরতি ধরণের বিষয় থেকে বিরত ছিলাম, যতদিন জানতাম এটা হারাম (পরে বুঝতে পারি মাকরূহ)। কিন্তু আমার বন্ধুরা কেউ আমার দাবি মানতে চাইতো না, যা আমাকে পীড়া দিত ও বিরক্ত করতো।
Mohammad Mozammel Hoque: দুটি মন্দের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম মন্দকে গ্রহণ করা হলো সুন্নতের দাবি। যিনা হলো সর্বাধিক মন্দ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালিকি মাযহাবে এটি হারাম। হানাফী মাযহাবে এটি মাকরুহ। হাম্বলী এবং যাহেরি মাযহাবে এটি জায়েজ।
Asm Fakhrul Islam: মাযহাব তো আর বাধ্যতামূলক কিছু না। যার যার নিজস্ব ব্যাখ্যা। আমি সকল মাজহাবের ব্যাখ্যাগুলো শুনেছি, তাঁরা সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্য যেসব রেফারেন্স ব্যবহার করেছেন সেগুলো পড়েছি, তারপর নিজস্ব বিবেচনায় সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে এটাকে হারামের সংজ্ঞায় ফেলা যায় না। সর্বোচ্চ মাকরূহ বলা যেতে পারে। জায়েজ বললেও অত্যুক্তি হবে না হয়তো। সে মতেই মেনে চলছি।
রহমতুল্লাহ সাহেব: হাম্বলী মাজহাব সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। ডক্টর ইউসুফ কারজাভী এই তথ্যভ্রান্তির উৎস। হাম্বলী ফিকহের সকল টেক্সটে হস্তমৈথুনকে হারাম বলা হয়েছে। কেবলমাত্র দুই ক্ষেত্রে বৈধতা দেয়া হয়েছে– ১) যিনায় লিপ্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হলে, ২) না করলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হলে। আসুন, আরো সতর্ক হই। আমাকে বললে আমি পর্যাপ্ত এভিডেন্স দিতে পারব।
Mohammad Mozammel Hoque: ইউসুফ কারযাভীও ঠিক তাই বলেছেন। আনকন্ডিশনালি এটাকে কেউই জায়েজ বলেন নাই।
রহমতুল্লাহ সাহেব: আত্মরতি কি বিকৃত যৌনাচার? বিকৃত হলে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বিকৃত? এটা কি মানব স্বভাববিরোধী? ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ-নিরুৎসাহিত হলেই কি কোনো কাজকে বিকৃত বলা যায়?
Mohammad Mozammel Hoque: এই আলোচনার মূল প্রসঙ্গ হলো, মানুষের স্বাভাবিক কামনা চরিতার্থ করার স্বাভাবিক প্রাকৃতিক সুযোগ বা অধিকার লাভ করা বা না করা সংক্রান্ত বিষয়। যখনই অবদমনের কথা আসবে তখনই সেলফ-সেক্স জাতীয় বিষয়গুলোর বৈধতা ও অবৈধতার বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। এই লেখায় অবদমনকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়েছে। বিদ্যমান অবদমনমূলক ব্যবস্থার অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতি নির্ধারিত স্বাভাবিক পন্থায় মানুষের স্বাভাবিক কামনা-বাসনাগুলোকে চরিতার্থ করার পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টির পক্ষে বলা হয়েছে।
আপনার প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই আলোচনায় খানিকটা অপ্রাসঙ্গিক।
রহমতুল্লাহ সাহেব: উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে অবদমন কিন্তু কিছু সময়ে প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়ায়। তাবুকের দীর্ঘ সফরে স্ত্রীর সঙ্গবঞ্চিত সাহাবীরা নবীর কাছে হস্তমৈথুনের অনুমতি চেয়েছিলেন, তিনি তাদের রোজা রাখার পরামর্শ দেন। রোজা রাখাও কিন্তু এখানে অবদমন।
Mohammad Mozammel Hoque: নিয়ন্ত্রণ এবং অবদমন, এ দুটো আলাদা শব্দ। দুটোর তাৎপর্য আলাদা। একটি পজিটিভ সেন্সে। অপরটি নেগেটিভ সেন্সে। নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে বললে আত্মনিয়ন্ত্রণ সময়ে সময়ে যে কারো জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সবার জন্য সব সময় যেটা পরিত্যাজ্য, সেটা হচ্ছে অবদমন বা সাপ্রেরেশন। অবদমনমূলক সমাজ, একটি অন্যায্য সমাজ।
যেখানে বিয়েটা ছিল ডাল-ভাতের মতো সহজ ব্যাপার সেখানকার কোনো বিষয়কে প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে এসে অভিনব এক নতুন বাস্তবতায় দিকনির্দেশনা লাভ করার চেষ্টা করা হলো করণীয়-বর্জনীয় নির্ধারণ করার পদ্ধতি হিসেবে একটি ভুল পদ্ধতি। স্বাধীন নারী বিয়ে করা ছাড়াও সেখানে ছিল সহজলভ্য দাসী। এমনকি মাদানী যুগের প্রাথমিক দিকে সাহাবীদের জন্য ছিল অস্থায়ী বিবাহের সাময়িক অনুমতি।
এসব কিছুকে বিবেচনায় না নিয়ে অথেন্টিসিটির ভিত্তিতে নিছকই রেফারেন্সনির্ভর ও প্রেক্ষাপটবিযুক্তভাবে ফিকাহর চর্চা করা, ফিকাহর অন্যতম একটি প্রধান নীতির লংঘন। আজকাল অহরহ যা দেখা যায়।
Abadul Haque Abad: পশ্চিমারা এই লেখা দেখলে আপনাকে ‘সাহসী লেখক’ উপাধি দিয়ে দিত। কিন্তু আপনার ইসলামী ভাবধারার পরিচয়ের কারণে সেটা দেবে না। আবার উদারবাদী ইসলামিস্টদের কাছে আপনি ‘ইসলামী সাহসী লেখক’ উপাধি পাইতে পারেন। অন্ততপক্ষে আমি দেব। তবে গোঁড়াপন্থীরা পারলে আপনাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে ???
Mohammad Mozammel Hoque: আমি ইউসুফ আল কারযাভীর অনুসারী। তাঁর নীতি হচ্ছে কোরআনে বর্ণিত ওয়াসাতিয়া বা মধ্যপন্থার নীতি। আমি পাশ্চাত্য ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী উদারতাবাদের বিরোধী। একই সাথে আমি প্রাচ্যের নির্বিচারবাদী রক্ষণশীলতারও বিরোধী। অত্যন্ত কাছ থেকে আমি এই দুই প্রান্তিকতার কুফলগুলো দেখার সুযোগ পেয়েছি। তাই একই সাথে আমি এ দুটোরই বিরোধিতা করি। যদিও হতে পারে কোনো একটি লেখায় কোনো একটা দিক প্রাধান্য পেয়েছে বা পায়। একটা লেখার ভিতর সবগুলো আসপেক্টকে একসাথে নিয়ে আসা অনেক সময়ে সম্ভব হয় না। তাই যারা একটা মাত্র লেখা পড়েন, তারা অনেক সময়ে ব্যক্তি হিসেবে আমাকে বুঝতে ভুল করেন। সে যাই হোক, সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
Sayed Towhidul Alam: স্যার, ১) ব্যক্তিগত যৌনজীবনের ক্ষেত্রে আপনি আত্মরতির কথা বলেছেন বা বিভিন্ন উপায়ে যৌনতা নিবারণের কথা বলেছেন, সেক্ষেত্রে মহানবী (স.) বিবাহ করার আগে উনার এধরনের কোনো ব্যক্তিগত যৌনজীবন ছিল কিনা? ২) আর যারা মুসলিম অবিবাহিত মনীষী আছেন যেমন, ঈমাম গাজ্জালী (র.), রাবেয়া বসরী (র.) উনাদেরও ব্যক্তিগত যৌনজীবনে আত্মরতি বা এধরনের অন্য কোনো কিছু চর্চার বৈশিষ্ট্য ছিল কিনা? ৩) বর্তমানে কি এমন কোনো শক্তিশালী দৃঢ়তার মানুষ নেই বা থাকতে পারেনা যে অবিবাহিত এবং তার যৌন পরিতৃপ্তির জন্য আত্মরতি বা অন্য কোনো যৌনপন্থা অবলম্বন করে না?
Mohammad Mozammel Hoque: তিনটা পয়েন্টের উত্তর একসাথে দেয়া যায়। সেটা হলো, হ্যাঁ, এই ধরনের ব্যতিক্রমী মানুষ থাকতে পারে। তবে ব্যতিক্রম হচ্ছে শুধুমাত্র ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রমের উপর ভিত্তি করে নিয়ম হতে পারে না। নিয়ম হবে সাধারণ অবস্থার উপর ভিত্তি করে।
Khondokar Masum: “বড় হওয়ার পর থেকে বিয়ের আগ পর্যন্ত এই দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময়ে একজন নারী স্বাভাবিকভাবেই বিশেষ ধরনের ব্যক্তিগত যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।” — এই সময়টার ক্ষেত্রে ইসলাম কী বলে? ইসলাম কি কৈশোর থেকে যৌবনে উত্তীর্ণকালীন সময়ের ব্যাপারে কিছু বলে? না বালেগ মানেই বিবাহ?
Mohammad Mozammel Hoque: প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া মানে বৈবাহিক জীবনযাপন শুরু করা, এটাই হল মূল নিয়ম। অর্থনৈতিক কারণে কিংবা এধরনের কোনো পারিপার্শ্বিক বাধার কারণে যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে আত্মসংযম মেনে চলা। এটা হল অগত্যা পরিস্থিতিতে করণীয়।
এখন আমাদের সমাজে অগত্যা পরিস্থিতিতে করণীয় যেটা, সেটাই হয়ে গেছে নিয়ম; এবং যেটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তথা মূল নিয়ম সেটা হয়ে গেছে অস্বাভাবিক, অসম্ভব-প্রায় এবং মাত্রাতিরিক্তভাবে দীর্ঘতর।
ব্যাপারটা হয়ে গেছে পা দিয়ে না হেঁটে মাথা আর দুই হাতে ভর করে হাঁটার চেষ্টা করার মতো। যা স্বাভাবিক, তা অস্বাভাবিক হিসেবে মনে করা হয়। আর যা অনুচিত, তা হয়ে গেছে অনেকটা সহনশীল ও স্বাভাবিক।
কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছু একটা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু কখনো সেটা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা সঠিক নয়। অসম্ভব চেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
পুরো বিষয়টাকে বিবেচনা করতে হবে সামষ্টিক বা সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে। one-to-one কিংবা ব্যতিক্রমী উদাহরণগুলোকে সামনে এনে লাভ নাই। সমাজ, সংস্কৃতি ও আইনকে হতে হয় সামগ্রিক পেক্ষাপটে।
Muhammad Moinul Islam: প্রবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কথা ভাবুন, তাদের এই জীবনটা কতটা কষ্টের, একজন শ্রমিক ২-৩ বছর পর পর দেশে যায়, এটা নিয়ে বৈশ্বিক কোনো ভাবনা চোখে পড়েনা
Mohammad Mozammel Hoque: আমাদের সমাজে স্বাভাবিক কামনা-বাসনাকে গণ্য করা হয় অস্বাভাবিক ও খারাপ প্রবণতা হিসেবে। আর বিকৃতি ও অবদমনকে গণ্য করা হয় স্বাভাবিক ও উপেক্ষা করার মত তুচ্ছ বিষয় হিসেবে।
আল্লাহ যেন আপনার কর্মে, চিন্তায়, লেখায় বারাকাহ দেন…
স্যার, সমস্যা চিহ্নিত করনের মাঝে সমাধানের বীজ লুকিয়ে থাকে ঠিক কিন্তু বীজ থেকে ফলদ বৃক্ষের ‘বৃক্ষ’ হয়ে ওঠার মাঝেও তো আরও প্রক্রিয়া অবলম্বনের ব্যাপার থাকে সেসব নিয়েও তো আলোচনা প্রয়োজন…
খোলাসা করে বলতে গেলে, বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ‘সহজ বিয়ে’র সম্ভাব্য model, প্রস্তাবিত model এর কার্যকারিতা – এই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন। কারণ (আমার ধারণা) একটা প্রজন্ম গড়ে উঠছে যারা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে যে সুন্নাহ-কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আর যাই হোক ‘আত্মার প্রশান্তি’ বলে যেই ব্যাপারটা আছে সেটা inaccessible থেকেই যাবে।
এই প্রজন্ম যখন তাদের অভিভাবক মহলের সম্মুখীন হবে, যেই অভিভাবকরা অনেক ক্ষেত্রে ‘generation gap’ – terminology-টার সাথেই পরিচিত নয়, সেই অভিভাবকদের কাছে এটা তো উপস্থাপন করতে হবে যে তাদের দাবী নিছক কোন ‘hormonal fluctuation’ এর বহিঃপ্রকাশ নয় বরং এক সুদৃঢ় ‘divine reality’ এর প্রতিবিম্ব।
আর এই ‘উপস্থান’ প্রক্রিয়ার intellectual approach-টা তো আপনাদের বুদ্ধিজীবি মহল থেকেই আমরা প্রত্যাশা করি, তাই না?
অতি আবশ্যিক, প্রয়োজনীয়, যুগোপযোগী ও অত্যন্ত প্রাকটিকাল একটি আলোচনা। আমার কাছে আরও সহজ নীতিমালা আছে। তথাকথিত দ্বীনী শিক্ষিত ইমামদের বক্তব্যে শুধু ইসলামের রক্ষকের একটি প্রবণতা কার্যকর থাকে।কিন্ত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বাণীতে কোনো গোপনীয়তা নেই।তাঁদের বক্তব্য সমগ্র জগদ্বাসীর জন্যই সুস্পষ্ট। রুজী-রোজগার সম্পর্কে অনেক বেশি বাণী নেয়;কিন্তু মানুষের ৯০ভাগ প্রচেষ্টা ওটাকে কেন্দ্র করেই।অথচ কিঞ্চিৎ ব্যতীক্রম ছাড়া সব ধরনের আয়ের উৎসকেই আমরা মোটামুটি জায়েজ হিসেবে গণ্য করে থাকি।তেমনি যৌনাকাঙ্ক্ষা ও যৌনাচার মানব প্রকৃতির সর্বাধিক অগ্রাধিকারভিত্তিক একটি আমল যা অতিমাত্রায় জৈবিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের।এ সম্পর্কে তাই প্রতীকী ধরনের সামান্য কিছু নিষেধাজ্ঞার তুলনায় অসংখ্য স্থান, কাল,পাত্র ও প্রেক্ষাপটভেদের বিকল্পধারার বিদ্যমানতায় ইসলামী নৈতিকতায় অধিকমাত্রায় দৃষ্টিগোচর হয়।